যানবাহন চলাচলের
জন্য উন্মুক্ত করার পরই পদ্মা সেতুতে ভিড় করেন উৎসুক জনতা। শুরু হয় নিয়ম ভাঙার হিড়িক।
সেতুতে নেমে ছবি তোলা, টিকটক বানানো, নাটবল্টু খোলা, মূত্র বিসর্জন, টোল প্লাজার ব্যারিয়ার
ভাঙন ও মালামাল-যন্ত্রপাতি চুরির মতো নানান ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (২৬ জুন)
সারাদিন এমন বিশৃঙ্খলায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়। তারপরেই নড়েচড়ে বসে
কর্তৃৃপক্ষ। নির্দেশনা দেওয়া হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে চলবে
না মোটরসাইকেল। ছবি তুললে গুনতে হবে জরিমানা। সোমবার ভোর ৬টা থেকেই সতর্ক অবস্থানে
রয়েছে কর্তৃপক্ষ।
নির্দেশনা মোতাবেক,
সেতুতে কোন মোটরসাইকেল চলতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি কাউকে পায়ে হেঁটেও পার হতে দেয়া
হচ্ছে না সেতু। শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ। মূলত কর্তৃপক্ষের কড়াকড়িতে
পদ্মা সেতুর চিত্র পাল্টে গেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার
(২৩ জুন) সেতু কর্তৃপক্ষ সেতু ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনা গুলো হলো-
১. পদ্মা সেতুর
ওপর অনুমোদিত গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার।
২. পদ্মা সেতুর
ওপর যেকোনো ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে সেতুর ওপরে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা
বা হাঁটা সম্পূর্ণ নিষেধ।
৩. তিন চাকাবিশিষ্ট
যানবাহন (রিকশা, ভ্যান, সিএনজি, অটোরিকশা ইত্যাদি), হেঁটে, সাইকেল বা নন-মটোরাইজড গাড়ি
যোগে সেতু পারাপার হওয়া যাবে না।
৪. গাড়ির বডির
চেয়ে বেশি চওড়া এবং ৫.৭ মিটার উচ্চতার চেয়ে বেশি উচ্চতার মালামালসহ যানবাহন সেতুর
ওপর দিয়ে পারাপার করা যাবে না।
৫. সেতুর ওপরে কোনো ধরনের ময়লা ফেলা যাবে না।