আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

করোনায় একদিনে ৬ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৭৭

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২৭৭ জন, এই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ জন। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর আগে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) ৫ জনের মৃত্যু ও ২৯১ জন শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল অধিদফতর। সে হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কমলেও মৃত্যু বেড়েছে।

অধিদফতর জানাচ্ছে, নতুন শনাক্ত হওয়া ২৭৭ জনকে নিয়ে দেশে সরকারি হিসেবে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হলেন ১৫ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা গেলেন ২৮ হাজার ১৬ জন।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৯৬ জন। তাদের নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৫ লাখ ৪৩ ২০৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২০ হাজার ৬৪৪ টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০ হাজার ৫৪৯টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ১০ লাখ ৪১ হাজার ৪০৬টি। তার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৭৮ লাখ ৩৭ হাজার ৯৩৬টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৩২ লাখ তিন হাজার ৪৭০টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে রোগী শনাক্তের হার এক দশমিক ৩৫ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ।

শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৮ শতাংশ।

অধিদফতর জানাচ্ছে, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ছয় জনের মধ্যে পুরুষ ৪ জন আর নারী দুজন। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৭ হাজার ৯২৪ জন। নারী মারা গেলেন ১০ হাজার ৯২ জন। তাদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের দুজন আর ৮১ থেকে ৯০ বছরের রয়েছেন দুজন।

মারা যাওয়া ৬ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের তিনজন আর চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের আছেন একজন করে। অধিদফতর জানাচ্ছে, মারা যাওয়া ছয় জনের মধ্যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে সরকারি হাসপাতালে আর দুজন মারা গেছেন বেসরকারি হাসপাতালে।


আরও খবর



ছলিমপুর গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম ও অর্থে সাঁকো নির্মাণ কাজ শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম ও অর্থে কাঠের সাঁকো নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি উপজেলার মঠবাড়ী ও ত্রিশাল সদর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ নিরূপায় হয়ে নিজ অর্থ ব্যয়ে উপজেলার আম্লিতলা নামক স্থানে নাগেশ্বরী নদীর উপর এ সাঁকোটির নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। নির্মাণ কাজ শেষ হলে উপজেলার এই দুই ইউনিয়ন এবং উপজেলা সদরের সাথে কয়েক হাজার মানুষের যোগাযোগ সহজতর হবে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সেতুটির ৬০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। সেতুটির মূল কাঠামোর কাজ শেষ হলেও উপরের কাঠের পাটাতন বসানো এবং ত্রিশাল উপজেলার ছলিমপুর অংশের সংযোগ সড়কে মাটি ভরাটের কাজ অর্থাভাবে আটকে রয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গ্রামবাসী। কাজ শেষ না হওয়ায় এই সেতু দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরাসহ আশেপাশের লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঠবাড়ী ইউনিয়নের অলহরী ইজারাবন্দ, জয়দা ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফুলবাড়িয়ার ধুরধুরিয়া গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে আম্লিতলার বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে উপজেলা সদর ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় যাতায়াত করত এবং ভারী বস্তু ও পণ্য পরিবহনে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে সেগুলো আনা-নেওয়া করত। এ এলাকার কয়েক হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি পাঁকা ব্রিজ নির্মাণের। সেটি এখনো বাস্তবায়িত না হওয়ায় প্রায় চার লাখ টাকা ব্যয়ে তাঁরা একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এলাকার লোকজন সাধ্যানোযায়ী ধান, চাল, বাঁশসহ নগদ অর্থকড়ি ও শ্রম দিয়ে এ কাজে অংশগ্রহণ করছেন। সেতুটির কাজ শেষ হলে এ এলাকার হাজারো মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা লাগব হবে। তখন সেতুটি দিয়ে তিন চাকার ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করতে পারবে।

অলহরী ইজারাবন্দ গ্রামের স্কুল শিক্ষক হাসান বিএসসি বলেন, সাঁকোটি নির্মাণ হলে আমাদের আশেপাশের কয়েক গ্রামের বাসিন্দার চলাচল সহজ হবে। এলাকার সকলের সহায়তায় কাজ শুরু হয়েছে। তবে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ এ এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি।

ছলিমপুর দাখিল মাদ্রাসা ও ছলিমপুর আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বপ্না আক্তার, বীথী আক্তার, পারভেজ মিয়া, রতন মিয়া সহ আরও জনাদশেক বলেন, সেতুটি পাড় হলেই নদীর পাড়ের আম্লিতলায় আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই সেতুটি পাড় হয়ে প্রতিনিয়ত আমাদের পড়াশোনা করতে আসতে হয়। অন্য প্রতিষ্ঠান কয়েক কিলোমিটার দূরে হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের চলাচল করতে হয়। বর্তমানে আমাদের এপার-ওপারের লোকজন মিলে  সেতুটি পুননির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। টাকার অভাবে এখন কাজ বন্ধ রয়েছে। আমরা চাই সরকার আমাদের এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করে দিক।

ছলিমপুর আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কোন এলাকার মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা সুগম না হলে ওই এলাকার মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হয় না। নদীর ওই পাড়ের লোকজন একটি ব্রিজের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছে। ওই পাড়ের অনেক ছাত্রছাত্রী আমার স্কুলে পড়াশোনা করে। ভাঙাচোরা সাঁকোটি পার হতে তাদের অনেক বিড়ম্বনা পোহাতে হতো। পানি বেশি হলে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে আসার ভয়ে নিয়মিত স্কুলমুখী হতে পারতনা শিক্ষার্থীরা। এখানে একটি পাকা সেতু হলে সবার জন্য ভালো হয়।'

স্থানীয় আক্কাছ আলী মাস্টার মডেল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক খবিরুজ্জামান বলেন, এপার-ওপারের তিনগ্রামের সমন্বয়ে একটি ঈদগাহ মাঠ, একটি মসজিদ, একটি দাখিল মাদ্রাসা, একটি হাইস্কুল, একটি কিন্ডারগার্টেন ও একটি বাজার রয়েছে এখানে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে এপার-ওপারের মানুষের আসা-যাওয়ার জন্য। সম্প্রতি একজন মহিলা তার সন্তানসহ সাঁকো পাড়ি দিতে গিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়। তারই প্রেক্ষিতে ঝুঁকিমুক্ত নদী পারাপারের জন্য স্থানীয়ভাবেই এই কাঠের ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে।

ত্রিশাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসাইন বলেন, নদীর দু'পাড়ের মানুষের জন্য সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেতুটির নির্মাণ কাজে আমিও ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করেছি। পরিষদের পক্ষ থেকে সেতুটির ত্রিশাল অংশের সংযোগ সড়কে মাটি ফেলার কাজ দ্রুতই শুরু করবো ইনশাআল্লাহ।


আরও খবর



গভীর রাতে যাত্রীবাহী বাসে আগুন, ৮ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের হরিয়ানায় যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন লেগে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ও দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ২৪ জন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হরিয়ানার নুহ জেলায় মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে।

কী কারণে চলন্ত বাসে আগুন ধরল তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। পুলিশ পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। বাসটিতে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের অধিকাংশই তীর্থযাত্রী। বাসটি বৃন্দাবন এবং মথুরা থেকে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে ফিরছিলেন। পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুর, লুধিয়ানা এবং চণ্ডীগড়ের যাত্রীরা বাসটিতে ছিলেন।

জানা যায়, নুহ জেলার কাছে কুন্ডলি-মানেসার-পালওয়াল জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ বাসটিতে আগুন ধরে যায়। এতে ৮ জনের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা আগুন দেখার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত ছুটে এসে যাত্রীদের উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। দমকল বাহিনী দ্রুত আগুন নেভালেও তার আগেই মৃত্যু হয় ৮ জনের। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বাসটির এক নারী যাত্রী ইন্ডিয়া টুডে টিভিকে জানিয়েছেন, বাসে আগুন ধরে যাওয়ার পর তিনি লাফ দিয়ে প্রাণ বাঁচান।

তিনি আরও জানান, বাসে আগুন ধরেছে দেখে এক বাইক আরোহী চালককে সতর্ক করতে এগিয়ে যান। কিন্তু ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে যায়।

ওই যাত্রী বলেন, আমি বাসের নিচ থেকে একটি শব্দ শুনতে পেলাম। ভেবেছিলাম বাম্পারে ধাক্কা খাওয়ার কারণে এমন আওয়াজ হচ্ছে। পরে পোড়া গন্ধ পেয়ে বুঝতে পারি আগুন লেগেছে। একজন বাইক আরোহী তখন চালককে আগুন লাগার বিষয়ে সতর্ক করেন। আমি একদম সামনের সিটে বসেছিলাম। তাই প্রাণ বাঁচাতে লাফ দিয়েছিলাম।’

তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি পঞ্জাবের বাসিন্দা এবং তীর্থযাত্রা করে বাড়ি ফিরছিলেন। বাসে তার আরও অনেক আত্মীয় ছিলেন।


আরও খবর



সিনিয়র না হলে জয়কে থাপড়াতাম : মিষ্টি জান্নাত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সম্প্রতি ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ের গুঞ্জন উঠেছে চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাতের। এই গুঞ্জনের সূত্রপাত, কিছু সংবাদকে কেন্দ্র করে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, শাকিবের জন্য চিকিৎসক পাত্রী খুঁজছে তার পরিবার। ইতোমধ্যে একজনকে নাকি বেশ পছন্দ হয়েছে তাদের। তবে সেই পাত্রীর পরিচয় এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।

চিকিৎসক পাত্রীর খবর প্রচার হতেই অনেকে দাবি করছেন শাকিবের হবু বউয়ের নাম ডাক্তার মিষ্টি জান্নাত। যিনি ঢাকাই সিনেমার একজন অভিনেত্রী। পাশাপাশি চিকিৎসকও বটে।

বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন এই নায়িকা নিজেও। শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ের খবরটি অস্বীকার না করলেও গুঞ্জন হিসেবেই রাখতে চেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বলেছেন, শাকিব খানকে ছোটবেলা থেকেই পছন্দ করেন।

শাকিব-মিষ্টির বিয়ের সেই গুঞ্জনে যোগ দিয়েছেন অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। সম্প্রতি মিষ্টি জান্নাতকে নিয়ে তিনি বলেছেন, ওই মেয়ে ভাইরাল হতেই শাকিবকে জড়িয়ে এসব কথা বলছেন। শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে হলেও সেটা টিকবে না।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন মিষ্টি জান্নাত। তার দাবি, শাহরিয়ার নাজিম জয় তাকে চেনেন। তবুও না চেনার অভিনয় করেছেন।

এই অভিনেত্রী বলেন, ‘‘জয় ভাইয়াকে দেখলাম, সে বলছেন- ওই যে একটা মেয়ে, শাকিব খানকে নিয়ে ভাইরাল হতে চান। তিনি একজন ডাক্তার পাশাপাশি অভিনেত্রী, যেটা মিলে গেছে। তাদের বিয়ে হলেও সেটা টিকবে না। এটা উনি কীভাবে জানলো? কীভাবে বললো? এটা আমার প্রশ্ন।’’

মিষ্টি জান্নাত বলেন,  সে আমাকে চেনে। গত পরশুদিন আমাকে টেক্সট করে বলছে, মিষ্টি কোথায় আছো? চলো লং ড্রাইভে যাই। অথচ, এমন একটা ভাব নিল, সে আমাকে চেনেই না।  জয় তাকে প্রায়শই মেসেজ দেন। নিকেতনে আসলে একসঙ্গে বসে কফি খান। তবুও তাকে না চেনার ভান করেছেন।

মিষ্টি জান্নাত বলেন, সে বললো, ওই যে একটা মেয়ে। এটা কেন বলবে? আমি কষ্ট পেয়েছি। যদি সে সিনিয়র না হতেন, তাহলে তাকে ধরে থাপড়াতাম। তার প্রোগ্রামে গেলেও এমন করে। অফস্ক্রিনে চুমু দেওয়ার চেষ্টা করে। আমার কাছে সেসবের ভিডিও আছে। সে অনেক নেগেটিভ কথা বলে।

উল্লেখ্য, ঢাকাই সিনেমায় পরিচিত মুখ মিষ্টি জান্নাত। ২০১৪ সালে লাভ স্টেশন সিনেমার মাধ্যমে শুরু করেন রুপালি পর্দার ক্যারিয়ার। এরপর নিয়মিত কাজ করেছেন সিনেমায়। অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরে মিষ্টি জান্নাত একজন দন্ত্য চিকিৎসক।


আরও খবর



সৌদিতে গ্রেপ্তার হচ্ছে ইসরায়েল বিরোধীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ ইসরায়েল বিরোধী পোস্ট করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ইসরায়েলবিরোধী কথা বলায় ইতোমধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ। বৃহস্পতিবার, (২ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব প্রকাশের কারণে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন একটি কোম্পানির সর্বোচ্চ কর্মকর্তা। তার কোম্পানিটি সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের একটি প্রজেক্টের সঙ্গে কাজ করে।

নাম গোপন রাখার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই কর্মকর্তা গাজায় চলমান হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করেছিলেন।

আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আমেরিকান মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানোয়। বিশ্বের বেশিরভাগ মুসলিম দেশে ইসরায়েলি ও মার্কিন কোম্পানির পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানো হচ্ছে। এই বয়কটের জেরে অনেক কোম্পানি তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে।

ব্লুমবার্গকে সৌদি সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, আশঙ্কা করা হচ্ছে সৌদিতে ইরানপন্থি একটি প্রভাবের বিস্তার ঘটতে পারে। আর এই আশঙ্কা থেকে এসব ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েল বিরোধী অবস্থানের কারণে ঠিক কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটি স্পষ্ট করে জানায়নি ব্লুমবার্গ।

দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্যেই জানা গেল ইসরায়েল বিরোধীদের ওপর গ্রেপ্তারের মতো কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মুসলিম দেশ সৌদি আরব।


আরও খবর



যেখানেই দুর্যোগ-দুর্ভোগ, সেখানেই আ.লীগ : রিজভী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আজকে যেখানেই দুর্যোগ ও দুর্ভোগ সেখানেই আওয়ামী লীগ। আজকে গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে। নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড় সমস্ত কিছু ভরাট করা হচ্ছে। কার স্বার্থে ভরাট হচ্ছে? আওয়ামী ভূমিদস্যুদের স্বার্থে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে এক মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে মিথ্যা মামলায় জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে যুবদলের উদ্যোগে তাৎক্ষণিক এই বিক্ষোভ মিছিল হয়।

যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নার নেতৃত্বে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ হয়।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে শিশু মারা গেছে। মহিলাসহ প্রায় বিশজন মারা গেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কি দায় নেই? আপনি কয়লা পুড়িয়ে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র করে সুন্দরবন উজাড় করার ষড়যন্ত্র করছেন। দক্ষিণবঙ্গের সমুদ্র উপকূলের সব উজাড় করে দিচ্ছেন। সেখানে ফল হয় না, এটাতো আপনার কারণে। যেখানেই দুর্নীতি ও লুটপাট সেখানেই আওয়ামী সরকার। আজকে ব্যাংক, বিমা সর্বত্র হরিলুট চলছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে মানুষ অতিষ্ঠ। তারা না কি বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পন্ন।

তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে থু থু দিয়ে ইটের দালান গড়া যায় না। যেটা শেখ হাসিনা করেছেন গত কয়েক বছর ধরে। আজকে দেশে কর্মসংস্থান নেই। চারদিকে শুধু হাহাকার আর আহাজারি। সেই পরিস্থিতিতে আল্লাহর অভিশাপ। এই ভয়ংকর অগ্নিবর্ণরূপ বাংলাদেশের প্রকৃতি। এরমধ্যেও গণতন্ত্রকে ধ্বংসের নীল নকশা থামছে না। সেজন্যই যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে কারাগারে পাঠানো হলো। এর আগে অনেক নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রিজভী বলেন, আজকে আমরা একটি মিছিল নিয়ে গেলে বামে-ডানে পুলিশ বাধা দেয়। কারণ আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি। আজকে প্রতিবাদও করা যাবে না। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও নেই। কই ব্যাংক লুটেরা ও ভূমি দস্যুদের তো বাধা দেন না। এই দায়িত্বও তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। অথচ আপনারা গণতন্ত্রকামী মানুষকে বাধা দেন! তাদের মিছিল দেখলে ও স্লোগান শুনলে আপনারা বাধা দেন। আমি অবিলম্বে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মুক্তি দাবি করছি। অন্যথায় প্রতিটি আঘাত আপনাদের দিকে ফিরে যাবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। অন্যায়-অবিচার না থামালে আপনাদের দিকেই ফিরে যাবে।

এ সময় আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, পুলিশ ও আজ্ঞাবহ আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের ভোটের অধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া থেকে যুবদল নেতারা বিরত রাখা যাবে না; বরং এতে নেতাকর্মীদের ক্ষোভ ও প্রতিবাদের আকাঙ্ক্ষা আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই মুক্ত করে আনা হবে। এই অবৈধ সরকারের কছে মুক্তির দাবি জানানো হবে না।

মিছিলে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল আমিন আকিল, কামরুজ্জামান দুলাল, দীপু ভুঁইয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, জব্বার খান, করিম সরকার, আলমগীর হাসান সোহান, তানভীর আহমেদ সোহেল, আজিজুল হক আকন্দ, মাসুদ পারভেজ, পার্থদেব মণ্ডল, আমিনুর রহমান আমিন, মাজেদুর রহমান রুমন, মেহেদী হাসান জুয়েলসহ যুবদলের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর