ইউক্রেনের বিরুদ্ধে
চলমান সামরিক অভিযানের মধ্যেই একদিন আগে কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার যে যুদ্ধজাহাজে বিস্ফোরণ
ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর সামনে এসেছিল সেটি ডুবে গেছে। গত বুধবার রুশ ওই যুদ্ধজাহাজে
বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে এবং বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সেটি ডুবে যায় বলে জানিয়েছে রাশিয়ার
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (১৫
এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। মস্কভা নামের
রুশ ওই যুদ্ধজাহাজে বিস্ফোরণের কথা মস্কো স্বীকার করলেও সেটির কারণ এখনও জানায়নি দেশটি।
তবে ইউক্রেন জানিয়েছিল, তাদের সামরিক বাহিনী মিসাইলের মাধ্যমে রাশিয়ার ওই যুদ্ধজাহাজে
হামলা চালিয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ব্ল্যাক সি ফ্লিটের ফ্ল্যাগশিপ মস্কভাকে বন্দরে নিয়ে যাওয়ার
সময় ‘উত্তাল সমুদ্রে’ এটি ডুবে যায়। ৫১০ জন ক্রু মাধ্যমে পরিচালিত
এই ক্ষেপণাস্ত্র ক্রুজারটি ছিল রাশিয়ার সামরিক শক্তির প্রতীক। মূলত ইউক্রেনের বিরুদ্ধে
রাশিয়ার নৌ আক্রমণের নেতৃত্বে ছিল মস্কভা নামের এই যুদ্ধজাহাজটি।
ইউক্রেন দাবি
করেছে যে, তাদের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার ওই যুদ্ধজাহাজে আঘাত করেছে। তবে
মস্কো কোনো হামলার খবর সামনে আনেনি। রাশিয়ার দাবি, আগুন লাগার পর জাহাজটি সমুদ্রে ডুবে
যায়।
পাল্টাপাল্টি
এই দাবির মধ্যেই রাশিয়া জানিয়েছিল, অগ্নিকাণ্ডের কারণে যুদ্ধজাহাজের গোলাবারুদের বিস্ফোরণ
ঘটেছে। পরে জাহাজের সকল ক্রুকে কৃষ্ণসাগরের নিকটবর্তী রাশিয়ার পৃথক একটি জাহাজে সরিয়ে
নেওয়া হয়ে। মস্কো এর বেশি আর কোনো তথ্য সামনে আনেনি।
অবশ্য ইউক্রেনের
বন্দরনগরী ওডেসার গভর্নর ম্যাক্সিম মার্চেনকো জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী বুধবার
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে কৃষ্ণসাগরে একটি রাশিয়ান যুদ্ধজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
রুশ এই যুদ্ধজাহাজটিতে ইউক্রেনের তৈরি নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়েছে বলেও
দাবি করেছিলেন তিনি।
টেলিগ্রামে দেওয়া
এক বার্তায় ওডেসার গভর্নর জানান, ‘কৃষ্ণসাগর পাহারা
দেওয়া নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার জাহাজের মারাত্মক ক্ষতি করেছে। ইউক্রেনের জয় হোক!’
মস্কভা যুদ্ধজাহাজটি
রাশিয়ার ব্ল্যাক সি ফ্লিটের ফ্ল্যাগশিপ। ফ্ল্যাগশিপ জাহাজ হচ্ছে কোনো নৌবহরের নেতৃত্বদানকারী
জাহাজ যেটি অধিনায়ক ব্যবহার করেন। নৌবহরের অন্যান্য জাহাজের তুলনায় ফ্ল্যাগশিপ জাহাজ
সাধারণত খুবই দ্রুতগামী এবং শক্তিশালী হয়।