এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে
কুষ্টিয়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাধীন ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্থানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে
উভয়পক্ষে অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (০২ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে
এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত
পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহতদের মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের
মর্গে রাখা হয়েছে। আহতরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী
লীগের সভাপতি কেরামত উল্লাহ এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান
ফজলুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
নিহতরা হলেন, আস্থানগর গ্রামের হোসেন আলীর
(মৃত) ছেলে কাশেম আলী (৫০), দাদ মণ্ডলের ছেলে লাল্টু মণ্ডল (৩০), আব্দুল মালিথার ছেলে
রহিম মালিথা (৫০) ও আফজাল মণ্ডলের ছেলে মতিয়ার মণ্ডল (৪০)। রহিম মালিথা বাদে বাকি তিনজন
ফজলু মণ্ডলের সমর্থক।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ঝাউদিয়া
ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কেরামত আলী ও ফজলু মণ্ডল গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে
এলাকায় বিল ও হাট-বাজার দখল, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সর্বশেষ ইউপি নির্বাচন
নিয়ে সেই বিরোধ চরমে ওঠে। এরই জের ধরে আজ ইফতারের পর ইউনিয়নের আস্তানগরে কেরামত আলী
গ্রুপের লোকেরা মোক্তারের নেতৃত্বে লাঠিসোঠা, হাসুয়াসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফজলু মণ্ডলের
বাড়ির ভেতর অতর্কিতে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় ফজলু মণ্ডলের লোকজনের
সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের জাফর,
সাবু, মনোয়ার, কামলা, আতিয়ার, মুসাসহ অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খায়রুল আলম জানান,
ঘটনা শোনার পরপরই এলাকাই প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।
তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।