আজঃ মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার

প্রকাশিত:বুধবার ০২ নভেম্বর 2০২2 | হালনাগাদ:বুধবার ০২ নভেম্বর 2০২2 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বগুড়ায় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে জিন্নাতুল ইসলাম প্রামাণিক (৫৩) নামে সরকারি আজিজুল হক কলেজের এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (০২ নভেম্বর) সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

এছাড়া অভিযোগকারী কলেজ ছাত্রীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) রাতে ওই ছাত্রীর অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে বগুড়া সদর থানা পুলিশ। গ্রেফতার জিন্নাতুল ইসলাম প্রামাণিক সরকারি আজিজুল হক কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৩ থেকে ৪ বছর আগে প্রাইভেট পড়ার মাধ্যমে শিক্ষক জিন্নাতুলের সঙ্গে ওই মেয়ের পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে ওই মেয়েকে প্রতারণামূলকভাবে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন জিন্নাতুল। এছাড়া শিক্ষক জিন্নাতুল ওই মেয়ের নগ্ন ছবি ও ভিডিও তুলে শারীরিক, মানসিক নির্যাতন এবং ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন আরও একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। 

১০ অক্টোবর নিজ বাড়িতে ওই শিক্ষক সর্বশেষ ধর্ষণ করেন ছাত্রীটিকে। এতে ওই শিক্ষার্থী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ৩১ অক্টোবর স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে বসে সন্তান নষ্টের জন্য হুমকি দেন এবং মারপিট করেন। পরে ওই মঙ্গলবার সকালে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ জানান ওই ছাত্রী। 

অভিযোগ পেয়ে সন্ধ্যায় শহরের চকসূত্রাপুর এলাকা থেকে শিক্ষক জিন্নাতুলকে আটক করে পুলিশ। পরে মামলা দায়েরের পর ওই শিক্ষককে গ্রেফতার দেখানো হয়।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, ওই ছাত্রীর লিখিত অভিযোগের পরেই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। তাকে সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর
জয়পুরহাটে খাল থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান)-এর ৪৩তম শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানীর জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারের (জেসিসি) প্লেনারি হলে তিন দিনের এই শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে। আসিয়ান প্রেক্ষিত : প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রবিন্দু প্রতিপাদ্যে সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তার স্ত্রী ডা. রেবেকা সুলতানাকে নিয়ে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে সম্মেলনস্থলে পৌঁছান। সেখানে আসিয়ানের সভাপতি ও ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনার পর তাদের স্বাগত জানান। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট তার স্ত্রী ইরিয়ানা জোকো উইদোদোকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে একটি ফটো সেশনে অংশ নেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার বিষয়ক বাংলাদেশের জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনও রয়েছেন।

আসিয়ান দেশগুলোর ১০টি সাংগঠনিক নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং অংশীদার দেশের নেতারা শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে অংশ নিচ্ছেন।

আসিয়ান মহাসচিব বলেন, আয়োজক দেশ ইন্দোনেশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকের মতো ২৭ জন বিশ্বনেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে বহিরাগত অংশীদারদের সঙ্গে সংস্থার সহযোগিতার উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণ, দক্ষিণ চীন সাগর সংক্রান্ত আচরণবিধি, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল (এসইএএনডব্লিওএফজেড), আসিয়ান মেরিটাইম আউটলুক, আসিয়ান আউটলুক ইন ইন্দো প্যাসিফিকের (এওআইপি) মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ থিম এবং মিয়ানমার সম্পর্কিত সমস্যার ওপর আলোকপাত করা হবে।

আসিয়ান সচিবালয় থেকে বলা হয়েছে, এই শীর্ষ সম্মেলনে আসিয়ান অবকাঠামো শক্তিশালীকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা, সুনীল অর্থনীতি, সবুজ অর্থনীতি, ডিজিটাল অর্থনীতি এবং পেমেন্ট ইকোসিস্টেম সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ১৮তম ইস্ট এশিয়া সামিট (ইএএস)-এ যোগ দেবেন। সেখানে তিনি এর সমাপনী অধিবেশনে বক্তৃতা করবেন।


আরও খবর
যেভাবেই হোক নির্বাচন হতে হবে: ইসি আলমগীর

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বিমানবন্দরে স্বর্ণ চুরি, পুলিশের সন্দেহে যে তিনজন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমের গুদাম থেকে প্রায় ৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় প্রাথমিকভাবে তিনজন জড়িত বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। এর মধ্যে কাস্টমের দুজন রাজস্ব কর্মকর্তা রয়েছেন।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা জোনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম শাহেদ এবং সহযোগী হিসেবে সিপাই নিয়ামত হাওলাদারকে সন্দেহ করা হচ্ছে। যদিও এ ঘটনায় এখনো কেউ স্বীকারোক্তি দেয়নি। তবে এ তিনজনকে ডিউটি সময় ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিমানবন্দর চত্বরে অবস্থান করার বিষয়টি প্রযুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ডিসি মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, যেখানে স্বর্ণ রাখা হয়েছিল সে গোডাউন (গুদাম) ছিল অবহেলিত অবস্থায়। অস্থায়ী গোডাউনে এ স্বর্ণ রাখা হয়েছিল। এ গুদামের পাশেই মূল্যবান পণ্য রাখার ব্যবস্থা থাকলেও তারা সেখানে রাখেননি। স্বর্ণ আটকের তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তারা জমা দেননি।

গত রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমের গুদাম থেকে প্রায় ৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরির ঘটনা ঘটে। চুরি হওয়া স্বর্ণের মধ্যে অলংকার ও স্বর্ণের বার রয়েছে। যদিও কতটুকু স্বর্ণ চুরি হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে পারেননি ঢাকা কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা। অনুমান করা হচ্ছে, গুদাম থেকে চুরি হওয়া স্বর্ণের পরিমাণ ৫৫ কেজি হতে পারে।

এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ এনে মামলা করেছেন কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন।

বিমানবন্দর থানার ডিইউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. এনায়েত কবীর মামুন মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে। চুরি হয়েছে ৫৫.৫১ কেজি স্বর্ণ।


আরও খবর



দুদকের মামলায় ওজোপাডিকোর পিয়ন কারাগারে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

ফরিদপুরের মধুখালীর ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) পিয়ন মোকছেদ মোল্লাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সাতচল্লিশ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ওই অফিস পিয়নকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মজিবুর রহমান আজকের দর্পণকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গতকাল (২৫ সেপ্টেম্বর) ওই ব্যক্তি আদালতে হাজিরা দিলে ফরিদপুর জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আকবর আলী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মোকছেদ মোল্লা জেলা সদরের কবিরপুর এলাকার মৃত আব্দুল মালেক মোল্লার ছেলে। মধুখালী উপজেলায় ওজোপাডিকোর পিয়ন পদে কর্মরত আছেন বলে দুদক ফরিদপুর জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মোকছেদের বিরুদ্ধে ৪৭ লাখ ১ হাজার ১২০ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৪২০ টাকার তথ্য গোপন করার দায়ে একটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। স্বেচ্ছায় তিনি আদালতের হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে মোকছেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


আরও খবর
জয়পুরহাটে খাল থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বরেণ্য কৃষিবিজ্ঞানী কাজী এম বদরুদ্দোজা আর নেই

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বরেণ্য কৃষিবিজ্ঞানী, কাজী পেয়ারার জনক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা আর নেই। কিংবদন্তি এই কৃষিবিজ্ঞানী আজ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।

কাজী এম বদরুদ্দোজার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। এক শোকবার্তায় মন্ত্রী বলেন, কাজী এম বদরুদ্দোজা এ দেশের কৃষি গবেষণার পথিকৃৎ। দেশের কৃষি গবেষণায়, গবেষণার সম্প্রসারণে ও কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের শক্তিশালী কাঠামো তৈরিতে তার অনন্য অবদান রয়েছে। কৃষিখাতে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

কাজী বদরুদ্দোজা ছিলেন একজন বিজ্ঞানী, বিজ্ঞান গবেষণার ব্যবস্থাপক এবং প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কারিগর। আর গবেষণাকে মাঠপর্যায়ে নিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন ভালো সংগঠক।

১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি-অ্যাগ্রি ডিগ্রি শেষ করার আগে কাজী ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানে বিভাগীয় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অনুমোদনে অ্যাগ্রিকালচার রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে একজন রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। সেখানে সঠিকভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালন ও নেতৃত্বের গুণাবলির জন্য তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ পেয়ে উচ্চতর শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান।

১৯৫৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্রপ বোটানিতে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। দেশে ফিরে কৃষি গবেষণায় আত্মনিয়োগ করেন। এরপর থেকে সারা জীবন তিনি নিজের গবেষণা এবং এ দেশের কৃষির উন্নতির জন্যই ব্যয় করে গেছেন।

স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের কৃষি খাতের যতগুলো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি হয়েছে, তার প্রায় সব কাজী বদরুদ্দোজার হাত ধরে তৈরি। শুধু ধান বা ভাত খেলে হবে না, সবজি, ফল ও আলুর মতো পুষ্টিকর খাবারও লাগবে। সঙ্গে থাকতে হবে মাছ, দুধ ও মাংস। এসব খাদ্য গৃহস্থপর্যায়ে স্বল্প পরিসরে উৎপাদিত হতো। কিন্তু বড় পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ ও উৎপাদিত হতো না। মাছ, গরু, মুরগি, ফল ও সবজির উন্নত জাত চাই। কিন্তু এগুলো কোথা থেকে আসবে? এসব চিন্তা করে কাজী বদরুদ্দোজার নেতৃত্বে একের পর এক দেশে প্রতিষ্ঠিত হলো বাংলাদেশে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এসব সংস্থার জন্য বিশাল পরিসরের কার্যালয়, ল্যাবরেটরি, স্থানীয় পর্যায়ে উপকেন্দ্রের জন্য জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে আধুনিক সরঞ্জামাদি ও গবেষক তৈরির কাজেও তিনি নেতৃত্ব দেন। দেশের দুগ্ধ খামারিদের সংগঠন মিল্ক ভিটার প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

ড. কাজী এম বদরুদ্দোজার বগুড়া জেলায় ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি জন্ম গ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়। কৃষি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০১২ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।


আরও খবর
যেভাবেই হোক নির্বাচন হতে হবে: ইসি আলমগীর

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বাংলাদে‌শিদের জন্য নেপালের ই-ভিসা চালু

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৮ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হিমালয়ের দেশ নেপাল বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ইলেকক্ট্রনিক ট্র্যাভেল অথরাইজেশন (ইটিএ) সিস্টেম চালু করেছে। রোববার নেপালের ঢাকাস্থ দূতাবাসের ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, নেপাল যেতে আবেদনকারী সব ব্যক্তির জন্য ভিসা স্টিকার বা হাতে লেখা ভিসা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। রোববার থে‌কে দূতাবাস নতুন ইটিএ জারি শুরু করেছে।

তবে ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য পূর্বশর্ত, যেমন শারীরিক পাসপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় নথি বা কাগজপত্র জমা দেওয়ার পদ্ধ‌তি অপরিবর্তিত রয়েছে ব‌লে জানিয়েছে দেশটির দূতাবাস।

উল্লেখ্য, ভ্রমণের জন্য নেপাল অনেক বিখ্যাত। নেপাল এবং চীনের সীমান্ত জুড়ে যে অঞ্চল সেখানে পৃথিবীর সর্বোচ্চ ১০টি পর্বতের ৮টিই অবস্থিত। পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের অবস্থানও নেপালেই।


আরও খবর