যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত তিন সিনিয়র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া এই বছর রেকর্ড সংখ্যক ৬০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও পরীক্ষা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার এশীয় মিত্ররা দেশটির কর্মকর্তা জন ইল-হো, ইউ জিন ও কিম সু-গিলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা এই অস্ত্র তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)ও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়া কয়েক বছর ধরে পশ্চিমা দেশগুলোর কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার ফলে উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তাদের মার্কিন ভিত্তিক যে কোনো সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। তাদের সঙ্গে কোনো মার্কিন নাগরিক বা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবে না।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজকের পদক্ষেপটি কোরিয়া প্রজাতন্ত্র ও জাপানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে নেওয়া হয়েছিল। অধিকন্তু, আমাদের ইউরোপীয় অংশীদাররাও ডিপিআরকে (উত্তর কোরিয়া) এর বৈশ্বিক হুমকির বিষয়ে তাদের নীতিগুলোকে সমর্থন করেছে।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজকের পদক্ষেপটি কোরিয়া প্রজাতন্ত্র ও জাপানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে নেওয়া হয়েছিল। এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজকের পদক্ষেপটি কোরিয়া প্রজাতন্ত্র ও জাপানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে নেওয়া হয়েছিল।
উত্তর কোরিয়া সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল ১৮ নভেম্বর। সেদিন জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, উত্তর কোরিয়া একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইবিএম) পরীক্ষা করেছে যার রেঞ্জ মার্কিন মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে যথেষ্ট।
টোকিও জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপের ২১০ কিলোমিটার পশ্চিমে পড়েছিল। পিয়ংইয়ং ২০০৬ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ছয়টি পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়। পশ্চিমা গোয়েন্দারা বিশ্বাস করে, পিয়ংইয়ং আরেকটি সপ্তম পরীক্ষা শুরু করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পিয়ংইয়ং এবার পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা করতে পারে। উত্তর কোরিয়া তার স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রচলিত সামরিক সক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করছে বলে মনে করা হচ্ছে।
যাইহোক কিছু মার্কিন বিশ্লেষক জানিয়েছেন, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রতীকী এবং পিয়ংইয়ংয় তাদের আচরণ পরিবর্তন করবে না।