চলমান করোনা মহামারিতে
বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন
শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায়
সাড়ে নয়শো মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় পৌনে
চার লাখে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির শীর্ষে
উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে রাশিয়া, ব্রাজিল, জাপান, ইতালি
ও ফ্রান্স। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬১ কোটি ৭৯ লাখের ঘর।
অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৫ লাখ ৩৩ হাজার।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর)
সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস
থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা
গেছেন ৯৩৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় একশো জন। এতে
বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬ জনে।
একই সময়ের মধ্যে
ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায়
নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৬০ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত
ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ কোটি ৭৯ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ হাজার ৮১৬ জন এবং মারা গেছেন ৪৮ জন। করোনা
মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার ৪১৯ জন করোনায় আক্রান্ত
হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৯১ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক
প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৮৭৯ জন এবং মারা গেছেন ২৩৬ জন। করোনাভাইরাসে
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার ২০১ জন করোনায় আক্রান্ত
হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৭৯ হাজার ২০৪ জন মারা গেছেন।
জাপানে গত ২৪
ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ৩৩০ জন এবং মারা গেছেন ৭৩ জন।
করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৭ লাখ ৪০ হাজার
৭৯৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৩ হাজার ৮২৭ জন মারা গেছেন। একই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায়
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৮৬৪ জন এবং মারা গেছেন ২৪ জন।
লাতিন আমেরিকার
দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয়
অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৭ জন এবং নতুন
করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭ হাজার ৬৭৬ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে
মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৪৪ হাজার ৪০৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৫
হাজার ৫৬৯ জনের।
ইতালিতে গত ২৪
ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৩৮৫ জন এবং মারা গেছেন ৬০ জন।
করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৫৮
জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬৬৯ জন মারা গেছেন। একইসময়ে তাইওয়ানে
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৩ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৪ হাজার
৭৪৭ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪
ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৮ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন
৪৬ হাজার ৪৭৪ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা
২ কোটি ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ২৩৪ জনের। একইসময়ে ফিলিপাইনে
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬০০ জন এবং মারা গেছেন ৩৩ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯
সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০
সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর
আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।