আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

কোটচাঁদপুরে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ জানুয়ারী ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ জানুয়ারী ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার চারদিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।

মামলার পর অভিযুক্ত আশাদুল ইসলামকে (৬২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার জালালপুর গ্রামের মালোখালি পাড়ার মৃত আজগর বিশ্বাসের ছেলে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোটচাঁদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, গত রোববার তৃতীয় শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে ফুসলিয়ে বাড়ির পাশের ভুট্টাখেতে নিয়ে ধর্ষণ করে আশাদুল ইসলাম। কিন্তু এ ঘটনার কথা বাড়ির কাউকে জানায়নি সে। গতকাল বৃহস্পতিবার জ্বর এলে মায়ের কাছে ওই ঘটনার কথা খুলে বলে সে।

পরে ওই ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা করেন। মামলা হওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে আশাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে আজ শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

ওই শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, আশাদুল ইসলাম দুষ্টু প্রকৃতির লোক। তাঁর ঘরে দুই স্ত্রী আছে। প্রথম স্ত্রীকে রেখে মেয়ের বয়সী এক মেয়েকে বিয়ে করেছে। এখন আমার মেয়ের সঙ্গে এ ঘটনা করেছে। আমি তাঁর বিচার চাই।

নিউজ ট্যাগ: ছাত্রী ধর্ষণ

আরও খবর



অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের জন্য বাঘিনীদের লক্ষ্য ২১৪

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

অস্ট্রেলিয়া নারী দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি বাংলাদেশ নারী দল। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা অজিরা নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান করেছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুদল। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

বাংলাদেশ বোলারদের তোপে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা অজিরা শুরুতে ধুঁকতে থাকে। সুলতানা খাতুন ও নাহিদা আক্তারের তোপে ৪৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা। ওপেনার অ্যালিসা হিলি হাল ধরার চেষ্টা করলেও তাকে ২৪ রানে ফেরান মারুফা আক্তার। আর ফাহিমা খাতুনে ২৫ রানে কাঁটা পড়েন বেথ মুনি।

তবে শেষের ব্যাটাররা অস্ট্রেলিয়াকে ধস থেকে বাঁচান। নাহিদা অ্যাশলে গার্ডনারকে বিদায় করলেও এই ব্যাটা ৩৮ বলে ৩২ রান করেন। কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করে যান অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড। এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৭৬ বলে ৫টি চারে ৫৮ রান করেন।

অষ্টম উইকেট জুটিতে সাদারল্যান্ড অ্যালান কিংয়ের সঙ্গে ৫৬ বলে ৬৭ রানে ঝড়ো পার্টনারশিপ গড়েন। তবে এতে কিং একাই ৪৬ রান তুলেছেন। যেখানে ফাহিমার শেষ ওভারেই ৪টি ছক্কা ও একটি চারে ২৮ রান করেন। এই ওভারেই মূলত দলটি ২০০ রান পেরিয়ে যায়। কিং মাত্র ৩১ বলে ২টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৪৬ রানেই অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।

বাঘিনীদের বোলারদের মধ্যে সুলতানা খাতুন ও নাহিদা আক্তার ২টি করে উইকেট পান।


আরও খবর



সোমবার রাতে সারাদেশ ১ মিনিট ‘ব্ল‍্যাক আউট’ থাকবে

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালনের লক্ষ্যে সোমবার (২৫ মার্চ) জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ওইদিন রাত ১১টা থেকে রাত ১১টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ব্ল‍্যাক আউট’ পালন করা হবে। শনিবার (২৩ মার্চ) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনাসমূহ এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রাতটি ছিল ভয়াবহতম একটি রাত। মানব ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যায় সেই কালরাতে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী মেতেছিল উল্লাসে। ঢাকা শহর হয়েছিল ধ্বংসস্তূপ।

গণহত্যা দিবসের কর্মসূচির মধ্যে ২৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সকাল সাড়ে ১০টায় গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

এ ছাড়া স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনের মিনিপোলগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দেবেন।


আরও খবর



সদকাতুল ফিতর কখন কার ওপর ওয়াজিব

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

পবিত্র রমজানের ইবাদতের মধ্যে সদকাতুল ফিতর আদায় করা অন্যতম একটি ইবাদত। রমজানের সিয়াম সাধনা শেষে আসে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের আনন্দ ধনী-গরিব সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং এ আনন্দে যেন মুসলিম জাতির প্রতিটি সদস্য শরিক হতে পারে এ জন্য ওয়াজিব করা হয়েছে সদকাতুল ফিতর। রমজানের রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিপূর্ণতার জন্যই আবশ্যক করা হয়েছে এটি।

ইমাম ওয়াকি ইবনুল জাররাহ বলেন, রমজান মাসের জাকাতুল ফিতর নামাজের সিজদায়ে সাহুর সমতুল্য। অর্থাৎ নামাজে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে যেমন সিজদায়ে সাহু দিলে এটা পূর্ণ হয়ে যায় তেমনি রোজার মধ্যে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে সাদকাতুল ফিতর দিয়ে এর প্রতিকার হয়। তাছাড়া ধনী-গরিব উভয়ে যেন অন্তত ঈদের দিন উত্তম পোশাক ও উন্নতমানের খাবার খেতে পারে এ জন্যই ফিতরার ব্যবস্থা।

ফিতরার নিসাব

যার মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও ঋণ  ছাড়া সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা কিংবা এর সমমূল্য কোন সম্পদ বা টাকা থাকে, তাহলে তার ওপর সদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব।

সদকাতুল ফিতর উত্তম হলো ঈদের নামাজের আগে আদায় করে দেয়া। কেননা রাসুল (সা.) ঈদগাহে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।

জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত এমন অভাবী লোকদের সদকাতুল ফিতর দিতে হবে। একজন দরিদ্র মানুষকে একাধিক ফিতর দেওয়া যেমন জায়েজ, তেমনি একটি ফিতরা বণ্টন করে একাধিক মানুষকে দেয়াও জায়েজ।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-রাসুলুল্লাহ (সা.) সদকাতুল ফিতর আদায় করাকে আবশ্যক করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা যব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটা আবশ্যক। (বোখারি :  ১৫১২)।

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রোজা পালনকারীর জন্য সদকাতুল ফিতর আদায় অপরিহার্য করে দিয়েছেন, যা রোজা পালনকারীর অনর্থক, অশ্লীল কথা ও কাজ পরিশুদ্ধকারী এবং অভাবী মানুষের জন্য আহারের ব্যবস্থা। যে ব্যক্তি ঈদের সালাতের আগে এটা আদায় করবে, তা সদকাতুল ফিতর হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে। আর যে ঈদের সালাতের পর আদায় করবে তা অপরাপর (নফল) সদকা হিসেবে গৃহীত হবে। (আবু দাউদ : ১৬০৯)।

হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য, যব, বা খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির বা কিশমিশ দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করতাম ৷ (বোখারি : ১৫০৬)।

হাদিস শরিফে এ পাঁচটি দ্রব্যের যে কোনো একটি দ্বারা সদকায়ে ফিতর আদায়ের সুযোগ দেয়া হয়েছে ৷ যেন প্রত্যেকে নিজ নিজ সামর্থ্যানুযায়ী আদায় করতে পারে তবে সবার জন্য সবচেয়ে কম দামের দ্রব্য দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করা অনুচিত; বরং যে ব্যক্তি খেজুর, কিশমিশ দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করার সামর্থ রাখে, সে তা দিয়েই আদায় করবে ৷

সদকায়ে ফিতর যাদের উপর ওয়াজিব

ঈদের দিন সুবহে সাদেকের সময় যার কাছে যাকাত ওয়াজিব হওয়া পরিমাণ অর্থাৎ অত্যাবশ্যকীয় আসবাব সামগ্রী ব্যবহার্য দ্রব্যাদি, বাসগৃহ ইত্যাদি বাদ দিয়ে সাড়ে ৫২ তোলা রূপা বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ অথবা সমমূল্য পরিমান সম্পদ থাকে, তাহলে তার উপর সদকায়ে ফিতর আদায় করা ওয়াজিব।

ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের সময় এ পরিমাণ মালের মালিক থাকলে, তার উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে। যে শিশু-সন্তানটি ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের পূর্বে ভূমিষ্ট হবে, তার ফিতরাও আদায় করতে হবে।

অর্থাৎ পরিবারের যতজন সদস্য ততটি ফিতরা হিসেবে) সকলের ফিতরা আদায় করতে হবে। প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী তার নিজের পক্ষ থেকে এবং নাবালেগ সন্তানের পক্ষ থেকে সদাকাতুল ফিতর আদায় করবেন।

সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ

ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) সদকাতুল ফিতর আবশ্যক করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা যব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটা আবশ্যক। (বোখারি  : ১৫১২)।

ইবনে আব্বাস (রা.) একবার রমজানের শেষ দিকে বসরায় খুতবা প্রদান করেন। সেখানে তিনি বলেন, তোমাদের রোজার সদকা আদায় করো। লোকেরা যেন ব্যাপারটা বুঝতে পারে নি।

তখন ইবনে আব্বাস (রা.) বললেন, এখানে মদিনার কে আছে দাঁড়াও। তোমাদের ভাইদেরকে বলো, তারা তো জানে না। বলো যে, রাসূল (সা.) এই সদকা আবশ্যক করেছেন। এক সা খেজুর বা যব অথবা আধা সা গম প্রত্যেক স্বাধীন-দাস, পুরুষ-নারী, ছোট-বড় সবার ওপর ওয়াজিব।  (আবু দাউদ: ১৬২২)।

যারা জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত এমন অভাবী লোকদের সদকাতুল ফিতর প্রদান করতে হবে। জাকাতের জন্য সম্পদের বর্ষপূর্তি শর্ত হলেও ফিতরায় এ শর্ত নেই। নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নিজের পক্ষ থেকে, নিজের প্রাপ্ত এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের পক্ষ থেকে এবং নিজের সেবক-সেবিকাদের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করতে হবে। সন্তান বা অধীনস্থরা অমুসলিম হলেও তাদের ফিতরা আদায় করা আবশ্যক।

গম বা আটা, যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনির- এ পাঁচটি জিনিস বা তার মূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা যায়। সামর্থ্যানুসারে সবার উচিত উৎকৃষ্ট জিনিস সদকা করা। রাসূল (সা.)-এর সময়ে সামর্থ্যানুযায়ী সবাই উত্তম পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতেন।

সর্বোত্তম দান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, দাতার কাছে যা সর্বোৎকৃষ্ট এবং যার মূল্যমান সবচেয়ে বেশি। (বোখারি : ১৯৭৪)।

এ বছরের সদকাতুল ফিতরের নির্ধারিত পরিমাণ‌

ইসলামী ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ' এর অনুকরণে নিম্নে এবছরের (১৪৪৫ হিজরী/২০২৪ইং) এর সদকাতুল ফিতরের বাজার মূল্য তুলে ধরা হলো:

১. উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ফিতরা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা) বা এর বাজার মূল্য ১১৫ টাকা।

২. যবের ক্ষেত্রে (এক সা) ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৪০০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।

৩. খেজুরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ৪৭৫ টাকা

৪. কিসমিসের ক্ষেত্রে  ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিস বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ১৪৫ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে।

৫. পনিরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে।

ফিতরা আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা অদ্ভুত মানসিকতার পরিচয় দেই। আমাদের দেশে সাধারণত সর্বনিম্ন পরিমাণ অর্ধ সা গম এর মূল্য হিসেবে জনপ্রতি ১০০ টাকা হিসেবে সবাই আদায় করতে চান।

কোটিপতি হতে মধ্যবর্তী সবাই সর্বনিম্ন টাকা দিয়েই দায়মুক্ত হতে চান। সবচেয়ে কম মূল্যের গমের হিসাবে সবাই সাদকা করার প্রবণতা খুব বেশি। বিষয়টি রাসূল (সা.)-এর শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।  বরং এটা তো সর্বনিম্ন সম্পদের মালিকের জন্য চলে, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে তাওফিক দিয়েছেন, তাদের অন্যান্য দ্রব্য দিয়ে সর্বোচ্চ সদকায়ে ফিতর আদায় করা উচিত। তাই সামর্থ্যানুযায়ী বেশি মূল্যের পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায়ের চেষ্টা করতে হবে।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




ঈদ জামাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ৭টা ২২ মিনিটে শুরু হয় মোনাজাত।

১২ মিনিটব্যাপী চলা এই মোনাজাত করান বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। এ সময় আল্লাহ্‌র কাছে দুহাত তুলে দোয়া করেন ছোট বড় সব বয়সী মুসল্লিরা।

মোনাজাতে দেশবাসীর কল্যাণ ও সুস্থতা কামনা করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া কামনা করা হয়। একইসঙ্গে মোনাজাতে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি, মৃত সকলের মাগফিরাত, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রুহে মাগফিরাত কামনা করেন। নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোলাকুলির পাশাপাশি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এর আগে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাতের পর শুরু হয় ঈদের বিশেষ খুতবা। প্রথম জামাতে ইমাম ছিলেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন এই মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

এরপর বায়তুল মোকাররমে সকাল ৮টায় ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া সকাল ৯টায় তৃতীয়, চতুর্থ সকাল ১০টায়, পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



তীব্র গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার ১০ উপায়

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। আবহাওয়া অফিস থেকেও জানানো হয়েছে আগামী দুই দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

পূর্বাভাস বলছে, চলমান দাবদাহ আরও চার দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি। তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে যা করবেন

১. পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন

২. বাড়ির বাইরে থাকার সময় সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন

৩. শরীরে পানিশূন্যতা এড়াতে অতিরিক্ত পানি ও শরবত পান করতে হবে

৪. স্যালাইন পানিতে থাকা সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও চিনি শরীর সজীব রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর। দীর্ঘ সময় গরমে থাকলে স্যালাইন পান করুন।

৫. গ্রীষ্মকালীন ফল দিয়ে তৈরি তাজা জুস পান করুন

৬. মাংস এড়িয়ে বেশি করে ফল ও সবজী খান

৭. প্রস্রাবের রঙ খেয়াল করুন। প্রস্রাবের গাঢ় রঙ পানি স্বল্পতার লক্ষণ।

৮. সব সময় ছাতা বা টুপি সাথে রাখুন

৯. ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন

১০. চেষ্টা করুন যেন দিনে কম বাইরে যেতে হয়


আরও খবর