আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

কুড়িগ্রামে ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেয়ায় সংঘর্ষ, আহত ১০

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় ইভটিজিং এ বাঁধা দেয়া ও প্রতিবাদ করার জেরে সংর্ঘষে লিপ্ত হয়ে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের বাবাসহ ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত।

শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধার দিকে উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের রাবাইটারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এজাহার সুত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত রনি মিয়া(২০) দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার ৯ম শ্রেণির এক হিন্দু শিক্ষার্থীকে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় ফুল ও চিঠিপত্র দিত এবং বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কথা বলতো। ৯ম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী এর প্রতিবাদ করে তার বাবাকে জানালে বিষয়টি মেয়েটির বাবা অভিযুক্ত ছেলের বাবা মো. হাছেন আলীকে জানান। এতেই রনি ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার বিকেলে সেই শিক্ষার্থী প্রাইভেটে যাওয়ার সময় মেয়েটির হাত জোড়পূর্বক ধরে তাকে পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

এমতাবস্থায় মেয়ের আত্মচিৎকারে মেয়েটির জ্যাঠাত ভাই সুবাশিষ চন্দ্র ঘটনাস্থলে এসে এর প্রতিবাদ করায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয় পক্ষের বাবা, ভাই ও নিকট আত্মীয়সহ ১০ জন গুরুতর আহত হন। আহতরা বর্তমানে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত।

প্রতিবাদকারী মেয়েটির ভাই সুবাশিষ চন্দ্র সরকার বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে আমার বোনকে অভিযুক্ত রনি প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করে আসছিলো। আমরা দুদিন আগে তাকে শাসন করার জন্য তার বাবাকে বিচার দিয়েছিলাম। সেই জেরে আজ(গতকাল) সন্ধ্যার দিকে আমাদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।'

অভিযুক্ত রনি গুরুতর অসুস্থ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে রনির মা নাজমা বেগম মুঠো ফোনে বলেন,'আমার ছেলে ছাত্র মানুষ। এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেবে। মেয়ের সাথে কোন সম্পর্ক নাই। তারাই আজ বিকালের দিক ফোনে ডেকে নিয়ে রড দিয়ে আমার ছেলের মাথায় মারে, সে হাসপাতালে ভর্তি। আমরা বাঁধা দিতে গেছি আমাকেও মারছে। আমরা এর বিচার চাই।'

ভাঙ্গামোড় ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলী শেখ বলেন, 'ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি। তবে যতদুর মনে হলো ছেলে-মেয়ের উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক ছিলো। আমরা বিষয়টি দেখছি।'

ফুলবাড়ী উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনিল চন্দ্র বলেন,'আসলে বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। দুই সম্প্রদায়ের দুইটি পরিবারের মধ্যে এরকম সংঘর্ষের ঘটনাটি দুঃখজনক। আর দুইটি আলাদা ধর্মের ছেলে-মেয়েদের সম্পর্কের বিষয়টি মেনে নেয়ার মতো না। আমরা বিষয়টি থানাকে অবহিত করেছি।'

এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান বলেন,'অভিযোগ পেয়েছি ,তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।'


আরও খবর



ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইরুজ অবন্তিকা নামে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আত্মহত্যা চেষ্টার আগে ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেছেন।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা জেলা সদরের নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। পরে তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ফাইরুজ অবন্তিকা কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার বাসিন্দা। তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক শিক্ষক প্রয়াত অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের মেয়ে।

কুমিল্লা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এএনএম জোবায়ের তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গলায় ফাঁস দেওয়া এক রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ফেসবুক পোস্টে অবন্তিকা দাবি করে বলেন, আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী, আর তার সহকারী হিসেবে তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন ও অনলাইনে থ্রেটের (হুমকি) উপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানানভাবে ভয় দেখায়, আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার।

আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস (বিচার) পাবো না। কারণ দ্বীন ইসলামের অনেক চামচা ওর পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। এই লোককে আমি চিনতামও না। আম্মান আমাকে সেক্সুয়ালি এবিউজিভ কমেন্ট করায় আমি তার প্রতিবাদ করলে আমাকে দেখে নেওয়ার জন্য দ্বীন ইসলামের শরণাপন্ন করায়। আর দ্বীন ইসলাম আমাকে তখন প্রক্টর অফিসে একা ডেকে নারীজাতীয় গালিগালাজ করে। সেটা অনেক আগের ঘটনা হলেও সে এখনো আমাকে নানাভাবে মানহানি করতেসে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন কথা বলে।

আর এই লোক কুমিল্লার হয়ে কুমিল্লার ছাত্র কল্যাণের তার ছেলেমেয়ের বয়সী স্টুডেন্টদের মাঝে কী পরিমাণ প্যাঁচ ইচ্ছা করে লাগায় সেটা কুমিল্লার কারো সৎ সাহস থাকলে সে স্বীকার করবে। এই লোক আমাকে আম্মানের অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে ৭ বার প্রক্টর অফিসে ডাকায় নিয়ে ".... (প্রকাশ অযোগ্য শব্দ) তুই এই ছেলেরে থাপড়াবি বলসস কেনো? তোরে যদি এখন আমার জুতা দিয়ে মারতে মারতে তোর ছাল তুলি তোরে এখন কে বাঁচাবে?

আফসোস এই লোক নাকি ঢাবির খুব প্রমিনেন্ট ছাত্রনেতা ছিলো। একবার জেল খেটেও সে এখন জগন্নাথের প্রক্টর। সো ওর পলিটিক্যাল আর নষ্টামির হাত অনেক লম্বা না হলেও এতো কুকীর্তির পরও এভাবে বহাল তবিয়তো থাকে না এমন পোস্টে। কোথায় এই লোকের কাজ ছিল গার্ডিয়ান হওয়া, আর সো কিনা আমার জীবনটারেই শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি দিলো না। আমি উপাচার্য সাদোকা হালিম ম্যামের কাছে এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে বিচার চাইলাম। 

আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেসি। আমার উপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এতো ভালোবাসে যে মানুষ সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে। আমি জানি এটা কোনো সলিউশন না কিন্তু আমাকে বাঁচতে দিতেসে না বিশ্বাস করেন। আমি ফাইটার মানুষ। আমি বাঁচতে চাইসিলাম! আর পোস্ট মর্টেম করে আমার পরিবারকে ঝামেলায় ফেলবেন না। এমনিতেই বাবা এক বছর হয় নাই মারা গেছেন, আমার মা একা। ওনাকে বিব্রত করবেন না। এটা সুইসাইড না এটা মার্ডার। টেকনিক্যালি মার্ডার। আর আম্মান নামক আমার ক্লাসমেট ইভটিজারটা আমাকে এটাই বলছিল যে আমার জীবনের এমন অবস্থা করবে যাতে আমি মরা ছাড়া কোনো গতি না পাই। তাও আমি ফাইট করার চেষ্টা করসি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক দ্বীন ইসলাম বলেন, গত দেড় বছর আগে অবন্তিকা ফেসবুকের ফেইক আইডি খুলে কয়েকজনকে বাজে কমেন্ট করার অভিযোগে তারা কোতোয়ালি থানায় জিডি করে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে অবন্তিকা প্রক্টর অফিসে এলে তাদের মাঝে মিউচুয়াল করে দেন তৎকালীন প্রক্টর অধ্যাপক ড মোস্তফা কামাল। পরবর্তীতে আমি একই জেলার হওয়া আমার কাছে অবন্তিকা ও তার মা জিডি তোলার বিষয়ে এলে আমি তাতে অপারগতা প্রকাশ করি। জিডি ওঠাতে পারে একমাত্র প্রক্টর। আমি তাদের প্রক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলি। পরবর্তীতে তারা এ বিষয়ে আর কখনো আসেনি।

তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কখনো ওই মেয়ের সঙ্গে একা কথা বলিনি। তাকে যতবার ডাকা হয়েছে সর্বদা প্রক্টর অফিসেই সকলের সামনে ডাকা হয়েছে। আর ওখানে বসে এসব ভাষায় গালি দেব এটা কেমন কথা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। যেহেতু অভিযুক্তের একজন আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য। উপাচার্য সাময়িকভাবে তাকে অব্যাহতি প্রদানের মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন। আইনগত প্রক্রিয়ায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ। আজকের দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে হিজরির দ্বিতীয় সনের ১৭ রমজান মদিনা থেকে প্রায় ৭০ মাইল দূরে বদর প্রান্তরে সংঘটিত হয়েছিল বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের লড়াই বদরযুদ্ধ

বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর নিয়ে আসা ধর্ম, ইসলামের বিরুদ্ধবাদী বিশাল সৈন্য-সামন্তের মোকাবিলায় ইমানদার বান্দাদের ছোট একটি দলের সশস্ত্র সংগ্রাম ছিল এটি।

একদিকে আল্লাহর নবির সঙ্গে মাত্র ৩১৩ জন মুজাহিদ। তারা প্রায় নিরস্ত্র। অপর পক্ষে অবিশ্বাসীদের নেতা আবু জাহেলের নেতৃত্বে এক হাজার প্রশিক্ষিত সৈন্যের সুসজ্জিত বাহিনী। এ যুদ্ধে মানুষের ধারণাপ্রসূত সব ধরনের চিন্তা ও উপলব্ধির বাইরে গিয়ে আল্লাহতায়ালা অস্ত্রশস্ত্রহীন ইমানদারের অতিক্ষুদ্র দলটিকে বিজয় দান করেন। সেদিন বদরের প্রান্তরে ইমান ও কুফর, ন্যায় ও অন্যায়ের এক নতুন ইতিহাস রচিত হয়, যা শত শত বছর ধরে এক আল্লাহতে বিশ্বাসী মুসলমানদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে আছে।

মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, জয়-পরাজয় আল্লাহর হাতে। সম্মান ও অপমান আল্লাহর হাতে। এ বিশ্বাস ও চেতনা লালন করে পৃথিবীর যে প্রান্তে যখনই মুসলমানরা অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন, তারা সংখ্যায় বা উপকরণে কম হলেও আল্লাহ তাদের বিজয় দান করেছেন। পক্ষান্তরে আল্লাহর ওপর ভরসাহীন অঢেল সম্পদ ও বিপুল সৈন্য-সামন্তে সজ্জিত মুসলমানদের পরাজয়ের বর্ণনায় ইতিহাসের পাতা ভরপুর হয়ে আছে।

বদরের যুদ্ধ শুরুর আগে আল্লাহর নবী দোয়া করেছিলেন-হে আল্লাহ! তুমি যদি চাও দুনিয়াতে তোমার ইবাদত করার কেউ না থাকুক, তাহলে এ ক্ষুদ্র দলটিকে নিশ্চিহ্ন হতে দাও। আল্লাহতায়ালা রাসূল (সা.)-এর দোয়া কবুল করেন। কুরাইশদের অহমিকা ও দম্ভ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেন। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন বাহ্যিক উপায়-উপকরণের তুচ্ছতা। তাই প্রায় নিরস্ত্র মুষ্টিমেয় মুজাহিদদের কাছে পরাজিত হয় সুসজ্জিত বিশাল বাহিনী। তাদের পক্ষে নিহত হয় সত্তরজন। বন্দি হয় আরও সত্তরজন। আর মুসলমানদের মধ্যে শহিদ হন মাত্র চৌদ্দজন। যুদ্ধের এ ধরনের ফলাফল ছিল সম্পূর্ণ অকল্পনীয়। কিন্তু তা ছিল মহান আল্লাহর অসীম কুদরতের প্রমাণ। তিনি স্বল্পসংখ্যক মানুষকে বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে জয়ী করে দেখিয়ে দিলেন অবিশ্বাসী লোকদের প্রকৃত দুর্বলতা ও অসহায়তা। তাই বদরের যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ যুদ্ধ।

মহানবি (সা.) মদিনায় হিজরত করে যাওয়ার দ্বিতীয় বছর সশস্ত্র যুদ্ধের অনুমতি নিয়ে হজরত জিবরাইল (আ.) কুরআন মজিদের কয়েকটি আয়াত নিয়ে আসেন-যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো হচ্ছে, তাদেরকে (যুদ্ধের) অনুমতি দেওয়া হলো এজন্য যে, তারা নির্যাতিত হয়েছে। আর আল্লাহ তাদের সাহায্য করতে সক্ষম। তাদের নিজেদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল অন্যায়ভাবে শুধু এ কারণে, তারা বলে আমাদের প্রভু আল্লাহ। (সূরা হজ, ৩৭)।

এভাবে সশস্ত্র পন্থায় অবিশ্বাসীদের প্রতিরোধ করার অনুমতি লাভের পর আল্লাহর নবী (সা.) বদরযুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে ছিলেন। বদরের প্রান্তরে ইসলাম বিজয়ের সূচনা হয়েছিল। তাই প্রতিবছর ১৭ রমজান এলেই বিশ্ব মুসলিম শ্রদ্ধা ও গৌরবের সঙ্গে বদরের বিজয়কে স্মরণ করে। বদরের শহিদদের স্মরণ করে বিশেষ সম্মানে।

নিউজ ট্যাগ: বদর দিবস

আরও খবর



জিম্বাবুয়ের ব্যর্থতায় মাসাকাদজার পদত্যাগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সোনালি সময়ের তারকা হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষে মনোযোগ দিয়েছিলেন দেশের ক্রিকেট উন্নতিতে। তবে পারলেন না। জিম্বাবুয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উঠতে ব্যর্থ হওয়ায় জিম্বাবুয়ের ডিরেক্টর অব ক্রিকেটের দায়িত্ব ছাড়লেন সাবেক অধিনায়ক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট।

এক বিবৃতিতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট জানিয়েছে, এ সপ্তাহে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন মাসাকাদজা। ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উঠতে ব্যর্থ হওয়াকে পদত্যাগের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

পদত্যাগপত্রে মাসাকাদজা লিখেছেন, আমাদের ক্রিকেট ও আমার দায়িত্বের সাফল্য এবং ব্যর্থতা বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার দায়িত্বকালে অনেক উন্নতি আছে। তবে উগান্ডার কাছে অপ্রত্যাশিত হারের পর একমাত্র পূর্ণ সদস্য হিসেবে পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারছি না। আমার ক্যারিয়ারে এটি সবচেয়ে বাজে মুহূর্ত, ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে এর পূর্ণ দায় নিচ্ছি।

সাবেক এই ক্রিকেটার আরও বলেছেন, সিদ্ধান্তটা বেশ কঠিন ছিল। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের প্রতি আমি পুরোপুরি দায়বদ্ধ থাকব। ২০২৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ও ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজনের পথে আমি ভিন্ন কোনো উপায়ে কাজ করতেও আগ্রহী।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে প্রথমে নামিবিয়ার বিপক্ষে, এরপর হারে উগান্ডার কাছে হারে জিম্বাবুয়ে। তাতে আফ্রিকান অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপের লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে তারা। তাতে আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায় নামিবিয়া ও উগান্ডা।

মাসাকাদজার সময়টাকে কেবল ব্যর্থতায় বন্দি করলেও হচ্ছে না। তার সময়ে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে বোর্ডে। তিনি ন্যাশনাল প্রিমিয়ার লিগ, জিম আফ্রো টি-টেন লিগের পাশাপাশি মেয়েদের আঞ্চলিক টুর্নামেন্ট, ৫০ ও ২০ ওভারের কাপ চালু করেছেন।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ২৫ মার্চ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ২৫ মার্চ থেকে ঈদযাত্রার ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি করা হবে। প্রথম দিনে দেয়া হবে ৪ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট। গতবারের মতো এবারও ঈদযাত্রার শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হবে। চালানো হবে ৭ জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন। বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে রেলভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী জিলুল হাকিম। 

তিনি বলেন, ভীড় এড়াতে কমলাপুরের পরিবর্তে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট ও গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলস্টেশন থেকে ছাড়বে উত্তরবঙ্গের ৩/৪টি ট্রেন। এবারও পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে সকালে, আর পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট বিক্রি হবে দুপুর থেকে।

২৫ তারিখ দেয়া হবে ৪ এপ্রিলের টিকিট। প্রতি বছর ৫ দিন আগ পর্যন্ত টিকিট দেয়া হলেও এবার বিক্রি হবে ৭ দিনের। একজন সর্বোচ্চ ৪ টিকিট নিতে পারবে। বিক্রি টিকিট ফেরৎ নেয়া হবেনা।

যাত্রা টিকিট :

২৫ মার্চ -৪ এপ্রিল

২৬ মার্চ-৫ এপ্রিল

২৭ মার্চ-৬ এপ্রিল

২৮ মার্চ- ৭ এপ্রিল

২৯ মার্চ- ৮ এপ্রিল

৩০ মার্চ -০৯ এপ্রিল

৩১ মার্চ -১০ এপ্রিলের টিকিট দেয়ার পরিকল্পনা। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে

ফিরতি টিকিট :

৪ এপ্রিল-১৪ এপ্রিল

৫ এপ্রিল-১৫ এপ্রিল

৬ এপ্রিল-১৬ এপ্রিল

৭ এপ্রিল- ১৭ এপ্রিল

৮ এপ্রিল- ১৮ এপ্রিল

৯ এপ্রিল - ১৯ এপ্রিল

১০ এপ্রিল- ২০ এপ্রিলের টিকিট দেয়া হবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে


আরও খবর



প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় ভোট ৮ মে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ১৫ এপ্রিল এবং ভোটগ্রহণ আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

অশোক কুমার দেবনাথ জানান, আগামী ৮, ২৩, ২৯ মে ও ৫ জুন চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। জামানতের টাকা বাড়িয়ে ও স্বতন্ত্রদের প্রার্থিতা সহজের পর এ নির্বাচন হচ্ছে। এসব উপজেলায় চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের এ সাধারণ নির্বাচন হবে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। ভোট হবে ৮ মে। ইভিএমে ভোট হবে ২২টি উপজেলায় এবং বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে নির্বাচন হবে। দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচন হবে। পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থিতাও রয়েছে।

উল্লেখ্য, সংশোধিত নির্বাচন পরিচালনা বিধি ও আচরণ বিধি অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে কোনো সমর্থন সূচক তালিকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই; রঙিন পোস্টার ছাপাতে পারবেন প্রার্থীরা। প্রচারণার সময়ও পাচ্ছে বেশি; তবে জামানতের পরিমাণ বেড়েছে এবার।

এর আগে, ১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে একদিনেই ভোট হয়েছিল। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন ছয়টি ধাপে ও ২০১৯ সালে পাঁচ ধাপে পঞ্চম উপজেলা পরিষদের ভোট হয়। আগের চারটি উপজেলা নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও আইন সংশোধন হওয়ায় ২০১৭ সালের মার্চে মেয়াদোত্তীর্ণ তিনটি উপজেলায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয়েছিল। পরে ২০১৯ সালে দলীয় প্রতীকে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন হয়।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও বিএনপি পরে নির্দলীয় উপজেলা ভোটে অংশ নিয়েছিল। গেল ১০ বছর ধরে উপজেলা ভোটে দলীয় প্রার্থী দেয়নি দলটি। দলীয় প্রতীকে ভোট হলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দিচ্ছে না। আর বিএনপি অংশ নিচ্ছে না এ নির্বাচনে।


আরও খবর