চলমান করোনা মহামারিতে
বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত
রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২০০’র বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন
করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে পৌনে ৫ লাখের নিচে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র,
ফ্রান্স, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরান। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে
৬০ কোটি ১৩ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৪ লাখ ৭৩ হাজার।
মঙ্গলবার (২৩
আগস্ট) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস
থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা
গেছেন ১ হাজার ২৩১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে তিন শতাধিক।
এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৪ লাখ ৭৩ হাজার ৫৬৭ জনে।
একই সময়ের মধ্যে
ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৭১৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায়
নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৮০ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত
ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ১৩ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে
দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ১৭ হাজার ৮৭৫ জন এবং মারা গেছেন
২২৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭১ লাখ
৩৯ হাজার ৫২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩৭ হাজার ৮ জন মারা গেছেন।
লাতিন আমেরিকার
দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয়
অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৫৯ জন এবং নতুন
করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ২২৮ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে
মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪২ লাখ ৯১ হাজার ৮২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮২ হাজার
৭৪৬ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রে
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৪৩৩ জন এবং মারা গেছেন
১০৪ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৫৪ লাখ ৪৫
হাজার ৮৬৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৬৬ হাজার ৭৪ জন মারা গেছেন। একই সময়ে
দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ হাজার ৪৬ জন এবং মারা গেছেন
৬৫ জন।
ফ্রান্সে নতুন
করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১২ জন এবং মারা গেছেন ৭৬ জন। করোনা মহামারির
শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫৮ হাজার ৬২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন
এবং ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬১৭ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ফিলিপাইনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
হয়েছেন ৩ হাজার ৭৭ জন এবং মারা গেছেন ২৯ জন।
ইতালিতে গত ২৪
ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৪১৭ জন এবং মারা গেছেন ৭৫ জন।
করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার ৮৮৫
জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৯৭ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ইসরায়েলে
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৬১ জন এবং মারা গেছেন ৫৬ জন।
তাইওয়ানে গত ২৪
ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৩ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন
১৬ হাজার ৯১১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা
৫০ লাখ ৬০ হাজার ১৭৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ৬৫৭ জনের। একইসময়ে ইরানে নতুন করে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৮৮ জন এবং মারা গেছেন ৬২ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪
ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৭ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন
৩৩ হাজার ৬১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা
১ কোটি ৯১ লাখ ৫০ হাজার ৪০৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬১৭ জনের। একইসময়ে
নিউজিল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৪৪ জন এবং মারা গেছেন
৯ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায়
অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৫৩৯ জন এবং মারা গেছেন
৯ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৩১ জন এবং
মারা গেছেন ২৮ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৯৪৩ জন এবং মারা
গেছেন ৩৪ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।