নিজ রাজ্যের
হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় পায়ে ইনফেকশন হয়েছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গতকাল বুধবার নবান্ন থেকে ভার্চ্যুয়ালি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি
নিজেই এ কথা জানান। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বলেন, ‘আমার ইনফেকশনটা সেপটিক টাইপের হয়ে গিয়েছিল ভুল ট্রিটমেন্টের ফলে। সেজন্য
হাতে স্যালাইনের চ্যানেল করে যেভাবে স্যালাইন দেওয়া হয়, সেভাবে সাত দিন আমার চ্যানেল
করা ছিল। আইভি গিয়েছে। সেই অবস্থায় বিছানা থেকে উঠতে পারিনি।’
ভুল চিকিৎসায়
অসুস্থ হয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শে বাড়ির বাইরে বের হতেও পারেননি বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন নন্দীগ্রামে গাড়িতে ওঠার সময় পায়ে চোট পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে পরীক্ষা করে জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের হাড়ে চিড় ধরেছে। ভাঙা হাড় জুড়তে প্লাস্টার কাস্টিং করে দেন চিকিৎসকরা। এরপর তাকে বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন>> দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ল গ্রিন ইউনিভার্সিটির বাস
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী
চিকিৎসকের সেই পরামর্শ মানেননি। ভাঙা পা নিয়েই গোটা রাজ্যে ভোট প্রচার করেন। স্লোগান
দেন, ভাঙা পায়ে খেলা হবে। ভোটের পরে যদিও মুখ্যমন্ত্রীর কাস্টিং খুলে দেওয়া হয়।
এরপর তার পায়ে কোনো সমস্যা রয়েছে বলে আর শোনা যায়নি।
গত সেপ্টেম্বরে
দুবাই ও স্পেন সফরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাকে রীতিমতো দৌড়াতে দেখা যায়।
স্পেন সফর থেকে ফিরেই গত ২৪ সেপ্টেম্বর এসএসকেএম হাসপাতালে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপরই তার পায়ের অবস্থা গুরুতর বলে জানা যায়। বিশ্রামে চলে যান তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার
প্রথম নবান্নে দেখা যায় মমতাকে। আজ সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেন, তার পায়ের
ভুল চিকিৎসা হয়েছে।