আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

করোনা: মৃত্যু নেই, নতুন শনাক্ত ৮৮

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৪ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৫ হাজার ৭৪৫ জনে। এ সময়ে করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ৪২৫ অপরিবর্তিত রয়েছে।

 শুক্রবার (৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৪১ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮২ হাজার ১১৪ জন।

২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬৯৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ২ হাজার ৭০৬টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। 

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

নিউজ ট্যাগ: করোনাভাইরাস

আরও খবর



ট্রেনে ঈদযাত্রা : শুরুতেই বিলম্ব ধূমকেতু

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) থেকে বিশেষ ট্রেন যাত্রা শুরু হয়েছে। তবে ঢাকা থেকে ট্রেনের শিডিউল ধরে রাখার পথে রেলওয়ের শুরুতেই খানিক ধাক্কা খেয়েছে।

রাজধানী শহর ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে প্রথম ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস (৭৬৯) ঢাকা স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা সকাল ৬টায়। কক্সবাজারগামী দ্বিতীয় ট্রেন পর্যটক এক্সপ্রেস (৮১৬) ছেড়ে যাওয়ার কথা সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে। কিন্তু পর্যটক এক্সপ্রেস ৫ মিনিট বিলম্ব নিয়ে ৬ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ছেড়ে গেলেও সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ধূমকেতু এক্সপ্রেস ঢাকা ছাড়তে পারেনি। ট্রেনটি তখন পর্যন্ত ৪ নম্বর প্লাটফর্মে অবস্থান করছিল। তৃতীয় ট্রেন সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস (৭০৯) ৪ মিনিট বিলম্ব নিয়ে সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে ১ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ঢাকা ছেড়ে গেছে।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, প্ল্যাটফর্ম এলাকায় যেন কোনো টিকিটবিহীন ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যার ফলে ঢাকা স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম এলাকায় অবাঞ্ছিত কোনো মানুষ সহজে প্রবেশ করতে পারবে না। এত করে প্লাটফর্ম চত্বরের পরিবেশ ভালো থাকবে।

ট্রেন যাত্রায় যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে প্লাটফর্ম এলাকায় প্রবেশের মুখে ‍র‌্যাব, পুলিশ এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। প্লাটফর্মে প্রবেশের মুখে ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনারা (টিটিই) অবস্থান করছেন। তারা যাত্রীদের টিকিটের সঙ্গে এনআইডি মিলিয়ে দেখার কাজটি করছেন। যাদের টিকিট নেই, তারা কাউন্টারে গিয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিট সংগ্রহ করছেন। তারপর যাত্রীরা পরিচ্ছন্ন একটি পরিবেশের মধ্য দিয়ে প্ল্যাটফর্ম হয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যের ট্রেনে উঠছেন।

ঈদ উপলক্ষ্যে এবার ঢাকা থেকে বহির্গামী আসন সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫০০টি। এসব আসন গত ২৪ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত শতভাগ অনলাইনে বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়া আজ থেকে ঈদ পরবর্তী ফিরতি যাত্রার আসন বিক্রি শুরু হবে। সকাল ৮টায় বিক্রি শুরু হবে পশ্চিমাঞ্চলের আসন এবং দুপুর ২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের আসন।

ঈদ উপলক্ষ্যে ট্রেন যাত্রা পরিদর্শন করতে দুপুর দেড়টায় ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের আসার কথা রয়েছে। তিনি স্টেশন চত্বর ঘুরে দেখবেন এবং যাত্রীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন।


আরও খবর



ঈদে ঘুরতে যাচ্ছেন? খরচ বাঁচানোর উপায় জেনে নিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

রহমতের মাস মাহে রমজানের পর কড়া নাড়ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদ মানেই আনন্দ ও খুশির জোয়ার। সবাই চায় এই সময়টাতে পরিবার পরিজনের সাথে খুশির সময়টা ভাগাভাগি করতে। আর তাই ঈদকে সামনে রেখে সবাই নাড়ীর টানে বাড়ি ফিরা শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। আবার অনেকে ঈদের এই ছুটিতে বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশে বা দেশের বাহিরে বিভিন্ন পর্যটন স্থানে যাবে ঘুরতে। এই ঘোরাঘুরিতে খরচ তো থাকবেই। তবে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে পারলে বাজেটের মধ্যে ঘোরাঘুরি সারা সম্ভব। চলুন জেনে নেই কয়েকটি বিষয়।

যাতায়াতে মিতব্যয়ী হোন : ভ্রমণে প্রথমধাপে যেই খরচটা হয় তা হচ্ছে যাতায়াতের খরচ। তাই যাতায়াতে মিতব্যয়ী হতে হবে। কোনো কোনো দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি তুলনামূলক কম ব্যস্ত বিমানবন্দর বেছে নেয়ার সুযোগ পাবেন, আর সেখান থেকে আপনার গন্তব্য শহরটিতে যাওয়ার জন্য মানসম্মত গণপরিবহনও পাওয়া যেতে পারে। কম ব্যস্ত বা কম জনপ্রিয় বিমানবন্দরে যেতে খরচটা একটু কম পড়বে। আর গণপরিবহনের খরচ তো কমই। তাই কোথাও যাওয়ার আগে সেখানকার যাতায়াত ব্যবস্থা এবং খরচ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। বেঁচে যাবে অনাকাঙ্ক্ষিত খরচ। দেশে বেড়ানোর ক্ষেত্রেও ভাড়া গাড়ির চেয়ে স্থানীয় পরিবহন ব্যবহার করুন।

বুঝেশুনে প্যাকেজ অফার নিন : কাঙ্ক্ষিত স্থানে যাওয়ার পর থাকা খাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করতে হয়। এর জন্য রিসোর্টে থাকা এবং খাওয়াদাওয়ার সুবিধা নিয়ে থাকলেও কিন্তু আপনি শেষমেশ বাড়তি খরচের চাপে পড়তে পারেন। যেমন খাবার খরচসহ থাকার জায়গা বুকিং দিয়েছেন। কিন্তু ওখানে গিয়ে স্থানীয়দের অন্য ধাঁচের কোনো মজাদার খাবার দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারলেন না। খরচ করে খেয়ে নিলেন সেই খাবার। ওদিকে রিসোর্টে ওই বেলার খাবার খরচটাও কিন্তু আপনাকে ঠিকই দিতে হচ্ছে। ফলে শুধুমাত্র থাকার জন্য রিসোর্ট বুকিং দিয়ে খাবারের খরচটা বাহিরে করলে হোটেলের বিল কম আসবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন ছাড়া কম খরচের হোটলেরুম বা রিসোর্টে উঠতে পারেন।

সাথে শুকনো খাবার রাখুন : ভ্রমণের সময় লাগেজে কিছু শুকনা খাবার রাখুন। বিদেশে গেলে ভিনদেশি মুদ্রায় এসব কিনতে যে বাড়তি খরচটা হতো তা অবশ্যই বেঁচে যাবে। আর হুটহাট ক্ষুধা পেলেও সঙ্গে থাকা খাবার খাওয়া যাবে। দেশেও অপ্রচলিত স্থানে গেলে সহজে খাবারটাও পেয়ে যাবেন।

উপহারে অপচয় নয় : অনেকেই ভ্রমণে গিয়ে আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের জন্য উপহার কিনে থাকেন। এতে অনেক খরচ হবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দামি কিছু উপহার না দিয়ে বা মার্কেট থেকে না কিনে স্থানীয় বাজার থেকে কিছু কিনুন। এতে কম খরছে ভালো কিছু কেনা যাবে। তাছাড়া স্থানীয় মানুষের তৈরি হস্তশিল্পসামগ্রী সরাসরি তাদের কাছ থেকে কেনার সুযোগ পেলে সেটাও কাজে লাগাতে পারেন। উপহার হিসেবে এগুলো দারুণ।


আরও খবর



৮ ও ৯ এপ্রিল ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়া যাবে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ৮ ও ৯ এপ্রিল সরকারি অফিস খোলা থাকবে। তবে এবার ঈদে ঐচ্ছিক ছুটির একটা ব্যবস্থা আছে। নিয়মানুযায়ী সেই ছুটি নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। সোমবার (০১ এপ্রিল) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী এবার রমজান ৩০ দিন হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এর ফলে ঈদুল ফিতর হতে পারে ১১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার)। ১১ এপ্রিলকে ঈদুল ফিতরের দিন ঠিক করে ছুটির তালিকা করেছে সরকার। ক্যালেন্ডারে যেভাবে ছুটি করা আছে, ওভাবেই ছুটিটা থাকবে। ৮ ও ৯ তারিখে অফিস খোলা থাকবে। ওখানে (মন্ত্রিসভার বৈঠক) আলোচনা হয়েছিল। বিস্তারিত আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

৯ এপ্রিল কেউ ছুটি চাইলে দেওয়া হবে কি না? জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের ঐচ্ছিক ছুটির একটা ব্যবস্থা আছে। যারা ঐচ্ছিক ছুটি নিতে নির্ধারিত পদ্ধতিতে আবেদন করবেন তারা তো তা নিতেই পারবেন। এটার (ঐচ্ছিক ছুটি) জন্য আলাদা নির্দেশ দেওয়ার দরকার নেই। এটা আমাদের ছুটি বিধিতেই আছে। প্রতি বছর আমরা যখন ক্যালেন্ডারটা করি, সেই ক্যালেন্ডারের নিচে ঐচ্ছিক ছুটির কথা লেখা থাকে।’

আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় ঈদের ছুটি নিয়ে অনির্ধারিত আলোচনা হয়।

এর আগে গতকাল রবিবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি আগামী ৯ এপ্রিল ছুটি রাখার সুপারিশ করে। কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপদাহ, হিট এলার্ট জারি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপদাহ। গত দুইদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণীকুল। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র তাপদাহে হিট এলার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে।

দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তাপে গরম অনুভূত হচ্ছে। তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে চারপাশে। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বাইরে নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, ইজিবাইকচালক ও ভ্যান-রিকশা চালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদেরকে। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না। ছন্দপতন ঘটছে দৈনন্দিন কাজকর্মে। তাপদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, তীব্র তাপদাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।


আরও খবর



ঈদের আনন্দ থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয়: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদেরকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপ্রধান বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বক্তব্যে দেশবাসীকে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে ঈদের আনন্দ মিলেমিশে উপভোগের অনুরোধ জানান।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিনি দেশে ও প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান। এই ঈদের মধ্যেও ফিলিস্তিনসহ বিশ্বব্যাপী অনেক মানুষ অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছেন উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি ফিলিস্তিনের নির্মমতার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, একজন মানুষ হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব তাদের পাশে দাঁড়ানো। তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করা।

মনে রাখতে হবে দুঃখ একলা ভোগ করা যায়, কিন্তু আনন্দ একলা ভোগ করা যায় না-সকলকে নিয়ে আনন্দ করতে হয়, বলেন রাষ্ট্রপতি।

মো. সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তুলুক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের বন্ধন। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম উল্লেখ করে রাষ্ট্র প্রধান বলেন, মানবিক মূল্যবোধ, সাম্য, পারস্পরিক সহাবস্থান ও সহযোগিতা- ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ঈদের আনন্দ থেকে পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার ও তাগিদ দেন।

তিনি ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্মাট বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। এর আগে রাষ্ট্রপতি এবং তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

রাষ্ট্রপতি রাজনীতিবিদ, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, কূটনৈতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিচারক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর