আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

করোনার টিকা ও পরীক্ষা ছাড়াই এখন যেসব দেশে যাওয়া যাচ্ছে

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

করোনা মহামারির সংক্রমণ কমে আসায় কিছু দেশ ভ্রমণের বিধিনিষেধ শিথিলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। গত ১৮ মার্চ এ পথে পা বাড়ায় যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ সরকার ভ্রমণের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সকল বিধিমালা শিথিলের ঘোষণা দেয়। এরপর আরও ৬টি ইউরোপীয় দেশ একইপথ বেছে নিয়েছে। মহামারির প্রাদুর্ভাব সর্বোচ্চ থাকার সময়ের তুলনায় ইউরোপের অনেক দেশে এখন নিয়মনীতি শিথিল হয়েছে। ভ্রমণকারী টিকা নিয়েছেন কি নেননি- তা নিয়ে এখন এ অঞ্চলের বেশিরভাগ গন্তব্যে কড়াকড়ি নেই। অনেকস্থানে পর্যটকদের আসার আগে বা পড়ে বাধ্যতামূলক কোভিড-১৯ টেস্ট করার নিয়মও উঠে গেছে। নেই পৌঁছানোর পর কোয়ারেন্টিন পালনের নিয়ম।  

বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীর জন্য আগাম ভিসা নেওয়ার বিষয়টি অবশ্য আগের মতোই আছে। এটি বাদ দিলে বলা যায়, এখন প্রতিটি মহাদেশেই এমন কোনো না কোনো দেশ রয়েছে যারা ভ্রমণের ক্ষেত্রে মহামারি পরবর্তী নীতিমালা বেছে নিচ্ছে। কোনো কোনো দেশ তাদের ভূখণ্ডে অনেকের মাস্ক না পরাকে মেনে নিচ্ছে, এমনকী কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত কাউকে কোয়ারেন্টিন পালন ছাড়াই চলতে-ফিরতে দেওয়া হচ্ছে।  মহামারিকালের দুই বছর টানা ব্যাহত হয় বৈশ্বিক পর্যটন খাত। বিধিনিষেধের সাম্প্রতিক এই উদার ছাড় একদিকে কঠোর ভ্রমণ নীতি ও সীমান্ত বন্ধের মতো ঘটনা কমে আসার ইঙ্গিত দেয়। একইসাথে, তা আবার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে। তাছাড়া, যেসব পর্যটক সতর্ক বা যারা নিরাপদে আসা-যাওয়া করতে চান, এতে তারাও বেশ উদ্বিগ্ন। 

বিলাসবহুল ভ্রমণ পরামর্শক সংস্থা লোকাল ফরেনারের অংশীদার ব্রোক ল্যাভেরি বলেন, আমাদের অধিকাংশ গ্রাহক জানেন না, বর্তমানে কোন গন্তব্যে কোন ধরনের বিধিনিষেধ চালু রয়েছে। না জানার কারণ অবশ্য দ্রুত পরিবর্তনশীল নীতি। যেমন সম্প্রতি থাইল্যান্ড সরকার জানিয়েছে, আগামী ১ মে থেকে তারা পর্যটকদের জন্য সেদেশে আসার পর বাধ্যতামূলক কোভিড পরীক্ষার নিয়ম বাতিল করবে। পর্যটনের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল আরেকটি দেশ গ্রিস আসন্ন গ্রীষ্ম মৌসুমের আগে একই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কথা জানিয়েছে।

এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্রোক লেভারি বলেছেন, "পর্যটকরা এত এত তথ্যের ভিড়ে খেই হারিয়ে ফেলছেন। কারণ আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয়ভাবে একক উৎস থেকে তথ্য পাওয়ার সুযোগের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। ভিন দেশে বিনোদন বা কাজের ক্ষেত্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে এখন সুখবর হলো বিশ্বব্যাপী করোনার গণ-টিকাদান এখন বেশ সফল। তবে টিকাদানের হার কম এমন কয়েকটি দেশেও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বা অন্য কারণে ভ্রমণ বিধিনিষেধ শিথিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন দেশগুলোয় করোনার টিকা না নিয়ে বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া ভ্রমণ করা যাচ্ছে:

আর্জেন্টিনা: দেশটিতে ভ্রমণ করতে হলে বিমা করাতে হবে এবং একটি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে হবে, গত ৭ এপ্রিল পর্যন্ত এছাড়া অন্য কোনো কড়াকড়ি শর্ত দেয়নি দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। আরুবা: ক্যারিবিয় দ্বীপপুঞ্জের এ গন্তব্যে যাওয়ার সকল কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ গত ১৯ মার্চ থেকে প্রত্যাহার করা হয়। বাহরাইন: মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে কোনো প্রকার করোনা টেস্ট বা টিকা না নিয়েই ভ্রমণ করা যাচ্ছে।  বোনাইরে: গত ২০ এপ্রিল থেকে দ্বীপাঞ্চলটি মহামারির আগের সময়ের ভ্রমণ নীতিমালায় ফিরেছে। তবে করোনা নেগেটিভ ঘোষণা দিয়ে আসার নিয়মটি এখনও কার্যকর রয়েছে।  চিলি: সকল পর্যটক দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন ১৪ এপ্রিল থেকে। তবে এজন্য একটি বিমা করানো বাধ্যতামূলক এবং আসার পর করোনা টেস্ট করাতে হবে।  কোস্টারিকা: গত ১ এপ্রিল থেকে এমনকী টিকা না নেওয়াদের জন্যও চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরিক্ষা ও ভ্রমণ বিমার নিয়ম বাতিল করা হয়েছে। কিউবা: দেশটিতে আসার পর পিসিআর টেস্ট করাবেন এমন একটি ফর্ম পূরণ করে যেকোনো ভ্রমণকারী সেখানে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন গত ৬ এপ্রিল থেকেই।  চেক রিপাবলিক: ৯ এপ্রিল থেকে নিজ সীমান্ত পুরোপুরি ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করেছে ইউরোপীয় দেশটি।  ডেনমার্ক (গ্রিনল্যান্ড ছাড়া): ২৯ মার্চ থেকে সকল করোনা বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে ডেনমার্ক। টিকা নেওয়া ও না নেওয়া উভয় ধরনের ব্যক্তির ক্ষেত্রে এটি কার্যকর করেছে। এল সালভেদর: ২৪ ফেব্রুয়ারি করোনাজনিত সব বিধিনিষেধ ঊঠিয়ে নেওয়া হয়। গ্যাবন: আফ্রিকা মহাদেশের প্রথম দেশ হিসেবে গত ১৬ মার্চ থেকে সকল করোনা বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে। গ্রানাডা: ক্যারিবিয় এই দ্বীপ দেশ একই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে ৪ এপ্রিল থেকে। হাঙ্গেরি: ৭ মার্চ থেকে করনাভাইরাস জনিত ভ্রমণ বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়। আইসল্যান্ড: ২৫ ফেব্রুয়ারি এমন সিদ্ধান্ত নেয় দেশটি। আয়ারল্যান্ড: ৬ মার্চ থেকে দেশটিতে ভ্রমণ আর কোনো বিধিনিষেধ নেই।জ্যামাইকা: গত ১৬ এপ্রিল বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা ও করোনা পরীক্ষার নিয়ম বাতিল করেছে। জর্ডান: ১ মার্চ দেশটি জানায়, এখন থেকে ভ্রমণকারীদের করোনা পরীক্ষার কোনো সনদ দেখাতে হবে না। লাটভিয়া: সংক্রমণের উচ্চ-ঝুঁকির তালিকায় বর্তমানে কোনো দেশকেই রাখেনি লাটভীয় সরকার, সকলের ক্ষেত্রেও করোনা টেস্টের নিয়ম তুলে দেওয়া হয়েছে। মালদ্বীপ: ১৩ এপ্রিল নিজেদের গণস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে সরকার সকল বিদেশিকে ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছে। মেক্সিকো: মহামারির অধিকাংশ সময়েই সেদেশে কোনো ভ্রমণ বিধিনিষেধ ছিল না, তবে এখনও যাওয়ারপর স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক রয়েছে। মলদোভা: ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশটিতে ভ্রমণ বিধিনিষেধ পরিবর্তন হয়েছে। এর আগে গত ১৬ মার্চ দেশটি ভ্রমণের সকল কোভিড বাধ্যবাধকতা তুলে দেয়। মঙ্গোলিয়া: গত ১৪ এপ্রিল এশিয়ার মূল ভূখণ্ডের প্রথম দেশ হিসেবে সকল আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীর জন্য নিজ সীমান্তকে উন্মুক্ত করে দেয়। মন্টিনিগ্রো: টিকা না নিয়েও যাওয়া যাবে, টেস্ট করানোও বাধ্যতামূলক নয়। গত ১০ মার্চ থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর রয়েছে।উত্তর মেসেডোনিয়া: বলকান অঞ্চলের দেশটিতে ২১ এপ্রিল থেকে সব করোনাজনিত শর্ত বাতিল করা হয়। নরওয়ে: ১২ ফেব্রুয়ারি থেকেই নেই টেস্টিং, কোয়ারেন্টাইন বা নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা।

আরও যেসব দেশ শর্ত শিথিল করেছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: পোল্যান্ড, রোমানিয়া, সৌদি আরব, স্লোভেনিয়া, স্লোভাকিয়া, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং ইয়েমেন।

নিউজ ট্যাগ: করোনাভাইরাস

আরও খবর



সদকাতুল ফিতর কখন কার ওপর ওয়াজিব

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

পবিত্র রমজানের ইবাদতের মধ্যে সদকাতুল ফিতর আদায় করা অন্যতম একটি ইবাদত। রমজানের সিয়াম সাধনা শেষে আসে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের আনন্দ ধনী-গরিব সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং এ আনন্দে যেন মুসলিম জাতির প্রতিটি সদস্য শরিক হতে পারে এ জন্য ওয়াজিব করা হয়েছে সদকাতুল ফিতর। রমজানের রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিপূর্ণতার জন্যই আবশ্যক করা হয়েছে এটি।

ইমাম ওয়াকি ইবনুল জাররাহ বলেন, রমজান মাসের জাকাতুল ফিতর নামাজের সিজদায়ে সাহুর সমতুল্য। অর্থাৎ নামাজে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে যেমন সিজদায়ে সাহু দিলে এটা পূর্ণ হয়ে যায় তেমনি রোজার মধ্যে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে সাদকাতুল ফিতর দিয়ে এর প্রতিকার হয়। তাছাড়া ধনী-গরিব উভয়ে যেন অন্তত ঈদের দিন উত্তম পোশাক ও উন্নতমানের খাবার খেতে পারে এ জন্যই ফিতরার ব্যবস্থা।

ফিতরার নিসাব

যার মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও ঋণ  ছাড়া সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা কিংবা এর সমমূল্য কোন সম্পদ বা টাকা থাকে, তাহলে তার ওপর সদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব।

সদকাতুল ফিতর উত্তম হলো ঈদের নামাজের আগে আদায় করে দেয়া। কেননা রাসুল (সা.) ঈদগাহে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।

জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত এমন অভাবী লোকদের সদকাতুল ফিতর দিতে হবে। একজন দরিদ্র মানুষকে একাধিক ফিতর দেওয়া যেমন জায়েজ, তেমনি একটি ফিতরা বণ্টন করে একাধিক মানুষকে দেয়াও জায়েজ।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-রাসুলুল্লাহ (সা.) সদকাতুল ফিতর আদায় করাকে আবশ্যক করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা যব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটা আবশ্যক। (বোখারি :  ১৫১২)।

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রোজা পালনকারীর জন্য সদকাতুল ফিতর আদায় অপরিহার্য করে দিয়েছেন, যা রোজা পালনকারীর অনর্থক, অশ্লীল কথা ও কাজ পরিশুদ্ধকারী এবং অভাবী মানুষের জন্য আহারের ব্যবস্থা। যে ব্যক্তি ঈদের সালাতের আগে এটা আদায় করবে, তা সদকাতুল ফিতর হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে। আর যে ঈদের সালাতের পর আদায় করবে তা অপরাপর (নফল) সদকা হিসেবে গৃহীত হবে। (আবু দাউদ : ১৬০৯)।

হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য, যব, বা খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির বা কিশমিশ দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করতাম ৷ (বোখারি : ১৫০৬)।

হাদিস শরিফে এ পাঁচটি দ্রব্যের যে কোনো একটি দ্বারা সদকায়ে ফিতর আদায়ের সুযোগ দেয়া হয়েছে ৷ যেন প্রত্যেকে নিজ নিজ সামর্থ্যানুযায়ী আদায় করতে পারে তবে সবার জন্য সবচেয়ে কম দামের দ্রব্য দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করা অনুচিত; বরং যে ব্যক্তি খেজুর, কিশমিশ দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করার সামর্থ রাখে, সে তা দিয়েই আদায় করবে ৷

সদকায়ে ফিতর যাদের উপর ওয়াজিব

ঈদের দিন সুবহে সাদেকের সময় যার কাছে যাকাত ওয়াজিব হওয়া পরিমাণ অর্থাৎ অত্যাবশ্যকীয় আসবাব সামগ্রী ব্যবহার্য দ্রব্যাদি, বাসগৃহ ইত্যাদি বাদ দিয়ে সাড়ে ৫২ তোলা রূপা বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ অথবা সমমূল্য পরিমান সম্পদ থাকে, তাহলে তার উপর সদকায়ে ফিতর আদায় করা ওয়াজিব।

ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের সময় এ পরিমাণ মালের মালিক থাকলে, তার উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে। যে শিশু-সন্তানটি ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের পূর্বে ভূমিষ্ট হবে, তার ফিতরাও আদায় করতে হবে।

অর্থাৎ পরিবারের যতজন সদস্য ততটি ফিতরা হিসেবে) সকলের ফিতরা আদায় করতে হবে। প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী তার নিজের পক্ষ থেকে এবং নাবালেগ সন্তানের পক্ষ থেকে সদাকাতুল ফিতর আদায় করবেন।

সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ

ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) সদকাতুল ফিতর আবশ্যক করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা যব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটা আবশ্যক। (বোখারি  : ১৫১২)।

ইবনে আব্বাস (রা.) একবার রমজানের শেষ দিকে বসরায় খুতবা প্রদান করেন। সেখানে তিনি বলেন, তোমাদের রোজার সদকা আদায় করো। লোকেরা যেন ব্যাপারটা বুঝতে পারে নি।

তখন ইবনে আব্বাস (রা.) বললেন, এখানে মদিনার কে আছে দাঁড়াও। তোমাদের ভাইদেরকে বলো, তারা তো জানে না। বলো যে, রাসূল (সা.) এই সদকা আবশ্যক করেছেন। এক সা খেজুর বা যব অথবা আধা সা গম প্রত্যেক স্বাধীন-দাস, পুরুষ-নারী, ছোট-বড় সবার ওপর ওয়াজিব।  (আবু দাউদ: ১৬২২)।

যারা জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত এমন অভাবী লোকদের সদকাতুল ফিতর প্রদান করতে হবে। জাকাতের জন্য সম্পদের বর্ষপূর্তি শর্ত হলেও ফিতরায় এ শর্ত নেই। নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নিজের পক্ষ থেকে, নিজের প্রাপ্ত এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের পক্ষ থেকে এবং নিজের সেবক-সেবিকাদের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করতে হবে। সন্তান বা অধীনস্থরা অমুসলিম হলেও তাদের ফিতরা আদায় করা আবশ্যক।

গম বা আটা, যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনির- এ পাঁচটি জিনিস বা তার মূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা যায়। সামর্থ্যানুসারে সবার উচিত উৎকৃষ্ট জিনিস সদকা করা। রাসূল (সা.)-এর সময়ে সামর্থ্যানুযায়ী সবাই উত্তম পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতেন।

সর্বোত্তম দান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, দাতার কাছে যা সর্বোৎকৃষ্ট এবং যার মূল্যমান সবচেয়ে বেশি। (বোখারি : ১৯৭৪)।

এ বছরের সদকাতুল ফিতরের নির্ধারিত পরিমাণ‌

ইসলামী ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ' এর অনুকরণে নিম্নে এবছরের (১৪৪৫ হিজরী/২০২৪ইং) এর সদকাতুল ফিতরের বাজার মূল্য তুলে ধরা হলো:

১. উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ফিতরা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা) বা এর বাজার মূল্য ১১৫ টাকা।

২. যবের ক্ষেত্রে (এক সা) ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৪০০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।

৩. খেজুরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ৪৭৫ টাকা

৪. কিসমিসের ক্ষেত্রে  ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিস বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ১৪৫ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে।

৫. পনিরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে।

ফিতরা আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা অদ্ভুত মানসিকতার পরিচয় দেই। আমাদের দেশে সাধারণত সর্বনিম্ন পরিমাণ অর্ধ সা গম এর মূল্য হিসেবে জনপ্রতি ১০০ টাকা হিসেবে সবাই আদায় করতে চান।

কোটিপতি হতে মধ্যবর্তী সবাই সর্বনিম্ন টাকা দিয়েই দায়মুক্ত হতে চান। সবচেয়ে কম মূল্যের গমের হিসাবে সবাই সাদকা করার প্রবণতা খুব বেশি। বিষয়টি রাসূল (সা.)-এর শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।  বরং এটা তো সর্বনিম্ন সম্পদের মালিকের জন্য চলে, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে তাওফিক দিয়েছেন, তাদের অন্যান্য দ্রব্য দিয়ে সর্বোচ্চ সদকায়ে ফিতর আদায় করা উচিত। তাই সামর্থ্যানুযায়ী বেশি মূল্যের পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায়ের চেষ্টা করতে হবে।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




অন্তর্জালে ধ্রুব গানওয়ালার ‘হৃদয় যেন দূরবীন’

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অন্তর্জালে এসেছে এসময়ের কণ্ঠশিল্পী ধ্রুব গানওয়ালার নতুন গান হৃদয় যেন দূরবীন। বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকালে ধ্রুব গানওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে গানটি মুক্তি পেয়েছে।

মৌলিক এই গানটির কথামালা সাজিয়েছেন চঞ্চল মাহমুদ। দেশের খ্যাতিমান শিল্পী ও গুনী মিউজিক ডিরেক্টর সুমন কল্যাণর সঙ্গীতায়োজনে গানটির সুর করেছেন আর এক শ্রোতাপ্রিয় শিল্পী, সুরককার অলক বাপ্পা আর গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন ধ্রুব গানওয়ালা। অসাধারণ কথামার এই গানটির ভিডিওচিত্র নির্মাণ করেছেন অনিক খান।

গানটি সম্পর্কে ধ্রুব গানওয়ালা জানান, হৃদয় যেন দূরবীন গানটি আমার অত্যন্ত পছন্দের একটি গান। এই গানে দুজন গুণী মানুষ এর উপস্থিতি আছে। একজন অলক বাপ্পা ও আর একজন শ্রদ্ধেয় সুমন কল্যাণ দাদা। তারা অনেক যত্ন করে কাজটি করেছেন, আমাকে উৎসাহিত করেছেন।

ধ্রব গানওয়ালা আরো বলেন, এই গানটি সেমি ক্লাসিক্যাল ঘরানার। গানটির মিউজিক ডিরেক্টর ছিলেন দেশের একজন প্রখ্যাত শিল্পী খ্যাপার দল ব্যান্ডের প্রধান গায়ক সুমন কল্যাণ। সুরকার অলক দাদা অসাধারণ সব গানের সুরকার। তিনি সেমি ক্লাসিক্যাল সুর বেশি করেন। আমি আশা করি গানটি দর্শকদের কাছে অনেক ভাল লাগবে।

এই শিল্পী আরো জানান, এর আগে গত ৮ মার্চ কে বানাইছে দমের গাড়ি শিরোনামের আরো একটি গান প্রকাশ করি। যা দর্শক-শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। আহমেদ জিহাদের কথায় গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন প্রত্যয় খান। আর ভিডিও নির্মাণ করেছেন অনিক খান।

গানটি সম্পর্কে এই শিল্পী বলেন, দমের গাড়ি গানটি একটা দেহতাত্ত্বিক ফোক ঘরানার গান। মানব দেহ ও জীবনকে একটা গাড়ির সাথে তুলনা করা হয়েছে। এই গানটি নিয়ে শ্রোতাদের খুব ভাল সাড়া পাচ্ছি এখনও পর্যন্ত। সবাই উৎসাহ দিচ্ছেন আরো ফোক গান করার জন্য। আগামীতে আরো কিছু মৌলিক কাজ নিয়ে আসবো। সেগুলির কাজ চলছে। শ্রোতাদের ভালবাসা ও শুভকামনা প্রত্যাশা করি, যেন আমি আরো ভাল কাজ করার উৎসাহ পাই।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর, দূষিত শহরের তালিকায় সপ্তম

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে নেই স্বস্তির খবর। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর অবস্থাতে রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তবে সবচেয়ে বেশি দূষণ থাইল্যাণ্ডের চিয়াং মাই শহরের বাতাস।

এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৩ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর বায়ু হিসেবে বিবেচিত। ২৬২ স্কোর নিয়ে বায়ু দূষণের র্শীষে রয়েছে থাইল্যাণ্ডের চিয়াং মাই শহর। ২১১ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ভারতের দিল্লি শহর। এছাড়া ২০৯ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।

এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ৩৫ হাজার মুসল্লির নামাজের ব্যবস্থা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রধান জামাতে ৩৫ হাজার মুসল্লির অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, এই জামাতে নারীদের নামাজের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএসসিসি মেয়র। জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।

মেয়র তাপস বলেন, ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রায় সব প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি। আর যে একদিন আছে এর মধ্যে আমরা বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করব। গত দুই বছরের মতো ঢাকাবাসীকে আমরা আমন্ত্রণ জানাতে চাই, পরিবার-পরিজন নিয়ে এই জামাতে অংশগ্রহণ করার জন্য এবং ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য।

তিনি বলেন, এখানে ৩৫ হাজার মুসল্লির জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা আশা করছি কোনো ধরনের বৃষ্টিপাত হবে না। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আমরা সে ধরনের তথ্য পেয়েছি। কালবৈশাখী ঝড় অথবা প্রবল বৃষ্টিপাত হলেও এখানে যেন সুষ্ঠুভাবে জামাত অনুষ্ঠিত করা যায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি। পুরোটা অংশ আমরা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। যেন পানি পড়তে না পারে এবং কোনো দুর্ভোগ না হয়।

তিনি আরও বলেন, এখানে আমাদের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থাকবে এবং সব স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা থাকবে। যাতে করে কোনো মুসল্লির কোনো সমস্যা না হয়। জামাতে প্রবেশের জন্য ৪টি প্রবেশ পথ তৈরি করা হয়েছে। নারীদের জন্য আলাদা প্রবেশ পথ রয়েছে। এছাড়া জামাত শেষে বেরোনোর জন্য আরও তিনটি ফটক আমরা রেখেছি। যাতে কর দ্রুত সবাই বের হয়ে যেতে পারে।

মেয়র বলেন, মুসল্লিরা জায়নামাজ এবং ছাতা জামাতে আনতে পারবেন। তবে দেয়াশলাইসহ আগুন জালানোর কোনো সরঞ্জাম নিয়ে কাউকে জামাতে প্রবেশ না করতে সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

নিউজ ট্যাগ: জাতীয় ঈদগাহ

আরও খবর



১০ বিশিষ্টজনের হাতে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি পেলেন 'স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৪'। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তার প্রতিনিধিরা পুরস্কার গ্রহণ করেন।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।   

পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেনস্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে কাজী আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসাবিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ, সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন, সমাজ বা জনসেবায় অরন্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী ও এসএম আব্রাহাম লিংকন।

গত ১৫ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

এটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৫০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।


আরও খবর