আজঃ রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

কুড়িগ্রামে পাসপোর্ট করাতে গিয়ে দুই রোহিঙ্গা তরুণী আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

কুড়িগ্রাম পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে আসা দুই রোহিঙ্গা তরুণীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। পাসপোর্ট অফিসের কাউন্টারে তাদের দেখে সন্দেহ হলে এবং নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে তা ঠিক মতো বলতে না পারায় তাদের দুজনকে সদর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয় কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ সহকারী পরিচালক মো: কবির হোসেন। পরে পুলিশ তাদের সদর থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে রোহিঙ্গার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, আটককৃতরা, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বালুখালি-১ এর ডি-ব্লকের খুরশিদা আক্তার (১৯)। তার পিতা নাম সৈয়দ আহম্মদ এবং মাতা সৈয়দা খাতুন। অপরজন ২৭ নং ক্যাম্পের ব্লক-৯ এর হাসিনা আক্তার বেবি (১৮)। তার পিতার নাম তৈয়ব আলী এবং মাতার নাম আরফা বেগম।

পুলিশ হেফাজতে নেয়া দুই তরুণীর বিষয়ে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানায় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো: শাহরিয়ার।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-সহকারি পরিচালক কবির হোসেন বলেন, হাসিনা আকতার কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ব্যাপারি পাড়া বালিয়ামারী গ্রামের পিতা-আজিজুল হক, মাতা- নুরনেসা বেগম। আদিজা আক্তার ওরফে খুরশিদা চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ বাউনিয়ার চর গ্রামের ফয়জার শেখ, মাতা-রাবেয়া খাতুন নামসহ জন্ম নিবন্ধনসনদ দিয়ে পাসপোর্ট করতে আসে। এসময় তাদের সাথে কথা বলে মনে হয় তারা রোহিঙ্গা। পরে তাদেরকে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়।

তারা সৌদিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এসে ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্ট করতে এসেছিল বলে জানায় পুলিশ।

নিউজ ট্যাগ: কুড়িগ্রাম

আরও খবর
গাজীপুরে বাসে আগুন

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




যুদ্ধবিরতির মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেই অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী আটজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এর মধ্যে একজন শিশুও আছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবরের পর পশ্চিম তীরে নিহতের সংখ্যা ২৩৯ জনে দাঁড়ালো। খবর আল জাজিরার।

ফিলিস্তিনের মন্ত্রণালয় গতকাল রবিবার জানিয়েছে, শনিবার শেষ নাগাদ এবং গতকাল রবিবার ভোরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আরও তিনজন নিহত হয়েছে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন জায়গায়। এ ছাড়া জেনিনে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ছয়জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।

আরও পড়ুন>> যুদ্ধবিরতির মধ্যে পশ্চিম তীরে ছয় ফিলিস্তিনিকে হত্যা

ফিলিস্তিনের সংবাদ সংস্থা ওয়াফা বলছে, বিভিন্ন দিক থেকে ইসরায়েলি বাহিনী জেনিনে তাণ্ডব চালিয়েছে। তারা বুলেট ছুড়েছে এবং সরকারি হাসপাতাল এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির হেড কোয়ার্টার ঘিরে রেখেছে।

গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। সেইসঙ্গে হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের সীমান্ত ভেদ করে দেশটিতে তাণ্ডব চালায়। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছে ১২০০। আহত তিন হাজারের বেশি। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় নিহত হয়েছে ১৫ হাজারের বেশি। আহত অন্তত ৩০ হাজার।


আরও খবর



নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের বড় জয়

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

গত বছর জানুয়ারিতে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডকে টেস্টে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। কিউইদের ঘরের মাঠে টেস্ট জয়ের কৃতিত্ব দেখালেও নিজেদের ঘরের মাঠে কৃতিত্বটা এবারই প্রথম অর্জন করার পথে দাঁড়িয়েছিলো টাইগাররা। ঐতিহাসিক সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় চতুর্থ দিন শেষ করেছিলো নাজমুল হোসেন শান্তর দল। পঞ্চম দিন প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩ উইকেট।

আজ সকালে সিলেটের লাক্কাতুরায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আসতে খুব বেশি সময় লাগলো না। প্রথমে বড় বাধা হয়ে থাকা ড্যারিল মিচেলকে ফেরালেন নাইম হাসান। এরপর টিম সাউদিকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট পূরণ করেন তাইজুল ইসলাম। শেষ উইকেট হিসেবে ইশ সোধিকে ফিরিয়ে দিয়ে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে ১৫০ রানের ব্যবধানে হারানোর ঐতিহাসিক ক্ষণের জন্ম দিলো বাংলাদেশ।

২০১৬ সালে ইংল্যান্ড ও ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়াকে ঘরের মাঠে টেস্টে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। এরপর বড় দলকে হারানোর অভিজ্ঞতা হয়েছিলো গত বছর মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে। ঘরের মাঠে ২০১৭ সালের পর এই প্রথম বড় কোনো দলের বিপক্ষে টেস্টে জয় পেলো বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় ইনিংস শেষে নিউজিল্যান্ডকে ৩৩২ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। স্পিনারদের তোপের মু্খে খেই হারিয়ে ১৮১ রানেই গুটিয়ে গেছে কিউইদের দ্বিতীয় ইনিংস। তাইজুল ইসলাম শিকার করেছেন ৬ উইকেট। ফলে ১৫০ রানের জয় পেয়েছে টাইগাররা।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৩১০ রান করেছিল বাংলাদেশ। ওই ইনিংসে টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হক করেন ৩৭ রান করে। শেষ দিকে উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান খেলেছেন ২৯ রানের ইনিংস।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ থেকে ৭ রান এগিয়ে ৩১৭ রানে গিয়ে থামে সফরকারীদের প্রথম ইনিংস। ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন কেন উইলিয়ামসন। ড্যারিল মিচেল করেছেন ৪১ রান। গ্লেন ফিলিপস খেলেছেন ৪২ রানের ইনিংস। শেষদিকে নেমে কিউইদের স্কোরবোর্ডে ৩৫ রান যোগ করেন টিম সাউদি।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর দুর্দান্ত সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৩৩৮ রান করে বাংলাদেশ। শান্ত করেছেন ১৯৮ বলে ১০৫ রান। মুশফিকুর রহিম ও মেহেদি হাসান মিরাজ হাঁকিয়েছেন ফিফটি। ১১৬ বলে ৬৭ রান করেছেন মুশফিক। ৫০ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন মিরাজ। এছাড়া অভিজ্ঞ মুমিনুল হক খেলেছেন ৪০ রানের ইনিংস।

৩৩২ রানের লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় খেলতে নেমে ১৮১ রানের অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। কিউইদের হয়ে একমাত্র ফিফটি হাঁকান ড্যারিল মিচেল। ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন এই কিউই ব্যাটার। শেষ দিকে ৩৪ রান করেন টিম সাউদি। ডেভন কনওয়ে ও ইশ সোধি করেছেন ২২ রান করে।

দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশের মোট রান হয়েছে ৬৪৮ রান। অপরদিকে দুই ইনিংসে কিউইরা করেছে ৪৯৮ রান। ফলে ১৫০ রানে জয় পায় টাইগাররা।

বাংলাদেশের হয়ে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০ উইকেট (৪+৬) শিকার করেছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসে মুমিনুল হক তুলে নিয়েছেন ৩টি উইকেট। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো উইকেট পাননি। মিরাজ মোট পেয়েছেন ২ উইকেট (১+১)। নাইম হাসান মোট ৩ উইকেট (১+২) ও শরিফুল মোট ২ উইকেট (১+১) পেয়েছেন।

কিউইদের হয়ে অ্যাজাজ প্যাটেল ৬ উইকেট (২+৪) শিকার করেছেন। গ্লেন ফিলিপস ৫ উইকেট (৪+১), ইশ সোধি মোট ৩ (২+১), টিম সাউদি মোট ২ (১+১) ও কাইল জেমিসন মোট ২ (২+০) উইকেট শিকার করেছেন।


আরও খবর



আজ আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নারী দিবসের কথা সবাই জানলেও, পুরুষ দিবসও যে আছে তা কিন্তু অনেকেই জানেন না। আবারও জানলেও সেটা আয়োজন করে উদযাপন করা হয় না। নারী দিবস নিয়ে যেমন আলোচনা থাকে পুরুষ দিবস নিয়ে ততটা থাকে না। তাই দিবসটি অনেকটা আড়ালেই থেকে যায়। আজ ১৯ নভেম্বর আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস। তবে আর দেরি কেন, বাবা, ভাই, বন্ধু, সহকর্মী, স্বামী বা প্রেমিক যিনি হোন না কেন, কাছের পুরুষটিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেলুন আজই। দিতে পারেন তার পছন্দের কোনো উপহারও। তাই চাইলেই আপনার প্রিয় পুরুষ মানুষটিকে আজ কিছু উপহার দিতে পারেন। মনে করিয়ে দিতে পারেন, যে আপনি কতটা পছন্দ করেন তাকে।

দিনটিতে পুরুষদের যেসব বিষয় মনে রাখা জরুরি-

আমরা ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছি যে পুরুষ মানেই তাকে খেলাধুলা পছন্দ করতে হবে। কিন্তু এ বিষয়টা একদমই সঠিক না। কোনো পুরুষের যদি ক্রিকেট-ফুটবলের মতো খেলাগুলো অপছন্দ হয়, তবে সেটা তার ব্যক্তিগত পছন্দ। এখনে ছেলে অথবা মেয়ের কোনো বিষয় নেই।

কান্না পেলে কাঁদুন, তাতে মন হালকা হবে এব‌ং মানসিক জটিলতা কমবে। কান্না পেলেও পুরুষরা কেনোভাবেই কান্নাকাটি করে না, এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা মানুষ, আর কান্না পাওয়া মানুষের অন্য বিষয়ের মতন স্বাভাবিক।

পুরুষ মানেই আপনাকে বাহিরের সব কাজে পারদর্শী হতেই হবে, তা না হলে আপনি পুরুষের তালিকায় পড়বেন না! এই ধরনের চিন্তা বদলানোর সময় চলে এসেছে। মনে রাখবেন ছেলে অথবা মেয়ে উভয়ই যে কোন কাজের বিষয়ে পারদর্শী হতে পারে।

ছেলেরা যদি মন খারাপ করে তাহলে তাকে বেশিরভাগ সময়ই শুনতে হয় যে, মান-অভিমান মেয়েদের জন্মগত অধিকার। এই ধারণা নিয়ে বাঁচলে জীবনটা উপভোগ করতে পারবেন না। তার চেয়ে বরং আপনি যেমন, তেমনই থাকুন, তেমন ভাবেই বাঁচুন। মন খারাপ বা অভিমান হওয়ার সাথে লিঙ্গের কোনো বিষয় নেই।

যেভাবে দিবসটির শুরু-

গত শতকের ষাটের দশকেই পুরুষ দিবস পালনের আহ্বান জানানো হয়েছিল। ১৯৬৯‍ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের একটি নিবন্ধে বলা হয়, ২৩ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস হিসেবে পালন করতে আগ্রহী অনেকেই। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মতো একই ধরনের একটি দিবস পালন করতে চাচ্ছিলেন তারা।

এর পরের দশক থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আলাদাভাবে পুরুষ দিবস পালন শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, কলম্বিয়া, রাশিয়া ও চীনে উদ্‌যাপন করা হতো দিবসটি। তবে ভিন্ন ভিন্ন এ উদ্যোগ তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি। একসময় বন্ধও হয়ে যায়।

শেষমেশ ১৯৯৯ সালে জিরোম টিলাকসিংয়ের নির্ধারিত দিনটিই বিশ্ব পুরুষ দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায়। সে সময় ক্যারিবীয় অঞ্চলে দিবসটি ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল। তবে দিন দিন দিবসটির জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসে পুরুষের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ও সামাজিক সমস্যা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক প্রচারণা, নারী-পুরুষ সমতার প্রচার, পুরুষদের মধ্যে ইতিবাচক আদর্শ চরিত্রের গুরুত্ব তুলে ধরা, পুরুষ ও বালকদের নিয়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংস্কার ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা, পুরুষ ও বালকদের অর্জন ও অবদানকে উদযাপন করা হয়। তাই আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস একজন পুরুষকে ভালো মানুষ হওয়ার মূল্যবোধ, চরিত্র এবং দায়িত্বের প্রতি উৎসাহিত করতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ৪৫ বছরের কম বয়সী পুরুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এটি ঘটছে। পরিসংখ্যান বলছে, পুরুষের তুলনায় নারীরা বিষণ্নতায় বেশি ভোগেন। কিন্তু, পুরুষের আত্মহত্যার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই পুরুষের মাঝে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে ও মানসিক সুস্থতার জন্য পুরুষ দিবস উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ।

এটা মনে রাখতে পুরুষ দিবসের উদ্দেশ্য নারী দিবসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা নয়। বরং পুরুষের সামাজিক অভিজ্ঞতাকে সবার কাছে তুলে ধরা এই দিবসের উদ্দেশ্য। তাই সচেতনতা বাড়াতে দিবসটি উদযাপন করা যেতে পারে।


আরও খবর
আজ বিশ্ব আনফ্রেন্ড দিবস

শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩

প্রাক্তনকে ক্ষমা করে দেওয়ার দিন আজ

মঙ্গলবার ১৭ অক্টোবর ২০২৩




বৃষ্টি হতে পারে কোথায় কোথায়, জানাল আবহাওয়া অফিস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুএক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়েছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৭৬%। আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আর আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১৮ মিনিটে।

বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

নিউজ ট্যাগ: আবহাওয়া অফিস

আরও খবর
গভীর নিম্নচাপ রূপ নিলো ঘূর্ণিঝড়ে

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখল বিশ্ব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রার রেকর্ড গত শুক্রবার প্রথমবারের মতো শিল্পায়নের আগের স্তরের চেয়ে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। ইউরোপের কোপার্নিকাস জলবায়ু মনিটর গতকাল সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, পরদিন শনিবারও সম্ভবত অভূতপূর্ব উষ্ণতার এ ধারা অব্যাহত ছিল।

অস্বাভাবিক তাপমাত্রার একের পর এক মাস ২০২৩ সালকে ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম বছরে পরিণত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর বিস্তীর্ণ অংশে খরা, ব্যাপক দাবানল ও ভয়ংকর ঝড়ের ঘনঘটা চলে আসছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের নতুন তথ্যানুসারে, ১৭ নভেম্বর বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক্‌-শিল্প স্তরের গড় থেকে ২ দশমিক শূন্য ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের উপপ্রধান সামান্থা বার্গেস বলেন, এই প্রথম বিশ্বের তাপমাত্রা ১৮৫০-১৯০০ সালের স্তরের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল।

কোপার্নিকাস এক্সে (টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে, রেকর্ডটি গত শনিবার পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এদিন তাপমাত্রা প্রাক্‌-শিল্প স্তরের গড় থেকে প্রায় ২ দশমিক শূন্য ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। তাপমাত্রার সঠিক তথ্য আজ মঙ্গলবারের মধ্যে নিশ্চিত করার কথা জলবায়ু মনিটরের।

২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার প্রাক্‌-শিল্প স্তরের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়। তারপর চেষ্টা থাকবে গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বেঁধে রাখার।

উষ্ণায়নের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাব এড়াতে তাপমাত্রা কমানোর লক্ষ্যে বিশ্বকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।


আরও খবর