আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

কুমিল্লায় ধর্ষণের শিকার ১৩ বছরের শিশু ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে হায়াতুন নবী হতু (২৭) নামে প্রতিবেশী এক যুবকের ধর্ষণে ১৩ বছর বয়সী স্কুল পড়ুয়া এক শিশু এখন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত হায়াতুন নবী হতু উপজেলার হেসাখাল পূর্ব পাড়া ভেন্ডার বাড়ির এনায়েত উল্লাহর ছেলে। সে পেশায় একজন ওয়ার্কশপ মিস্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হায়াতুন নবী হতু গত ৭ মাস পূর্বে একই গ্রামের ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকে ফসলী জমিতে একা পেয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। তাই ধর্ষিতা প্রাণ ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানায়নি।

গত ১৫দিন পূর্বে ধর্ষিতার মা মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন দেখে জানতে চাইলে সে ধর্ষিত হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করে। ধর্ষিতার পরিবার তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে শিশুটি ৭মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা যায়।

এদিকে এঘটনা জানাজানি হলে সামাজিক ভাবে ধর্ষক হতুকে জিজ্ঞাসা করলে সে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে।

ধর্ষিতা শিশুর মা বলেন, আমার মেয়েকে ফসলী জমিতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে হত্যার হুমকি দেয় হায়াতুন নবী হতু। এখন আমার মেয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

অভিযুক্ত হতুর চাচা শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা এলাকার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সমাজপতিদের নিয়ে বসে বিষটি সমাধান করার চেষ্টা করছি।

এ ব্যাপারে হেসাখাল ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার মজুমদার মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি জেনেছি। আমি একটি মিটিংয়ে আছি, আপনার সাথে পরে কথা বলবো।

নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



ব্যাটিং বিপর্যয়: ১৮৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে ২৮০ রানের জবাবে বাংলাদেশ থেমেছে ১৮৮ রানে। ৯২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামবে সফরকারীরা। গতকাল শেষ বিকালে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন পুরোটা খেলতে পারেনি। ৫১.৩ ওভার টিকেছে স্বাগতিকদের ইনিংস।

সর্বনাশের শুরু শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকালে। ১০ ওভার ব্যাট করতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। আজ দ্বিতীয় দিন সকালে এসে সে অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হলো না। দলীয় শতরান পার হওয়ার আগেই টাইগাররা হারিয়েছে আরও ‍২ উইকেট। মধ্যাহ্নবিরতির আগে ফিরেছেন লিটন দাসও। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৩২ রান নিয়ে বিরতিতে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

শাহাদাত হোসেন ১৮ ও লিটন ২৫ রান করে সাজঘরমুখো হয়েছেন। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার জয়ের ইনিংস থেমেছে স্রেফ ১২ রানে। এর আগে ৩ উইকেটে ৩২ রান নিয়ে দিন শুরু করে বাংলাদেশ। তাইজুলকে নিয়ে শুরুটা করেছিলেন জয়। কিন্তু এই ওপেনার খুব একটা সুবিধা করতে পারলেন না। লাহিরু কুমারার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।

শাহাদাত এসেছিলেন এরপর। তাইজুলের সঙ্গে জুটি জমেও উঠেছিল। ৫৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দুজনই দেখেশুনে খেলছিলেন। জুটি যখনই আশা দেখাচ্ছিল, তখনই আক্রমণে কুমারা। আর তাতেই সাফল্য পায় লঙ্কানরা। বাউন্সি বলটা বুঝে ওঠার আগেই শাহাদাতের ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় স্লিপে। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা নেন দিনের দ্বিতীয় ক্যাচ। ৮৩ রানে বাংলাদেশ হারায় পঞ্চম উইকেট।

ক্রিজে আসেন অভিজ্ঞ লিটন। তাইজুলকে সঙ্গে নিয়ে পার করেন দলীয় শতরান। লিটন খেলেছেন একেবারেই টেস্ট মেজাজে। মাথা ঠান্ডা রেখে খেলেছেন তাইজুলও। কিন্তু টাইগারদের এ জুটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। লাহিরুর দুর্দান্ত ইনসুইং ভেঙে দেয় লিটনের প্রতিরোধ। দলীয় ১২৪ এবং ব্যক্তিগত ২৫ রানে ফেরেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে সেশন শেষ করেছে বাংলাদেশ।

বিরতি পর দ্রুতই আউট হন তাইজুল। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমে বাঁ-হাতি এই স্পিনার আউট হয়েছেন ৪৭ রান করে। শেষ দিকে শরিফুল ১৫ ও খালেদ আহমেদ করেন ২২ রান। শ্রীলঙ্কার ভিস্ম ফার্নান্দো নেন ৪ উইকেট। ৩ উইকেট করে নিয়েছেন কাসুন রাজিথা ও লাহিরু কুমারা।


আরও খবর



কাল খুলছে অফিস-আদালত, বাস-ট্রেনে শহরমুখী মানুষের ভিড়

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষ হচ্ছে। দুই উৎসবকে কেন্দ্র করে ১০-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছুটি চলছে। টানা পাঁচ দিন ছুটি শেষে সোমবার (১৫ এপ্রিল) খুলছে অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা ও শেয়ারবাজার। এরইমধ্যে ঈদ উদযাপন শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবীরা।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে ঢাকায় প্রবেশ করা প্রতিটি ট্রেনে ছিল যাত্রীদের ভিড়। প্রিয়জনের সঙ্গে সুখস্মৃতি নিয়ে ফেরা সাধারণ মানুষ বলছেন নির্বিঘ্নে রাজধানীতে ফিরতে পারছেন তারা।

মাথায় কাজের তাড়না, মননে প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানো সুখস্মৃতি। ফেলে আসা আপনজন আর ঈদের আনন্দ। সব পেছনে ফেলে আবারো কর্মব্যস্ত হয়ে উঠবে রাজধানী। তবে স্কুল-কলেজ যেহেতু খুলছে আগামী সপ্তাহে, তখন রাজধানী স্বাভাবিকরূপে ফিরবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে যারা, নানা ব্যস্ততায় ঈদের ছুটিতে গ্রামে যেতে পারেননি তারাও ছুটছেন প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতে।


আরও খবর
ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ঈদের ফিরতি যাত্রা: ট্রেনের ১৮ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদে ঘরেফেরা মানুষদের স্বাচ্ছন্দ্যে কর্মস্থলে ফিরতে ট্রেনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ১৮ এপ্রিল যারা ঢাকা ফিরতে চান তাদের আজই টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। যাত্রীদেরকে অনলাইনে এই টিকিট ক্রয় করতে হচ্ছে। এবার টিকিট ক্রয় সহজলভ্য করার জন্য রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলত সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮ টা হতে শুরু হয় এবং পূর্বাঞ্চলে চলাচল আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা হতে ইস্যু করা হবে৷ এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট ভ্রমণের দিন যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।

যাত্রীরা ঈদে অগ্রিম যাত্রা ও ফেরত যাত্রার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ একবার করে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। একজন যাত্রী সর্বাধিক চারটি টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। এই টিকিট রিফান্ড করা যাবে না।

এছাড়া রেলে যাত্রীদের নিরাপদে ভ্রমণ করতে অগ্নি নিরাপত্তাসহ সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গত ২৪ মার্চ ঈদযাত্রার প্রথম অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গত ৩০ মার্চ পর্যন্ত এই অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলে। আর গত ৩ এপ্রিল শুরু হয় ঈদের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি।

গত ২৯ মার্চ যারা অগ্রিম টিকিট কিনেছিলেন আজ তারা ট্রেনে ঢাকা ছাড়তে পারছেন। এদিকে গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। বিনা টিকিটে ভ্রমণ ঠেকাতে কমলাপুর রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের ক্ষেত্রে তিন স্তরের টিকিট চেকিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ এছাড়া স্টেশন এলাকার সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যাব, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী,আনসার মোতায়েন রয়েছে। 


আরও খবর
ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




নোয়াখালীতে এমপি কিরনের বিরুদ্ধে মন্দির কমিটির মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

Image

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী শ্রী শ্রী রাধা মাধব জিউর আখড়া (চৌমুহনী দেবালয়) পরিচালনা কমিটির অনুমোদন দেয়ায় নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেগমগঞ্জ সিনিয়র জজ আদালতে মন্দিরের পক্ষে তপন চন্দ্র মজুমদার ও গণেশ চন্দ্র কুরী এ মামলা করেন। পরে মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দফায় মামলার শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য রেখেছেন বলে জানান বাদী পক্ষের আইনজীবী মজিবুল হায়দার চৌধুরী।

মামলার বাদী তপন চন্দ্র মজুমদার জানান, চৌমুহনী শ্রী শ্রী রাধা মাধব জিউর আখড়া তথা চৌমুহনী দেবালয় এর নিজস্ব গঠনতন্ত্র রয়েছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যুগ যুগ ধরে মন্দির পরিচালায় কমিটি হয়েছে। হিন্দু কমিউনিটির লোকজন মূলত এ কমিটি নির্বাচন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় মন্দির পরিচালনায় ২০২২ সালের ১৪ মে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট মন্দির পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি ৪ বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১৪ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করার কথা। সে অনুযায়ী প্রায় দুই বছরের কাছাকাছি মন্দির পরিচালনাও করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করে মন্দিরের গঠনতন্ত্র বহির্ভূতভাবে নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরন নতুন করে কমিটি গঠনের জন্য ১৪ মার্চ স্বাক্ষরিত তার নিজস্ব প্যাডে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে তাদেরকে দায়িত্ব দেয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই ৫জন মাত্র এক দিনের মাথায় ১৫ মার্চ একটি ৫১জন বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে তা এমপি মামুনুর রশিদ কিরনের সামনে উপস্থাপন করলে তিনি ১৬ মার্চ নিজে স্বাক্ষর দিয়ে ওই কমিটির অনুমোদন দেন। যা মন্দিরের গঠনতন্ত্রের বহির্ভূত।

মামলার অপর বাদী গণেশ চন্দ্র কুরী বলেন, সংসদ সদস্য মন্দির কমিটি গঠন বা গঠনের লক্ষ্যে তার নিজ প্যাডে স্বাক্ষর দিয়ে কাউকে কোনো দায়িত্ব দিতে পারেন না। শতবর্ষী এ মন্দিরে এর আগে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মন্দির কমিটি নিয়ে তা হিন্দু কমিউনিটির জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলজনক নয়। এতে করে মারামারির অবস্থাও তৈরি হতে পারে। যার কারণে বাধ্য হয়ে তারা আদালতের দ্বারস্ত হয়েছেন।

হিন্দু ধর্মালম্বী একাধিক ব্যক্তি জানান, মন্দির পরিচালনা কমিটির কয়েকজন নেতা সদ্য শেষ হওয়া জাতীয় নির্বাচনে মামুনুর রশিদ কিরনের প্রতিপক্ষ ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ জাবেদের পক্ষে নির্বাচন করায় ক্ষোভ থেকে তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।


আরও খবর



অর্জিত হচ্ছে না রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রাজস্ব ঘাটতি ১৮ হাজার ২২১ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮০৮ কোটি টাকার বিপরীতে রাজস্ব পাওয়া গেছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। যদিও গেল বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এনবিআরের সাময়িক হিসাব অনুসারে, ৮ মাসে আয়কর আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৯ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৭২ হাজার ৩১১ কোটি টাকা। পাশাপাশি মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯২ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। বিপরীতে আয় হয়েছে ৮৮ হাজার ৭০১ কোটি টাকা। এছাড়া শুল্ক আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৩ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৬৫ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা।

চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর শেষে ৮২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হতে পারে বলে মনে করছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। গত ১৬ মার্চ জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ এর প্রস্তাবনা উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এমন একটা সময় বাজেট প্রণয়ন হতে যাচ্ছে যখন সামষ্টিক অর্থনীতি নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকের তারল্য সংকট, বাজেট বাস্তবায়নে নিম্ন ও শ্লথ গতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নগামী এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স নিচের দিকে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা যেটা আমরা দেখতে চাই বিশেষ করে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও নিম্ন মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য সূচক যেখানে থাকার কথা সেটা নেই। বরং চরমভাবে চাপের মুখে পড়েছে। এর কারণ আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দুটোই।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের মূল বাজেটই হবে কীভাবে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা যায়। ওই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে কীভাবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা যায়, সেটা বড় বিষয়। যেমন: গত ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্তি মাত্র ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ। আমরা যদি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চাই, তাহলে বাকি ৬ মাসে রাজস্ব আহরণে ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। যা অত্যন্ত কঠিন বিষয়। বিগত দিনের ধারা লক্ষ্য করলে দেখা যায় রাজস্ব ঘটতি আগের মতোই চলমান থাকবে। যার পরিমাণ ৮২ হাজার কোটি টাকা হবে বলে মনে করছি।

মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি ছিল। যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি শহর ও গ্রামে দুটোই জায়গায় বেশি ছিল। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ খুব বেশি প্রভাবে ফেলতে পারিনি।

গত ৬ মাসের রাজস্ব আহরণের চিত্র বিশ্লেষণ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পর্যবেক্ষণ বলছে, চলতি অর্থবছরে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব ঘাটতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। সিপিডি মনে করে, অর্থবছর শেষে ৮২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হবে।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ফের ২০ বিলিয়নের নিচে নামল রিজার্ভ

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪