আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

কুইক রেন্টাল-ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়ে জানতে চায় আইএমএফ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৩ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষগুলোর কাছে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ক্যাপাসিটি চার্জ আর কত দিন টানতে হবে, তা জানতে চেয়েছে। সংস্থাটি বিদ্যুতে ভর্তুকির বদলে বাণিজ্যিক ঋণ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

বুধবার (২ নভেম্বর) বিদ্যুৎ বিভাগ ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে ঢাকা সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলের এক বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ ও পিডিবির পক্ষ থেকে সার্বিক বিষয়ে আইএমএফকে অবহিত করা হয়। পিডিবি বলেছে, বাণিজ্যিক ঋণের চেয়ে ভর্তুকি তাদের জন্য সুবিধাজনক।

এদিকে একইদিন আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আরেক বৈঠকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাজার সুবিধা ও রপ্তানি, তৈরি পোশাক রপ্তানি একক খাত-নির্ভরতা কমিয়ে বহুমুখীকরণ, আঞ্চলিক ও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, শুল্ক্কহারসহ নানা ইস্যুতে সচিবালয়ে আলোচনা হয়।

বুধবার সকালে প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং বিকেলে বিদ্যুৎ ভবনে পিডিবির সঙ্গে বৈঠক করে। বিদ্যুৎ বিভাগের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান। পিডিবির বৈঠকে নেতৃত্বে ছিলেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান।

জ্বালানির দাম বাড়ার কারণে বিদ্যুতে ভর্তুকি বাড়ছে। গত অর্থবছরে (২০২১-২২) বেসরকারি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে পিডিবির ভর্তুকি লেগেছে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থবছরে ভর্তুকি বেড়ে ৪৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়াতে পারে বলে মনে করছে পিডিবি। এদিকে গত ১২ বছরে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকদের ৮৬ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ (বিদ্যুৎ না কিনলে চুক্তি অনুসারে উদ্যোক্তাদের পরিচালন ও অন্য খরচ হিসেবে দেওয়া হয় যে অর্থ) দিতে হয়েছে সরকারকে।

সম্প্রতি আইএমএফের কাছে অর্থনৈতিক সংকট সামলাতে বাংলাদেশ সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা চেয়েছে। এই সহায়তা চাওয়ার পর আইএমএফ বিভিন্ন খাতের, বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ভর্তুকি এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের লোকসান কমাতে সরকারকে চাপ দিচ্ছে। এসব বিষয়ে আলোচনার জন্য সংস্থাটির এশীয় ও প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বাধীন একটি দল ঢাকা সফর করছে। গত ২৬ অক্টোবর থেকে তারা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিদ্যুৎ খাত নিয়ে বৈঠক বসে। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১১টায় জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সঙ্গে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের বৈঠক করার কথা রয়েছে।

এদিকে সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ বিভাগের বৈঠকে রেন্টাল কেন্দ্রগুলোর ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধের বিষয়ে জানতে চেয়েছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল। এ সময় বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, সংকটকালীন স্থাপিত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে ক্যাপাসিটি চার্জ-সংক্রান্ত চুক্তি ছিল। চুক্তি অনুযায়ী তাদের ক্যাপাসিটি চার্জের টাকা দেওয়া হয়েছে। এখন এসব চুক্তি থেকে সরে আসছে সরকার। নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে চুক্তি করা হচ্ছে। অর্থাৎ বিদ্যুৎ দিতে না পারলে তারা কোনো অর্থ পাবে না। প্রতিনিধি দলের প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র অধিকাংশেরই চুক্তি শেষ হয়েছে। কয়েকটি রয়েছে, যা আগামী দু-এক বছরের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে।

আলোচনায় আইএমএফ প্রতিনিধিরা বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের বিশেষ বিধান আর কত দিন চলবে, তা জানতে চেয়েছেন। স্বচ্ছতার জন্য তাঁরা দরপত্র প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রকল্প নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০-এর আওতায় দরপত্র ছাড়াই সমঝোতার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দেওয়া হচ্ছে এক যুগ ধরে। দুই বছরের জন্য প্রণীত আইনটির মেয়াদ বারবার বাড়ানো হচ্ছে। এ আইনের আওতায় গৃহীত প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন তুলেছেন খাত-সংশ্নিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এ আইনের আওতায় গৃহীত প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্নিষ্টদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিনিধি দল পুরোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র, তেলের ব্যবহার, লোডশেডিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছে। বিদ্যুৎ বিভাগ তাদের বলেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ায় ভর্তুকি বাড়ছে। এই অর্থবছরে প্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির প্রয়োজন হবে। লোডশেডিংয়ের বিষয়ে বলা হয়, এটি নির্ভর করে জ্বালানির ওপর। জ্বালানি বিভাগ থেকে পর্যাপ্ত তেল ও গ্যাস সরবরাহ করা হলে লোডশেডিং হবে না। তবে বিশ্বে তেল-গ্যাসের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সরবরাহ কমেছে, তাই লোডশেডিং হচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির বর্তমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে বিদ্যুৎ বিভাগ বলেছে, ভৌগোলিক অবস্থার কারণে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্প্র্রসারণের সম্ভাবনা কম।

বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমানের কাঝে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে প্রতিনিধি দল কোনো পরামর্শ দিয়েছে কিনা- জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

অন্যদিকে ভর্তুকি, ক্যাপাসিটি চার্জ, সিস্টেম লোকসানসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পিডিবির সঙ্গে আলোচনা করেছে আইএমএফ। ভর্তুকি না নিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পিডিবিকে চলার বিষয়ে জানতে চায় প্রতিনিধি দল। পিডিবির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান এ সময় ঋণের বিষয়ে বলেন, বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নিলে ঋণ ও সুদ দুটিই পরিশোধ করতে হবে। তবে সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি নিলে তা পরিশোধ করতে হয় না, এটা সুবিধাজনক। লোকসান কমাতে বাণিজ্যিক ঋণ পিডিবির জন্য বাস্তবসম্মত নয়। ভর্তুকি বন্ধ হলে পিডিবি কী করবে- এমন প্রশ্নে কর্মকর্তারা জানান, সরকারের নীতি মেনেই কাজ করবে পিডিবি।

বাজেটে বিদ্যুতের জন্য ভর্তুকি বরাদ্দ রাখা হয়। যদিও অর্থ বিভাগ টাকা ছাড়ের সময় শর্ত দেয়, ২ শতাংশ সুদে এটি পিডিপির জন্য ঋণ সহায়তা। তবে পিডিবি এখন পর্যন্ত এই ঋণ ফেরত দেয়নি।

বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র জানায়, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়েও আইএমএফ প্রতিনিধি দলের প্রশ্ন ছিল। তারা জানতে চেয়েছে, ২০৩০ সালের পরও ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হবে কিনা? পিডিবি তাদের জানিয়েছে, এ বিষয়ে এখনই বলা সম্ভব নয়। কারণ, নতুন নতুন বেশ কিছু বেসরকারি কেন্দ্র উৎপাদনে আসছে। তাদেরও ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে। তবে বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

সংশ্নিষ্টরা বলছেন, ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র পূর্ণ সক্ষমতায় না চালানোয় গত দুই অর্থবছরে ৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে দিতে হয়েছে পিডিবিকে। আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভারতের আদানির ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট, চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপের ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট, রামপালের ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটসহ বেশ কয়েকটি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্রিডে যুক্ত হবে। চাহিদা না বাড়লে এসব কেন্দ্রের অনেকটিই বসে থাকবে। এতে ক্যাপাসিটি চার্জের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে সংশ্নিষ্টদের আশঙ্কা।

বৈঠকের বিষয়ে পিডিবির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া মেলেনি।

বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষের নেতৃত্বে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে আইএমএফ প্রতিনিধি দল।

ওই বৈঠকে আইএমএফ বলেছে, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে বৈশ্বিক বাস্তবতায় নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। আগে থেকেই এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা না হলে বাংলাদেশের উত্তরণ টেকসই হবে না। এর জন্য সরকারের পরিকল্পনা জানতে চেয়েছেন প্রতিনিধিরা। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানি সুবিধা অব্যাহত রাখতে, বিশেষ করে জিএসপি প্লাস পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ কী পদক্ষেপ নিচ্ছে- সে বিষয়েও আলোচনা করেছে আইএমএফ। বাংলাদেশ কোন কোন দেশ ও অঞ্চলের সঙ্গে কোন ধরনের চুক্তি করতে যাচ্ছে এবং তার আলোচনা ও সম্ভাব্য অগ্রগতি কতটুকু- সেটিও আইএমএফ জানতে চেয়েছে।

বৈঠকে সংস্থাটির প্রতিনিধিরা বলেছেন, বৈশ্বিক সংকটে মানুষের ভোগ ও চাহিদা দুটোই কমতে শুরু করেছে। এটা দীর্ঘায়িত হতে পারে। আইএমএফ মনে করে, একক রপ্তানি পণ্য হিসেবে তৈরি পোশাকের ওপর রপ্তানি আয়ের অতি নির্ভরতা বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। এ অবস্থায় রপ্তানি ঝুঁকি কমাতে তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে পণ্যের বহুমুখীকরণে কার্যকর উদ্যোগ দরকার।

বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এলডিসি উত্তরণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে। এ ছাড়া তৈরি পোশাকের ওপর একক নির্ভরতা কাটিয়ে রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও গড় ট্যারিফ নামিয়ে আনা এবং ২০২৪ সালের মধ্যে ব্যবসা করার খরচ কমিয়ে আনতে ২৯ মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত পদক্ষেপ ও কর্মপরিকল্পনাও আইএমএফকে জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



স্কুল বন্ধের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে তীব্র তাপদাহের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদরাসার পাঠদান আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত স্কুল-মাদরাসায় ছুটি বহাল থাকছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের আপিল না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে গতকাল সোমবার হাইকোর্টের আদেশের পর অসন্তুষ্ট হয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানান। ওইদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব তা পালন করা বাঞ্ছনীয় বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।

সোমবার আদেশে আদালত বলেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) রয়েছে সেগুলোতে যথারীতি পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে। এ ছাড়া যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য করা থাকে সেক্ষেত্রে সিডিউল অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান জামান আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বা এসি নেই, তীব্র গরমের কারণে এ ধরনের প্রাথমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসাগুলো বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ আইনজীবী আরও জানান, কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য থাকলে নির্ধারিত সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়া যাবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ১৫ জন কর্মকর্তা চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (ডুসা) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) বিভিন্ন ক্যাডারের চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য তারা দুদকের চাকরি ছেড়েছেন। বৃহস্পতিবার  তাদের বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে ডুসা।

দুদকের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত মো. আতাউর রহমান (প্রশাসন), আকিব রায়হান (প্রশাসন), শাওন হাসান অনিক (প্রশাসন), তালুকদার ইনতেজার (প্রশাসন), চৌধুরী বিশ্বনাথ আনন্দ (প্রশাসন), আশরাফুল হোসেন (পুলিশ), সুজনুর ইসলাম সুজন (পুলিশ) ও মো. ইমাম হোসেন (পুলিশ) সংশ্লিষ্ট ক্যাডারে যোগ দেবেন। উপ-সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত খাইরুল ইসলাম, শেখর রায়, সিদ্দিকা মারজান, আসিফ আরাফাত, পপি হাওলাদার ও রয়েল হোসেন শিক্ষা ক্যাডারে এবং মাহমুদুল হাসান তিতাস কৃষি ক্যাডারে যোগ দেবেন।

ডুসার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম পলেন জানান, বিভিন্ন ক্যাডারে গেজেটপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা দেওয়া হয়। বিদায়ী কর্মকর্তারা তাদের সততা, পেশাদরিত্ব ও দক্ষতা দিয়ে জনগণের সেবা করবেন। ডুসার পক্ষ থেকে তাদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের সর্বাঙ্গিন সাফল্য কামনা করা হয়। অনুষ্ঠানে ডুসার সিনিয়র সহ-সভাপতি কামরুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পেছাল ১০৮ বার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ১০৮ বার পেছাল। আগামী ৩০ জুন প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।

আদালতের শেরে বাংলা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আলমগীর বিষয়টি জানিয়েছেন।

আলোচিত এ হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। অন্য আসামিরা হলেন বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ।

আসামিদের প্রত্যেককে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি নিজেদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।

এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক এসআই। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেই থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি।


আরও খবর



নীলফামারীতে খাদ্য গ্রহণ নির্দেশিকা বাস্তবায়নে অবহিতকরণ সভা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল বসুনীয়া, নীলফামারী

Image

নীলফামারীতে জাতীয় খাদ্য গ্রহণ নির্দেশিকা ২০২০ বাস্তবায়নে অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে জেলা শহরের নটখানা টিএলএমআই সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের আয়োজনে এবং জয়েন্ট এ্যাকশন ফর নিউট্রিশন আউটকাম প্রকল্পের সহযোগীতায় কর্মশালাটি হয়।

সিভিল সার্জন ডা. হাসিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ। এতে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা পরিস্থিতি উপস্থাপন করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের গবেষণা পরিচালক মাহবুবুর রহমান এবং জাতীয় খাদ্য গ্রহণ নির্দেশিকা ২০২০ উপস্থাপন করেন সহযোগী গবেষণা পরিচালক মিজানুর রহমান।

 এছাড়া কর্মশালায় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় জানো প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন কেয়ার বাংলাদেশের মাল্টিসেক্টরাল গভর্ন্যান্স এর ম্যানেজার গোলাম রব্বানী। কর্মশালায় পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণে সচেতন হওয়া এবং ভেজাল খাদ্য পরিহার করার আহবান জানানো হয়।

এছাড়াও রমজানে খাদ্যাভাস, গর্ভবতী এবং স্তন্যদাত্রী মায়েদের জন্য নীতিমালা অনুসরণ করে খাদ্য গ্রহণের আহবান জানানো হয়। সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী, ধর্মীয় নেতা, যুব সমাজের প্রতিনিধিসহ ৬০জন এতে অংশ নেন।

নিউজ ট্যাগ: নীলফামারী

আরও খবর



মেক্সিকোতে বন্দুকধারীর গুলিতে আট জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মেক্সিকো সিটি সংলগ্ন মোরেলোস রাজ্যে বন্দুকধারীর গুলিতে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মেক্সিকোর পর্যটন শহর কুয়ের্নাভাকার সঙ্গে রাজধানী সংযোগকারী একটি হাইওয়ের কাছে হুইটজিলাক পৌরসভায় গত শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ঘটনাস্থলেই ৪ জন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ৪ জন মারা যান।

ছুটি কাটানোর জন্য মেক্সিকোর বাসিন্দাদের জন্য মোরেলোস খুবই জনপ্রিয় গন্তব্য। যদিও এটি গুয়েরেরো রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত। মাদকসহ বিভিন্ন অপরাদে এই রাজ্য অশান্ত হয়ে উঠেছে।

গত বছরের নভেম্বরে কুয়ের্নাভাকাতে পুলিশ এবং কথিত অপরাধীদের মধ্যে গোলাগুলিতে ৯ জনের মৃত্যু হয়।


আরও খবর