আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

কলাপাড়ায় বানৌজা শের-ই-বাংলা নৌ ঘাঁটি উদ্বোধন আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাইফুল ইসলাম, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)

Image

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নৌ বাহিনীর নাবিকদের জন্য উদ্বোধন হচ্ছে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত নৌ ঘাঁটি বানৌজা শের-ই-বাংলা।

বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গনভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ঘাঁটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। এ সময় ৪টি পেট্রোল ক্রাফট স্কোয়াড্রোন ও ৪টি যুদ্ধ জাহাজ উদ্বোধন করা হবে। খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড নির্মিত পেট্রোল ক্রাফট স্কোয়াড্রোনগুলো হলো শহীদ দৌলত, শহীদ ফরিদ, শহীদ মহিব্বুল্লাহ, শহীদ আখতার উদ্দিন। আর ৪টি ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি (এলসিইউ) হলো, বানৌজা ডলফিন, তিমি, টুনা ও পেঙ্গুইন। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করার পর এসব জাহাজ আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করবে।

আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড়ভাই খুন

নৌ ঘাঁটি বানৌজা শের-ই-বাংলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী বানৌজা শের-ই-বাংলা ঘাঁটির নাম ফলক উন্মোচন করেন। এ ঘাটিতে গড়ে তোলা হচ্ছে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত নবীন নাবিকদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে গড়ে তোলা হয়েছে প্রশাসনিক ভবন, এভিয়েশন সার্পোট ও হ্যাঙ্গার সুবিধা সম্বলিত মাল্টিপারপাস সেড, বিভিন্ন রিপেয়ার ও মেইন্টেন্যান্স ওয়ার্কশপ। এছাড়া, ঘাটিতে এভিয়েশন সুবিধা এবং ড্রাইভিং স্যালভেশন এর কমান্ডো পরিচালনা সম্বলিত ইউনিট, নৌ-বাহিনী স্কুল অ‌্যান্ড কলেজ, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল।

আরও পড়ুন: ভাতিজার লাঠির আঘাতে বৃদ্ধ চাচার মৃত্যু

সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিডেট নির্মিত ৪টি পেট্রোল ক্রাফট নৌ-বহরে অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকার সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে। এছাড়া, নবনির্মিত এলসিইউ সমূহ আশ্রয়ন-৩ প্রকল্পের আওতায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর ও তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি এলসিইউ সমূহ জাতিসংঘ, আন্তজার্তিক সংস্থা ও বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক বর্গকে সকল প্রকার সহায়তাসহ রোহিঙ্গাদের কল্যাণমূলক কার্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হবে। নবনির্মিত এ সব জাহাজ ও ঘাঁটি কমিশনিংয়ের মাধ্যমে এ অঞ্চলে অবৈধ মৎস্য আহরোণ রোধ, চোরাচালান দমন, মানবপাচার রোধ, জলদস্যূতা এবং মাদক পাচাররোধসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিরসনে ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।


আরও খবর
কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




গরমে পুড়ছে ফিলিপাইন, তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিপাইনে প্রচণ্ড গরমের কারণে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে দেশটিতে উৎপাদনমুখী ব্যবসা ক্ষতির কবলে পড়েছে। শুধু তাই নয় প্রচণ্ড গরমের কারণে দেশটির শিক্ষার্থীরাও সমস্যার মধ্যে পড়েছেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ফিলিপাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্র বিদ্যমান। এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে দেশটিতে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত এ ধরনের তাপমাত্রা থাকতে পারে।

প্রচণ্ড গরমের কারণে হাজার হাজার স্কুলে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ৩৬ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে দেশটির শিক্ষামন্ত্রণালয়ের এক তথ্যে বলা হয়েছে।

সেভ দ্য চিলড্রেন ফিলিপাইনের মৌলিক শিক্ষা উপদেষ্টা জেরক্সেস কাস্ত্রো বলেন, মে মাসেও শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তখন গরম আরও বাড়বে। অনেক অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে ৫২ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে।

সুতরাং এমন পরিবেশে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব প্রশ্ন রাখেন তিনি।


আরও খবর



রাজধানীতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে মিরপুরের ভাসানটেক ১৩ নম্বর কালবার্ট রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন মেহরুন্নেছা (৬৫), সূর্য বানু (৩০), লিজা (১৮), লামিয়া (৭), সুজন (৯) ও মো. লিটন (৫২)। এরমধ্যে মেহরুন্নেসার ৪৭ শতাংশ, সূর্য বানু ৮২ শতাংশ, লামিয়া ৫৫ শতাংশ, মো. লিটন ৬৭ শতাংশ, লিজার ৩০ শতাংশ এবং সুজনের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

জানা গেছে, পরিবার নিয়ে ওই বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকেন ফার্নিচার ব্যবসায়ী লিটন মিয়া। শুক্রবার ভোরে মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে ঘরের মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণ হয়। এতে নারী-শিশুসহ ওই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হয়। পরে তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, দগ্ধদের জরুরি বিভাগের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।


আরও খবর



৩০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ইউজিসির সতর্কতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এসব বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈধ কোনো কর্তৃপক্ষ না থাকায় শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি। ফলে ভর্তি হয়ে কেউ প্রতারিত হলে ইউজিসি কোনো দায়-দায়িত্ব নেবে না বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত সতর্কীকরণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১১৪টি। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৭৪টিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য রয়েছেন। এ ছাড়া অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। এর মধ্যে ৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য নেই। ইউজিসি বারবার নির্দেশ দিলেও তা মানছে না এসব বিশ্ববিদ্যালয়।

ইউজিসি জানিয়েছে, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ ও কমিশনের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রাম বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে শিক্ষার্থী ভর্তিপূর্বক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অননুমোদিত/অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা থেকে বিরত থাকার জন্য কমিশন থেকে ইতোমধ্যে একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেট-এ স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যর নিয়োগ করা ভাইস-চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

আরও বলা হয়েছে, কেউ কোনো অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত অথবা প্রোগ্রাম বাতিল হলে বা অনুমোদিত আসন সংখ্যার অধিক আসনে ভর্তি হয়ে সনদ বাতিল হলে তার দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উপর বর্তাবে না।

ইউজিসির সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস না থাকা, অনুমতিপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়াসহ নানা আইনভঙ্গের কারণে ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এবং দ্য ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লার সনদের কোনো বৈধতা নেই। ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ। আর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতেও সতর্কতা দিয়েছে ইউজিসি।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা ইউজিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া রয়েছে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত বিভাগের অনুমোদন আছে কি না-সেটিও ইউজিসির ওয়েবসাইটে দেখে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মঞ্জুরি কমিশন।


আরও খবর



দুপুরের মধ্যে ঝড়-বৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুপুরের মধ্যে সিলেটের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে বৈশাখের শুরু থেকেই সারা দেশে বইছে তীব্র দাবদাহ। এর ফলে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। শুধু তাই নয় মঙ্গলবারই (২৩ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিটস্ট্রোকে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় চলমান তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও শিগগিরই কোনো সুখবর মিলছে না। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃষ্টি ছাড়া এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ মিলবে না। আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে তাপমাত্রার আরও বাড়তে পারে। আগামী পাঁচদিনেও আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া খুলনা ও যশোরে ৪০ দশমিক ৪, পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ২ ও মোংলায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, চলমান তাপপ্রবাহ বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা কমে আসবে। বুধবার থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসে তাপপ্রবাহ খুব কমে যাবে এমন সুখবর নেই। তবে কিছুটা কমবেশি হতে পারে। শক্তিশালী কালবৈশাখী হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

তবে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায় রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও পটুয়াখালী জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।


আরও খবর
আজ ঢাকায় কখন বৃষ্টি হবে

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




আসছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আগামী অর্থবছরে মূল বাজেটের সম্ভাব্য আকার হতে যাচ্ছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। যা চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের তুলনায় বাজেটের আকার ৪.৬২ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

একই সঙ্গে প্রবৃদ্ধির সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রাও ধরা হচ্ছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্ব কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ৪ এপ্রিল আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল এবং বাজেট মনিটরিং, বাজেট ব্যবস্থাপনা ও সম্পদ কমিটির বৈঠকে আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওই দুটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সেখান থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, আগামী অর্থবছরে মূল বাজেটের আকার দাঁড় করিয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। যেখানে চলতি অর্থবছরে মূল বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরে মূল বাজেটের আকার আগের বছরের তুলনায় বেড়েছিল ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। তার তুলনায় আগামী অর্থ বছরের বাজেটের তুলনামূলক কম বৃদ্ধি পাবে।

বাজেটে এ মুহূর্তে প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্ব কমিয়ে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে। মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। আইএমএফের শর্তের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই প্রবৃদ্ধি কমিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

যেমনটা হতে পারে বাজেটের সম্ভাব্য আকার

মোট ব্যয় ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। আয় ৫ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা এবং ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা। চলতি বাজেটের চেয়ে আকার বাড়ছে ৩৫ হাজার ২১৫ কোটি টাকা। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়বে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। বিদেশি সহায়তা আর ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ কোটি টাকা। বাকিটা অভ্যন্তরীণ সম্পদ এবং ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পূরণ করা হবে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ। ওই বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা।


আরও খবর