আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

করোনার টিকা ব্যবস্থাপনা: দশে দশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
প্রথম দিকে মানুষ কিছুটা দ্বিধায় ছিল। টিকা নিলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা ভাবছিল। কিন্তু এখন তো মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধি, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি সবাই টিকা নিচ্ছেন এবং সুস্থই আছেন

আব্দুল কাইয়ুম

আজ ১০ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে করোনার টিকা নিতে গিয়ে আমি তো হতবাক! এমন চমৎকার ব্যবস্থা কল্পনাও করিনি। আমার সাংবাদিক পরিচয় না দিয়ে ভাবলাম, দেখি তো কী হয়? একটি টেবিলে তিন-চারজন কর্মী কাজ করছেন। আমার অনলাইনে করা রেজিস্ট্রেশন কার্ড দিলাম। চট করে কর্মীরা তাঁদের ফাইলে রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে পাঠিয়ে দিলেন ৬ নম্বর বুথে। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ডাক এল। একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স আমাকে বললেন, কিছু না, টেরই পাবেন না। এই তো হয়ে গেল। তারপরই বললেন, হয়ে গেছে। বাইরে আধঘণ্টা বসে তারপর যেতে পারেন।

আমি তো অবাক। ত্বকে কখন সুই ফোটানো হলো টেরই পাইনি। এত সরু সুই আমি আগে কখনো দেখিনি। আজ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় অন্তত কয়েক শ বার ইনজেকশন দিয়েছি। প্রতিবারই একটু চোখ বন্ধ করে, দম আটকিয়ে ব্যথা সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু এবারই প্রথম, ইনজেকশন কখন নিলাম, টেরই পেলাম না।

ভাবছিলাম কতই না অব্যবস্থাপনা দেখব। লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। কিন্তু কিছু না। প্রশস্ত হলঘর। আট-দশটি বুথ। প্রতিটি বুথের সামনে বসার আসন। আসুন, বসুন, ইনজেকশন নিন, ব্যস, এবার নিশ্চিন্তে চলে যান। এ তো ভাবাই যায় না। টিকা নিতে আসছেন মানুষ। আবার যত জনের ব্যবস্থা, প্রায় সমানসংখ্যক মানুষ আসছেন। কোনো চেয়ার ফাঁকা নেই, আবার উপচে পড়া ভিড়ও নেই। দুই মিনিটে ইনজেকশন শেষ, ২০-৩০ মিনিট বসে বিশ্রাম। মানুষ আসছেন আর যাচ্ছেন।

এত চমৎকার ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারের দক্ষতা সত্যি এক রেকর্ড। এর আগে আমরা দেখেছি করোনার সোয়াব টেস্টের জন্য কিছু ভুয়া ক্লিনিক গজিয়ে উঠেছে। হাজার হাজার টাকা নিয়ে মানুষকে মিথ্যা রিপোর্ট দিয়েছে। সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে একটা বার্তা দিয়েছে যে এ ধরনের অপকর্মের শাস্তি ভোগ করতে হবে। সরকার এবার টিকার ব্যাপারে বেসরকারি ভুয়া ক্লিনিকের কারসাজি বন্ধে দৃঢ় ব্যবস্থা নিয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হয়তো কিছুদিন পর বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিককে সুযোগ দিতে পারে। সেটা সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়। কিন্তু জালিয়াত চক্র যেন কোনোভাবেই ঢুকে না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

মানুষ যেন প্রতারিত না হয়। হাজার হাজার টাকা লাগবে, আবার পরে হয়তো দেখা যাবে করোনার নকল ইনজেকশনের ব্যবসা শুরু হয়ে গেছে! এ ব্যাপারে যেকোনো সিদ্ধান্তের আগে নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের বিশ্বাস, সরকার এসব বিষয়ে সচেতন।

প্রথম দিকে মানুষ কিছুটা দ্বিধায় ছিল। টিকা নিলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা ভাবছিল। কিন্তু এখন তো মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধি, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি সবাই টিকা নিচ্ছেন এবং সুস্থই আছেন। তাঁরা সবাইকে টিকা নিতে বলছেন। তাই মানুষের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কেটে যাচ্ছে। করোনাভাইরাস নির্মূল করতে টিকার বিকল্প নেই। মানুষ তো মরবেই, অর্থনীতিও ভেঙে পড়বে। তাই সরকার যে প্রথম থেকেই টিকা কেনার ব্যবস্থা নিয়েছে, সেটা ছিল সময়োচিত উদ্যোগ। এ না হলে দেশে সারা বছর করোনার বিপর্যয় ঘুরেফিরে চলত।

টিকা ছাড়া শুধু সাধারণ চিকিৎসায় এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচা কঠিন। আমরা তো দেখলাম আমাদের সহকর্মী, যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, সংবাদের সম্পাদক মুনীরুজ্জামানসহ কত সিনিয়র সাংবাদিক, চিকিৎসক, অধ্যাপকসহ অগণিত সাধারণ মানুষ কত অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করলেন। এভাবে চললে অন্তত দুই বছরে অগণিত মানুষের রোগ-শোক-মৃত্যুর পর হয়তো করোনাভাইরাসে হার্ড-ইমিউনিটি অর্জন করা সম্ভব হতো। কিন্তু সেটা হতো সবচেয়ে অমানবিক একটা ব্যাপার। সরকার যে সেটা বুঝে সময়োচিত উদ্যোগ নিয়েছে, তা এক সাংঘাতিক সুবিবেচনার পরিচয়।

এখন আমাদের দেখতে হবে যেন দেশের অন্তত ৮০-৮৫ ভাগ মানুষ টিকা নিয়ে করোনামুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেন। এ জন্য সরকারের উদ্যোগই হবে মূল। দেশের অন্তত ১৩-১৪ কোটি মানুষের টিকার ব্যবস্থা করা দরকার। এ জন্য টাকা লাগবে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিল গেটসসহ অনেক ব্যক্তি টিকার ব্যবস্থা করার জন্য হাজার হাজার কোটি ডলার দান করেছেন। অনুন্নত দেশে বিনা পয়সার ব্যবস্থা করার আন্তর্জাতিক উদ্যোগ রয়েছে। আমাদের দেশের শিল্পপতিরাও নিজ দেশের সাধারণ মানুষের জন্য বিনা পয়সায় টিকার ব্যবস্থা করার জন্য সীমিত পর্যায়ে হলেও উদ্যোগ নিতে পারেন।

একবার টিকা নেওয়ার এক মাস পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে হবে। প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার ১০ দিন পর মাত্র ৫২ ভাগ ইমিউনিটি অর্জিত হয় বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। তিন-চার সপ্তাহের মধ্য প্রায় ৯৫ ভাগ ইমিউনিটি নিশ্চিত। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার দিন দশেকের মাথায় মোটামুটি করোনাপ্রতিরোধী হওয়া সম্ভব। তাই প্রথম টিকা নেওয়ার পর আগের মতোই সবাইকে মাস্ক পরে চলাফেরা করতে হবে। এটা যতটা না নিজের নিরাপত্তার জন্য, তার চেয়ে বেশি অন্যদের সংক্রমণমুক্ত রাখার জন্য। কারণ, করোনার টিকায় নিজে রোগপ্রতিরোধী হলেও শ্বাস-প্রশ্বাস, হাঁচি-কাশির মাধ্যমে অন্যদের করোনায় সংক্রমিত করতে পারে। তাই অন্তত আরও বেশ কয়েক মাস, অন্তত এই বছরটা মাস্ক পরা অব্যাহত রাখা জরুরি।

কেউ যেন ভাববেন না, আমাদের এলাকায় করোনা নেই, টিকার দরকার কী? না, এটা ভুল। আজ হয়তো নেই, কিন্তু কাল করোনা এসে যাবে। গ্রামের পর গ্রাম ছারখার হয়ে যেতে পারে। তাই করোনার টিকা উপেক্ষা করা যাবে না। অন্তত ১০ বছরের বেশি বয়সের সবাইকে করোনার টিকা নিতে হবে। পর্যায়ক্রমে সে ব্যবস্থা সরকার করবে, এটাই আমরা চাই।

সূত্র: প্রথম আলো


আরও খবর



ঈদের আগের‌ দিন ফাঁকা বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌ক

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প‌রিবা‌রের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভা‌গি কর‌তে বা‌ড়ি যা‌চ্ছেন মানুষজন। ত‌বে আজ মহাসড়‌কে নেই তেমন কোনো প‌রিবহন। দু্ই-তিন প‌রিবহ‌ন দেখা গে‌লেও ঈদের আগের দিন মহাসড়ক ফাঁকা র‌য়ে‌ছে। ফ‌লে কোনো ভোগা‌ন্তি ছাড়াই স্ব‌স্তি নি‌য়ে বা‌ড়ি যা‌চ্ছেন ঘরমুখো মানুষজন। আজ বুধবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কে এমন চিত্র দেখা‌ গে‌ছে।

দেখা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কের রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্ত্বর এলাকায় তেমন কোনো প‌রিবহন উত্তরবঙ্গের দি‌কে যে‌তে দেখা যায়‌নি। দুই-‌তিনটা ক‌রে প‌রিবহন গ‌তি‌ নি‌য়ে চলাচল কর‌ছে। এছাড়াও মহাসড়‌কে তেমন কোনো যাত্রীও নেই। ত‌বে কিছু মানুষজন বাস না পে‌য়ে ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রা‌ক ও পিকআপে যা‌চ্ছেন।

জানা যায়, চির‌চেনা এই মহাসড়‌কে প্রতিবছরই ঈদের আগের রা‌তেও ব‌্যাপক মানু‌ষের স্রোত থাকে। ফ‌লে প‌রিবহ‌নের চাপ ছিল মহাসড়‌কে। এতে আইনশৃঙ্খলা বা‌হিনীর সদস‌্যদের মহাসড়‌কের প‌রিবহন চলাচল স্বাভা‌বিক কর‌তে হিমশিম খেত। জেলা পুলিশের নানা পদক্ষেপের কারণে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন মানুষজন।

ত‌বে গতকাল মঙ্গলবার চরম ভোগা‌ন্তি‌তে পড়‌তে হ‌য়ে‌ছিল উত্তরব‌ঙ্গের ঘরমুখো মানু‌ষদের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়‌কেই প্রচণ্ড রো‌দের ম‌ধ্যে যানজ‌টের কব‌লে প‌ড়ে‌ছিল। প‌রে বঙ্গবন্ধু সেতু‌র প‌শ্চিম টোলপ্লাজা বন্ধ রে‌খে সেতু‌তে একমুখী ক‌রে উত্তরব‌ঙ্গের দি‌কে প‌রিবহনগু‌লো ছে‌ড়ে দেওয়ায় টাঙ্গাইলের মহাসড়‌কে প‌রিবহ‌নের চাপ ক‌মে‌ছিল। মঙ্গলবার সকাল থে‌কে বিকেল পর্যন্ত পরপর দুইবার দুই ঘণ্টা ক‌রে প‌শ্চিম টোলপ্লাজায় ঢাকাগামী লেন বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।

মহাসড়কে দায়িত্বরত এক পু‌লিশ সদস্য জা‌নান, বুধবা‌রে ঈদ হ‌বে এই টা‌র্গেটে এবং সব প্রতিষ্ঠান আগেই ছু‌টি হ‌য়ে যাওয়ায় মানুষ আগে থে‌কেই বা‌ড়ি‌তে যাওয়া শুরু ক‌রে‌ছিল। ত‌বে মঙ্গলবার গা‌র্মেন্টসের লোকজনসহ অন‌্যান‌্যরা একসঙ্গে রওনা হওয়ায় মহাসড়কে চাপ বে‌ড়ে‌ছিল। ত‌বে আজ‌কে তেমন মানুষ বা‌ড়ি যাওয়ার নেই। যারা যাওয়ার তারা চ‌লে গে‌ছেন। ফ‌লে মহাসড়‌কে তেমন প‌রিবহন নেই। একদম ফাঁকা মহাসড়ক।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর আশরাফ জানান, মহাসড়‌কে তেমন প‌রিবহন নেই। পরিবহনগু‌লো স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তেই চলাচল কর‌ছে। উত্তরবঙ্গগামী মানুষজন স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন। 


আরও খবর



মানুষের কষ্ট লাঘবে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের কষ্ট হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার চেষ্টা করছে সেই কষ্ট লাঘবের। ৫৪তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসের শুরুতে খেজুর, আমদানি করা ফল, লেবু, তরমুজ, পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা চড়া ছিল। তবে এসব পণ্যের দাম কয়েক দিনের মধ্যেই স্বাভাবিক ও সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হয়। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের কষ্ট লাঘবের।

তিনি বলেন, এবারের রমজান মাসকে সামনে রেখে আমরা বেশ আগে থেকেই চিনি, ছোলা, ডাল, ভোজ্য তেলসহ কয়েকটি পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ গড়ে তুলি। একচেটিয়া বাজার তৈরি করে অধিক মুনাফা যাতে কেউ করতে না পারে সেজন্য ভারত হতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ এবং প্রায় সমপরিমাণ আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি রমজান মাসের শুরু হতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য রাজধানী ঢাকার অন্তত ২৫টি স্থানে ট্রাকে করে মাছ, মাংস, ডিম এবং দুধ সুলভমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, টিসিবি প্রথম পর্যায়ে সারাদেশের এক কোটি কার্ডধারী পরিবারের জন্য সুলভমূল্যে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি এবং ছোলা এই পাঁচটি পণ্য বিতরণ করছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকার কার্ডধারী পরিবারের জন্য চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুর এই ৬টি পণ্য বিতরণ করছে। ঈদ উপলক্ষে সারাদেশের ১ কোটি ৬২ হাজার ৫৮০০ পরিবারের জন্য সরকার এক লাখ ৬২৮ মেট্রিক টন চালের বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতি পরিবার বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল পাবেন।

সরকার প্রধান আরও বলেন, আমরা এ বছর সরকারিভাবে এবং দলগতভাবে ইফতার পার্টির আয়োজন নিরুৎসাহিত করেছি। আওয়ামী লীগ এবং এর সকল সহযোগী সংগঠন নির্দেশমত তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত গরিব-দুঃস্থদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

১০ দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম আবার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

আজ বৃহস্পতিবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষর করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এ দাম আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকে কার্যকর হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৩৮৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৮ হাজার ৮০১ টাকা।

এর আগে গত ৮ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এতে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম হয় ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮০ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

গত ৬ এপ্রিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের ৯৪ হাজার ৭৭০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় ৭৮ হাজার ৯৬৫ টাকা।


আরও খবর
ফের ২০ বিলিয়নের নিচে নামল রিজার্ভ

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ভাড়া নিয়ে বিতণ্ডা, যাত্রীদের পিটুনিতে চালক-হেলপারের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভারের আশুলিয়ায় ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে যাত্রীদের পিটুনিতে ইতিহাস পরিবহনের একটি বাসের চালক ও হেলপারের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে গাজীপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকায় (ডিইপিজেড) এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন ইতিহাস পরিবহনের বাস চালক সোহেল রানা বাবু (২৬) ও হেলপার হৃদয় (৩০)। বাস চালক সোহেল মিরপুরের ফুরকান হোসেনের ছেলে। অপরদিকে হেলপার হৃদয় ময়মনসিংহ ফুলপুর এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, দুপুরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের চন্দ্রাগামী ইতিহাস পরিবহনের বাসের চালক ও হেলপারের সাথে যাত্রীদের ভাড়া নিয়ে বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত যাত্রীরা বাসের চালক ও হেলপারকে মারধর করে। পরে পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে আহত অবস্থায় গাজীপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মাসুদুর রহমান ঢাকা ঘটনার সত্যতা ও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ভাড়া নিয়ে বিতণ্ডার জের ধরে যাত্রীদের সাথে মারধরের ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনায় তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



গুলশানে বহুতল ভবনে আগুন

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গুলশানের একটি বহুতল ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক বলেন, বিকেল চারটার পর গুলশান-১ এর এ ডব্লিউ আর টাওয়ারের আগুনের সংবাদ পেয়ে সেখানে ৬টি ইউনিট পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিক সংবাদে জানা গেছে, ওই ভবনের একটি ফ্লোরে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।


আরও খবর
ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪