আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে নিষেধাজ্ঞায় উত্তর কোরিয়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ ডিসেম্বর 2০২2 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০২ ডিসেম্বর 2০২2 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত তিন সিনিয়র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া এই বছর রেকর্ড সংখ্যক ৬০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও পরীক্ষা করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার এশীয় মিত্ররা দেশটির কর্মকর্তা জন ইল-হো, ইউ জিন ও কিম সু-গিলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা এই অস্ত্র তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)ও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।

উত্তর কোরিয়া কয়েক বছর ধরে পশ্চিমা দেশগুলোর কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার ফলে উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তাদের মার্কিন ভিত্তিক যে কোনো সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। তাদের সঙ্গে কোনো মার্কিন নাগরিক বা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবে না। 

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজকের পদক্ষেপটি কোরিয়া প্রজাতন্ত্র ও জাপানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে নেওয়া হয়েছিল। অধিকন্তু, আমাদের ইউরোপীয় অংশীদাররাও ডিপিআরকে (উত্তর কোরিয়া) এর বৈশ্বিক হুমকির বিষয়ে তাদের নীতিগুলোকে সমর্থন করেছে।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজকের পদক্ষেপটি কোরিয়া প্রজাতন্ত্র ও জাপানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে নেওয়া হয়েছিল। এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজকের পদক্ষেপটি কোরিয়া প্রজাতন্ত্র ও জাপানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে নেওয়া হয়েছিল।

উত্তর কোরিয়া সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল ১৮ নভেম্বর। সেদিন জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, উত্তর কোরিয়া একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইবিএম) পরীক্ষা করেছে যার রেঞ্জ মার্কিন মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে যথেষ্ট।

টোকিও জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপের ২১০ কিলোমিটার পশ্চিমে পড়েছিল। পিয়ংইয়ং ২০০৬ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ছয়টি পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়। পশ্চিমা গোয়েন্দারা বিশ্বাস করে, পিয়ংইয়ং আরেকটি সপ্তম পরীক্ষা শুরু করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। 

পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পিয়ংইয়ং এবার পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা করতে পারে। উত্তর কোরিয়া তার স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রচলিত সামরিক সক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করছে বলে মনে করা হচ্ছে।  

যাইহোক কিছু মার্কিন বিশ্লেষক জানিয়েছেন, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রতীকী এবং পিয়ংইয়ংয় তাদের আচরণ পরিবর্তন করবে না।


আরও খবর



ফের আন্দোলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি পুরোপুরি না মেনে একাডেমিক কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে সকল দাবি আদায়ের লক্ষ্যে একাডেমিক কার্যক্রম ও টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ফের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৭টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন এবং দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

এর আগে, গত ২৭ মার্চ রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাসহ অন্য নেতাকর্মীরা বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশের মাধ্যমে নিষিদ্ধ রাজনীতি ফের শুরু করার অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এতে ছাত্রলীগকে প্রবেশে সহযোগিতাকারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধকরণসহ ৬ দফা দাবি জানালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের কিছু দাবি মেনে নেয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের সকল দাবিই মানতে হবে।

ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধে তাদের ৬ দফা দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে আমরা বুয়েটের সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ২৭ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ইমতিয়াজ রাব্বির বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং হল বাতিল; উক্ত ঘটনায় ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে বুয়েটের বাকি যেসব শিক্ষার্থী জড়িত ছিল তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম বহিষ্কার; বহিরাগত রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ যারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করল তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তারা কেন, কীভাবে প্রবেশ করার অনুমতি পেল এই ব্যাপারে সুস্পষ্ট সদুত্তর এবং জবাবদিহিতা বুয়েট প্রশাসন কর্তৃক আসতে হবে; প্রথম ও দ্বিতীয় দাবি শনিবার সকাল ৯টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে সকল ডিএসডাবলুর পদত্যাগ করতে হবে; ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের কারণে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হওয়াত এর প্রতিবাদ হিসেবে ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনালসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন এবং আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনোরকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না- এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি প্রদান।

তাছাড়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, নিরাপদ ক্যাম্পাসের নিশ্চয়তা, রাজনীতিবিহীন পরিবেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা বজায় রাখা সম্পূর্ণরূপে বিঘ্নিত হয়েছে ২৭ মার্চ মধ্যরাতে ছাত্রলীগের প্রবেশের অনুমতি পাওয়ার মাধ্যমে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার সর্বদা বিরোধী।

এদিকে, গত শুক্রবার রাতে বুয়েট উপাচার্যের নির্দেশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগকে সহযোগিতায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির হলের সিট বাতিল, তদন্ত কমিটি গঠন ও তদন্ত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকার কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৭ মার্চ রাত ১টার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত ঘটনার প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে-

১. বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের (স্টুডেন্ট নম্বর ২১০৪১৪১) হলের সিট বাতিল করা হলো।

২. এ ছাড়া সার্বিক বিষয়ে তদন্তপূর্বক সুপারিশ প্রদান করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর টার্ম/সেমিস্টার ফাইনালসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।

এর আগে, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের দাবির প্রেক্ষিতে ইমতিয়াজ রাব্বির হলের সিট বাতিল করা হবে। আর তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হলে সেটা ডিসিপ্লিন কমিটিতে যাবে। সেখান থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে এবং তখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে বহিষ্কারের পথ সুগম হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, দপ্তর সম্পাদকসহ অনেকেই বিশাল বহর নিয়ে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। তাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বি। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পরও বুয়েটে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে নতুন করে রাজনীতি শুরুর পাঁয়তারা হিসেবে দেখছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যার প্রেক্ষিতে, ক্যাম্পাসে পুনরায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়া ও নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে আন্দোলন শুরু করেন তারা।


আরও খবর



কুবিতে শিক্ষক সমিতির দাবি বাস্তবায়নে কমিটি গঠন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতির উপস্থাপিত দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) উপাচার্যের নির্দেশক্রমে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মাধ্যমে উপস্থাপিত দাবিগুলো যৌক্তিকতার ভিত্তিতে বাস্তবায়নে উপাচার্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। দাবিগুলো বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ স্পষ্টীকরণ, অগ্রগতি এবং অতিদ্রুত করণীয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনাপূর্বক সুপারিশের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরকে আহ্বায়ক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান মিলকীকে সদস্য সচিব করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন কোশাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্ল্যাহ, কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস ও আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রশিদুল ইসলাম শেখ।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, শিক্ষক সমিতির যে-সব যৌক্তিক দাবি আছে সেগুলা বাস্তবায়নে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে সুপারিশ করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আলোচনা করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসন করা হবে। তাই শিক্ষক সমিতির নেতাদের আলোচনায় বসতে আহ্বান জানাচ্ছি।


আরও খবর



এবার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল ও রাকাব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

পদ্মা ব্যাংকের পর এবার একীভূত হচ্ছে সরকারি দুই ব্যাংক। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (বিডিবিএল) সরকারি অন্য দুই ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বুধবার (৩ এপ্রিল) এ সিদ্ধান্তের কথা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে জানিয়েও দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানা গেছে, রাকাবকে কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে এবং বিডিবিএলকে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ব্যাংক চারটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্তের কথা আলাদা করে জানানো হয়েছে।

ব্যাংক চারটিকে জানানো হয়, শিগগির ব্যাংক একীভূত বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিমালা দেবে। এরপরই নীতিমালা মেনে নিজ নিজ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় একীভূত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এরপর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাছের ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম ছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেহেতু সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে সরকারি ব্যাংককে একীভূত করা হবে, তাই রাকাব ও বিডিবিএল ব্যাংকের কর্মীদের চাকরি নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।

এর আগে গত ৪ মার্চ ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানান, চলতি বছরের মধ্যে ৭ থেকে ১০টি দুর্বল ব্যাংককে সবল বা ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হতে পারে। এ সময়ের মধ্যে দুর্বল ব্যাংকগুলো নিজেদের ইচ্ছায় একীভূত না হলে আগামী বছর থেকে তাদের চাপ দিয়ে একীভূত করা হবে।

সে ধারাবাহিকতায় গত ২৫ মার্চ বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংক একীভূত হওয়ার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়। একীভূত হওয়ার পর এটি এক্সিম ব্যাংক নামেই কার্যক্রম পরিচালনা করছে।


আরও খবর



কোরবানির আগে ব্রা‌জিল থেকে আনা হবে জীবন্ত গরু: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন কোরবানির ঈদে ব্রা‌জিল থেকে জীবন্ত গরু আনার সম্ভাব্যতা নিয়ে ভাবছে সরকার বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। রবিবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর এক‌টি হোটেলে সফররত ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরার স‌ঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। বৈঠক শে‌ষে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

আহসানুল ইসলাম টিটু ব‌লেন, আমরা আগামী কোরবানি সামনে রেখে তাদের (ব্রাজিলকে) ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেছি, যদি সস্তা হয় তাহলে জীবন্ত গরু আনার ব্যবস্থা করা যায় কি না। আমরা সম্ভাব্যতা যাচাই ক‌রে দেখ‌তে পা‌রি।

বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে গরুর মাংস রপ্তানিতে আগ্রহ দেখিয়ে আসছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার দেশটি প্রতি কেজি গরুর মাংস সাড়ে চার মার্কিন ডলারে (৪৯৫ টাকা) বাংলাদেশকে দিতে চায়। গত বছর বিশ্বের ১২৬টি দেশে গরুর মাংস রপ্তানি করেছিল ব্রাজিল।

এদিকে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি করছে মুন্সিগঞ্জের ডাচ ডেইরি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তারা ব্রাজিল থেকে ৫০০ গরু আমদানি করছে।


আরও খবর



নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অভিনয়শিল্পী বিদ্যা সিনহা মিমের ব্যস্ততার কোনো শেষ নেই। নাটক সিনেমা নিয়েই ব্যস্ততা তার। তবে এবারের ঈদে তার সিনেমা মুক্তি পায়নি। ঈদের নাটকেও দেখা যায়নি এই অভিনয়শিল্পীর। পরিবারের সঙ্গে রোজার ঈদ কাটিয়ে করেছেন সিঙ্গাপুরে। নতুন সিনেমায় কবে দেখা যাবে তাকে এই নিয়ে মিম ভক্তদের প্রশ্নের শেষ নেই। এবারে মিম নিজেই দিলেন সে জবাব। একটি  সংবাদপত্রের সঙ্গে আসন্ন সিনেমা এবং নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বিদ্যা সিনহা মিম।

রায়হান রাফী পরিচালিত পরাণ দিয়ে ২০২২ আলোচনার সৃষ্টি করেছিলেন বিদ্যা সিনহা মিম। গত বছর অন্তর্জাল সিনেমায় দেখা মিলেছিল তার। এরপর প্রায় এক বছর পর্দায় দেখা মিলছে না মিমের। জানান পরাণের পর অনেক সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি তবে গল্প ভালো না লাগায় আর কথা এগোয়নি। মিমের না করা সিনেমাগুলো অনেকেই করেছেন তবে পরাণে মত আলোচনায় আসেনি। এই নিয়ে জানতে চাইলে মিম বলেন, সিনেমাগুলোতে আমি অভিনয় করলেও ফল একই হতো। হয়তো সংখ্যা বাড়ত, কিন্তু সাফল্য জুটত না। তার চেয়ে বসে ছিলাম, এটাই ভালো হয়েছে।

গতবছর দিগন্তে ফুলের আগুন সিনেমার শুটিং পর্ব শেষ করেছেন মিম। এটি পরিচালনা করছেন ওয়াহিদ তারেক। শহীদজায়া পান্না কায়সারের জীবন অবলম্বনে নির্মাণ হচ্ছে দিগন্তে ফুলের আগুন। এতে পান্না কায়সারের চরিত্রে অভিনয় করছেন বিদ্যা সিনহা মিম। আর এবছরের নতুন সিনেমার খবর জানতে চাইলে মিম বলেন, তিনটি নতুন সিনেমা হাতে নিয়েছি। একটার শুটিং জুন থেকে, বাকি দুটির শুটিং জুলাই-আগস্টে। তিনটি তিনটি পরিচালনা করবেন নামি তিন নির্মাতা। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানও দেশের শীর্ষস্থানীয়। তবে এখনই নাম বলতে পারছি না। চুক্তিতে নিষেধ করা আছে।

বিদ্যা সিনহা মিমের বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছিল হুমায়ূন আহমেদের সিনেমার মধ্যে দিয়ে। ২০০৭ সালের লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান লাভ করেছিলেন মিম। তার পরের বছর গুণী নির্মাতা ও কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত আমার আছে জল সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। এরপর একের পর এক সিনেমা ও নাটক নিয়ে হাজির হয়েছেন মিম।


আরও খবর