কলকাতা নাইট রাইডার্সের
(কেকেআর) সামনে লক্ষ্যটা বেশ চ্যালেঞ্জিংই ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লড়াই জমাতে পারলো
না শ্রেয়াস আইয়ারের দল। লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ৭৫ রানের বড় পরাজয় নিয়ে মাঠ
ছাড়লো কলকাতা।
এ জয়ের ফলে আইপিএলের
এবারের আসরে নবাগত দল লখনৌ পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে ওঠে গেছে। ১১ ম্যাচের মধ্যে ৮ জয়ে
তাদের পয়েন্ট ১৬। সমান সংখ্যক ম্যাচে মাত্র ৮ পয়েন্ট নিয়ে ৮ নম্বরে রয়েছে কলকাতা। আজকের
ম্যাচে হেরে কেকেআরের প্লে অফে খেলার সম্ভাবনা এখন অনেকটাই ফিকে।
এদিন পুনের মহারাষ্ট্র
ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কলকাতাকে ১৭৭ রানের টার্গেট
দেয় লখনৌ। কুইন্টন ডি কক আর দীপক হুদার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে লড়াকু সংগ্রহ পায় লোকেশ রাহুলের
দল।
কিন্তু ব্যাট
হাতে জবাব দিতে ব্যর্থ কলকাতা। দলীয় মাত্র ২৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলের
সামনে কাণ্ডারি হয়ে আবির্ভূত হতে পারেননি কেউ। আন্দ্রে রাসেল ১৯ বলে তিন চার ও পাঁচ
ছক্কায় ৪৫ রানের দাপুটে ইনিংস খেললেও তাতে হার এড়াতে পারেনি কেকেআর। আরেক ক্যারিবীয়ান
সুনীল নারিনের ব্যাট থেকে এসেছে ১২ বলে ২২ রান। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ৩৩ বল বাকি থাকতেই
১০১ রানে গুটিয়ে যায় কলকাতা।
লখনৌয়ের হয়ে আবেশ
খান ও জেসন হোল্ডার সমান তিনটি করে উইকেট নেন। মহসীন খান, দুষ্মন্ত চামিরা ও রবি বিষনয়
নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে প্রথম
ইনিংসে ব্যাট হাতে নেমে লখনৌ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল শূন্য রানে রান আউটের ফাঁদে পা দিলেও
আরেক অপেনার কুইন্টন ডি কক অর্ধশত রানের ইনিংস খেলেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দীপক হুদাকে
নিয়ে ৭১ রান তোলেন এ প্রোটিয়া ব্যাটার। ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে সুনীল নারিনের শিকার
হন ডি কক। ২৭ বলে ৪১ রান করেন দীপক হুদা। এছাড়া ক্রুনাল পান্ডিয়া খেলেন ২৭ বলে ২৯,
আয়ুশ বাদোনি ১৮ বলে ১৫*, মার্কাস স্টোইনিজ ১৪ বলে ২৮ এবং হোল্ডার ৪ বল খেলে করেন ১৩
রান।
তিন ওভার বল করে
মাত্র ১৯ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন আবেশ খান।
এদিকে লখনৌয়ের
মতো সমান ১১টি করে ম্যাচ খেলে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে আছে যথাক্রমে গুজরাট
টাইটান, রাজস্থান রয়্যালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এছাড়া পাঁচে দিল্লি,
ছয়ে হায়দারাবাদ, সাতে পাঞ্চাব, নয় নম্বরে চেন্নাই এবং সবচেয়ে তলানিতে আছে মুম্বাই।