লঙ্কান স্পিনার
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার দুর্দান্ত ঘূর্ণিজাদুতে ভর করে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে অল্পতেই
থামিয়ে দিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তবে সহজ লক্ষ্য পেরোতেও ঘাম ঝরলো
ডু প্লেসি-কোহলিদের।
তবে শেষ পর্যন্ত
জয়ে ফেরার স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তারা।
মঙ্গলবার ২০২২
আইপিএলের ম্যাচে মুম্বাইয়ের ড. ডি ওয়াই পাতিল স্পোর্টস অ্যাকাডেমির মাঠে ৩ উইকেটে জয়
পেয়েছেন বেঙ্গালুরু। ১২৮ রান তুলতেই সব উইকেট হারিয়ে ফেলে কলকাতা। জবাবে ৪ বল হাতে
রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বেঙ্গালুরু। এর আগে আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রানের পাহাড়
গড়েও জিততে পারেনি তারা। অন্যদিকে কলকাতা জয় দিয়ে আসর শুরু করে দ্বিতীয় ম্যাচেই হারের
মুখ দেখলো।
লক্ষ্য তাড়ায়
নেমে নড়বড়ে শুরু পায় বেঙ্গালুরু। মাত্র ১৭ রান তুলতেই দলটির টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার
ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। এর মধ্যে অধিনায়ক ও ওপেনার ফাফ ডু প্লেসি ৫ ও বিরাট কোহলির
ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান। আরেক ওপেনার আনুজ রাওয়াত তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি। মাঝে
ডেভিড উইলি ও শেরফানে রাথারফোর্ড মিলে ধাক্কা সামাল দিলেও দুজনের কেউই ইনিংস বড় করতে
পারেননি।
ডেভিড উইলি ২৮
বলে মাত্র ১৮ রানের ইনিংস খেলে ক্যারিবীয় স্পিনার সুনিল নারাইনের বলে আউট হলে বিপদে
পড়ে যায় বেঙ্গালুরু। এরপর শাহবাজ আহমেদ ও রাদারফোর্ড মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও বেশিদূর
যেতে পারেননি। দলকে ১০০ পার করিয়েই বিদায় নেন শাহবাজ (২৭)। সেট হয়েও ৪০ বলে ২৮ রানের
এক ধীরগতির ইনিংস খেলে আউট হন ক্যারিবীয় ব্যাটার রাদারফোর্ড। টিম সাউদির ওই ওভারেই
বিদায় নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাও (৪)।
শেষ ২ ওভারে বেঙ্গালুরুর
সামনে ১৭ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। কিন্তু হাতে ছিল মাত্র ৩ উইকেট। এক ওভারে ১০ রান নিয়ে
লক্ষ্যটাকে নাগালের মধ্যে আনেন হর্ষল প্যাটেল ও দীনেশ কার্ত্তিক। ইনিংসের শেষ ওভারে
আন্দ্রে রাসেলের প্রথম বলেই ছক্কা হাকিয়ে সমীকরণ মিলিয়ে দেন কলকাতার-ই সাবেক অধিনায়ক
কার্ত্তিক। দ্বিতীয় বলেই চার হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটার।
৭ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। প্যাটেলের ব্যাট থেকে আসে ৬ বলে অপরাজিত ১০ রানের
ইনিংস।
বল হাতে কলকাতার
দুই পেসার সাউদি ৩টি ও উমেশ যাদব ২টি উইকেট পান। এছারা নারাইন ১টি উইকেট নেন ৪ ওভারে
মাত্র ১২ রান খরচে। বাকি উইকেট বরুণ চক্রবর্তীর।
এর আগে টস হেরে
ব্যাটিংয়ে নেমে বিপদে পড়ে শ্রেয়াস আয়ারের কলকাতা। দলীয় ১৪ রানে ভেঙ্কটেশ আয়ারের (১০)
বিদায়ের মধ্য দিয়ে ধসের শুরু হয়। শিকারী আকাশ দীপ। এরপর আর কোনো ব্যাটারই রুখে দাঁড়াতে
পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়েছেন আরসিবি বোলাররা। ১৮ বলে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেছেন
৮ নম্বরে নামা আন্দ্রে রাসেল। এছাড়া আর কেউ বিশের ঘর ছুঁতে পারেননি।
৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন হাসারাঙ্গা। আকাশ দীপ নিয়েছেন ৪৫ রানে ৩টি। হর্ষল প্যাটেলের শিকার ২ উইকেট। ১৮.৫ ওভারে অল-আউট হয়ে যায় কলকাতা। ১০১ রানে ৯ উইকেট পতনের পর দুই বোলার উমেশ যাদব (১৮) আর বরুণ চক্রবর্তী (১০*) মিলে ২৭ রানের জুটি না গড়লে কলকাতা হয়তো লড়াই করার মতো পুঁজিও পেতো না।