আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

কৃষিক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অবদান

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আবুবকর সিদ্দিক

যুদ্ধ শেষ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরেছেন। নিজ মাটিতে পা দিয়ে যেমন আবেগে আপ্লুত, তেমনি শঙ্কিত ও চিন্তিত যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্বাসন নিয়ে। বীরযোদ্ধা, আবালবৃদ্ধবনিতাসহ আপামর জনসাধারণ মুক্তির আনন্দে বিভোর। এদিকে সুযোগসন্ধানীরা উঠেপড়ে লেগেছে আখের গোছাতে। শিগগিরই আনন্দের ঘোর কাটবে, ক্ষুধা এসে হানা দেবে দুয়ারে। সময় নষ্ট করা যাবে না। চিন্তিত বঙ্গবন্ধু। একের পর এক পরিকল্পনার ছক কেটে যেতে লাগলেন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে শুরু করলেন। মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে বসলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা আর দেশ পুনর্বাসনে ১৯৭৩ সালেই তৈরি করলেন প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। এর মূল অঙ্গীকার বিধ্বস্ত অবকাঠামো পুননির্মাণ, ভগ্নশিল্প পুনঃপ্রতিষ্ঠা, শিক্ষাব্যবস্থা, প্রশাসন পুনর্বিন্যাস, রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা, সর্বোপরি কৃষির উন্নয়ন।

কেন কৃষির কথা ভাবলেন বঙ্গবন্ধু: মনস্তাত্ত্বিক দিক বিবেচনায় এনে বঙ্গবন্ধু ভাবলেন, এ দেশের জলবায়ু ও মাটি কৃষির মাটি। বাংলার সবচেয়ে বড় সম্পদ কৃষি। কৃষি বাংলার প্রাণ, বাঙালির মুখের হাসি। বাঙালি মনোজগতের দার্শনিক বঙ্গবন্ধু। তিনি জানেন, কৃষি মিশে আছে বাঙালির রক্তে। দেশের ৮৫ শতাংশ লোক কৃষির ওপর নির্ভশীল। তাই উন্নয়নের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হবে কৃষি। দৃশ্যমান বাস্তবতা বিবেচনায় এনে ভাবলেন, মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম খাদ্য। বিশে^র বহু দেশে খাদ্য উৎপাদনের উপযোগী জলবায়ু ও মাটি নেই। খাদ্যের জন্য তাদের নির্ভর করতে হয় বহির্বিশ্বের ওপর। যদি বিশ্বে খাদ্যমন্দা দেখা দেয়, তা হলে অনুন্নত দেশগুলোকে তীব্র খাদ্য সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। আমাদের মাটি কৃষির মাটি। এ দেশের মাটিতে সোনা ফলে। এ জন্য যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্বাসনে প্রথম যে বিষয়টি সামনে আসে, তা হলো খাদ্য নিশ্চয়তা। তাই কৃষিকে বাঁচাতে হবে, কৃষককে বাঁচাতে হবে।

বঙ্গবন্ধু কী পদক্ষেপ নিলেন: কৃষি উন্নয়নের কথা ভেবে তিনি যে যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন, সংক্ষেপে সেগুলো ছিল নিম্নরূপ- ক. জাতীয় উন্নয়নে কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন : বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান ভিত্তিই হলো কৃষি। এ কারণে ১৯৭৩ সালে প্রণীত প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে বলা হলো, খাদ্যশস্য উৎপাদনে আত্মনির্ভরতা অর্জন, কৃর্ষিক্ষেত্রে কর্মের সুযোগ সম্প্রসারণ এবং শহরমুখী শ্রমিকস্রোত ঠেকানোর উদ্দেশ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ও কারিগরিভিত্তিক কৃষিভিত্তি গড়ে তোলা। প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সামাজিক ন্যায়বিচার ও দারিদ্র্য বিমোচনের তাগিদে কৃষি উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রধিকার দেওয়া হলো। স্বল্পমেয়াদে উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদ, উন্নত বীজ, সেচ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ করে এবং কৃষিঋণ মওকুফ, সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার ও খাসজমি বিতরণ করে কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা এবং উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জনের চেষ্টা করা হলো। প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ভূমিসংস্কার ও গ্রামে সমবায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কৃষক-জনতার স্বার্থে গ্রাম-সমবায়ও বিশেষভাবে স্থান পেয়েছিল। এ পরিকল্পনায় সব বিষয়টিকে প্রধানত দুটি অংশে বিভক্ত করা হয়েছিল। এর প্রথম অংশে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে পরিকল্পনা কাঠামো এবং দ্বিতীয় অংশে খাতওয়ারি কর্মসূচি। খাতওয়ারি কর্মসূচির শুরুতেই ছিল কৃষি।

খ. কৃষি পুনর্বাসন ও কৃষককে সুযোগ-সুবিধা প্রদান : কৃষক বাঁচাও দেশ বাঁচাও স্লোগানে সবুজ বিপ্লবের ডাক। ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মাফ। পরিবারপ্রতি জমির মালিকানা ৩৭৫ বিঘা থেকে কমিয়ে সর্বোচ্চ সীমা ১০০ বিঘা নির্ধারণ। পাকিস্তান শাসনামলে মামলাকৃত ১০ লাখ সার্টিফিকেট মামলা থেকে কৃষকদের মুক্তি প্রদান ও সুদসহ ঋণ মওকুফ। জমির পূর্ববর্তী সব ভূমি কর মওকুফ। দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের রেশন প্রদানের ব্যবস্থা। উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণ করে প্রায় ১৮ লাখ একর কৃষিজমি রক্ষা। উচ্চফলনশীল ধান, পাট ও গম বীজ কৃষকদের মধ্যে বিতরণ। স্বাধীনতার পর স্বল্পসময়ের মধ্যে ২২ লাখ কৃষি পরিবারকে পুনর্বাসন। হ্রাসকৃত মূল্যে লো লিফট পাম্প, গভীর নলকূপ ও শ্যালো টিউবওয়েল বিতরণ। নদী কিংবা সাগরে জেগে ওঠা চর জমির মালিকানা রাষ্ট্রের হাতে নিয়ে দরিদ্রতর কৃষকদের মধ্যে বণ্টনব্যবস্থার বিধান। অল্পদামে কিংবা বিনামূল্যে সার, কীটনাশক, বীজ ও কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ। ভূমিহীনদের মধ্যে খাসজমি বিতরণ। কৃষকদের মধ্যে ষাঁড়, গরু বিতরণ ও কৃষিঋণ প্রদান। সহজ শর্তে ঋণপ্রাপ্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা। কৃষকের কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য ধান, পাট, তামাক, ইক্ষুসহ গুরুত্বপূর্ণ ফসলের ন্যূনতম বিক্রিমূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া। কৃষি উৎপাদন সহযোগী সামগ্রী স্বল্প ও বিনামূল্যে প্রদান করে কৃষিকাজে উৎসাহ ও কৃষকের উৎপাদন ব্যয় কমানো। কৃষিজ পণ্যের ক্ষুদে বিক্রেতাদের শুল্ক থেকে অব্যাহতি প্রদান। কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের জন্য সব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে নির্দেশনা প্রদান। সরকারিভাবে খাদ্য মজুদের জন্য ১৯৭২ সালেই ১০০টি খাদ্য গোডাউন নির্মাণ। গ. কৃষিভিত্তিক ও কৃষিসহযোগী শিল্প : কৃষি খামার, মৎস্য এবং অন্যান্য কৃষিভিত্তিক ক্ষুদ্রশিল্প প্রতিষ্ঠায় উৎসাহ প্রদান ও সহজ শর্তে ঋণপ্রাপ্তির ব্যবস্থা। স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরির ক্ষুদ্রশিল্পকে উৎসাহ ও প্রণোদনা প্রদান। ঘ. কৃষি সমবায় : সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের অধীন বিদ্যমান সমবায় সমিতির পাশাপাশি দ্বিস্তরের সমবায় পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য দেশের প্রথম মাইক্রোক্রেডিট কর্মসূচি প্রণয়ন। ঙ. সবুজ বিপ্লব : কৃষি বাঁচলে দেশ বাঁচবে স্লোগান সামনে রেখে সবুজ বিপ্লব-এর ডাক। কৃষকদের বিদ্যমান সুবিধা বৃদ্ধি করে নানা সুযোগ প্রদান করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ছিল এর মূল লক্ষ্য। চ. কৃষিবিদদের মর্যাদা বৃদ্ধি : অধিকতর মেধাবী শিক্ষার্থীদের কৃষি শিক্ষায় আকৃষ্ট করার জন্য ১৯৭৩ সালে কৃষিবিদদের চাকরি ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান। ছ. কৃষি শিক্ষা ও কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপন : কৃষি গবেষণা ছাড়া কৃষির উন্নতি সম্ভব নয়- এ কথা উপলদ্ধি করে ১৯৭৩ সালে কৃষি গবেষণা সমন্বয়ের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা। ১৯৭৩ সালে ১০ নম্বর অ্যাক্টের মাধ্যমে নতুন নামে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট পুনর্গঠন করা। ঢাকার আণবিক গবেষণাকেন্দ্রে কৃষি পারমাণবিক গবেষণা ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার এগ্রিকালচার প্রতিষ্ঠার নির্দেশ। জুট এগ্রিকালচার রিসার্চ ল্যাবরেটরিকে বাংলাদেশ জুট রিসার্চ ইনস্টিটিউট নামে পুনর্গঠন। সোনালি আঁশের সম্ভবনার দ্বার উন্মুক্ত করতে পাট মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা। তুলার চাষ সম্প্রসারণ করার জন্য তুলা উন্নয়ন বোর্ড গঠন। হর্টিকালচার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, সিড সার্টিফিকেশন এজেন্সি ও রাবার উন্নয়ন কার্যক্রম পুনর্গঠন। ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠা। কৃষি সেচব্যবস্থার উন্নয়ন, বীজ উৎপাদন, বীজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে বিএডিসিকে পুনর্গঠন ও এর বীজকেন্দ্র সারাদেশে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ।

বঙ্গবন্ধুর পদক্ষেপের সুদূর প্রভাব: শত বিপত্তির মধ্যেও কৃষি উন্নয়নের ক্ষেত্রে পুরো পৃথিবীতে বাংলাদেশ এখন একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে স্বাধীনতা অর্জন সময়ের তুলনায় মানুষ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে বাংলাদেশ এখন খাদ্য রফতানি করছে। শিল্পায়ন, বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের প্রসার, সেবাধর্মী কর্মকাণ্ডের বাজার ও শ্রমবাজার বৃদ্ধিসহ নানাবিধ কারণে কৃষি থেকে বিপুল মানবসম্পদের নিয়ত অভিবাসন সত্ত্বেও দেশের জিডিপিতে রয়েছে কৃষির উল্লেখযোগ্য অবদান (বর্তমানে তা মোট জিডিপির প্রায় ১৪ শতাংশ)। এগ্রো ইন্ডাস্ট্রি, পরিকল্পিত ও বাণিজ্যিক কৃষি উৎপাদনে বৃদ্ধি পেয়েছে বেসরকারি বিনিয়োগ এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। তা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বেকারত্ব দূরীকরণে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এতে বৃদ্ধি পেয়েছে কৃষকের মর্যাদা। এসবই সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী কৃষি ভাবনা ও উপযুক্ত পদক্ষেপের কারণে। তাই স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বঙ্গবন্ধু নামের পাশে খুবই যৌক্তিকভাবে সংযোজিত হয় আরেকটি নাম, আরেকটি বিশেষণ, আরেকটি শ্রদ্ধার্ঘ্য কৃষিবন্ধু মুজিব

লেখক: মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রলালয়


আরও খবর
দাম কমলো সোনার

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




বান্দরবানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানে সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফ-এর বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শনিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে বান্দরবানে যান তিনি।

সফরকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। পরে দুপুরে বান্দরবান সার্কিট হাউসে মতবিনিময় শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন তিনি। ঢাকা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে গিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

গত ৩ দিনে পরপর কয়েকটি হামলা, ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ, গোলাগুলি ও অস্ত্র লুটের ঘটনার পর, কুকি চিনের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে আজ থেকেই সমন্বিত অভিযান শুরুর কথা রয়েছে।

র‍্যাব জানায়, যৌথ অভিযান কেএনএফ সন্ত্রাসীদের নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত চলবে। এই অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি ও পুলিশ অংশ নিচ্ছে।

র‍্যাব আরও জানায়, বান্দরবান জেলায় বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতা, উত্তরসূরিদের অনুপ্রেরণা ও বিশ্বে তাদের সহযোগীদের সক্ষমতা জানান দিতেই এ ঘটনাটি কেএনএফ সশস্ত্র সদস্যরা ঘটিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। এর আগেও কুকি-চিন সদস্যরা টাকার বিনিময়ে জঙ্গিদের অস্ত্র পরিচালনা প্রশিক্ষণ দেয়াসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।


আরও খবর



জামালপু‌রের সরিষাবাড়ীতে ১৩ গ্রামে ঈদ উদযাপন

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ১৩ গ্রামের মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। ব্যাপক উৎসাহ এবং উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদের নামাজ পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অংশগ্রহণ করেন। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে পৌরসভার বলার দিয়ার মাস্টার বাড়ী জামে মসজিদ মাঠে এ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বুধবার (১০ এপ্রিল,) সকাল ৮টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বলার দিয়ার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আজিম উদ্দিন মাস্টার ঈদুল ফিতরের নামাজে ইমাম হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়াও উপজেলার বলারদিয়ার, মুলবাড়ী, সাতপোয়া, সাঞ্চারপাড়, পঞ্চপীর, পাখাডুবি, বনগ্রাম, বালিয়া, বাউসী,  হোসনাবাদ, পাটাবুগা, পুটিয়ারপাড়, ও বগারপাড় গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক মানুষ এ নামাজে অংশগ্রহণ করেন।  নারীদের জামাতে নামাজ আদায় করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়। 

এ ব্যাপারে বলার দিয়ার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আজিম উদ্দিন মাস্টার বলেন, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রমজানের রোজা শুরু হয়। তাই তাদের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতরের নামাজ ও ঈদ আনন্দ উদযাপন করে থাকি আমরা।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ উপজেলায় একদিন আগে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।  তারই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার সকালেও সুষ্ঠু এবং সুশৃঙ্খলভাবে এ উপজেলায় দুইটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।


আরও খবর



বাংলাদেশি শ্রমিকরা মালয়েশিয়ায় শোষণের শিকার: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি অভিবাসীদের অবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলেছে, কর্মসংস্থানের আশায় সরকারি নিয়ম মেনে দেশটিতে গিয়ে চরম দুরবস্থায় পড়তে হয় অনেক বাংলাদেশি অভিবাসীকে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত কয়েক মাস ধরেই দেশটিতে বাংলাদেশি অভিবাসীরা অসম্মানজনক অবস্থায় বাস করছেন।

এসব শ্রমিকদের ওপর যেন কোন শোষণ, অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘন না করা হয় সেজন্যে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

এতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বেশিরভাগ অভিবাসী মালয়েশিয়ায় পৌঁছে দেখেন যে তাদের প্রতিশ্রুত অনুযায়ী কর্মসংস্থান নেই। এমন অবস্থায় প্রায়শই তাদের ভিসা শেষ করতে বাধ্য করা হয়। ফলস্বরূপ এ অভিবাসীরা গ্রেফতার, আটক, দুর্ব্যবহার এবং নির্বাসনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন।

একই সঙ্গে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের অপরাধ নেটওয়ার্ক দ্বারা অভিবাসী শ্রমিকদের প্রতারণামূলক নিয়োগের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্তের আহবান করেছে। যদি এতে কোনো সরকারি কর্মকর্তা জড়িত থাকে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদ পুনর্মিলনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদ পুনর্মিলনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে সকাল ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের শহীদ ডা. মিলন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ও কর্মচারীবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, বেসিক সাইন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, প্রিভেনটিভ এ্যান্ড স্যোশাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ আতিকুল হক তুহিন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ রেজাউর রহমান, পরিচালক (সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ আব্দুল্লাহ আল হারুন, বিএসএমএমইউ স্বাচিপের সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো প্রমুখসহ বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থীগণ, পরিচালকবৃন্দ, অফিস প্রধানগণ, কর্মকর্তাবৃন্দ, নার্স ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল স্বাভাবিক নিয়মে সম্পূর্ণরূপে খুলেছে।


আরও খবর



পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় চিত্র নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে এ আবেদন করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল। শুনানি শেষে আদালত আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল এ তথ্য জানান।

সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন নাসির উদ্দিন। মামলার এজাহারে বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন।

পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি বাদীকে গালমন্দ করেন। বাদী এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরীমনি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন।

এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।


আরও খবর