আজঃ মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

কুমিল্লায় নিখোঁজ তরুণদের সূত্র ধরেই কক্সবাজার থেকে ২ জঙ্গি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত বছরের ২৩ আগস্ট কুমিল্লা সদর থেকে ৮ তরুণ নিখোঁজ হয়। ওই ঘটনায় ২৫ আগস্ট কুমিল্লার কোতয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে র‍্যাব। ওই তরুণের মধ্য থেকে পালিয়ে আসা নিলয় নামের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র‍্যাব। নিলয়ের দেওয়া তথ্যে অভিযান চালিয়ে গত ৫ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ হওয়া রিফাতসহ নতুন জঙ্গি সংগঠনের সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যাদের জিজ্ঞাসাবাদে নতুন জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। যার নাম জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া।

গতকাল সোমবার (২৩ জানুয়ারি) নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার শুরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান এবং তার সহযোগী বোমা বিশেষজ্ঞকে কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

আজ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সূরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধানসহ মাসুকুর রহমান ওরফে রনবীর মাসুদ (৪৪) ও বোমা বিশেষজ্ঞ আবুল বাশার মৃধা ওরফে আলম (৪৪)। গ্রেপ্তারের সময় একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি পিস্তলের ম্যাগজিন, ১০ রাউন্ড গুলি, দুটি একনলা বন্দুক, অস্ত্রবিষয়ক কিছু সরঞ্জাম, একটি মোবাইল ও নগদ আড়াই লাখ টাকা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া পার্বত্য অঞ্চলে সামরিক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর ভিডিও কন্টেন্ট উদ্ধার করা হয়।

খন্দকার আল মঈন বলেন, গত সেপ্টেম্বর আজ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ হওয়া ৮ জন তরুণের মধ্যে ৪ জনসহ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৩৮ জন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া ২০২১ সাল থেকে এ জঙ্গি সংগঠনকে সহায়তা প্রদান এবং সামরিক প্রশিক্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অপরাধে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের ১৪ জন নেতা ও সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রেপ্তার হওয়া মাসুকুর রহমান ওরফে রনবীর মাসুদ ২০০৭ সালের আগে পোস্টঅফিসে চাকরি করতেন। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। পরবর্তীতে ডাকাতি মামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেন। কারাগারে থাকার সময় জঙ্গিদের সঙ্গে তার সাক্ষাত হয়। একপর্যায়ে তিনি জেএমবির আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। জেল থেকে বের হয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে কারাগারে থাকা জেএমবি সদস্য ও তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, ২০১৭ সালে জামাতুল আনসারের শূরা সদস্য এবং অর্থ ও মিডিয়া শাখার প্রধান রাকিবের সঙ্গে পরিচয় হয় মাসুকুর রহমান ওরফে রনবীর মাসুদের। পরে তিনি প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসেবে জামাতুল আনসারে যোগদান করে। এছাড়া তিনি সিলেট অঞ্চলে সংগঠনের দাওয়াতি ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমসহ সামরিক শাখার সদস্য নির্বাচন কার্যক্রম তত্বাবধায়ন করতেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে মাসুদ সংগঠনের সামরিক শাখার বিভিন্ন নীতি নির্ধারণী বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতেন।

খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া বাশার হাটহাজারীর একটি মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা করে আরেকটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। তার সাংগঠনিক নাম আলম। সারা দেশ থেকে নিখোঁজ ৫৫ জনের তালিকায় আবুল বাশারের নাম রয়েছে। আবুল বাশার মৃধা দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হুজির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি হুজি সংগঠনে থাকাকালীন সময়ে ঝালকাঠির নলসিটি এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমের জন্য নাশকতার মামলায় ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন বছর কারাভোগ করে। ২০১৬ থেকে ১৭ সালের দিকে জামাতুল আনসারের আমীর মাহমুদের মাধ্যমে জামাতুল আনসারে যোগ দেয়। পাহাড়ে প্রশিক্ষণের জন্য ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে গৃহত্যাগ করে এবং দুই মাস সমতলের বিভিন্ন জায়গায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি রনবীর ও রাকিবের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য পার্বত্য অঞ্চলে গমন করে। তিনি আইইডিসহ বিভিন্ন ধরণের বোমা তৈরিতে দক্ষ।

নিউজ ট্যাগ: জঙ্গি গ্রেপ্তার

আরও খবর



বিশ্ববাজারে সোনার ভরি ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার প্রভাব পড়ছে জ্বালানি তেলের বাজারে। গত শনিবার ইসরায়েলে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রভাব পড়েছে স্বর্ণের বাজারেও। বাজার পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, বিশ্ব বাজারে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ভরিতে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

১ আউন্স = ২৮.৩৫ গ্রাম। আর ১ ভরি = ১১.৬৬ গ্রাম। সে হিসাবে, বাংলাদেশি মুদ্রায় এক ভরি খাঁটি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৫০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। যেখানে বর্তমানে দেশে এক ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা। দেশের বাজারে এটিই সোনার সর্বোচ্চ দাম।

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতার কাছাকাছি চলে গেছে। কারণ মানুষ অস্থির পরিস্থিতিতে স্বর্ণে বিনিয়োগকেও অধিকতর নিরাপদ মনে করছেন।

সোনার ফিউচার ট্রেডিংয়ের (আগাম ক্রয়বিক্রয় চুক্তি) জন্য সবচেয়ে চাঙা বাজার ছিল গত বছরের জুনে। গতকাল সোমবার সেই বাজার শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে আউন্স প্রতি ২ হাজার ৩৮৩ ডলার হয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই প্রবণতা চলতে থাকবে।

মার্কিন বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিটি গতকাল (১৫ এপ্রিল) একটি নোটে লিখেছে, সাম্প্রতিক সোনার বাজারের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পেছনে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাব রয়েছে। এই বাজার রেকর্ড ইক্যুইটি সূচক স্তরের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।

গত শনিবার রাতে ইরান সরাসরি ইসরায়েলে ৩০০ টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। যতিও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম বেশির ভাগ হামলাই ঠেকিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এ ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় ঘি ঢেলেছে। এই পরিস্থিতিতে মানুষ নিরাপদ বিনিয়োগ খুঁজছে।

বাজার পর্যবেক্ষকেরা ইসরায়েলের সম্ভাব্য প্রতিশোধ প্রতিক্রিয়ার দিকে নজর রাখছে। ইসরায়েল সরকার শনিবারের পর থেকেই ইরানকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এমন কোনো পদক্ষেপকে ওয়াশিংটন সমর্থন করবে না।

এরপরও ইসরায়েল প্রতিশোধ নিতে চাইলে এই সংঘাত উপসাগরীয় অঞ্চলও ছাড়িয়ে যেতে পারে। ফলস্বরূপ সোনার বেচাকেনা আরও বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে জ্বালানি তেলের দাম, আরও শক্তিশালী হবে মার্কিন ডলার। আর্থিক পরিষেবা সংস্থা কনোটক্সিয়া ফিনটেকের বাজার বিশ্লেষক বার্তোসজ সাউইকি এমনটিই মনে করছেন।

স্বর্ণ সব সময় মূল্যস্ফীতির বিপরীতে একটি নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বাজারে উচ্চমূল্য ধরে রাখে। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে বিনিয়োগকারীরা যখন ইক্যুইটি বা শেয়ারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ এড়িয়ে চলেন তখন স্বর্ণের দাম বাড়তে থাকে।

গত শুক্রবার বুলিয়নের (খাঁটি সোনা) দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ আউন্সপ্রতি ২ হাজার ৪৪৮ দশমিক ৮০ ডলারে পৌঁছায়।

বৈশ্বিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নানা নিয়ন্ত্রণমূলক নীতি, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এবং মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর প্রত্যাশাসহ বিভিন্ন কারণে চলতি বছরের শুরু থেকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

স্বর্ণের দাম সাধারণত সুদের হারের সঙ্গে বিপরীত সম্পর্ক রাখে। সুদের হার কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ডের মতো স্থায়ী মুনাফার সম্পদের তুলনায় সোনা বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। যদিও সোনায় বিনিয়োগ থেকে তুলনামূলক কম মুনাফা আসে।

গত মার্চে ধারণার চেয়েও বেশি মূল্যস্ফীতি কমে গেছে। এরপরও বিশ্লেষকেরা, স্বর্ণের বাজারে ঊর্ধ্বগতির সম্ভাবনা দেখছেন। সরাসরি স্বর্ণ কেনার চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নিরাপদ বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে এটিকে বেছে নিচ্ছে মানুষ।

সিটির উত্তর আমেরিকার পণ্য গবেষণার প্রধান আকাশ দোশির নেতৃত্বে বিশ্লেষক দল বলছে, আগামী ৬ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার হবে বলে আমাদের ধারণা। পাশাপাশি স্বর্ণের ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যও প্রায় ১ হাজার ডলার থেকে ২ হাজার ডলারে উন্নীত হয়েছে।

গত শুক্রবার, গোল্ডম্যান স্যাস সোনার বাজারকে একটি অপ্রতিরোধ্য ঊর্ধ্বমুখী বাজার হিসেবে উল্লেখ করেছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই মূল্যবান ধাতুর দাম প্রতি আউন্স ২ হাজার ৩০০ ডলার থেকে ২ হাজার ৭০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে।


আরও খবর
টানা ছয় দফা কমলো সোনার দাম

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




সাত বছরের বড় মডেলের সঙ্গে শাহরুখপুত্র আরিয়ানের প্রেমের গুঞ্জন

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

পাপারাৎজিদের এড়িয়েই চলেন বলিউড কিং খান শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খান। তাও ক্যামেরা তার পিছু ছাড়ে না। কার সঙ্গে পার্টি করছেন, কাকে নিয়ে কনসার্টে যাচ্ছেন সবই ধরা পড়ে ক্যামেরায়। এবার প্রকাশ্যে এল নয়া তথ্য। আরিয়ান খানের প্রেমিকা কে, তা নিয়ে গুঞ্জনের শেষ নেই। অনন্যা পাণ্ডে একবার বলেছিলেন যে তিনি এবং আরও অনেকেই আরিয়ানকে পছন্দ করেন কিন্তু আরিয়ান তাদের এড়িয়েই চলেন। এবার সামনে এল আরিয়ানের প্রেমিকার খবর।

শোনা যাচ্ছে, নিজের চেয়ে সাত বছরের বড় এক ব্রাজিলিয় মডেল ও অভিনেত্রী লারিসা বনেসির প্রেমে পড়েছেন আরিয়ান। তার সঙ্গেই শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের রোমান্সের কানাঘুষা। এক ব্যক্তি লক্ষ্য করেছে যে, শাহরুখের ছেলে শুধু লারিসা নয়, লারিসার পুরো পরিবারকে ফলো করে এবং এর ব্রাজিলিয়ান সুন্দরীও ফলো করে পুরা খান ফ্যামিলিকে। উপরন্তু, আরিয়ান লারিসার মাকে তার জন্মদিনে একটি উপহার পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে, যেমনটি তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দেখা গেছে।

লারিসা পেশায় একজন অভিনেত্রী। তাকে গুরু রান্ধাওয়ার সুরমা সুরমা’ মিউজিক ভিডিও, স্টেবিন বেনের মিউজিক ভিডিও এবং এমনকি বিশাল মিশ্রের সঙ্গে একটি অ্যালবামেও দেখা গেছে। অক্ষয় কুমার এবং জন আব্রাহমের সঙ্গে ব্লকবাস্টার গান সুভা হোনে না দে’ দিয়ে বলিউডে কাজ শুরু করেছিলেন। টাইগার শ্রফ, সুরাজ পাঞ্চোলির সঙ্গেও কাজ করেছেন। সাইফ আলি খানের গো গোয়া গন’-এ পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে হিন্দি সিনেমায় লারিসার অভিষেক হয়।


আরও খবর



কলেরার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বৈশ্বিক কর্মসূচি ঘোষণা ডব্লিউএইচও’র

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কলেরার প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সেই সঙ্গে পানিবাহিত এই প্রাণঘাতী রোগটি ঠেকাতে বৈশ্বিক কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বড় আকারের টেস্ট কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

ডব্লিউএইচওর হিসেব অনুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে কলেরায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ লাখ ৭৩ হাজার জন। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ তথা ৭ লাখ। চলতি ২০২৪ সালে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আলামত পাওয়া যাচ্ছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত দুতিন বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমরা কলেরার অনাকাঙিক্ষত ও উদ্বেগজনক প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করছি। এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কলেরার বৈশ্বিক টেস্ট কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো কলেরা নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা এবং নিয়মিত নজরদারি এবং কলেরা টেস্ট বিষয়ক সক্ষমতা বাড়ানো।

কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন দেশে কলেরা টেস্টের সরঞ্জাম পৌঁছে যাবে। প্রাথমিকভাবে মালাউই, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, জাম্বিয়াসহ মোট ১৪টি দেশে পাঠানো হবে সরঞ্জাম।

এ কর্মসূচিতে অংশীদার হিসেবে আন্তর্জাতিক টিকা সহায়তা সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গ্যাভি), জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এবং কলেরা প্রতিরোধ সংক্রান্ত বৈশ্বিক সংস্থা গ্লোবাল টাস্কফোর্স অন কলেরা কন্ট্রোল রয়েছে বলেও জানায় ডব্লিউএইচও।

গ্যাভির কর্মসূচি বিভাগের প্রধান নির্বাহী অরেলিয়া এনগুয়েন এক বিবৃতিতে বলেন, কলেরা প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে যে তৎপরতা চলছে, এ কর্মসূচি তাকে আরও একধাপ এগিয়ে নেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।


আরও খবর



২৬ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এলো ১৬৮ কোটি ডলার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। রোববার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত মার্চ মাসের প্রথম ২৬ দিনে এসেছিল ১৬২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। সে হিসাবে চলতি মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, এপ্রিলের ২০ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ৬ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৫ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

গত মার্চ মাসে দেশে এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।


আরও খবর
টানা ছয় দফা কমলো সোনার দাম

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




ছুটির দিনেও আজ ব্যাংক খোলা যেসব এলাকায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ঈদুল ফিতরের আগে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির মধ্যেও কিছু এলাকায় সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা রয়েছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় গ্রাহকের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। এর আগে গত রবিবার (৩১ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস) বিভাগ থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বেতন-বোনাসসহ অন্যান্য ভাতা পরিশোধ এবং রপ্তানি বিল বিক্রির সুবিধার্থে তিন দিন সীমিত পরিসরে তফসিলি ব্যাংকের কিছু শাখা খোলা থাকবে। শিল্পসংশ্লিষ্ট এলাকার এসব শাখা ৫, ৬ ও ৭ এপ্রিল খোলা থাকবে।

এতে আরও বলা হয়, আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে তৈরি পোশাক শিল্পসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রপ্তানি বিল বিক্রয় ও শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বেতন, বোনাসসহ অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধের সুবিধার্থে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা খোলা রাখতে হবে।

এ ছাড়া পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এসব এলাকায় ৫, ৬ এবং ৭ এপ্রিল সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন সীমিতসংখ্যক লোকবলের মাধ্যমে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ৫ এপ্রিল ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৩ পর্যন্ত। তবে মাঝে জুমার নামাজের জন্য বিরতি থাকবে দুপুর ১টা থেকে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত।

আর ৬ ও ৭ এপ্রিল ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত।


আরও খবর
টানা ছয় দফা কমলো সোনার দাম

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪