চলমান করোনা মহামারিতে
বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন
শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দেড়
হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায়
সাড়ে ৫ লাখে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায়
শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে জাপান, ব্রাজিল, ইতালি
রাশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬০ কোটি
৬৯ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৪ লাখ ৯১ হাজার।
বুধবার (৩১ আগস্ট)
সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস
থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা
গেছেন ১ হাজার ৫৫৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে চার শতাধিক।
এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৪ লাখ ৯১ হাজার ৫০২ জনে।
একই সময়ের মধ্যে
ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৬০১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায়
নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ
পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৬৯ লাখ ৯৮ হাজার
৫৭৬ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন
করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৫ হাজার ৯০৭ জন এবং মারা গেছেন ২৪৮ জন। করোনা
মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮৬ লাখ ৩২ হাজার ৪২২
জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩৯ হাজার ২৫৩ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক
প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার ৯০৬ জন এবং মারা গেছেন ২৫১ জন। করোনাভাইরাসে
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৬১ লাখ ৪৯ হাজার ১৬ জন করোনায় আক্রান্ত
হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৬৯ হাজার ৭৪৮ জন মারা গেছেন। একই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৫১৯ জন এবং মারা গেছেন ৭১ জন।
লাতিন আমেরিকার
দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয়
অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৯৬ জন এবং নতুন
করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ৮০৬ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে
মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৪ লাখ ১৪ হাজার ১১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার
৯১৪ জনের।
ফ্রান্সে নতুন
করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৩৫৮ জন এবং মারা গেছেন ৭২ জন। করোনা মহামারির
শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৯ হাজার ৯৬১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন
এবং ১ লাখ ৫৪ হাজার ৩৯ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ইরানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
হয়েছেন ১ হাজার ৮৭১ জন এবং মারা গেছেন ৪৪ জন।
ইতালিতে গত ২৪
ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৮০৭ জন এবং মারা গেছেন ৯৮ জন।
করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৯৪৩
জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৫ হাজার ৫০৫ জন মারা গেছেন। একইসময়ে তাইওয়ানে
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৭ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩১ হাজার
৪৮৮ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪
ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৪ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন
৩৭ হাজার ৬৭ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা
১ কোটি ৯৪ লাখ ৮২ হাজার ৬৪৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ২৫৪ জনের। একইসময়ে
ফিলিপাইনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৭২ জন এবং মারা গেছেন ৫৩
জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায়
অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ১৮১ জন এবং মারা গেছেন
৭৫ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯৪ জন এবং মারা
গেছেন ২৭ জন। স্পেনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩৮৭ জন এবং মারা গেছেন
৩৫ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯
সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০
সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর
আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।