নওগাঁর বদলগাছীতে
এক তরুণীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় ১৪ বছর পর বকুল হোসেন (৩৮) নামে এক যুবককে
সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন
মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৫
অক্টোবর) দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী
হাসান তালুকদার এ রায় দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি বকুল হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে
জানা গেছে, ২০০৭ সালের ৭ জুন বদলগাছী উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা ও গোবরচাপা
কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাজমা আক্তারকে (১৭) বাড়ির পাশে আমবাগানে একা পেয়ে
শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন একই গ্রামের বাসিন্দা বকুল হোসেন। ওই ঘটনার তিন দিন পর বিষ
পানে আত্মহত্যা করেন নাজমা। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৫ জুন
নাজমার বড় ভাই আমেদুল ইসলাম বকুল হোসেন, তার বাবা মকবুল হোসেন, মা জান্নাতুন নেছা ও
পিন্টু মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত মামলার আবেদন আমলে নিয়ে বদলগাছী
থানা পুলিশকে অভিযোগ এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দেন।
তদন্তে বকুল হোসেনের
বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০০৯ সালের ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০-এর ৯ (ক) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে
বকুলের বাবা মকবুল, মা জান্নাতুন নেছা ও পিন্টু মিয়াকে থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এদিকে এ রায়ে
সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর
সরকারি কৌঁসুলি মকবুল হোসেন।
অন্যদিকে রায়ে
অসন্তোষ প্রকাশ করে আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রকাশ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, এ রায়ে যুক্তির
চেয়ে আবেগকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আমার মক্কেল সঠিক বিচার পাননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে
আমরা আপিল করব।