আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

করোনা মহামারিতে কেমন কেটেছে শরণার্থীদের জীবন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সৌভাগ্যক্রমে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শরণার্থী মৃত্যুর ঘটনা খুব কমই ঘটেছে। শরণার্থী শিবিরগুলোতে করোনা মহামারি যতটা অনুমান করা হয়েছিল ততটা ছড়ায়নি। এরপরও শরণার্থীদের জন্য ২০২০ ছিল একটি কঠিন বছর। করোনাভাইরাস থেকে শারীরিকভাবে তারা বাঁচতে পেরেছেন ঠিকই, কিন্তু এটাকে তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছে বিভিন্ন দেশ।

বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিতে গিয়ে বছরজুড়ে বিভিন্ন দেশে তিন হাজার দুইশোর বেশি শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই সাগরপথে অন্য দেশে পাড়ি দিতে গিয়ে মারা গেছে। এ বছর স্প্যানিস ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ থেকে সুদান পর্যন্ত নতুন করে শরণার্থী সঙ্কট শুরু হয়েছে।

বহু শরণার্থীকে বঙ্গোপসাগর এবং ভূমধ্যসাগরে কয়েক মাস ধরে ক্ষুধা-তৃষ্ণা নিয়ে ভেসে থাকতে হয়েছে। করোনা মহামারির ঝুঁকির কথা বলে তাদেরকে গ্রহণ করা হয়নি। সেপ্টেম্বরে গ্রিসের শরণার্থী শিবির মরিয়ায় একটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই শিবিরটিতে ১৩ হাজার শরণার্থীর বসবাস এবং সেখানকার অবস্থা অত্যন্ত মানবেতর। এদিকে গত অক্টোবরে সেনেগাল উপকূলে ১৪০ জন শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। পুরো বিশ্ব করোনা মহামারি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এই ঘটনাগুলো সেভাবে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেনি।

মানবাধিকার কর্মী ও শরণার্থীদের অভিজ্ঞতা:

দিয়ানা জয়নাব আলহিনদাওয়ী সাবেক শরণার্থী ও একজন ফটোগ্রাফার। তিনি বলেন, চলতি মাসের শুরুর দিকে আমি গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে ফিরে আসি। এই দেশকে আমি আমার দ্বিতীয় আবাস বলে মনে করি। আমি কঙ্গোর ইতুরি প্রদেশে অবস্থান করছি। গত মার্চ থেকে এখানে জাতিগত সহিংসতা চলছে। শুধু ইতুরিতেই গৃহহীন হয়েছে ১৬ লাখ মানুষ। করোনার প্রকোপের মধ্যে হয়তো আপনারা এ ব্যাপারে অল্পই জেনেছেন অথবা কিছুই জানেননি।

পুরো বিশ্ব এই ঘটনায় অনেকটাই উদাসীন। এই অসহায় মানুষগুলোকে নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যথাই নেই। আমার নিজের দেশে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শরণার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পাওয়ার বিষয়টিকে ক্রমশ কঠিন করে তুলেছেন। এ বছর ট্রাম্প প্রশাসনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার শরণার্থীদের আশ্রয় না দেওয়াকে ন্যায়সঙ্গত করার জন্য করোনাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।

তিনি বলেন, আমার পরিবারও একসময় শরণার্থী ছিল। এখন আমার চিকিৎসক বাবা যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জীবন বাঁচানোর জন্য কাজ করছেন।

১৯৮৭ সালে আমরা তৎকালীন কমিউনিস্ট রোমানিয়া থেকে পালিয়ে এসেছিলাম। আমার বাবা তার জন্মভূমি ইরাকেও ফিরতে পারেননি; সেখানে তখন সাদ্দাম হুসেনের শাসন চলছিল। সে সময় আমার বাবার পরিবার ইরাক সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পাওয়ার কারণে আমরা আমাদের ভাগ্য বদলাতে পেরেছি। যদি আজকের পৃথিবীতে আমরা শরণার্থী হিসেবেই থাকতাম, তাহলে আমাদের ভাগ্য বোধহয় অন্যরকম হতো।

গ্রিসে আশ্রয় নেওয়া আফগান শরণার্থী আজিজ বারবারি বলেন, ২০২০ সাল এখন পর্যন্ত আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ বছর। আমি এই পুরো বছরটি মরিয়া ক্যাম্পে কাটিয়েছি। এ বছর কোনো দিক থেকেই এখানে কোনো সাহায্য আসছে না। অপেক্ষা করতে করতে আমরা সাহায্য পাওয়ার আশাই ছেড়ে দিয়েছি।

রাজনীতিবিদরা কী করছে তা নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। তারা যা চায় তাই করে এবং অন্যরা নিঃশব্দে সেটা দেখে। অনেকটা আক্ষেপের সুরেই তিনি বলেন, মানুষ কীভাবে চোখ বন্ধ করে থাকে? অল্পবয়সী মেয়েরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। শিশুদের আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই শীতে শিবিরগুলোতে ঠাণ্ডায় জমে যাওয়া মানুষ, সমুদ্রে ডুবে যাওয়া মানুষ অথবা শুধু খাবার চেয়ে চপেটাঘাত খাওয়া মানুষদের ব্যাপারে কারো যেন কোনো মাথাব্যথা নেই।

নিউজ ট্যাগ: শরণার্থী শিবির

আরও খবর



ক্যাসিনো সম্রাট সেলিম প্রধানের মনোনয়ন বাতিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দেয়া ক্যাসিনো কান্ডে আলোচিত অনলাইন ক্যাসিনো সম্রাট সেলিম প্রধানের মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়ন যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠানে তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ জানান, সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে দুদকের এক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাভোগের অভিযোগ করেছে অন্য প্রার্থীরা। এ সময় তার আইনজীবী সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। ফলে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সেলিম প্রধানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

এ বিষয়ে সেলিম প্রধানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন বলেন, সকল প্রকার পেপারস দেওয়ার পরও মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। আমরা হাইকোর্টে আপিল করবো। আশা করি হাইকোর্টে সেলিম প্রধান মনোনয়ন ফিরে পাবো।

উল্লেখ্য, নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭-২৯ এপ্রিল, মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২ মে এবং ২১ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ভোটগ্রহণ চলছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গনে চলবে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে ঠাঁই পেতে এবারের নির্বাচনে ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুই প্যানেলের একটিতে আছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল আর অন্যটিতে আছেন সোনালি দিনের নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।

মিশা-ডিপজল পরিষদের হয়ে নির্বাচনে সহ-সভাপতির পদে লড়বেন মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডি এ তায়েব। এছাড়া সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।

এছাড়াও কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন অভিনেত্রী সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন, ফিরোজ মিয়া।

অন্যদিকে, মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলের প্রার্থী হয়েছেন- সহ-সভাপতি পদে ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান। সহ-সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা আজাদ খান।

কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদের হিসেবে থাকছেন সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো. সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।

এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রয়েছেন খোরশেদ আলম খসরু। সদস্য হিসেবে আছেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান। মোট ভোটার সংখ্যা ৫৭১ জন। তারাই বেছে নেবেন আগামী দুই বছরের চলচ্চিত্র শিল্পীদের নেতা-অভিভাবক।


আরও খবর



রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

ইতিকাফের শাব্দিক অর্থ হলো অবস্থান করা, কোনো বস্তুর ওপর স্থায়ীভাবে থাকা। ইতিকাফের মধ্যে নিজের সত্তাকে আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের মধ্যে আটকিয়ে রাখা হয় এবং নিজেকে মসজিদ থেকে বের হওয়া ও পাপাচারে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত রাখা হয়। শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফের নিয়তে কোনো পুরুষ লোক এমন কোনো মসজিদে অবস্থান করবে যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সাথে আদায় করা হয় এবং মহিলারা নিজ ঘরে সালাতের স্থানে কোনো নির্জন কামরায় অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলা হয়।

ইতিকাফের উদ্দেশ্য হলো- দুনিয়ার সবরকম ঝামেলা থেকে নিজেকে মুক্ত করে মহান আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্য লাভের নিমিত্তে একমাত্র তারই ইবাদতে মশগুল থাকা। যে মসজিদে নিয়মিতভাবে আজান, ইকামতসহকারে পাঁচ ওয়াক্ত জামাতের সাথে সালাত আদায় করা হয় সেই মসজিদেই ইতিকাফ করা অধিকতর সহিহ হবে। ইতিকাফের সর্বোত্তম স্থান হলো মসজিদুল হারাম, অতঃপর ওই সব জুমার মসজিদ যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সাথে আদায় করা হয়। এরপর সেই মসজিদ যেখানে মুসল্লির সংখ্যা অধিক হয়ে থাকে। (শামি, দ্বিতীয় খণ্ড ও আলমগিরি, প্রথম খণ্ড)

ইমাম আবু হানিফা রহ: বলেন, ইতিকাফ সহিহ হবে এমন মসজিদে যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সাথে আদায় করা হয়। (হিদায়া, প্রথম খণ্ড)

মহিলারা ঘরে সালাতের জন্য নির্ধারিত স্থানে ইতিকাফ করবেন। নামাজের স্থান নির্ধারিত না থাকলেও ইতিকাফে বসার সময় তা নির্ধারণ করে নিলেও সহিহ হবে। মহিলাদের জন্য মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরুহ। (ফাতয়ায়ে শামি, দ্বিতীয় খণ্ড)

মানতের ইতিকাফ করার জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক। সুতরাং মানতের ইতিকাফ কমপক্ষে এক দিন হতে হবে। কেননা, এক দিনের কম সময়ে রোজা শুদ্ধ হয় না। এ ছাড়া রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া। নফল ইতিকাফের জন্য নির্ধারিত কোনো সময় নেই এবং তা পালনের জন্য রোজা রাখাও শর্ত নয়। এ ইতিকাফ অল্প কিছুক্ষণের জন্যও হতে পারে এমনকি মসজিদে না বসেও আদায় করা সহিহ হবে। (তাহতাবি)

ইতিকাফের উপকারিতা : ইতিকাফের ফজিলত ও উপকারিতা অপরিসীম। দুনিয়ার সব রকম ঝামেলা থেকে সম্পূর্ণভাবে নিজেকে মুক্ত করে একান্ত নিরিবিলি নিভৃতে মহান আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করার জন্যই ইতিকাফ করা হয়। ইতিকাফকারী পুরুষ হোক বা মহিলা তারা বহু ধরনের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারেন। ইতিকাফকারী ব্যক্তির পুরো সময়টাই ইবাদতের মধ্যে গণ্য হয়ে থাকে। আতা আল খুরাসানি রহ: বলেছেন যে, ইতিকাফকারী সেই ব্যক্তির মতো, যে নিজেকে মহান আল্লাহ তায়ালার সামনে সোপর্দ করে দিয়েছে এবং বলেছে যে, আমি এ স্থান ত্যাগ করব না, যতক্ষণ না আমাকে ক্ষমা করা হয়। এ জন্যই ইতিকাফের গুরুত্ব অপরিসীম যে, ইতিকাফের মাধ্যমে বান্দা তার নিজেকে মহান মনিবের ঘরে ইবাদতে মশগুল থেকে তার অসহায়ত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে থাকে। (বাদউস সনায়ি, দ্বিতীয় খণ্ড)

হজরত সাঈদ ইবনে জুবাইর হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণনা করেন- রাসূলুল্লাহ সা: ইতিকাফকারী ব্যক্তি সম্পর্কে বলেছেন, সে ইতিকাফ এবং মসজিদে বদ্ধ থাকার করণে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে এবং তার নেকির হিসাব সবধরনের নেককাজ সম্পাদনকারী ব্যক্তির মতো জারি থাকে। (ইবনে মাজাহ)

রমজানে ইতিকাফের গুরুত্ব : আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: রমজান মাসের শেষ দশকে সারা রাত জেগে থাকতেন, নিজের পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে রাখতেন, ইবাদতে কঠোর পরিশ্রম করতেন এবং উম্মুল মুমিনিনদের থেকে দূরে থাকতেন। (সহিহ মুসলিম)

হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: রমজান মাসের তৃতীয় দশকে অধিক পরিশ্রম করতেন, যে রকম কঠোর পরিশ্রম অন্য কোনো মাসে করতেন না। (সহিহ মুসলিম)

হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: প্রত্যেক রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন; কিন্তু যে বছর তিনি ইন্তেকাল করলেন, সে বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফ করেছেন। (সহিহ বুখারি)

আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: সর্বদা রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন; কিন্তু এক বছর তিনি সফর করার কারণে পরের বছর ২০ দিন ইতিকাফ করেছেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ)

হজরত ইবনে উমর রা: রাসূলুল্লাহ সা: থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সা: যখন ইতিকাফ করতেন তখন তাঁর জন্য বিছানা বিছানো হতো (আবু লুবাবা ইবনে মুনজির) রা:-এর তাঁবুর খুঁটির পাশে। (সুনানে ইবনে মাজাহ)

হজরত আবু সাঈদ খুদরি রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: তুর্কি তাঁবুতে রমজানুল মুবারকের প্রথম ১০ দিন ইতকাফ করলেন। এর পর দ্বিতীয় ১০ দিনও এরপর তাঁবু থেকে মাথা বের করে বললেন, আমি এই (কদরের) রাতে অনুসন্ধানে প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করেছি। এর পর দ্বিতীয় ১০ দিনও। তারপর স্বপ্নে একজন ফেরেশতা এসে আমাকে বললেন, এ রাতটি রমজানের শেষ দশকে। কাজেই যে ব্যক্তি আমার সাথে ইতিকাফ করেছে সে যেন শেষ ১০ দিনও ইতিকাফ করে। আমাকে এ রাতটি দেখানো হয়েছিল এবং তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। (আমি স্বপ্নে) দেখেছি, এ রাতের সকালে ফজরের সালাতে আমি পানি ও কাদামাটিতে সিজদা করেছি। তোমরা এ রাতের অনুসন্ধান করবে শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে। বর্ণনাকারী বলেন, ছাদ থেকে ওই বৃষ্টি হয়েছিল, তখন মসজিদের ছাদ খেজুরগাছের ডালা দিয়ে নির্মিত ছাপড়ার মতো ছিল। এতে মসজিদের ছাদ থেকে পানি টপকিয়ে পড়েছিল। বর্ণনাকারী সাহাবি বলেন, রমজানুল মুবারকের ২১ তারিখ সকালে রাসূলুল্লাহ সা:-এর কপাল মুবারকে আমি নিজ চোখে কাদামাটির চিহ্ন দেখেছি। (মিশকাত )

নিউজ ট্যাগ: ইতিকাফ

আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকে হামলা চালায় কুকি চিন : পুলিশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কম সময়ের মধ্যে মোটা অঙ্কের টাকা জোগাড় করতে বান্দরবানে ব্যাংক তিনটিতে পরিকল্পিতভাবে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ হামলা চালায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নুরে আলম মিনা এ কথা জানান।

গত মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার দুপুরে বান্দরবানের রুমা এবং থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র লোকজন। তারা টাকা লুট করার পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করে। এছাড়া একজন ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র ও গুলি ছিনিয়ে নেয় তারা।

রুমায় সোনালী ব্যাংকে হামলা-ডাকাতি এবং ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে অপহরণের ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতে প্রথম ভাগে ঘটলেও; থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে হামলা হয়েছে ভরদুপুরে।

দুটি ঘটনাতেই পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ জড়িত বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বুধবার বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও এ ঘটনায় কেএনএফের নাম নিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার সকালে রুমা উপজেলা হাসপাতালে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আহত দুই পুলিশ সদস্যকে দেখতে যান ডিআইজি নুরে আলম মিনা। এর আগে তিনি ডাকাতি হওয়া সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখা কার্যালয় পরিদর্শন করেন।

ডিআইজি বলেন, রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা একই ধরনের এবং একই চক্রের মনে হচ্ছে। ব্যাংকে ডাকাতির এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। এপ্রিল মাসে কয়েকটি উৎসব থাকায় ব্যাংকে বেশি অর্থ থাকার সুযোগে সন্ত্রাসীরা ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে।

এদিকে, বুধবার থেকে নিরাপত্তাজনিত কারণে জেলা সদর ব্যতীত বান্দরবানের অন্য ৬ উপজেলার ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। পরপর তিন ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় জেলাজুড়েও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নিউজ ট্যাগ: কুকি চিন

আরও খবর



বাংলাদেশের নতুন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

পাকিস্তানের সাবেক লেগস্পিনার এবং বিশ্বকাপজয়ী মুশতাক আহমেদকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের নতুন স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

চলতি মাসের শেষদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দেবেন তিনি। মুশতাকের সঙ্গে বিসিবির চুক্তি হয়েছে চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ১ জুন থেকে মাঠে গড়াবে এই বিশ্বকাপ।

৫৩ বছর বয়সী মুশতাকের আগে ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ড দলের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। নিজ দেশ পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও স্পিন কোচ ছিলেন তিনি।

খেলোয়াড়ি জীবনও বেশ সমৃদ্ধ ছিল মুশতাক আহমেদের। পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে ১৫২ টেস্টে ১৮৫ এবং ১৪৪ ওয়ানডেতে নিয়েছেন ১৬১ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার নামের পাশে ১ হাজার ৪০৭ উইকেট রয়েছে। ১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন মুশতাক আহমেদ।


আরও খবর