আজঃ বুধবার ০১ মে ২০২৪
শিরোনাম

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ১২

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ আগস্ট ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনায় ১১ জন ও উপসর্গ নিয়ে একজন মারা যান। আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ৯ জন। রবিবার (৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. মেজবাউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ অব্যাহত আছে। রোববার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ২২৬ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীই ১৭৪ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৫২ জন।

করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জেলায় শনাক্তের সংখ্যাও হু হু করে বাড়ছে। কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯৯টি নমুনা পরীক্ষায় ১১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৮৪ ভাগ।

জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে ১৫ হাজার ৮০৮ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ১৫২ জন। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৬১৮ জন।

নতুন করে শনাক্ত হওয়া ১১৪ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৩৯ জন, কুমারখালী উপজেলায় তিনজন, দৌলতপুর উপজেলায় ১৮ জন, ভেড়ামারা উপজেলায় ৩১ জন, মিরপুর উপজেলায় ১৪ জন ও খোকসা উপজেলায় ৯ জন শনাক্ত হয়েছেন।

এখন পর্যন্ত জেলায় ৯১ হাজার পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৮৫ হাজার ১৫৩ জনের। বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ৩৮ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ২৫৭ জন। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন দুই হাজার ৭৮১ জন।



আরও খবর



ফের জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় তার আইনজীবী নিখিল কুমার সাহার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এক সপ্তাহের জন্য আদালতে প্রবেশ করতে মানা করা হয়েছে তাকে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী এক সপ্তাহ কোনো মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন না অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার সাহা। একই সঙ্গে অর্থ পাচারের মামলায় জি কে শামীমের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন আদালত।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জি কে শামীমের জামিনের আদেশ কার্যতালিকার ৪ নাম্বার সিরিয়ালে ছিল, যা দেখে অবাক হয়ে যান প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, এটি কীভাবে আদেশের জন্য আসে, এ বিষয়ে শুনানিই তো হয়নি।

পরে আইনজীবী নিখিল কুমার সাহাকে এজলাসে ডাকেন প্রধান বিচারপতি। তিনি আইনজীবীকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন, এটা কি করে হলো? এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি আইনজীবী নিখিল কুমার। এ সময় প্রধান বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চালাকি করেন? কটা টাকার জন্য এসব করেন! কেন করেন?’

পরে নিখিল কুমার সাহাকে এক সপ্তাহ মামলা না লড়তে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় তিনি পাল্টা যুক্তি দিতে চাইলে প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, বেশি কথা বললে এক বছর নিষিদ্ধ করা হবে। এর আগেও জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছিল হাইকোর্টে। ২০২০ সালে মার্চ মাসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীম। পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, মাসখানেক আগে করা জামিন আবেদনে পুরো নাম উল্লেখ করেননি তিনি। যদিও জামিন আদেশে ঠিকই লেখা ছিল পুরো নাম।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আলোচিত ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় আটক সাবেক যুবলীগ নেতা ও প্রভাবশালী ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে তিনি জি কে শামীমকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। ২০১৯ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে নাটকীয় এক অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছিল।


আরও খবর
মুক্তি পেতে যাচ্ছেন মামুনুল হক

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




নকলা ইউএনও'র বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী তথ্য সরবারাহের সহযোগিতা না করে তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগকে বাধাগ্রস্ত করায় শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন-এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তথ্য কমিশন।

এই সিদ্ধান্ত তথ্য কমিশন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। সুপারিশ বাস্তবায়নের দায়িত্ব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের।

এর আগে, তথ্য চাইতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড পাওয়া দেশ রূপান্তরের শেরপুরের নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানাকে অসহযোগিতার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তথ্য কমিশনের তলবে আজ মঙ্গলবার সকালে হাজির হন নকলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন।

আজ সকাল সোয়া ১০টায় তিনি তথ্য কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হন। বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশনের কার্যালয়ে ব্যাখ্যা দেন তিনি। ব্যাখ্যা দেওয়া শেষে বেলা পৌনে ১টার সময় বেরিয়ে আসেন তিনি। এ সময় সাংবাদিকরা তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান এবং তার হাতে থাকা ফাইল দিয়ে মুখ আড়াল করে দ্রুত হেঁটে বাইরে অপেক্ষারত সিএনজিতে গিয়ে ওঠেন।

সিএনজিতে উঠে ইউএনও বানিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, যা বলার আমি তথ্য কমিশনকে বলেছি। আমি কোনো ক্ষমতার অপব্যবহার করিনি। তিনি (রানা) অপরাধ করেছিলেন বলে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ফাইল ধরে টানাটানি ও একজন নারীকে উত্ত্যক্ত করেছিলেন তিনি।

এসময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, সন্তান সাথে থাকা অবস্থায় অন্য কোনো নারীর সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করা যায় কি-না। এমন প্রশ্নের উত্তরে চুপ হয়ে যান ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন।


আরও খবর
মহান মে দিবস আজ

বুধবার ০১ মে ২০২৪




ইরাকে সমকামী সম্পর্কে জড়ালেই ১৫ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সমকামী সম্পর্কে জড়ালে হবে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড। এমনই এক আইন পাশ হয়ে গেল ইরাকের পার্লামেন্টে। দেশটির সরকারের দাবি, ধর্মীয় মূল্যবোধকে রক্ষা করার লক্ষ্যে এই নতুন আইন পাশ করা হলো।

ইরাকে আগে প্রস্তাব আনা হয়েছিল, সমকামীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। কিন্তু ইউরোপীয় দেশগুলো ও আমেরিকার বিরোধিতায় সর্বোচ্চ সাজা ১৫ বছরের কারাদণ্ডই রাখা হয়েছে। কেবল সমকামী সম্পর্ক নয়, আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে রূপান্তরকামীদের জন্যও। বলা হয়েছে, লিঙ্গ বদলকারী কিংবা নারীদের বেশ ধারণকারীদের এক থেকে তিন বছরের কারাবাস বা ৭৭০০ ইউরো জরিমানা হবে।

নতুন আইনে বলা হয়েছে, ইরাকের সমাজকে নৈতিক অবক্ষয় ও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া সমকামিতা থেকে রক্ষা করতেই এই আইন আনা হয়েছে। সমকামিতা ও দেহব্যবসা রুখতে আনা এই আইনে জানানো হয়েছে, কেউ সমকামী সম্পর্কে জড়ালে সর্বোচ্চ ১৫ ও সর্বনিম্ন ১০ বছরের সাজা হবে তার। সমকামিতা কিংবা দেহ ব্যবসার প্রচার করলে কমপক্ষে ৭ বছরের জন্য যেতে হবে কারাগারে।

এতদিন পর্যন্ত ইরাকের আইনে সমকামিতাকে অপরাধ বলা হয়নি। কেবলমাত্র দণ্ডবিধির উল্লেখে অল্প করে নৈতিকতার দিকটি আনা হয়েছিল। সেটাকেই অস্ত্র করে এলজিবিটি মানুষদের আক্রমণ করত সশস্ত্র দলগুলো। এবার সমকামিতাকে অপরাধ ঘোষণা করে শাস্তির বিধান দিল নতুন আইন।


আরও খবর



ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ করা উচিত: ন্যান্সি পেলোসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি মনে করেন, ইসরায়েলের কল্যাণের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর শিগগিরই পদত্যাগ করা উচিত। নেতানিয়াহুকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির পথে বাধা বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

আয়ারল্যান্ডভিত্তিক বেতার সংবাদমাধ্যম রেডিও টেইলিফিস ইয়েরেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে পেলোসি বলেন, ইসরায়েলের অবশ্যই আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং আমরা তা স্বীকারও করি; কিন্তু এ অধিকার রক্ষায় নেতানিয়াহু যে নীতি নিয়েছেন এবং যা যা করছেন তা ভয়ঙ্কর এবং আমরা সেসব প্রত্যাখ্যান করছি।

বিশেষ করে (৭ অক্টোবরের) হামলার জবাবে তিনি যা করছেন, তার চেয়ে নিকৃষ্ট আর কী হতে পারে। হামলার দায় স্বীকার করে তার সরকারের গোয়েন্দাপ্রধান পদত্যাগ করেছেন, তারও পদত্যাগ করা উচিত। গত ছয় মাসে যা যা হয়েছে, সেজন্য সম্পূর্ণভাবে তিনি দায়ী।

নেতানিয়াহুকে আল আকসা ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে শান্তি পথে বাধা মনে করেন কি না প্রশ্নের উত্তরে সাবেক হাউস স্পিকার বলেন, অবশ্যই মনে করি। আমি জানি না তিনি শান্তিকে ভয় পান কি না, শান্তিতে বসবাস করতে অক্ষম কি না কিংবা শান্তির প্রতি অনাগ্রহী কি নাকিন্তু তিনি দীর্ঘদিন ধরে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।

সাক্ষাৎকারে বাইডেন প্রশাসনকে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বানও জানিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারের গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত ছয় মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকজন।

কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা-দূতিয়ালিতে গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস-আইডিএফ। সেই বিরতির সময় নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেকে ১৫০ জনকে কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়েছিল ইসরায়েলও।

ওই বিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করছিল মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ। চলতি বছর রমজান মাস থেকে তা শুরু হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু মূলত নেতানিয়াহুর আপত্তির কারণে তা আর হয়নি।

ফলে হামাসের কব্জায় থাকা বাকি ১৩২ জন জিম্মির ভাগ্য কী ঘটেছে এখনও অজানা।

১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্রের ভূমিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের একমাত্র এই ইহুদি রাষ্ট্রকে সামরিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও গোয়েন্দা সহায়তা দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। গত ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলা ও তার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান শুরুর পর প্রাথমিক পর্যায়ে সেই অভিযানকে সমর্থন জানিয়েছিলেন মার্কিন রাজনীতিবিদরা। পেলোসিও তাদের মধ্যে ছিলেন।

তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নিষ্ঠুরতা বৃদ্ধি এবং যুদ্ধাবসানের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রতি হতাশ হওয়া শুরু করেন মার্কিন রাজনীতিবিদদের অনেকেই।

কিছুদিন আগে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সরকারি দলের নেতা চাক শুমার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমার ধারণা, নেতানিয়াহু তার পথ হারিয়ে ফেলেছেন এবং ইসরায়েলের জনগণের উচিত নতুন একজন প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নেওয়া।


আরও খবর



ইরানের হামলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হলো ইসরায়েলের

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের নজিরবিহীন হামলায় অনেকটাই কুপোকাত ইসরায়েল। দেশটির এখন পর্যন্ত কী পরমিাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানাতে নতুন একটি বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ দাবি করেছে, ইরানের বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তারা প্রতিহত করেছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইডিএফ জানায়, শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করে ইরানের সংখ্যাগরিষ্ঠ হামলা প্রতিহত করেছে তারা। ইসরায়েলি ভূখণ্ড অতিক্রম করার আগেই এই অঞ্চলের কৌশলগত মিত্রদের সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা অ্যারো ব্যবহার করে তারা হামলা প্রতিহত করেছে বলেও দাবি করে ইসরায়েলের এই বাহিনী।

তবে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে একটি ঘাঁটিতে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। এতে সামান্য অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করে এই বাহিনী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরে।

অ্যারো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধীরগতির ড্রোনের বদলে উচ্চতায় থাকা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরাস্ত করতে পারে। এটির নকশাই এভাবে তৈরি। গাজা যুদ্ধের শুরুতে ইয়েমেন থেকে উৎক্ষেপণ করা হুতিদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করে ইসরায়েল।

আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইরানের হামলায় একজন আহত হওয়ার খবর জেনেছেন তারা। তিনি বলেন, ইরানের বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে আঘাত হানার পরে একটি সামরিক ঘাঁটিতে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কোন ঘাঁটিতে কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে, তা জানানো হয়নি।

হামলায় কে আহত হয়েছেন, তা নিয়ে হাগারি বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে এর আগে ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্যারামেডিক সাত বছরের এক মেয়েকে চিকিৎসা দিয়েছে। আরাদ অঞ্চলে বেদুইন অধ্যুষিত এলাকায় গোলার আঘাতে মেয়েটি আহত হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিবিসিকে জানিয়েছে, দেশটির ভেতরে চলাচলে কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। টাইমস অব ইসরায়েলে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, নাগরিকদের আর আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে থাকতে হবে না। তবে জমায়েত ও সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম এবং স্কুলে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।


আরও খবর