কোভিড টিকা বিক্রির পূর্বাভাস বাড়িয়েছে ফাইজার। চলতি বছর এ বিক্রি থেকে আয়ের পূর্বাভাস ২০০ কোটি ডলার বাড়িয়ে ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে উন্নীত করা হয়েছে। মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্টটি জানিয়েছে, নতুন চুক্তি ও ওষুধগুলো ভবিষ্যতে কমে যাওয়া টিকা বিক্রি থেকে হারানো রাজস্ব প্রতিস্থাপনে সহায়তা করবে। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) জার্মান অংশীদার বায়োএনটেকের সঙ্গে তৈরি করা কোভিড প্রতিরোধী টিকা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বিক্রি করেছে ফাইজার। এ সময়ে সংস্থাটির মুনাফাও পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গিয়েছে।
তবে কোভিড টিকার বিক্রি গত বছরের তুলনায় অনেক কমে গিয়েছে। কারণ অনেক দেশে প্রাথমিক টিকাদান কার্যক্রম প্রায় শেষের পথে। নতুন হালনাগাদ টিকার বুস্টার ডোজগুলোর চাহিদা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। এ অবস্থায় ফাইজার আশা করছে, যুক্তরাষ্ট্রে টিকার দাম মোটামুটি চার গুণ হবে। মার্কিন সরকারের কোভিড টিকার ডোজ কেনা বন্ধ এবং বিক্রি বেসরকারি বাজারে স্থানান্তর হওয়ার পর দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা সংস্থাটির।
প্রধান নির্বাহী অ্যালবার্ট বোরলা এক সাক্ষাত্কারে বলেন, কোভিড-পরবর্তী সংকট কেমন হবে তা দেখানোর চেষ্টা করছে ফাইজার। কোভিড চিকিৎসা ও টিকাগুলো মাল্টিবিলিয়ন ডলারের ফ্র্যাঞ্চাইজি হবে। তাছাড়া বাজারটি স্থিতিশীল হবে, উত্থান-পতনের সঙ্গে নয়।
ফাইজার ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের পেটেন্ট সুরক্ষা জনিত ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভবিষ্যৎ পণ্য সুরক্ষিত করতে সম্প্রতি সংস্থাটি ৫৪০ কোটি ডলারে গ্লোবাল ব্লাড থেরাপিউটিকস ইনকরপোরেটেড অধিগ্রহণ এবং ১ হাজার ১৬০ কোটি ডলারে বায়োহেভেন কিনেছে। অ্যালবার্ট বোরলা বলেন, আমাদের এসব চুক্তি টিকা বিক্রি ও পেটেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়া থেকে হারিয়ে যাওয়া বিক্রি প্রতিস্থাপনে সহায়তা করবে। আগামী ১৮ মাসে উন্মোচন হতে যাওয়া ১৯টি পণ্যের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এগুলো আমাদের বার্ষিক আয় ২ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হতে সহায়তা করবে। এসব নতুন পণ্যের মধ্যে আলসারেটিভ কোলাইটিস ও মাইগ্রেনের চিকিৎসার পাশাপাশি সেপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাসের টিকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ৪৪০ কোটি ডলারের কোভিড টিকা বিক্রি করেছে ফাইজার। যদিও ২৬০ কোটি ডলারের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। সংস্থাটির অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা প্যাক্সলোভিডের বিক্রি পূর্বাভাসের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। ওষুধটির বিক্রি থেকে ৭৬৬ কোটি ডলারের পূর্বাভাস দেয়া হলেও ৭৫১ কোটি ডলার আয় করেছে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাটি।