আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

কোন ডালের পুষ্টিগুণ বেশি

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ মে ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ডাল প্রোটিনের অন্যতম প্রধান উৎস। শুধু প্রোটিনই নয়, ডালের গুণও অনেক। বাজারে বিভিন্ন ধরনের ডাল পাওয়া যায়। এক এক ডালের স্বাদ এক রকম। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টি, ভিটামিন ও খনিজ আমরা এই ডাল থেকেই পেয়ে থাকি। শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে ডালের গুরুত্ব অপরিসীম।

এক একজনের পছন্দের তালিকায় এক এক রকম ডাল রয়েছে। তবে আপনি যে ডালই পছন্দ করুন না কেন, তার পুষ্টি গুণ কতটা সেটা অবশ্যই যাচাই করে নেবেন। বাজারে সাধারণত ৫ রকম ডাল পাওয়া যায়। সেই গুলো সম্পর্কে একটু জেনে নিন। তারপর আপনিই পছন্দ করুন কোন ডাল খাবেন।

ছোলা

ছোলায় বিশ শতাংশের কাছাকাছি প্রোটিন থাকে। এ কারণেই ক্রীড়াবিদরা সকালে খেলাধুলা করার আগে নিয়মিত ভিজিয়ে রাখা ছোলা খান। কারণ, এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। যারা নিরামিষ খাবার খান, তাদের দেহে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে ছোলা।

মসুর ডাল

যারা ওজন কমাতে চাইছেন,তাদের জন্য প্রোটিন অত্যন্ত জরুরি। তার জন্য একটি বিকল্প হল মসুর ডাল। ১০০ গ্রাম মসুর ডালে প্রায় ২৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। পাশাপাশি, মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফাইবার পাওয়া যায়। মসুর ডালে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণও ভালো।

মুগ ডাল

মুগ ডাল কোলেসিস্টোকাইনইন হরমোনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এতে বিপাক হার বাড়ে। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, কপার ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্সে ভরপুর মুগ ডাল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও মস্তিষ্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে।

অড়হর ডাল

সব ডালের মধ্যে অড়হর ডালে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায়। পাশাপাশি এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি থাকে। এই ডালে খুবই কম পরিমাণে ফ্যাট এবং ক্যালরি রয়েছে। এতে থাকা আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম কর্মশক্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখে।

নিউজ ট্যাগ: ডালের পুষ্টিগুণ

আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ মার্চ দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে পড়ে। একইভাবে এ ভাষণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের সম্ভাবনাও তৈরি করে। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের আহ্বানেই মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে বাঙালি।

২৫ মার্চের কালরাতে নৃশংস গণহত্যা শুরু করে পাকবাহিনী। পরে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ।

২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।

একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।

বঙ্গবন্ধুর এই বজ্রনিনাদে আসন্ন মহামুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাক্সিক্ষত মুক্তির লক্ষ্যে।

১৯৪৭ সালে ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা ও দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিসত্ত্বা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের ভিত রচিত হয়। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণে গর্জে ওঠে উত্তাল জনসমুদ্র। লাখ লাখ মানুষের গগনবিদারী শ্লোগানের উদ্দামতায় বসন্তের মাতাল হাওয়ায় সেদিন পত্ পত্ করে ওড়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের পতাকা। লক্ষ শপথের বজ্রমুষ্টি উত্থিত হয় আকাশে।

সেদিন বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আরোহণ করেন বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে। ফাগুনের সূর্য তখনো মাথার ওপর। মঞ্চে আসার পর তিনি জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। তিনি দরাজ গলায় তার ভাষণ শুরু করেন, ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি...।

এরপর জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতার মহাকাব্যের কবি ঘোষণা করেন এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম..., এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণ। এই স্বল্প সময়ে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন। তিনি তার ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ করে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া এবং বিভিন্ন স্থানের হত্যাকান্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

বঙ্গবন্ধু বলেন, ভাইয়েরা আমার, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রীত্বের লোভ দেখিয়ে আমাকে নিতে পারেনি। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিতে পারেনি। আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র-মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এই রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করবো। আজো আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত।

তিনি বলেন, আমি বলে দিতে চাই, আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোন কর্মচারী অফিসে যাবেন না। এ আমার নির্দেশ।

বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সর্বশেষ দুটি বাক্য, যা পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিক-নির্দেশনা ও প্রেরণার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলেন, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয়বাংলা

ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান তার একটি লেখায় বলেছেন, সাতই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক চিন্তাধারার পরিচয় দিয়েছেন। রণকৌশলের দিক থেকে এই ভাষণ অসাধারণ। এই বক্তৃতা এখনো মানুষকে শিহরিত করে।

তিনি বলেন, এই বক্তৃতার আগে রাজনৈতিক কর্মী ও জনসাধারণ স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা ঘোষণা করলে যে পাকিস্তানি সেনা শাসকরা সর্বশক্তি প্রয়োগ করে তাঁদের উপর দমন-পীড়ন চালিয়ে যাবে, সে বিষয়েও তিনি অবহিত ছিলেন।

আনিসুজ্জাামান বলেন, স্বাধীনতা ঘোষণা করবেন কি না, এমন এক প্রশ্নর জবাবে বঙ্গবন্ধু নিউজউইকের এক সাংবাদিককে বলেছিলেন আমরাতো সংখ্যাগরিষ্ঠ। পশ্চিমাদের উপর নির্ভর করছে তারা বিচ্ছিন্ন হতে চায় কি না।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এবং সেই সভায় উপস্থিত তোফায়েল আহমেদ তার একটি লেখায় বলেন, বঙ্গবন্ধু তার চশমাটা সেদিন ডায়াসের উপর রেখে ১৯ মিনিটের যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তার পুরোটাই অলিখিত। একদিকে তিনি পাকিস্তানিদের প্রতি চারদফা শর্ত আরোপ করলেন, অন্যদিকে ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তুলতে বললেন। ভাতে মারার কথা বললেন, পানিতে মারার কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাতই মার্চের আগে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি গিয়েছিলাম। একজন তাকে বললেন জনগণ কিন্তু সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা ছাড়া মানবে না। বঙ্গবন্ধু তাকে বললেন, তুমি তোমার কাজ কর। আমি তাদের নেতা, আমি তাঁদের পরিচালিত করবো, তারা আমাকে নয়।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের শ্রেষ্ঠত্বের কথা তুলে ধরে ইতিহাসের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের পর গোটা বাংলাদেশে পাকিস্তনীদের পরিবর্তে বাঙালিদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। অনেকে বিভিন্ন জায়গায় পূর্ব পাকিস্তান শব্দ মুছে বাংলাদেশ লিখে। তিনি বলেন, এ ভাষণের পর গোটা দেশ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় চলতে থাকে। এ ভাষণ গুটি কয়েক রাজাকার ছাড়া গোটা বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলো।

রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু বাঙালি জাতিকে মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান নয়। এটি সব জাতির মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পরার দিক-নির্দেশনা।

দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।

এছাড়াও এদিন বিকাল ৪ টায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে (তেজগাঁও) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৬ নারী সাফ শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

যেভাবে একের পর এক আক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়েছে নেপালের বক্সে, তাতে করে বাংলাদেশের বড় ব্যবধানে জয় ছিল অবধারিত। কিন্তু সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে জিতেছে ঠিকই, ব্যবধান তেমন বড় হয়নি। কাঠমান্ডুতে লাল-সবুজ দল ২-০ গোলে স্বাগতিকদের হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে। দুটি গোলই হয়েছে বিরতির আগেই, করেছেন সুরভী আক্তার প্রীতি।

শনিবার কাঠমান্ডুর চিয়াশাল স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে একচেটিয়া প্রাধান্য রেখে খেলেছে বাংলাদেশ। হাইলাইন ডিফেন্স করে স্বাগতিকদের শুরু থেকে চেপে ধরে রাখার প্রবণতা ছিল।

ম্যাচ ঘড়ির ৫ মিনিটে বাংলাদেশ ভালো সুযোগ নষ্ট করে। সতীর্থের ক্রসে আলফি আক্তার পোস্টের সামনে থেকে বাইরে মেরে দলকে এগিয়ে নিতে পারেননি। ১৫ মিনিটে দুর্ভাগ্য সাইফুর বারী টিটুর দলের। আলফির ফ্রি কিক গোলকিপার ঝর্ণা দুমরাকোতি এক হাত দিয়ে কোনোমতে রুখে দিয়ে তালুবন্দী করেন।

২৪ মিনিটে বাংলাদেশ হতাশা থেকে বেরিয়ে আসে। প্রথম গোলের দেখা পায়। সাথী মুন্ডার দারুণ এক মুভে বক্সের ভেতরে প্রীতি জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে আসা গোলকিপারের পাশ দিয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে জাল কাঁপান।

৫ মিনিট পর পেনাল্টি থেকে বাংলাদেশ ব্যবধান দ্বিগুণ করে। আলফিকে ফেলে দেন গোলকিপার স্বয়ং। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে কার্পণ্য করেননি। স্পট কিক থেকে গোলকিপারের ডান দিক দিয়ে জোরালো শটে দলকে আবারও এগিয়ে নেন প্রীতি।

দুই গোলে এগিয়ে থেকে বিরতির পরও বাংলাদেশের পায়ে বল ছিল। আক্রমণও কম হয়নি। তবে ফিনিশিং ব্যর্থতায় আর গোল পাওয়া হয়নি। এছাড়া এই অর্ধে নেপাল গোল শোধ দেওয়ার জন্য একদিক চেষ্টা চালিয়েছে। তবে গোলকিপার ইয়ারজান বেগমের বড় পরীক্ষা নিতে পারেনি।

৫২ মিনিটে কর্নার থেকে বাংলাদেশের একজনের শট পোস্টের পাশ দিয়ে যায়। ১০ মিনিট পর আরিফার ক্রসে প্রীতির প্লেসিং বাইরের জাল কাঁপালে হ্যাটট্রিক পাওয়া হয়নি।

৭৬ মিনিটে আলফি হতাশ করেন। মধ্যমাঠ থেকে থ্রু বল পেয়ে আলফি বক্সের ভেতরে আগুয়ান গোলকিপারকে একা পেয়ে পরাস্ত করতে পারেননি। সোজা গোলকিপারের পায়ের বরাবর গিয়ে গোল প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়।

রেফারির শেষ বাঁশি যখন বেজেছে, বাংলাদেশ দুই গোলে এগিয়ে থেকে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করে। রাউন্ড রবিন লিগ পর্বে ৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।


আরও খবর



ঈশ্বরদীতে সাবেক এমপির বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

পাবনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর এর ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৮ মার্চ) ৯টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর শহরের আকবরের মোড় এলাকায় সাবেক এমপির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা একটি প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সাবেক এমপির বাড়ির পাহারাদার মো. রানা বলেন, বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশের প্রাচীর নির্মাণ কাজের সামগ্রী দেখার জন্য গিয়েছিলাম। হঠাৎ দুটি মোটরসাইকেলে করে মাক্স পরিহিত চারজন লোক এসে বাড়ির সামনে রাখা প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। তাদের হাতে থাকা একটি বিদেশি মদের বোতল ভেঙে পালিয়ে যায়।

মো. বক্কার হোসেন নামের এক অটোচালক বলেন, আমি গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় দেখি মাক্স পরা কয়েকজন লোক লাঠিসোটা নিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করছে। আমি ভয়ে গাড়ি নিয়ে দ্রুত চলে যাই।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র আমি সাবেক এমপির বাড়িতে অবস্থান করি। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক এমপির বাড়িতে রাতে এভাবে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা অবশ্যই ন্যাক্কারজনক। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাক তাদের বিরুদ্ধে কঠিন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি আওয়ামী লীগের দলীয় কেউ এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে তবে আমরা দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল বলেন, সাবেক এমপির বাড়িতে হামলার ঘটনায় বর্তমান এমপি গালিবুর রহমান শরীফের নির্দেশে আমরা এখানে এসেছি। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে দলীয় বা অন্য যারাই জড়িত থাক না কেন তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, বাড়িতে বসে কথা বলছিলাম। হঠাৎ গেটের সামনে ভাঙচুরের শব্দ শুনে বের হয়ে দেখি আমার ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার ও বাড়িতে আসা একজনের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পালিয়ে গেছে। আমি মনে করি এটা শুধু ভাঙচুর নয় সেখানে গেলে আমাদের হত্যার ঘটনাও ঘটতে পারতো।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সাবেক এমপির বাড়িতে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করেছি। কি কারণে এবং কারা এ হামলা করেছে তা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



কড়াইল বস্তিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট (ভিডিও)

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মহাখালীর টিঅ্যান্ডটি মাঠের পাশে কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। রোববার (২৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট। তবে আগুনে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিকাল ৪টার ১০ মিনিটে আমাদের কাছে আগুন লাগার খবর আসে। সংবাদ পেয়ে আমাদের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো তথ্য জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



এসব ফাজলামি, ব্যাপারটা দেখছি আমি: পাপন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের দুই ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজের ফোনালাপ নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। এরপর বুধবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যা সাতটায় ফেসবুক লাইভে আসার ঘোষণা দিয়ে স্ট্যাটাস দেন তামিম। পরে সেখানে খোলাসা করেন সেই ফোনালাপের নেপথ্যের কাহিনী।

তামিম লাইভে আসেন মিরাজসহ আরও দুই ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে। লাইভে যুক্ত ছিলেন-আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠান নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর আহমেদ মিশুকও। মূলত, নগদের প্রচারকে কেন্দ্র করেই মঞ্চায়িত হয়েছে মিরাজ ও তামিমের ফোনালাপ।

লাইভে এসে তামিম জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষে একটি ক্যাম্পিং শুরু হয়েছে নগদের। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় ২৪ জন গ্রাহককে উপহার দেওয়া হবে জমি। তবে শর্ত হচ্ছে, এই ক্যাম্পেইনে জিততে হলে দুজন বা তিনজন করে দল গঠন করে লেনদেন করতে হবে। সেই দলেই তিনি রেখেছিলেন। তবে দল থেকে বের হয়ে গেছেন মুশফিক। এটিই ভাইরাল সেই ফোনালাপের কাহিনী।

মঙ্গলবার একটি বেসরকারি টিভি তাদের ইউটিউব চ্যানেলে দাবি করেছিল, তামিম ইকবালের ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে এবং সেটা তারা পেয়েছে। সে ফোনালাপে তামিমকে মিরাজের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। সর্বশেষ বিপিএল-জয়ী ফরচুন বরিশাল দলে থাকা সতীর্থের কাছে দলটির আরেক সদস্য মুশফিকুর রহিমের নামে বিষোদ্‌গার করতে দেখা গেছে।

অবশ্য জাতীয় দলকে টেনে এনে এমন বিতর্কিত বক্তব্য সম্বলিত ফোনালাপ বিজ্ঞাপনের অংশ হলেও তাতে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। সমর্থকরা বিষয়টি ভালোভাবে নেননি।

বুধবার (২০ মার্চ) তামিমের ফেসবুক লাইভ শেষ হওয়ার পর একটি সংবাদমাধ্যম এ বিষয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের মন্তব্য জানতে চায়। দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা যে বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি তার প্রমাণ মেলে পাপনের কথায়। বিরক্তি প্রকাশ করে পাপন বলেন, এসব ফাজলামি, আমি কী বলব? ব্যাপারটা দেখছি আমি।


আরও খবর