চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক
মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় ১৮০০ মানুষ। একই সময়ে
ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে সোয়া ৮ লাখের নিচে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি
সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে
ব্রাজিল। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, মেক্সিকো, অস্ট্রেলিয়া,
জাপান ও ফ্রান্স। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৭ কোটি ৯২ লাখের
ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৪ লাখ ১৩ হাজার।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকালে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ
তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৭৯১
জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে প্রায় একশো। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের
সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৮২ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত
হয়েছেন ৮ লাখ ২১ হাজার ৫১৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা
বেড়েছে ৩৮ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর
সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ কোটি ৯২ লাখ ৮২ হাজার ৫২০ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে
বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
হয়েছেন ২ লাখ ৭ হাজার ২৩৬ জন এবং মারা গেছেন ১২২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব
এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ১৮ লাখ ৮৮ হাজার ৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন
এবং ৩২ হাজার ১৭০ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে
উঠে এসেছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার এই দেশটি করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর
সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে
মারা গেছেন ২৭৬ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৫ হাজার ৩০৭ জন। অপরদিকে মহামারির
শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৫২ হাজার ৩৭৬ জন
এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ১৪৭ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ৯২ হাজার ২৬৩ জন এবং মারা গেছেন ২৫৯ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ২৯ লাখ ১৬ হাজার ৭০৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং
১০ লাখ ৫৪ হাজার ৪২১ জন মারা গেছেন।
ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
হয়েছেন ৫১ হাজার ৫৯৪ জন এবং মারা গেছেন ১১২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে
এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৪১ হাজার ২৫১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫১ হাজার
৮৯৪ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন
৮৮ হাজার ২৯৬ জন এবং মারা গেছেন ২৫ জন।
ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৩৮১ জন এবং মারা গেছেন ১৯৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে
ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন
এবং ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৩৮ জন মারা গেছেন। একইসময়ে মেক্সিকোতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
হয়েছেন ২৭ হাজার ৯১৬ জন এবং মারা গেছেন ১৫১ জন।
তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত
হয়ে মারা গেছেন ৬২ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৩ হাজার ৯৭১ জন। এছাড়া
মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪৫ লাখ ২২ হাজার ৩৬৫
জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৭৭৬ জনের। একইসময়ে ইরানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
হয়েছেন ৯ হাজার ৪৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৪২ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত
হয়ে মারা গেছেন ৪১ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৫১৫ জন। এছাড়া
মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৫ লাখ ৬৫ হাজার
৫৫১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৩১৩ জনের। একইসময়ে নিউজিল্যান্ডে নতুন করে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৯৩২ জন এবং মারা গেছেন ৩৮ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় নতুন
করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ হাজার ৫৫৮ জন এবং মারা গেছেন ১২৫ জন। একইসময়ে
থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯০২ জন এবং মারা গেছেন
৩২ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৯৪৫ জন এবং মারা গেছেন ৭২ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।