আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

করোনা আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ নভেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে এসেছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে টিকার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। তবে এখনও দেশে করোনা আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

শনিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা গড়পাড়া শুভ্র সেন্টারে সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সভা হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রন না হলে দেশের অর্থনীতির চাকা স্থবির হয়ে যাবে, লেখাপড়া, স্বাস্থ্যসেবাসহ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের দেশে করোনায় মৃত্যুর হার অনেক দিন ধরেই সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে এসেছে। আমেরিকা দুই হাজার, রাশিয়া ১২ থেকে ১৩০০, ইউরোপে চার থেকে পাঁচশ ও ভারত দুই থেকে ৩০০ জন প্রতিদিন করোনায় মারা যাচ্ছেন। আমাদের এখন টিকা নেওয়ার পাশাপাশি সব ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তা হলেই একদিন আমাদের দেশে করোনা শূণ্যের কোঠায় নেমে আসবে।

যারা এখনো টিকা নেননি তাদের উদ্দেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, সবার জন্যই টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন থাকুক বা না থাকুক ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে টিকা কেন্দ্রে গেলেই টিকা নেওয়া যাবে। যাদের ভোটার আইডি কার্ড নেই তারাও টিকা নিতে পারবেন।

ইউপি নির্বাচন নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরোধিতা করা মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাথে বিরোধিতা করা। এই বিরোধিতাকারীদের বরদাস্ত করা হবে না। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই কাজ করতে হবে। ইউপি নির্বাচনে প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেন মন্ত্রী।

সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ছাড়াও বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব সাহা, সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিনসহ প্রতিটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।



আরও খবর



ভারতের লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ চলছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ১১ রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৩ লোকসভা আসনের ভোট গ্রহণ চলছে। আজ মঙ্গলবার (০৭ মে) দেশটির স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে; যা চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। তৃতীয় দফার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি প্রার্থী। যাদের মধ্যে ১২০ জন নারী।

তৃতীয় দফার নির্বাচনে গুজরাটের ২৬টি, কর্নাটকের ১৪টি, মহারাষ্ট্রের ১১টি, উত্তর প্রদেশের ১০টি, মধ্যপ্রদেশের আটটি, ছত্তিশগড়ে সাতটি, বিহারের পাঁচটি, আসামের চারটি, পশ্চিমবঙ্গের চারটি, গোয়ার দুইটি, দাদরা অ্যান্ড নগর হাভেলি এবং দম অ্যান্ড দিউরের দুইটি আসনে ভোট গ্রহণ হবে।

আজকের ভোটের হেভিওয়েট প্রার্থীরা হলেন- কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। মোদি সরকারের শীর্ষ মন্ত্রীরা ছাড়াও শরদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে এবং অজিত পাওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রা পাওয়ারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আজ।

তৃতীয় দফার ভোটের মধ্যদিয়ে নির্বাচন কমিশন ২৮৪ লোকসভা আসনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করবে। আর চার দফায় বাকি থাকবে ২৫৯ আসন। ভোট বিশ্লেষকরা তৃতীয় দফার ভোটে উত্তরপূর্ব রাজ্য আসামের চার লোকসভার মধ্যে কোকরাঝড় ও ধুবড়ীর ভোটকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সাত দফার ভোট গ্রহণ শুরু হয় গত ১৯ এপ্রিল। আর তা শেষ হবে আগামী১ জুন। নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে ৪ জুন।

এবার ২ হাজার ৬৬৬টি নথিভুক্ত রাজনৈতিক দল লোকসভা ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে বিজেপি, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বহুজন সমাজবাদি পার্টির মতো জাতীয় রাজনৈতিক দল যেমন রয়েছে; তেমনই রয়েছে মমতার তৃণমূল, লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মতোর শক্তিশালী প্রাদেশিক দলও।


আরও খবর



শুক্রবার নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে বিএনপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি পাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

আগামীকাল শুক্রবার (১০ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। তবে বিএনপিকে মানতে হবে কিছু শর্ত।

সমাবেশের অনুমতি নিতে বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির তিন নেতা। তিন সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু।

প্রায় পৌনে একঘণ্টা পর বাইরে বেরিয়ে এসে শুক্রবারের (১০ মে) সমাবেশের ব্যাপারে পুলিশের মনোভাব পজিটিভ বলে জানান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম।

তিনি বলেন, আমরা আগেই এই সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম। তবে তাপপ্রবাহের কারণে সেটি পিছিয়ে আগামীকাল শুক্রবার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশ ও মিছিল করা হবে।

সমাবেশের ব্যাপারে পুলিশের মনোভাব পজিটিভ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, পুলিশের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা বলেছেন, আজ বিকেলের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবেন। যেহেতু শুক্রবার ট্রাফিক সংক্রান্ত কোনো ইস্যু নেই, তাই আমরা প্রত্যাশা করছি তাদের সহযোগিতা পাব।

বিএনপি শুক্রবার সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে কি না জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কখনো বাধা দিই না। রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচি করবে এটিই স্বাভাবিক। তবে সেই রাজনৈতিক কর্মসূচি যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে সেজন্য আমরা কিছু শর্ত আরোপ করে থাকি।

খ. মহিদ বলেন, বিএনপিকে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি যাতে না হয় সে ব্যাপারে বলা হয়েছে। তাদের সমাবেশের অনুমতির বিষয়টি ডিএমপি ইতিবাচকভাবে দেখছে।

জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করা, রাস্তার একপাশে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখাসহ কিছু শর্তসাপেক্ষে সমাবেশের অনুমতি পাবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে ডিবিতে তলব

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তথ্য-উপাত্ত পেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১২টায় রাজধানীর মিন্টো রোড ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গতকাল চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে ওএসডি করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে ডিবি অফিসে ডাকা হয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এতে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া এ ঘটনায় যাদের নাম এসেছে সবাইকে পর্যায়ক্রমে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

গত ১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সনদ জালিয়াতির অভিযোগে প্রথমে গ্রেপ্তার হন সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে একে একে উঠে আসে এ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বোর্ড সংশ্লিষ্ট অনেক ছোট-বড় কর্মকর্তা ও দেশের কয়েকটি কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান আর অধ্যক্ষদের নাম।

সবশেষ গত শনিবার শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তারের পরদিন রোববার চেয়ারম্যানকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ডিবি সূত্র জানিয়েছে, শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে শেহেলা পারভীনের নাম উঠে আসে। এছাড়া গত ৪ এপ্রিল এক সংবাদ সন্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বলেন, সনদ বাণিজ্যের নানা প্রক্রিয়ায় তার কাছে গ্রাহক নিয়ে আসতেন দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপালরা।

যেসব প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপাল মধ্যস্থতা করে গ্রাহক নিয়ে আসতেন, তাদের নামের দীর্ঘ তালিকা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে এসেছে। এছাড়া বোর্ডের ছোট-বড় সব কর্তারাই সনদ বাণিজ্যের বিষয়ে জানতেন।


আরও খবর



মাদারীপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ-ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১০

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মাদারীপুর প্রতিনিধি

Image

মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুপক্ষের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামে মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোটরসাইকেল ও আনারস প্রতীকের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে ৪ জনকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বাকীদের বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।  আহতরা হলেন- ইদ্রিস  হাওলাদার (৫৫), বাদশা হাওলাদার (৬৫), বাবুল হাওলাদার (৫০), শাহিন হাওলাদার(৪৫), চানমিয়া হালাদার(৬০) ইউনুস হাওলাদার (৫০) জামাল হাওলাদার(৪৫) বিল্লু সর্দার (১৬) ফেরদৌস মাতুব্বর(২২)  বিউটি বেগম  (৪৫)। তাদের মধ্যেককটেল বিস্ফোরণে আহতরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সকালে ভোট কেন্দ্রের বাহিরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মোটরসাইকেল ও আনারস প্রতীকের দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলাউল হাসান জানান, ভোট কেন্দ্রের বাহিরে সমর্থকদের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি ৮/১০ জনের মত আহত হয়েছে।


আরও খবর



কর্ণফুলী রক্ষায় ব্যতিক্রমী সাম্পান শোভাযাত্রা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেছেন, আমরা নানা আন্দোলনের কথা জানি, অনেক আন্দোলন সফল হয় আবার কোন আন্দোলন ব্যর্থ হয়। কিন্তু কর্ণফুলী রক্ষার সামাজিক আন্দোলনে হারলে চলবে না, এটি দেশের পরিবেশ অর্থনীতির ধ্বংস ডেকে আনবে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে কর্ণফুলী ও সাম্পান মাঝিদের রক্ষার এই সামাজিক আন্দোলনের সাম্পান শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

কর্ণফুলী রক্ষায় চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র ও কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনের কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন এ শোভাযাত্রা হয়। এতে অংশ নেয় ইছানগর সদরঘাট, চরপাথরঘাটা অভয়মিত্রঘাট, সদরঘাট ও ব্রিজঘাট সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির তিন শতাধিক সাম্পান।

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে ব্যতিক্রমী সাম্পান শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন শতাধিক সাম্পান মাঝি, সাম্পান নিয়ে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। কর্ণফুলীর দুইপাড়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের দাবি আন্দোলনকারীদের।

সিএমপি কমিশনার বলেন, কর্ণফুলী ও চট্টগ্রাম মহানগরীর পরিবেশ রক্ষার এই সামাজিক আন্দোলন ব্যর্থ হলে পুরো জাতি ব্যর্থ হবে। সেই সাথে আমরা আমাদের আগামি প্রজন্মের ধ্বংস ডেকে আনবো। সেই পরিবেশ আমরা সৃষ্টি করতে দেব না। তাদের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে কর্ণফুলী নদীকে রক্ষা করতে হবে। আন্দোলনে আমরা সক্রিয়ভাবে জড়িত আছি। কারো ভয় ভিতিতে পিছিয়ে আসার কোন কারণ নাই।

 উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, ছোট বেল থেকে একটি স্বচ্ছ সুন্দর কর্ণফুলী নদী দেখে আমি বড় হয়েছি। দেশ উন্নত হচ্ছে কিন্তু মানুষের পরিবেশ বিধ্বংসী আচরণে কর্ণফুলী ধ্বংস হচ্ছে। যা হতে দেয়া যাবে না। তিনি সকলকে একত্রিত হয়ে কর্ণফুলী  রক্ষার সামাজিক আন্দোলনে শক্তিশালী করার আহবান জানান।

 চৌধুরী ফরিদ বলেন, সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের আদেশ আছে । অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত আছে। কিন্তু উচ্ছেদ হচ্ছে না। বন্দরের কালোহাত অবৈধ দখলকারী, নদী খেকোদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে। যা মেনে নেয়া যায় না। তিনি ২০১৪ সালের স্ট্যাটেজিক মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী কর্ণফুলীর নাব্যতা রক্ষার দাবী জানান।

কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এস এম পেয়ার আলীর সভাপতিত্বে আবৃত্তি শিল্পী দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় শোভাযাত্রায় বিশেষ অতিথি ছিলেন  ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলীউর রহমান।

এসমউ বক্তব্য রাখেন ডায়মন্ড সিমেন্ট জেনারেল ম্যানাজার সেলস আলহাজ্ব আবদুর রহিম, সাম্পান খেলার আয়োজক সমাজ সেবক সৈয়দ আহমেদ, সেলিমুল হক, কামাল আহমেদ রাজা, ডায়মন্ড সিমেন্টের প্রমোশন ম্যানেজার শায়ের আমান, ক্যাব চট্টগ্রামের কর্মকর্তা জানে আলম, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির ফেডারেশণের সহ সভাপতি জাফর আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান দয়াল, আবুল হোসেন আবুল, বসির আহমেদ প্রমুখ।


আরও খবর