আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

কুড়িগ্রামে রাতের আঁধারে অর্ধশতাধিক সুপারি গাছ কর্তন

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় রাতের আঁধারে শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির অর্ধশতাধিক সুপারি গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। গত শনিবার সকালে পরিবারের সদস্যরা সুপারি গাছ কেটে ফেলার বিষয়টি জানতে পারেন।

এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে কে বা কারা শহিদুল ইসলামের ৩২ শতক জমির পুকুর পাড়ে রোপণ করা সুপারির গাছের মধ্য থেকে ৫৮টি সুপারি গাছ কেটে ফেলে।

জানা যায়, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের ফুলকুমার গ্রামে শহিদুল ইসলামের ৩২ শতক জমির পুকুর পাড়ে রোপণ করা সুপারির গাছের মধ্য ৫৮টি সুপারি গাছ রাতের আঁধারে কে বা কারা কেটে ফেলে। তবে স্থানীয় একজনের সঙ্গে পুকুরের জমি নিয়ে কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।

ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে কে বা কারা রাতের আঁধারে সুপারি গাছগুলো কেটে ফেলেছে বুঝতে পাচ্ছি না। শনিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।

পাথরডুবি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য সরেজমিনে ঘটনাস্থল দেখে এসেছেন।

ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



ভারত : বিতর্কিত সিএএ’র বাস্তবায়ন স্থগিতের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিটিজেনশিপ অ্যামন্ডমেন্ট অ্যাক্ট অ্যান্ড রুলস- সিএএ) বাস্তবায়ন স্থগিতের নির্দেশ দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে নোটিশ জারি করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। নোটিশের জবাব দিতে নয়াদিল্লিতে আসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে তিন সপ্তাহ সময়ও বেঁধে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ মঙ্গলবার নোটিশটি জারি করে। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি জে.বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।

পার্লামেন্টে পাস হওয়ার চার বছর পর, গত ১১ মার্চ দেশজুড়ে সিএএ কার্যকর করে কেন্দ্রীয় সরকারে আসীন বিজেপি; কিন্তু তার পরপরই বিজেপির এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা শুরু করে বিরোধী দলগুলো। পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালার রাজ্য সরকার ইতোমধ্যে জানিয়েছে, রাজ্যে আইন বাস্তবায়ন করা হবে না। আইনটি স্থগিতের জন্য বিজেপিকে আল্টিমেটাম দিয়েছে তামিলনাড়ু, কর্ণাটকসহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যগুলোও।

সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র জানিয়েছে, ১১ মার্চ আইনটি কার্যকরের আদেশ দেওয়ার পর থেকেই সেটি স্থগিতের জন্য আপিল আসতে থাকে। এ পর্যন্ত অন্তত ২০টি আপিল জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এসব আপিলে স্বাক্ষর রয়েছে অন্তত ২৩৭ জন আবেদনকারীর।

মঙ্গলবার এসব আপিলের ওপর ওপরই শুনানি ছিল। শুনানিতে আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত যেন কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ বাস্তবায়ন স্থগিত রাখে এমন আদেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। বাদিপক্ষের আইনজীবী দলের অন্যতম সদস্য নিজাম পাশা বলেন, আইনটি পাসের পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভারতের মুসলিমরা। তাদের মধ্যে এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে বিজেপি সরকার ভারতীয় মুসলিমদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে চায় এবং সিএএ হলো সেই পরিকল্পনার প্রথম ধাপ।

তবে বাদিপক্ষের এই যুক্তির পাল্টায় ভারতের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা (সলিসিটর জেনারেল) তুষার মেহতা দাবি করেন, সিএএর মাধ্যমে কারো নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার উপায় নেই।

উভয়পক্ষের তর্ক ও যুক্তি উপস্থাপন শেষে সুপ্রিম কোর্ট সিএএ কার্যকর করা কেন অবৈধ হবে না মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে নোটিশ জারি করেন এবং জবাব দেওয়ার জন্য তিন সপ্তাহ সময় দেন। সেই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন হিসেবে আগামী ৯ এপ্রিল ধার্য করেন সর্বোচ্চ আদালত।

২০১৯ সালে পার্লামেন্টে সিএএ পাস করে তৎকালীন বিজেপি সরকার । এ আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সি সম্প্রদায়ের যেসব লোকজন সাম্প্রদায়িক নির্যাতন ও নিপীড়ণের মুখে টিকতে না পেরে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

ভারতে প্রথমবার নাগরিকত্ব আইন পাস হয় ১৯৫৫ সালে। সেই আইন অনুযায়ী, বিদেশ থেকে ভারতে আসা যেসব ব্যক্তি বিগত ১৪ বছরের মধ্যে ১১ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছেন এবং অন্তত ১ বছর টানা থেকেছেন, তারা ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলে তা অনুমোদন করা হবে। সিএএতে ১১ বছরের মেয়াদকালকে কমিয়ে ৫ বছরে আনা হয়েছে।

২০১৯ সালে আইনটি পাসের পর থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন ভারতীয় দল ছিল সেই বিক্ষোভের নেতৃত্বে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ব্যাপক বিরোধী।

উত্তর-পূর্ব ভারত থেকেই মূলত আপত্তি উঠেছিল সিএএ নিয়ে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, সিএএ কার্যকর হলে শরণার্থীদের ভিড় ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। তার ফলে ভাষাগত এবং সংস্কৃতিগত সমস্যা প্রকট হতে পারে। নিজেদের ভাষা এবং সংস্কৃতি রক্ষার স্বার্থেই অনেকে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন।

পাশাপাশি আইনে মুসলিমদের বাদ দেওয়া নিয়েও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। শুধু তা-ই নয়, দক্ষিণ ভারতে সিএএ বিরোধিতার মূল কারণ, শ্রীলঙ্কা থেকে আগত তামিল উদ্বাস্তুদের বাদ দেওয়া।

সিএএ বিরোধিতাকারীদের অভিযোগ, আইনটি ভারতের সংবিধানের পরিপন্থী। কেননা, এ আইনে ধর্মীয় কারণে নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য করা হচ্ছে। তবে বিজেপির বক্তব্য, এই আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না; বরং যারা ধর্মীয় বৈষম্যের কারণে এ দেশে চলে এসেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

২০১৯ সালে আইনটি পাস হওয়ার পর রাজধানী নয়াদিল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে দাঙ্গা হয়েছিল। এসব দাঙ্গায় প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ।


আরও খবর



গুজবের অভিযোগ আমলে না নিলে দেশে ফেসবুক-ইউটিউব বন্ধের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারের অভিযোগ আমলে না নিলে বাংলাদেশে ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

রবিবার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, 'তারা (ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল) বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সুপারিশ শোনে না। কারণ গুজব প্রতিরোধ ও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এখানে কোনো অফিস নেই। আমরা বলব যে তারা আমাদের কথা শুনছে না। প্রয়োজন হলে কিছু সময়ের জন্য এসব সেবা বন্ধ থাকবে। আমরা প্রথমে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সঠিকভাবে জানাব যে তারা (সোশ্যাল মিডিয়া) আমাদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে এই অপরাধ এবং গুজব চালাতে দিচ্ছে এবং এগুলো প্রতিরোধে তাদের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রথমে কয়েকবার বলা হবে। প্রয়োজনে আমরা সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও বলব, যেন মনে না হয় যে এখানে মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আইনের বিধান হলো কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া। তারা আমাদের অভিযোগের তদন্ত করছে না। আমরা এখন গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনগণকে তাদের উদাসীনতা সম্পর্কে জানাব, যেন বাধা (সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ) দেওয়া হলে দায় সরকারের ওপর না পড়ে, বরং তাদের ওপরই বর্তায়।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিয়ে বিশ্বের সপ্তম দূষিত শহর ঢাকা

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। মেগাসিটি ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়েও নেই স্বস্তির খবর। শনিবার (৩০ মার্চ) ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর অবস্থাতেই রয়েছে বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তবে সবচেয়ে বেশি দূষণ থাইল্যাণ্ডের চিয়াং মাই শহরের বাতাসে।

এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৪৮ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবেই বিবেচিত। ১৭৩ স্কোর নিয়ে বায়ু দূষণের র্শীষে অবস্থান করছে থাইল্যাণ্ডের চিয়াং মাই শহর। ১৭২ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ভারতের দিল্লি।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।


আরও খবর



অন্তর্জালে ধ্রুব গানওয়ালার ‘হৃদয় যেন দূরবীন’

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অন্তর্জালে এসেছে এসময়ের কণ্ঠশিল্পী ধ্রুব গানওয়ালার নতুন গান হৃদয় যেন দূরবীন। বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকালে ধ্রুব গানওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে গানটি মুক্তি পেয়েছে।

মৌলিক এই গানটির কথামালা সাজিয়েছেন চঞ্চল মাহমুদ। দেশের খ্যাতিমান শিল্পী ও গুনী মিউজিক ডিরেক্টর সুমন কল্যাণর সঙ্গীতায়োজনে গানটির সুর করেছেন আর এক শ্রোতাপ্রিয় শিল্পী, সুরককার অলক বাপ্পা আর গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন ধ্রুব গানওয়ালা। অসাধারণ কথামার এই গানটির ভিডিওচিত্র নির্মাণ করেছেন অনিক খান।

গানটি সম্পর্কে ধ্রুব গানওয়ালা জানান, হৃদয় যেন দূরবীন গানটি আমার অত্যন্ত পছন্দের একটি গান। এই গানে দুজন গুণী মানুষ এর উপস্থিতি আছে। একজন অলক বাপ্পা ও আর একজন শ্রদ্ধেয় সুমন কল্যাণ দাদা। তারা অনেক যত্ন করে কাজটি করেছেন, আমাকে উৎসাহিত করেছেন।

ধ্রব গানওয়ালা আরো বলেন, এই গানটি সেমি ক্লাসিক্যাল ঘরানার। গানটির মিউজিক ডিরেক্টর ছিলেন দেশের একজন প্রখ্যাত শিল্পী খ্যাপার দল ব্যান্ডের প্রধান গায়ক সুমন কল্যাণ। সুরকার অলক দাদা অসাধারণ সব গানের সুরকার। তিনি সেমি ক্লাসিক্যাল সুর বেশি করেন। আমি আশা করি গানটি দর্শকদের কাছে অনেক ভাল লাগবে।

এই শিল্পী আরো জানান, এর আগে গত ৮ মার্চ কে বানাইছে দমের গাড়ি শিরোনামের আরো একটি গান প্রকাশ করি। যা দর্শক-শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। আহমেদ জিহাদের কথায় গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন প্রত্যয় খান। আর ভিডিও নির্মাণ করেছেন অনিক খান।

গানটি সম্পর্কে এই শিল্পী বলেন, দমের গাড়ি গানটি একটা দেহতাত্ত্বিক ফোক ঘরানার গান। মানব দেহ ও জীবনকে একটা গাড়ির সাথে তুলনা করা হয়েছে। এই গানটি নিয়ে শ্রোতাদের খুব ভাল সাড়া পাচ্ছি এখনও পর্যন্ত। সবাই উৎসাহ দিচ্ছেন আরো ফোক গান করার জন্য। আগামীতে আরো কিছু মৌলিক কাজ নিয়ে আসবো। সেগুলির কাজ চলছে। শ্রোতাদের ভালবাসা ও শুভকামনা প্রত্যাশা করি, যেন আমি আরো ভাল কাজ করার উৎসাহ পাই।


আরও খবর



‘শ্রুতিকটু’ শব্দ থাকা ২৪৭ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিভিন্ন রকমের শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক নাম থাকা দেশের ২৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করেছে সরকার। বুধবার (৩ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খুলনার কয়রার খাসিটানা উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে উদয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা পাটাচোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে ছায়াবিথী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান চোরমর্দ্দন বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম জ্ঞানপ্রদীপ চোরমর্দ্দন বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চোরমর্দ্দন বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম জমিদারবাড়ি চোরমর্দ্দন বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাটোরের লালপুর উপজেলার গোদাগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সালামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার চোরমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে মাতৃছায়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একই উপজেলার চুলধরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে ফুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ভণ্ডগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে বর্ণমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ এভাবে শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

গত বছরের ১৯ জানুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা-২০২৩ জারি করেছে মন্ত্রণালয়।

ওই সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেকগুলোর নাম শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক ভাবার্থসংবলিত। যা শিশুর রুচি, মনন, বোধ ও পরিশীলিতভাবে বেড়ে ওঠার অন্তরায়। এজন্য মন্ত্রণালয় এসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সুন্দর, রুচিশীল, শ্রুতিমধুর এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী এ রকম নেতিবাচক ভাবার্থসংবলিত নাম পরিবর্তন করা হবে।


আরও খবর