আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

কক্সবাজারে পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৪ জন নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কক্সবাজারের রামুর কাউয়ারখোপ এলাকায় পাহাড় ধসে দম্পতিসহ একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের লট উখিয়ারঘোনা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ওই এলাকার আজিজুর রহমান (৫৫), তার স্ত্রী রহিমা খাতুন (৪৫), শাশুড়ি দিল ফুরুস বেগম (৭০) ও পুত্রবধূ নাছিমা আকতার (২৫)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাহমিদা মোস্তফা ঘটনাস্থল থেকে জানান, রাতে খাবার খেতে বসলে পাহাড় ধসে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়। পরিবারটি সেখানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছিল। যে কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে তাদের দাফন-কাফনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা ও জেলা প্রশাসন থেকে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. ওসমান গনি জানান, আজিজুর রহমান কক্সবাজার প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে এসে পরিবারের সবার সঙ্গে রান্না ঘরে খাবার খেতে বসেন। এ সময় মাটি চাপা পড়ে তার স্ত্রীসহ চারজনের মৃত্যু হয়।

রামু ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা সৌমেন বড়ুয়া জানান, দুর্ঘটনার পরই খবর পেয়ে রামু ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাটি চাপা অবস্থা থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। মাটির নিচে আর কেউ আছেন কিনা, তার জন্য উদ্ধার কাজ চলছে।


আরও খবর



ঈদে আনফিট গাড়ি নামালে কঠোর ব্যবস্থা: বিআরটিএ চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেছেন, ঈদে আনফিট গাড়ি নামার সুযোগ নেই, কেউ যদি বের করে, সেটি জানালে তাৎক্ষণিকভাবে লোকাল প্রশাসনের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আজ শনিবার গাবতলী বাস টার্মিনালের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান একথা বলেন।

নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ঈদের সময় কিছু আনফিট গাড়ি রাস্তায় নেমে আসে, এমন একটি কমন অভিযোগ থাকে প্রতিবছরই। এবার কোনোভাবেই যাতে আনফিট গাড়ি রাস্তায় নামতে না পারে, এজন্য আমরা বিআরটিসির ৫৫০টি বাস রিজার্ভেশনে রেখেছি। এছাড়া গার্মেন্টস মালিকদের রিকুইজিশন দিতে বলেছি, যাতে আনফিট গাড়ি না নিয়ে বিআরটিসির বাস নিতে পারে। সুতরাং এখানে আনফিট গাড়ি রাস্তায় নামার সুযোগ নেই। এছাড়া যেসব জায়গা থেকে আনফিট গাড়ি বের হওয়ার চেষ্টা করে সেগুলো বন্ধ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে আমরা নজরদারিতে রেখেছি।

তিনি আরও বলেন, টার্মিনালগুলো পরিদর্শন করেছি। গাবতলী বাস টার্মিনালে আমাদের মোবাইল কোর্ট, ভিজিলেন্স টিম, মনিটরিং টিম কাজ করছে। বিভিন্ন টিকেট কাউন্টার ঘুরে দেখলাম, বেশিরভাগ জায়গায় ভাড়া কম নেওয়া হচ্ছে। দুই-এক জায়গায় রুট ভুল লিখেছে। তাই ওই দুইটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করতে বলেছি। এখানে যাত্রীরও তেমন ভিড় নেই, পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়াও অভিযোগ দেখছি না।

বিআরটিএ এর পক্ষ থেকে প্রতিটি কাউন্টারে ভাড়ার তালিকা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এটা আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট, ভিজিলেন্স টিম সদস্য দেখছেন। মালিক সমিতির নেতারাও এই ব্যাপারে সিরিয়াস, যাতে তাদের বদনাম না হয়।


আরও খবর
চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় হিটস্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র দাবদাহ পুড়ছে সারাদেশ। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় হিটস্ট্রোকে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলেও দাবি করছে দপ্তরটি।

এদিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামে মাঠে কাজ করার সময় হিট স্ট্রোকে জাকির হোসেন (৩৩) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মৃত জাকির হোসেন দামুড়হুদার কুড়ালগাছি ইউনিয়নের ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। তিনি ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী ছিলেন।

তাছাড়া আজ শনিবার পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা পাবনা জেলায় চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এদিন তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোক করে মারা গেছেন একজন। শনিবার দুপুরে পাবনা শহরের রুপকথা রোডে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় হিট স্ট্রোক করেন তিনি। এসময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত সুকুমার দাস (৬০) পাবনার শহরের শালগাড়িয়া জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা।


আরও খবর
বৃষ্টি কবে থেকে, জানাল আবহাওয়া অফিস

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




সকালেই ভিজলো রাজধানী

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঘন কালো মেঘের সঙ্গে রাজধানীর আকাশ চিরে ঝরেছে বৃষ্টি। সঙ্গে তাল মিলিয়েছে ঝোড়ো হাওয়া। রোববার (৩১ মার্চ) সকাল ৬টার পর থেকেই আলো ছাপিয়ে চারপাশ ছেয়ে যেতে থাকে অন্ধকারে। পরে সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ শুরু হয় বৃষ্টি।

তবে আজ দুপুরের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৮ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার ভোর সাড়ে ৪টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাস এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রহমান জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে রাজশাহী, পাবনা, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, ঢাকা, এবং কুমিল্লা অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিমদিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, একই সময়ে টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিমদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে, আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটের শ্রীমঙ্গলে সর্বোচ্চ ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজধানী ঢাকায় ১৭ মিলিমিটার ছাড়াও বরিশালে ৬, ঈশ্বরদীতে ২ এবং কুমিল্লায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।


আরও খবর
বৃষ্টি কবে থেকে, জানাল আবহাওয়া অফিস

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের ৬ দফা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

প্রতিরোধে ৬ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা দাবি দাওয়া তুলে ধরেন। এর আগে দুপুরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ মধ্যরাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের আগমনের ফলে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ থাকা ছাত্র রাজনীতি নতুনভাবে ফিরে আসার পথ তৈরি হচ্ছে, এরই প্রতিবাদে আজকের অবস্থান।

শিক্ষার্থীরা বলেন, বুয়েটে বর্তমানে চলমান পাঁচটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আলোচনা করে কিছু সম্মিলিত সিদ্ধান্ত এবং দাবি দাওয়ায় উপনীত হয়েছেন। ক্যাম্পাসের সবচেয়ে অগ্রজ ব্যাচ ইন্টার্ভাল প্রতিটি ব্যাচের ঐক্যবদ্ধ দাবিগুলোকে সুসংগঠিত করে উত্থাপন করেছে।

তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা নাম, বিভাগ ও বর্ষ জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো

১. বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ২৮ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ইমতিয়াজ রাব্বিকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার।

২. ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বুয়েটের বাকি শিক্ষার্থীরা, যারা ওই সমাগমে জড়িত ছিল তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম বহিষ্কার চাই।

৩. মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে যেসব রাজনৈতিক ব্যক্তি প্রবেশ করলো তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, তারা কীভাবে প্রবেশের অনুমতি পেল এই ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসনের সুস্পষ্ট সদুত্তর এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

৪. ১ ও ২ নম্বর দাবি আগামীকাল সকাল ৯টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা, না হলে ডিএসডাব্লিউর পদত্যাগ।

৫. ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের প্রতিবাদে আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনালসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন।

৬. আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো রকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি।


আরও খবর
ফের মাউশির ডিজি হলেন অধ্যাপক নেহাল

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় বিষণ্ন ঈদ গাজায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম পালনের পর ধর্মীয় এ উৎসবকে সামনে রেখে চারদিকে আনন্দ-উল্লাস। তবে বিশ্বে এমনো এক প্রান্ত রয়েছে যেখানে শুধুই স্বজন হারানোর হাহাকার। বাতাসে লাশের গন্ধ। বিধ্বস্ত কংক্রিটের ভাঁজে ভাঁজে রক্তের ছাপ। ধূলিসাৎ হয়ে গেছে মসজিদ, পার্ক, ঐতিহাসিক ভবনসহ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় এবার বিষণ্ন ঈদ গাজায়। বাড়িতে খাবার নেই। নতুন পোশাক নেই। জীবনেরও কোনো নিয়শ্চয়তা নেই। ইসরাইলের অমানবীয় অত্যাচারে আনন্দহীন ঈদ কাটাবে গাজাবাসী। আলজাজিরা।

গাজা উপত্যকায় যা ঘটছে তা প্রত্যক্ষ করা হৃদয়বিদারক। ইহুদিবাদীরা তাদের পৈশাচিক আচরণ এবং ঘৃণ্য পেশা দিয়ে শোক ও বেদনাকে ছড়িয়ে দিয়েছে গাজায়। অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে শুধুই দুর্ভিক্ষ। অনেকেই স্বজন হারিয়ে একাকী ঈদের দিনটি কাটাবে। তবুও অসংখ্য গাজাবাসীর আশায় দিন কাটাচ্ছে তাদের দুঃখের অবসান হবে। তাদের মতে, শহিদদের রক্ত ইসরাইলের বর্বর সামরিক দখলদারিত্ব থেকে মুক্তির পথকে উন্মুক্ত করে দেবে।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে ফিরতে শুরু করেছেন সেখানকার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। সোমবার দলে দলে ফিলিস্তিনিরা বিধ্বস্ত শহরে ফিরছেন। দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী আংশিক সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর এই ফিরে আসা শুরু হয়েছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে। খান ইউনিসে অনেকেই নিজের শহরকে চিনতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।

ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অসংখ্য ভবন, অ্যাপার্টমেন্ট ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব হারিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুল ও হাসপাতাল। সড়কগুলোতে বুলডোজার চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। বাস্তুচ্যুত হওয়া নাজওয়া আয়াশ নামের আরেকজন বলেছেন, তার পরিবারের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের তৃতীয়তলায় তিনি যেতে পারছেন না। কারণ সিঁড়ি নেই। ধ্বংসস্তূপ বেয়ে উপরে ওঠে তার ভাই সন্তানদের জন্য কিছু জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন। বাসেল আবু নাসের আরেক বাসিন্দা বলেছেন, শহরটি ধ্বংসনগরী হয়ে গেছে। জীবনের কোনো স্পন্দন নেই। তারা কিছুই অবশিষ্ট রাখেনি।

যুদ্ধবিধ্বস্ত অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজাতে ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরাক সরকার। এছাড়া গাজার আহত ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ এবং তাদের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

রোববার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি এ ঘোষণা দেন। এক বিবৃতিতে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী জানান, তার দেশ গাজার বাসিন্দাদের জন্য এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠাবে। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে জ্বালানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে গাজা উপত্যকায়। জ্বালানির অভাবে সেখানকার হাসপাতাল, পানি ব্যবস্থাপনা, বেকারি ও ত্রাণ কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। তাই ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সুবিধার্থে এই সহায়তা দিচ্ছে ইরাক।

অন্যদিকে অবরুদ্ধ গাজায় ৩০০টিরও বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। সোমবার এই ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রতিদিন ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের সর্বোচ্চ সংখ্যা এটি। দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অঞ্চলটিতে খাদ্য সহায়তা প্রবেশের জন্য ইসরাইলকে ক্রমবর্ধমানভাবে চাপ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এরই মধ্যে দেশটি সোমবার ফিলিস্তিনি এই ভখণ্ডে ৩২২টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করানোর কথা জানিয়েছে। তবে অঞ্চলটির অনাহারে ভোগা লাখ লাখ ফিলিস্তিনির জন্য গাজায় সোমবার প্রবেশ করা এই সংখ্যক ট্রাক যথেষ্ট নয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি বিবৃতিতে ইসরাইলের কোঅর্ডিনেটর অব গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস ইন দ্য টেরিটরি (সিওজিএটি) বলেছে, ত্রাণবাহী গাড়িবহরের ২২৮টি ট্রাকে খাদ্যপণ্য ছিল। এই ট্রাকগুলো মোট সংখ্যার ৭০ শতাংশ। রাফাহ থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজউম জানিয়েছেন, অন্য ট্রাকগুলোও কারেম আবু সালেম সীমান্ত দিয়ে গিয়েছিল। এই সীমান্তটি ইসরাইলিদের কাছে কেরেম শালোম নামে পরিচিত। তিনি বলেন, মানবিক সহায়তা বহনকারী গাড়ি বহরের অধিকাংশ গাড়িই পানি, চিনি, আটা ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বোঝাই ছিল।


আরও খবর