১৪৬ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো শতকের ফিফটি হাঁকিয়েছেন বিরাট কোহলি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে মাত্র ৬৭ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ভারতের আরেক ব্যাটার শ্রেয়াস আইয়ার। এই দুজনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৯৭ রানের পাহাড় গড়েছে ভারত। বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে এত রান তুলতে পারেনি কোনো দলই।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করা দলই বেশি জিতে, তাই টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি রোহিত শর্মা। উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ৭১ রান। এই রানে ২৯ বলে সমান ৪টি করে ছক্কা ও চারে ৪৭ রান করে বিদায় নেন রোহিত। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে আসে ৮৪ রান। এরপর কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ গতিতে দলের রান এগিয়ে নিতে থাকেন শুভমান। ৪১ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন তিনি। তবে দলীয় ১৬৪ রানের মাথায় ঘটে বিপত্তি। সিঙ্গেল নিতে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়েন শুভমান। এরপর মাঠ ছাড়েন এই ওপেনার। ৭৯ রান করা গিল উঠে গেলে মাঠে নামেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শ্রেয়াস আইয়ার।
আরও পড়ুন>> ২০ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান কোহলির
গিল চোট পেলেও ভারতের রান তোলার গতিতে একটুও ভাটা পড়েনি। কোহলি একটু রয়েসয়ে খেললেও আগ্রাসী খেলতে থাকেন আইয়ার। মাত্র ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ব্যাটার। ৪২ ওভারের মধ্যেই ৩০০ রান করে ফেলে ভারত। ১০৬ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করা কোহলি শেষ পর্যন্ত ৩২৭ রানের মাথায় ১১৭ রান করে আউট হন। ৯ চার ও ২ ছক্কায় এই রান করেন তিনি।
কোহলি ফেরার পর তাণ্ডব চালাতে থাকেন আইয়ার ও লোকেশ রাহুল। মাত্র ৬৭ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন আইয়ার। শেষ পর্যন্ত ১০৫ রান করে থামেন তিনি। ৪টি চার ও ৮ ছক্কায় এই রান করেন তিনি। এরপর সূর্যকুমার উইকেটে থিতু হতে না পারলেও রাহুল অপরাজিত ছিলেন ২০ বলে ৩৯ রানে। আর ইনজুরির কারণে ১৬৪ রানের মাথায় মাঠ ছাড়া শুভমান শেষদিকে মাঠে নেমে অপরাজিত থাকেন ৮০ রানে।