আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

কোন সাত খাবার স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু জেনে রাখুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

সুস্থ থাকতে হলে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবারগুলো জরুরি। এ পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত গ্রহণ না করলে শারীরিক নানা সমস্যা হয়। তাই নিত্যদিনের খাদ্যাভাসে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবারগুলো রাখা দরকার, যা আমাদের সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন সাতটি খাবার আমাদের শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর।

বাদাম

বাদাম অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করে। এটি প্রচুর পরিমাণে চর্বি ও ক্যালোরিতে ভরপুর। তাই এই বীজ জাতীয় খাবারটি  রান্নার পাশাপাশি নাস্তায় খালি মুখেও খাওয়া হয়। বাদামে থাকে অধিক পরিমাণে লিনোলিক অ্যাসিড, ভিটামিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিডসহ প্রয়োজনীয় ফ্যাট। অনেক বাদামে ভিটামিন ই, ভিটামিন বি-২, ফোলেট, ফাইবার এবং ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, তামা এবং সেলেনিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান থাকে।

বাদাম হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সেরা উৎস। বাদামের পলিফেনলসহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ফ্রি র‍্যাডিকেলগুলোকে নিরপেক্ষ করে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এই র‍্যাডিকেলগুলো মূলত অস্থির অণু, যেগুলো কোষের ক্ষতি করে রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বাদাম এলডিএল কমাতে এবং ট্রাইগ্লিসারাইড বা উচ্চ ঘনত্বের তথা এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া হজম সমস্যা এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বাদাম অন্যতম সেরা খাবার হতে পারে। কেননা প্রথমত, এতে কার্বোহাইড্রেট কম থাকে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি বাড়ায় না।

বাদামের রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহ-বিরুদ্ধ বৈশিষ্ট্য। এটি শরীরের আঘাত, ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক প্যাথোজেন থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। বাদামে থাকা ফাইবার শরীরকে দীর্ঘক্ষণ যাবত পূর্ণ বোধ করতে সাহায্য করে। ফলে অল্প গ্রহণ করেই খিদে মেটানো সম্ভব হয়, যা ওজন কমানোর জন্য সহায়ক।

ফল

যেকোনো সময়ের নাস্তার জন্য ফল একটি স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু খাবার। বিভিন্ন সময়ের মৌসুমী ও বারমাসি ফলগুলো প্রতিটি দিনকে রোগমুক্ত করতে যথেষ্ট। আপেল ও জাম্বুরা জাতীয় ফল ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড, ফাইবার, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ, যা হৃৎপিণ্ডকে হাজার রোগ থেকে রক্ষা করে।

ফলের মধ্যে ফাইবারের উপস্থিতি রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, রেচক বৈশিষ্ট্য বজায় এবং মানবদেহে হজম প্রক্রিয়া সাবলীল রাখে। এমনকি এটি কিডনিতে পাথর তৈরিতেও বাধা দেয়। ফাইবার সমৃদ্ধ ফল যেমন আপেল, কলা এবং আমেও রয়েছে অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্য। এই সবকিছু স্থূলতা এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পটাসিয়াম সমৃদ্ধ কলা, কমলালেবুর মতো ফলে কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বি কম থাকায়, এগুলো দেহে স্বাভাবিক রক্তচাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ পেঁপে, পেয়ারা ও আমলকি শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে বেশ উপকারী। অধিকন্তু, এগুলোতে কোনো কোলেস্টেরল থাকে না, যা কার্ডিয়াক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।

ফলে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। পেঁপে ও নারকেলের মতো ফল বিভিন্ন চর্মরোগের সঙ্গে লড়াই করতে পারে। ভিটামিন যুক্ত ফল চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে।

বীজ

দানাদার খাবারের চাহিদা পূরণে বীজ একটি অপরিহার্য খাদ্য উপাদান। বিভিন্ন বীজের মধ্যে তিসি হলো একই সঙ্গে ফাইবার, ওমেগা-৩ ফ্যাট, ও লিগন্যানের যোগানদাতা। এগুলো কোলেস্টেরল, রক্তচাপ এবং এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে।

চিয়া বীজ ওমেগা-৩ ফ্যাটের একটি ভাল উৎস, যা কার্যকরভাবে রক্তে শর্করা কমানো এবং হৃদরোগের ঝুঁকির কারণগুলো হ্রাস করে।

শস্যের বীজে রয়েছে-প্রোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড। এই বীজের তেল এক্সিমা এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনক অবস্থার লক্ষণগুলো কমাতে সাহায্য করে। তিলের বীজে থাকা লিগন্যান প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমানোর জন্য সহায়ক।

কুমড়ার বীজের তেলে আছে ওমেগা-৬ ফ্যাট, আর এটি হার্টের স্বাস্থ্য এবং মূত্রনালীর রোগের লক্ষণগুলো উপশমে সহায়ক ভূমিকা রাখে। সূর্যমুখী বীজেরও ওমেগা-৬ ফ্যাটের মাত্রা অনেক বেশি। ফলে এটি প্রদাহ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন>> লাউ শাক কেন খাবেন?

গাঁজর

স্বাস্থকর উপাদেয় একটি সবজি হলো গাঁজর। কাঁচা গাঁজরে আছে ৮৮ শতাংশ পানি, ৯ শতাংশ শর্করা, শূন্য দশমিক ৯ আমিষ, ২ দশমিক ৮ শতাংশ ডায়েটারি ফাইবার, এবং শূন্য দশমিক ২ শতাংশ চর্বি। গাঁজরের আলফা এবং বিটা-ক্যারোটিনগুলো আংশিকভাবে ভিটামিন এ-তে বিপাকিত হয়। গাঁজর ভিটামিন কে এবং ভিটামিন বি-৬ এ ভরপুর।

গাঁজর খেলে দীর্ঘ মেয়াদে ক্যান্সার এবং হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়া এটি চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে দর্শনেন্দ্রিয়কে সক্রিয় রাখে। উপরন্তু, এই সবজি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে একটি কার্যকর খাদ্য-উপাদান।

দই

দই হলো দুধের ব্যাকটেরিয়া গাঁজন দ্বারা উৎপাদিত একটি খাদ্য। এতে ৮১ শতাংশ পানি, ৯ শতাংশ আমিষ, ৫ শতাংশ চর্বি, এবং ৪ শতাংশ শর্করার সমন্বয়। এর প্রতি ১০০-গ্রাম ৯৭ কিলোক্যালরি খাদ্য শক্তি প্রদান করে। দই ভিটামিন বি-১২ এবং রাইবোফ্লাভিনের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যেখানে প্রোটিন, ফসফরাস এবং সেলেনিয়ামের পরিমিত উপাদান রয়েছে।

এতে যথেষ্ট পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি এবং ট্রেস খনিজ রয়েছে। দই প্রায়ই প্রোবায়োটিকের সঙ্গে যুক্ত থাকে, যা ইমিউন, কার্ডিওভাসকুলার, বা বিপাকীয় স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। দই এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়িয়ে এবং রক্তচাপ কমিয়ে হার্টের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। দইয়ে থাকা আমিষ সামগ্রিকভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

চালের কেক

পাফ করা চাল থেকে তৈরিকৃত এই খাবারটিতে রয়েছে ৩৫ ভাগ ক্যালোরি। অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের মধ্যে রয়েছে ৭ দশমিক ৩ গ্রাম শর্করা, শূন্য দশমিক ৭ গ্রাম আমিষ, শূন্য দশমিক ৪ গ্রাম ফাইবার, শূন্য দশমিক ৩ মিলিগ্রাম ম্যাঙ্গানিজ, শূন্য দশমিক ৭ মিলিগ্রাম নিয়াসিন, ৩২ দশমিক ৪ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ১১ দশমিক ৮ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, এবং ২ দশমিক ২ মাইক্রোগ্রাম সেলেনিয়াম।

গোটা শস্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা রক্তে শর্করার বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। এছাড়াও, এই ফাইবার মানবদেহের অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়া সরবরাহ করে। এই ব্যাকটেরিয়া মূলত ডায়াবেটিস এবং স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে। রাইস কেক স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখার জন্য সহায়ক। যেহেতু বাদামী রঙের চালটি প্রাকৃতিকভাবে গ্লুটেন-মুক্ত, তাই যারা গ্লুটেন খেতে পারেন না, তাদের জন্য এই কেক একটি চমৎকার খাবার।

পিনাট বাটার

আমিষে ভরপুর পিনাট বাটার প্রকৃতপক্ষে চিনাবাদাম দিয়ে তৈরি একটি পেস্ট। এর ১০০-গ্রাম ৫৯৭ ক্যালোরি সরবরাহ করতে পারে। এটি ৫১ শতাংশ চর্বি, ২২ শতাংশ আমিষ, ৫ শতাংশ ডায়েটারি ফাইবার সহ ২২ শতাংশ শর্করা, এবং ১ শতাংশ পানি দিয়ে গঠিত। 

আরও পড়ুন>> ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে যেসব খাবার বেশি খাবেন

পিনাট বাটার ফাইবার, ভিটামিন ই, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ফোলেট, নিয়াসিন এবং ভিটামিন বি-৬-এর একটি ভালো উৎস। এছাড়াও এতে আছে খাবারের খনিজ ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, দস্তা, তামা এবং সোডিয়াম।

চিনাবাদামে কার্বোহাইড্রেট কম থাকে। সে অনুসারে পিনাট বাটার টাইপ-২ ডায়াবেটিস বা কম কার্বোহাইড্রেট ডায়েট অনুসরণকারী ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত। এতে কিছু রেসভেরাট্রলও রয়েছে, যা হৃদরোগ এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি হ্রাসের প্রধান কারণ।

বাদাম, বীজ ও দইয়ের সমন্বয়টিও প্রতিদিনি পূরণ করতে পারে সুস্বাদু খাদ্যের চাহিদা। তাছাড়া আলাদাভাবে এগুলো গ্রহণে স্বাস্থ্যগুণের ব্যাপার তো থাকছেই। তাই স্বাস্থ্য রক্ষার্থে অল্প করে নিত্যদিন যে খাবারগুলো দেহে প্রবেশ করছে তার প্রতি সতর্ক নজর রাখা জরুরি।


আরও খবর



তীব্র তাপদাহে তিন শিক্ষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপদাহের কারণে এক সপ্তাহ ছুটি শেষে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) পাঠদান শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজন শিক্ষক প্রাণ হারিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

মারা যাওয়া তিন শিক্ষকের মধ্যে রয়েছেন একজন মাদ্রাসা শিক্ষক, একজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

এদের মধ্যে দুইজন রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে মৃত্যুবরণ করেছেন। চট্টগ্রামের কালুরঘাট ফেরিতে মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা মো. মোস্তাক আহমেদ কুতুবী (৫৫) মারা যান। তিনি জেলার বোয়ালখালী উপজেলার খিতাপচর আজিজিয়া মাবুদিয়া আলিম মাদরাসায় কর্মরত ছিলেন।

এদিন সকালে মাদ্রাসা খোলা থাকায় তিনি নগরের চান্দগাঁও মোহরা এলাকার বাসা থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বের হন। মোস্তাক আহমেদ কক্সবাজারের কুতুবদিয়া লেমশীখালীর মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। তার ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।

এদিন সকালে যশোরে স্কুলে আসার পর আহসান হাবীব নামে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়। রবিবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহসান হাবীব যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের ছিলমপুর গ্রামের ইউছুপ আলী মোল্লার ছেলে। তিনি সদর উপজেলার আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

জানা যায়, শিক্ষক আহসান হাবীব আজ সকালে মাঠে কৃষি কাজ করে ৯টার দিকে বিদ্যালয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বজনদের ধারণা ওই শিক্ষক গরমে হিট স্ট্রোক করে মারা গেছেন।

এছাড়া মানিকগঞ্জে শনিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকে হাছিনা পারভীন (৪২) নামে এক শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। মৃত শিক্ষিকা সদর উপজেলার বাসুদেবপুর ২৬নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বিদ্যালয়ের সভাপতি গোলাম ফারুক জানান, শিক্ষক হাছিনা ঢাকার পপুলার হাসপাতালে শনিবার দুপুরে হিট স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেছেন। পারভীন স্ট্রোক করে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন বলেও জানান তিনি।

সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলা মাঝারি থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এতে প্রতিটি হাসপাতালেই বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।

এদিকে চলমান তাপপ্রবাহ আরো তিনদিন অব্যাহত ও তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে এমন পূর্বাভাস দিয়ে সারাদেশে ফের ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তীব্র তাপদাহের মধ্যেই এদিন সময়সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন এনে খুলে দেওয়া হয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দারের বৃদ্ধাশ্রমে ‘টর্চার সেল’ আবিষ্কার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মানুষের দানের টাকায় নির্মাণ করা বৃদ্ধাশ্রমের মধ্যেই তিন কক্ষ বিশিষ্ট টর্চার সেল গড়ে তুলেছেন মিল্টন সমাদ্দার। চাইল্ড এন্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামের প্রতিষ্ঠানের ভবনের ওই টর্চার সেলে মানুষকে ধরে নিয়ে পেটানো হয় নির্মমভাবে। টর্চার সেলের মধ্যে মানুষ পেটানোর জন্য রয়েছে নানা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। সেলের মধ্যে নির্যাতনের একাধিক ঘটনা উঠে এসেছে অনুসন্ধানে। সেখানে কিভাবে নির্যাতন চালানো হয় সেই বর্ণনা দিয়েছেন নির্যাতনের শিকার হওয়া একাধিক ব্যক্তি।

সর্বশেষ গত ঈদুল ফিতরের আগের দিন ১০ এপ্রিল সাভারের কমলাপুর এলাকার বাহেরটেকে নিজের কেনা জমি দেখতে গিয়ে বেধড়ক মারধরের স্বীকার হন মো. সামসুদ্দিন চৌধুরী নামের ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মেয়ে এবং মেয়ের জামাই। বাধা দিতে গিয়ে মারধরের স্বীকার হন তারাও। মারধরে মেয়ের জামাই ফয়েজ আহমেদের হাতের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায় এবং সামসুদ্দিন চৌধুরীর একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। সামসুদ্দিনের মেয়ে সেলিনা বেগমও মারধর থেকে রক্ষা পাননি। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে প্রায় এক ঘণ্টা পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে ভুক্তভোগী সেলিনা বেগম জানান, আমাদের জমি সে কম দামে ক্রয় করতে চেয়েছে। জমি না বিক্রি করায় সে আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। মিল্টন সরকারি রাস্তায় বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে রেখেছে। যে কারণে আমাদের গাড়ি যাচ্ছিল না। পরে সরকারি রাস্তায় বেড়া দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর করে। এরপর আমার বাবা আর স্বামীকে মিল্টনের আশ্রমের ভেতরে নিয়ে একটি রুমের মধ্যে আটকে রাখে। ওখানে ৩টা রুম পাশাপাশি, একটা দিয়ে আরেকটায় যাওয়া যায়। রুমের মধ্যে অনেক লাঠিসোঁটা, পাইপ ও ছুরি ছিল। পাইপ দিয়ে একজনের পর একজন করে পেটাতে থাকে। মিল্টন নিজেও একটু পরপর এসে মারধর করে। আমি তখন মিল্টনের পায়ে ধরে আমার স্বামী ও বাবাকে ছেড়ে দিতে বললে আমাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে লোকজন এগিয়ে এলে আমাদের ছেড়ে দেয়।

মিল্টন সমাদ্দার নিজেকে মানবতার ফেরিওয়ালা এবং বয়স্কদের সেবা করার দাবি করলেও নিজের হাতেই বৃদ্ধদের নির্যাতন চালান তিনি। এমনকি হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকেও কোনো দয়া দেখায়নি এ কথিত মানবতার ফেরিওয়ালা।

মিল্টনের হাতে মারধরের শিকার ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ বলেন, আমার হার্টে রিং বসানো; আমার স্ত্রী এটা বারবার তাদের বলে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা আমার বুকে দফায় দফায় লাথি মারে। আমার স্ত্রী মিল্টনের হাতে-পায়ে ধরলেও কাজ হয়নি।

মানবসেবার নামে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানে মানুষকে নির্যাতনের জন্য মিল্টন সমাদ্দারের রয়েছে বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনী। যাদের মানুষের দানের টাকা দিয়ে পেলেপুষে রাখেন মিল্টন সমাদ্দার। জমি দখল ও নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে এই বাহিনীকেই ব্যবহার করেন তিনি।

ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ আরও জানান, মিল্টন সমাদ্দার নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। যাদের মাসিক ভাতাও দেওয়া হয়। এই সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন জমি দখল ও আধিপত্য বজায় রাখে।

আরেক ভুক্তভোগী হেমন্ত রোজারিও জানান, আমি গরিব মানুষ। মিল্টন আমার জমি কিনতে চাইছে। আমি বেচি নাই। আমার জমি জোর করে দখল করে একটা ঘর বানাইছে। বাধা দেওয়ায় আমারে ধইরা মারছে। পরে আমারে বলছে, তুই ওই জমিতে আসবি না। এলে তোরে মাইরালামু।

নন্দন রোজারিও নামের আরেক ব্যক্তি জানান, ওকে এখানে আশ্রম বানাতে আমরাই সাহায্য করেছি। আমার জায়গায় জিনিসপত্র রেখে আশ্রমের কাজ করেছে। ভালো কাজ করে বলে আমরা কিছু বলিনি। পরে দেখি এসবের আড়ালে তার অন্য উদ্দেশ্য। তিনি এখানকার খ্রিস্টানদের জমি দখলের উদ্দেশ্যে এসেছে। কেউ জমি বেচতে না চাইলেই তার ওপরে নেমে আসে নির্যাতন। ওর লোকজন তাকে মারধর করে।

মিল্টনের মারধরের হাত থেকে রক্ষা পায়নি তার জন্মদাতা পিতাও। ২০০১ সালে নিজের পিতাকে বেধড়ক মারধর করে মিল্টন। সেই ঘটনার জেরে তাকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল বলে এলাকাবাসীরা জানান।

মিল্টন সমাদ্দারের গ্রামের শাহাদাত হোসেন পলাশ নামে একজন জানায়, মিল্টন সমাদ্দার তার বাবাকে বেধড়ক মারধর করে। এ কারণে তাকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে সে পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে ওঠে। এখন শুনতাছি, ও না কি মানবতার ফেরিওয়ালা। এটা শুনে আমরা আশ্চর্য হয়েছি।

বরিশালে চন্দ্রকোনা খ্রিস্টান মিশনারি চার্চ’ দখল চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে। দখলের উদ্দেশ্যে তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিল-স্বাক্ষর জাল করে চার্চের নতুন কমিটি গঠন করে বরিশাল জেলা প্রশাসকে একটি চিঠি দেন। ওই কমিটিতে সভাপতি করা হয় মিল্টন সমাদ্দারকে। কমিটির বাকি সদস্যদের প্রায় সবাই মিল্টনের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না চার্চের দায়িত্বরত যাজকরা। পরে তারা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে মন্ত্রণালয় থেকে তাদের জানানো হয়, এ ধরনের কোনো চিঠি ইস্যু করা হয়নি। এরপর তারা কোর্টে মামলা করলে কোর্ট জালিয়াতি করে চার্চ দখল করতে চাওয়া ব্যক্তিদের ওই চার্চের সীমানায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেন।

হেনসন দানিল হাজরা নামে এক সহকারী যাজক বলেন, চার্চ দখল করার জন্য আমাকে গুম করে যাজকদের নামে মামলা দিয়েছিল মিল্টন। মামলায় আমি গুম হয়ে গেছি দেখানো হয়। আসামি করা হয় আমার সহকর্মীকে। আমার বাবাকে ম্যানেজ করে মিল্টন এ কাজ করে। তারা আমাকে গুম করে ফেলতে চেয়েছিল; কিন্তু পারেনি। পরে আমি পালিয়ে এসপি অফিসে হাজির হয়ে জানাই, আমি গুম হইনি।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিল্টন ও তার বড় ভাই মোল্লা বাড়ির ব্রিজের ওপরে মসজিদের পাশে আমাকে একবার বেধড়ক মারধর করেন।

অন্য আরেক যাজক বলেন, এই চার্চ দখল করার জন্য মিল্টন সমাদ্দার আমাদের শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করেছে। মারধর করেছে। আমাদের নামে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। যদিও সব মামলাই কোর্টে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



অপহরণে জড়িত থাকলে আমার স্বজনরাও ছাড় পাবে না: পলক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নাটোর সিংড়া উপজেলার অপহৃত ও নির্যাতনের শিকার চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন।

অপহৃত ও নির্যাতনে জড়িতদের প্রসঙ্গে পলক বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে। এখানে মন্ত্রীর আত্মীয় স্বজন বলে কেউ ছাড় পাবে না।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রামেক হাসপাতালে দেখতে যান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে হামলায় জড়িতদের বিচারের আশ্বাস দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।

গত সোমবার বিকেলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে মারধর করে একটি মাইক্রোবাসে অপহরণ করে নিয়ে যায় প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেলের অনুসারীরা। পরে সিংড়ার সাঐল গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে থেকে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির দিকে।

এ ঘটনায় তার বড় ভাই মজিবর রহমান বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করার পর তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

দেলোয়ার হোসেনের ভাই এমদাদুল হক বলেন, আমার ভাইয়ের অবস্থা এখন কিছুটা ভালো, কথা বলতে পারছে। তবে তার চোখের অবস্থা খুবই খারাপ। চোখ মেলতে পারছে না। চোখে ঝাপসা দেখছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মন্ত্রী আমার ভাইকে দেখতে এসেছিলেন। তিনি বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। এখন দেখা যাক মন্ত্রী কি করেন?


আরও খবর



সকালে ৩৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ‘ফিলস লাইক’ ৪২

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে সোমবার (২৯ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছিল, আজ মঙ্গলবার গরমের তীব্রতা বেশি থাকবে। বাতাসে জ্বলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে অস্বস্তিও বেশি বিরাজ করবে বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র গরম অনুভূত হতে দেখা গেছে। সকাল ১০টায় গুগল সার্চ ইঞ্জিনে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস দেখালেও ফিলস লাইক’-এ দেখাচ্ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি হলেও গরম অনুভূত হচ্ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৫৫ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ১৩ কিলোমিটার।

বেশিরভাগ মানুষ গুগল সার্চ ইঞ্জিনের সহায়তায় তাপমাত্রা দেখেন। তবে গুগলে তাপমাত্রা দেখার সময় দুই রকম তথ্য সামনে আসে। নির্দিষ্ট এলাকার তাপমাত্রা জানতে সার্চ করলেই বিরাজমান তাপমাত্রা বড় করে দেখানো হচ্ছে। বড় অক্ষরে লেখা ওই তাপমাত্রার নিচে ছোট করে লেখা থাকে ফিলস লাইক’...। যেটি মূলত অনুভূত হওয়া তাপমাত্রা নির্দেশ করে। কোনো এলাকায় তাপমাত্রা যদি ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তবে ফিলস লাইক’-এ তার চেয়ে তিন থেকে চার ডিগ্রি বেশি দেখানো হয়।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা যেভাবে তাপমাত্রা রেকর্ড করি তাতে ফিলস লাইক’ বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ, আমরা সরাসরি রোদের মধ্যে তাপ মাপি না। আমরা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত পদ্ধতিতে তাপমাত্রা রেকর্ড করি। স্বীকৃত পদ্ধতি হলো স্টিভেনসন স্ক্রিনের মাধ্যমে তাপমাত্রা রেকর্ড করা। সে পদ্ধতিতে থার্মোমিটার থেকে বাতাসের তাপমাত্রা নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, যদি আমরা সরাসরি রোদের তাপমাত্রা রেকর্ড করতাম, তাহলে প্রকৃত তাপমাত্রা আরও বেশি হতো। রোদে গেলে যেটা ফিল’ হচ্ছে সেটাকেই গুগল ফিলস লাইক’ বলছে। এছাড়া বর্তমানে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি। এজন্য গরমে বেশি অস্বস্তি অনুভূত হচ্ছে।


আরও খবর



মেক্সিকোতে বন্দুকধারীর গুলিতে আট জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মেক্সিকো সিটি সংলগ্ন মোরেলোস রাজ্যে বন্দুকধারীর গুলিতে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মেক্সিকোর পর্যটন শহর কুয়ের্নাভাকার সঙ্গে রাজধানী সংযোগকারী একটি হাইওয়ের কাছে হুইটজিলাক পৌরসভায় গত শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ঘটনাস্থলেই ৪ জন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ৪ জন মারা যান।

ছুটি কাটানোর জন্য মেক্সিকোর বাসিন্দাদের জন্য মোরেলোস খুবই জনপ্রিয় গন্তব্য। যদিও এটি গুয়েরেরো রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত। মাদকসহ বিভিন্ন অপরাদে এই রাজ্য অশান্ত হয়ে উঠেছে।

গত বছরের নভেম্বরে কুয়ের্নাভাকাতে পুলিশ এবং কথিত অপরাধীদের মধ্যে গোলাগুলিতে ৯ জনের মৃত্যু হয়।


আরও খবর