আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫৯

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৫৯ জনের। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৯ হাজার ৩১৪ জন। আর মোট শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৯ হাজার ১২৯ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৩৫৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৬ হাজার ৩৩৬টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৪ দশমিক ০৯ শতাংশ।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪১৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৭৩৭ জন।

প্রসঙ্গত, দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।


আরও খবর



অভিনেতা পার্থসারথি আর নেই

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ওপার বাংলার বর্ষীয়াণ অভিনেতা পার্থসারথি দেব প্রায় দেড় মাস হাসপাতালে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন। সবাই ধরে নিয়েছিলেন, লড়াই শেষে ফিরে আসবেন তুখোড় এই অভিনেতা। কিন্তু সবাইকে কাঁদিয়ে অনন্তলোকের পথে পাড়ি দিলেন তিনি। শুক্রবার (২২ মার্চ) কলকাতার বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮।

জানা গেছে, দীর্ঘ দিন সিওপিডির সমস্যায় ভুগছিলেন পার্থসারথি। ফুসফুসে সংক্রমণ ছিল তার। নিউমোনিয়াও ধরা পড়েছিল। গত ৪৩ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার মৃত্যুতে টলিউডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শুক্রবার রাতেই পশ্চিমবঙ্গ মোশন পিকচার্স আর্টিস্ট ফোরাম’র পক্ষ থেকে পার্থসারথির মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা হয়, ফোরামটির সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি।

দীর্ঘ ৪০ বছরের অভিনয় জীবনে কাকাবাবু হেরে গেলেন’, লাঠি’, প্রেম আমার’-সহ একাধিক জনপ্রিয় বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন পার্থসারথি। ছোট পর্দার জন্য সত্যজিতের গপ্পো’ সিরিজে ও অভিনয় করেছিলেন তিনি। গত বছর বগলা মামা যুগ যুগ জিও’ এবং রক্তবীজ’ ছবিতে দেখা গিয়েছে তাকে। সম্প্রতি স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় পার্থসারথির। তার পর থেকে একাই থাকতেন। বিগত কয়েক বছর সিরিয়াল থেকে দূরত্ব বজায় রাখলেও তার বেশ কিছু ছবির ডাবিং বাকি থেকে গিয়েছিল। কাজ ফেলে রেখেই চলে গেলেন অভিনেতা।


আরও খবর
বাংলাদেশে আসছেন আতিফ আসলাম

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




চালু হতে যাচ্ছে মহাকাশের প্রথম রেস্তোরাঁ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঘন অন্ধকারে চেয়ারে বসে রয়েছেন আপনি। চারপাশ জুড়ে মাঝেমাঝে উল্কার ছোটাছুটি দেখতে পাচ্ছেন। আরেকটু মনোযোগ দিলে দেখবেন অনন্ত নক্ষত্রবীথি।

আপনার হাতে ছুরি-চামচ। সামনের টেবিলে রাখা ধোঁয়া ওঠা খাবার। মাঝেমাঝে স্বাদ নিচ্ছেন পছন্দের খাবারের। এমন দৃশ্য স্বপ্নে, বইয়ের পাতায় কিংবা সিনেমার পর্দায় দেখা যায়। কিন্তু এবার তা বাস্তবেও ঘটতে চলেছে।

নিউইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কল্পবিজ্ঞানের গল্পের মতো মনে হলেও এ বার খেতে যেতে পারবেন মহাকাশে। বায়ুমণ্ডলের একটি স্তর স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে তৈরি হতে চলেছে নতুন একটি রেস্টুরেন্ট।

আর এই অভিজ্ঞা যদি আপনি পেতে চান তাহলে পকেটে থাকতে হবে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার মতো অর্থ।

স্পেস ভিআইপি নামের একটি মহাকাশ ভ্রমণ সংস্থা এমন উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী বছর মহাকাশে এই রেস্টুরেন্টের দরজা খুলবে।

এই রেস্টুরেন্টের রন্ধনশিল্পী হিসেবে যারা থাকবেন তাদের নেতৃত্বে থাকবেন মিশেলিন স্টার পাওয়া ডেনিশ শেফ রসমস মুঙ্ক। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে আগামী বছরের শেষের দিকে যাত্রা শুরু করার সময় বিশ্বের প্রথম কার্বন-নিরপেক্ষ স্পেসশিপ নেপচুনে শেফ মুঙ্ক তার খাবারের ব্যবস্থা করবেন।

স্পেসশিপ নেপচুন রকেট নয় বরং একটি ক্যাপসুল। যা স্পেসবেলুন খুব ধীরে ধীরে চালানো হয়।

এই রেস্টুরেন্টের মেনু নিয়ে আপাতত গবেষণা চলছে। রেস্টুরেন্টে ওয়াইফাই এর ব্যবস্থা থাকবে। এখান থেকে চাইলে ভিডিও কলও করা সম্ভব।

স্পেস ভিআইপির এক কর্মীর ভাষ্য, কোন ধরনের খাবার থাকবে, সেটা এখনও ঠিক করা হয়নি। কিন্তু পুরো বিষয়টির মতোই খাবারের প্রতিটি পদ সুস্বাদু হবে এবং তাতে নিশ্চিতভাবে নতুনত্ব থাকবে।


আরও খবর
ব্যাটারি চেক করার দিবস আজ

রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪

ক্যালেন্ডারের উপহার : ৩৬৬ দিনের ২৯ ফেব্রুয়ারি আজ

বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪




জলদস্যুদের সঙ্গে সেকেন্ড পার্টির মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ভেতরে থাকা ২৩ জন নাবিকদের উদ্ধারে সেকেন্ড পার্টির মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (১৩ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনার শেষে তিনি এ কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাহাজটি হাইজ্যাক করা জলদস্যুদের সঙ্গে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ করা যায়নি। আমরা সেকেন্ড পার্টির মাধ্যমে চেষ্টা করছি এবং যেখানে জানানো প্রয়োজন, সেখানে জানিয়েছি। তাদের উদ্ধারে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। বিষয়টি মন্ত্রিসভায়ও আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে রিপোর্টিং সেন্টার ইন কুয়ালালামপুর, ইন্ডিয়ান ফিউশন সেন্টার ইন নিউ দিল্লি, সিঙ্গাপুর, ইউএসএ, ইউকে এবং চীনসহ সব এরিয়ার নেভাল শিপে আমরা রিপোর্ট করেছি। অন্যান্য সূত্রের মাধ্যমেও আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য জাহাজটাকে এবং নাবিকদের মুক্ত করা। কিন্তু স্ট্র্যাটেজি কী হবে, এটা পাবলিক বলার বিষয় নয়। ইতোপূর্বে একই কোম্পানির একটি জাহাজ জলদস্যুরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল। তিন মাস পর সেই জাহাজ ও ক্রুদের উদ্ধার করা হয়েছিল।

এর আগে, ভারত মহাসাগরে এমভি আবদুল্লাহ নামের বাংলাদেশি জাহাজটি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে।

জানা গেছে, নাবিকদের ছাড়তে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার চেয়েছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। মুক্তিপণ না পেলে বাংলাদেশি নাবিকদের মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

জাহাজটি প্রধান কর্মকর্তা (চিফ অফিসার) মো. আতিক উল্লাহ খান তার স্ত্রীকে পাঠানো সর্বশেষ এক অডিও বার্তায় বলেন, আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। টাকা না দিলে তারা একে একে আমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে। তাদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিও।

দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ২০১৬ সালে তৈরি জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্ত ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। প্রথমে জাহাজটির নাম ছিল গোল্ডেন হক। পরে বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর এর নাম হয় এমভি আবদুল্লাহ। এটি একটি বাল্ক কেরিয়ার।


আরও খবর



৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুধু গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নয় মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ও এনে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ধাপে ধাপে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তারই একটি পদক্ষেপ ৭ মার্চ। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্ত হয়ে, ৭০ এর নির্বাচনেই আগে লন্ডনে বসেই ভেবেছিলেন কিভাবে গেরিলা যুদ্ধ হবে, স্বাধীনতা আসবে। স্বাধীনতা হঠাৎ আসেনি, দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে এসেছে।

শেষ হাসিনা বলেন, সংগ্রামের পথ বেয়ে অনেক রক্তের অক্ষরে লেখা আছে আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার ও স্বাধীনতার অধিকার। ৭ মার্চের ভাষণে কাউকে আনতে হয়নি। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেয়। এই ভাষণের আগে অনেক জ্ঞানী-গুণী, একেকজন একেকরকম পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করে। মা জাতির পিতাকে বললেন- তোমার কারো কথা শোনার দরকার নেই। তুমি সারাজীবন দেশের মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছো। কাজেই তোমার মনে যে কথা আসবে সেটাই বলবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা মানুষকে আশার বাণী শোনানো আবার শত্রুপক্ষকে বিরত রাখা সবই করেছেন। যে কথা বলার সবই বলেছেন ৭ মার্চে। আজকে এই ভাষণ শুধু আমাদের ভাষণ নয়, আন্তর্জাতিক মর্যাদাও পেয়েছে। পাকিস্তানিদের ভাবতে ভাবতেই দিন গেছে- এই ভাষণে বঙ্গবন্ধু কি বলে গেলেন। তারা দেখলো ভাষণের পর গেরিলা যুদ্ধও শুরু হয়ে গেলো। এই ভাষণ শুধু গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতিই নয় মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ও এনে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকারীদের ধারণা ছিলো, জাতির পিতার পরিবারের কেউ আর কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তবে ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা যায় না। আজকে ৭ মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ঐতিহাসিক প্রামাণ্য দলিল। জয় বাংলা জাতীয় স্লোগান। ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাঙালির নয়, যে নেতারা ভাষণের মাধ্যমে জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছেন সে ভাষণগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্থান পেয়েছে ৭ মার্চের ভাষণ। দেশকে আমরা জাতির পিতার আদর্শের স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবো, আজকের দিনে সেটিই প্রতিজ্ঞা।


আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সকল মাংসের দোকান বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

টানা তিন দিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। সরকারিভাবে মাংসের দাম নির্ধারণ করায় এই কর্মসূচি পালন করছে তারা। এর আগে গত সোমবার সকালে এই কর্মসূচি শুরু হয়।

সরেজমিনে বুধবার সকালে শহরের আনন্দবাজার, মেড্ডা বাজার, ফারুকী বাজার, বর্ডার বাজার, কাউতলী বাজার ও বউ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সব মাংসের দোকান বন্ধ রয়েছে। সেখানে মাংস ক্রয় করতে এসে কাঙ্ক্ষিত মাংস না পেয়ে অনেকটাই বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।

মাংস ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকার প্রতিকেজি গরুর মাংসের দাম ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এই টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করলে তাদের লোকসানের মুখে পড়তে হবে। তাদের দাবি, আগের ৭৫০ টাকা প্রতি কেজি মাংসের মূল্যে বহাল রাখার। এই দাবি পূরণ করা না হলে মাংস বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এ দিকে পবিত্র মাহে রমজান মাসে বাজারে এসে কাঙ্ক্ষিত গরুর মাংস কিনতে না পেরে ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

মাংস ব্যবসায়ী মোঃ জাকির হোসেন ও শামীম জানান, আমরা জনগনের চাহিদা ও ক্রয় ক্ষমতার কথা চিন্তা করেই মাংস বিক্রি করে থাকি। সরকার আমাদের যে বাজার দর দিয়েছে ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা দর। এই দরে মাংস বিক্রি করে আমাদের ব্যবসার লোকশান হবে। তাই আমরা গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছি। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আমাদের মাংস বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাংস ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ীরা খামারী এবং ব্যাপারি থেকে গরু কিনে থাকে, তারা চামড়াসহ গরু কিনে বাজারে জবাই করে থাকেন। এতে ৭২০ টাকার মতো প্রতি কেজিতে দাম পড়ে। এ অবস্থায় সরকার ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা নির্ধারণ করেছে। তা আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাজারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। অবশ্যই দাম সমন্বয় করতে হবে। কারণ খামারে গরুর দাম কমাতে হবে। দাম পুনরায় নির্ধারণ করতে হবে। অন্যথায় এই মাংসের বাজার বন্ধ রাখা ছাড়া আমাদের উপায় নেই।

মাংস ক্রয় করতে আসা ক্রেতা মো. সায়েম জানান, গত তিনদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাজারে মাংস বিক্রি বন্ধ রয়েছে। এতে আমরা জনগণ খুব বেশি ভোগান্তির মধ্যে পড়েছি। রমজান মাস হওয়ায় হুজুরদের দাওয়াত করতে হয়, মাংসেরও প্রয়োজন হয়। আমরা এই সমস্যা দ্রুত সমাধানের দাবি জানাই।

ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল হক জানান, মাংসের বাজারে অস্থিরতা ও চলমান সমস্যা নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মাংস ব্যবসায়ীদের বৈঠক হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

বৈঠকে জেলা প্রশাসক সরকার নির্ধারিত মূল্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা কৃষি বিপণন অধিদফতর থেকে এইটুকুই বলতে পারি সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেউ বেশি মূল্যে বিক্রি করলে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। কোনো অসাধু ব্যবসায়ীকে বাজারে সুবিধা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪