আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

কক্সবাজারে জলাবদ্ধতার অজুহাতে ভোগ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারে গত কয়েকদিনের ব্যবধানে মাছ-ডিম সবজিসহ বেশকিছুর দাম বেড়েছে। মুরগির দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। যদিও আগে থেকে চড়া ছিল মাছের দাম। তবে গত দুই সপ্তাহ ধরে বাজারে কমেছিল মুরগি ও সবজির দর। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এসব ভোগ্যপণ্যের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বাড়তে দেখা যায়।

ভোগ্যপণ্যের এমন ঊর্ধ্বমুখী দামের জন্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, চট্টগ্রামসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে শহরের সাথে জেলা উপজেলাগুলোর যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ৮০ শতাংশ সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে সবজিসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে।

এদিকে হঠাৎ পণ্যের দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা বলছেন, প্রতিটি পণ্যের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। মাসের প্রথম সপ্তাহে মাসিক বাজার করা হয়। কিন্তু অতি বৃষ্টির কারণে ঘর থেকে বের হওয়া সম্ভব হয়নি। এখন বাজারে এসে দেকে সবকিছুর দাম বাড়তি। এতে আয়ের সাথে ব্যয়ের হিসেব মেলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের'।

সোমবার (১৪ আগস্ট) শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে ডিম প্রতি ডজন ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা পাঁচ দিন আগেও বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৪৫ টাকায়। মুরগির দাম ১৭০ থেকে বেড়ে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি কেজিতে ২০ টাকা দাম বেড়ে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৩০০ টাকায়। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে লেয়ার মুরগির দাম। এ মুরগি এখনো ৩৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বড় বাজারের নিঝুম পোল্ট্রি ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো: কিসমত উল্লাহ বলেন, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে, উপজেলাগুলো থেকে গাড়ি আসতে পারছে না। এতে শহরে মুরগি ও ডিমের সংকট দেখা দেয়।

জেলা পোলট্রি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল হক জানান, অতিবৃষ্টির কারণে জেলায় অনেক খামারের ক্ষতি হয়েছে। সড়কে ভাঙ্গণ ও জমে থাকা পানির কারণে গাড়ি আসা যাওয়া করতে পারেনি। এছাড়া মানুষ বৃষ্টির কারণে ভারী কিছু না করে ডিম, মুরগি বেশি কিনেছেন। তাই দাম বেড়েছে। সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দাম এমনই থাকবে আগামী কয়েক দিন। মুরগির দাম আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। বরবটি ১০০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর মুখী ৮০ টাকা, দেশি আলু ৭০ টাকা, ললিতা আলু ৪০ টাকা, লাউ প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, গাজর ১৪০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, মুলা ১০০ টাকা, তিত করলা ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০, কচুর লতি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়। টমেটো কেজিতে দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। এসব সবজি মান ভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত কেজিতে বেড়েছে।

এছাড়া আদা, রসুন ও সয়াবিন তেলের দাম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দামের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

এদিকে মাছের দাম আগে থেকেই চড়া ছিল। গতকাল সেই দামের উপর আবারো বেড়েছে। রুই মাছ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, কাতল ৩৮০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মৃগেল আকারভেদে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, তেলাপিয়া আকার ভেদে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়, পাঙ্গাস ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা দাম বেড়েছে। এসব মাছে কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা দাম বেড়েছে। এদিকে সামুদ্রিক মাছের মধ্যে সব চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। আকারভেদে ইলিশের কেজি ৭০০ থেকে ২৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজির উপরে ইলিশের দাম ২৫০০ টাকা। ৭০০ গ্রাম ইলিশের দাম ১২০০ টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে ১৪০০ টাকা। আবার লইট্যা ১৮০- ২০০ টাকা, সামুদ্রিক বাইলা আকার ভেদে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার, রূপচাঁদা ৮০০-১২০০ টাকায়, পোপা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় এবং চিংড়ি আকারভেদে (দেশি এবং সামুদ্রিক) ৬০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতা সোনা মিয়া বলেন, বাজারে সবচেয়ে মাছের দাম বেশি। সাগরে মিশালো মাছের দাম সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা। বেতন পেয়ে বাজারে আসলাম। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে বাড়তি ১২০০ টাকা খরচ হয়েছে।

বাজার করতে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. হোসাইন  বলেন, হঠাৎ করে ব্যবসায়ীরা জলাবদ্ধতার অযুহাত দেখিয়ে সব পণ্যের দাম বাড়তি নিচ্ছে। নানা ইস্যুতে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াচ্ছে। তাঁদের তদারকি করার কি কেউ নেই?

মজিবুর রহমান নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ব্যবসায়িক সিন্ডিকেটের দখলে নিত্যপণ্যের বাজার। জলাবদ্ধতা ও সরবরাহ সংকট একটি অজুহাত মাত্র। ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। মানুষ কষ্ট পাচ্ছে প্রশাসন কি করছে?

সমিতি পাড়া বাজারের সবজি বিক্রেতা মনু বলেন, বৃষ্টির কারণে জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। আড়ৎদার থেকে প্রতিটি সবজি কেজিতে ২০-৩০ টাকা বাড়তি গুনতে হয়েছে। আরও দাম বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে জেলা মার্কেটিং অফিসার জানান, খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



এবার ভরিতে ১৮৭৮ টাকা কমল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বাজারে ফের কমল স্বর্ণের দাম। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৭৮ টাকা কমানো হয়েছে। এর ফলে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪ হাজার ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৯ হাজার ৩১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৪ হাজার ২৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেইসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা।

স্বর্ণে দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটেগরি ভেদে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের রুপা ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল, ২৮ এপ্রিল, ২৭ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল সাত দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়। সবশেষ গত ৩০ এপ্রিল ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের ৪২০ টাকা কমানো হয়।


আরও খবর



তীব্র তাপদাহে তিন শিক্ষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপদাহের কারণে এক সপ্তাহ ছুটি শেষে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) পাঠদান শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজন শিক্ষক প্রাণ হারিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

মারা যাওয়া তিন শিক্ষকের মধ্যে রয়েছেন একজন মাদ্রাসা শিক্ষক, একজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

এদের মধ্যে দুইজন রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে মৃত্যুবরণ করেছেন। চট্টগ্রামের কালুরঘাট ফেরিতে মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা মো. মোস্তাক আহমেদ কুতুবী (৫৫) মারা যান। তিনি জেলার বোয়ালখালী উপজেলার খিতাপচর আজিজিয়া মাবুদিয়া আলিম মাদরাসায় কর্মরত ছিলেন।

এদিন সকালে মাদ্রাসা খোলা থাকায় তিনি নগরের চান্দগাঁও মোহরা এলাকার বাসা থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বের হন। মোস্তাক আহমেদ কক্সবাজারের কুতুবদিয়া লেমশীখালীর মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। তার ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।

এদিন সকালে যশোরে স্কুলে আসার পর আহসান হাবীব নামে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়। রবিবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহসান হাবীব যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের ছিলমপুর গ্রামের ইউছুপ আলী মোল্লার ছেলে। তিনি সদর উপজেলার আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

জানা যায়, শিক্ষক আহসান হাবীব আজ সকালে মাঠে কৃষি কাজ করে ৯টার দিকে বিদ্যালয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বজনদের ধারণা ওই শিক্ষক গরমে হিট স্ট্রোক করে মারা গেছেন।

এছাড়া মানিকগঞ্জে শনিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকে হাছিনা পারভীন (৪২) নামে এক শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। মৃত শিক্ষিকা সদর উপজেলার বাসুদেবপুর ২৬নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বিদ্যালয়ের সভাপতি গোলাম ফারুক জানান, শিক্ষক হাছিনা ঢাকার পপুলার হাসপাতালে শনিবার দুপুরে হিট স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেছেন। পারভীন স্ট্রোক করে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন বলেও জানান তিনি।

সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলা মাঝারি থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এতে প্রতিটি হাসপাতালেই বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।

এদিকে চলমান তাপপ্রবাহ আরো তিনদিন অব্যাহত ও তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে এমন পূর্বাভাস দিয়ে সারাদেশে ফের ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তীব্র তাপদাহের মধ্যেই এদিন সময়সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন এনে খুলে দেওয়া হয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।


আরও খবর



জাজিরায় ককটেল বিস্ফোরণে আহত যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের জাজিরায় বোমা বিস্ফোরণে আহত সৈকত সরদার (১৯) নামের এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল ৫টার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হাফিজুর রহমান। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

নিহত সৈকত সরদার (১৯) জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের মুলাই বেপারী কান্দি গ্রামের কাসেম সরদারের ছেলে। তিনি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারীর সমর্থক ছিল।

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল সাহাবুদ্দিন নামে এক যুবক নড়িয়া থেকে তার বাড়িতে আসার সময় সারেং কান্দি বাজারে আসলে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারীর কিছু লোক তাকে গতিরোধ করে। এরপরে তাকে সেখানে গণধোলাই দিলে স্থানীয়রা জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐদিনই স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আঃ জলিল মাদবর ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে নিহত সৈকত বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন।

এবিষয়ে বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারী মুঠোফোনে বলেন, সংঘর্ষের সময় আমার সমর্থক সৈকতের পিঠে, গলায় ও মাথায় বোমার আঘাত লেগে গুরুতর আহত হওয়ার পর এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলো। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে এমন সংঘর্ষ কখনোই সমর্থন করিনা। কিন্তু জলিল মাদবরের সমর্থকরা খুবই বেপরোয়া প্রকৃতির। জলিল মাদবরের আস্কারায় এলাকায় তারা এই অরাজকতা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আঃ জলিল মাদবরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।

উল্লেখ্য: গত ২৭ মার্চ দু'পক্ষের সংঘর্ষে বোমার আঘাতে সজীব মুন্সী নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ৫ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি জলিল মাদবরের সমর্থক ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: ককটেল বিস্ফোরণ

আরও খবর



ফরিদপুরে বাস-পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ১১

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ফরিদপুর সদরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই পিকআপ ভ্যানের আরোহী বলে জানা গেছে। এ দুর্ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নামপরিচয় জানা যায়নি।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরে অ্যাবলুম ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইউনিক পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা থেকে মাগুরা যাচ্ছিল। সকাল ৮টার দিকে কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় পৌঁছালে ঢাকাগামী একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়। ওই পিকআপ ভ্যানটি ভাড়া করে কয়েকজন ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এতে পিকআপ ভ্যানে থাকা ১১ জন যাত্রী ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আরও চারজন আহত হয়েছেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এই ঘটনায় জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহতদের তিন লাখ টাকা দেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: ফরিদপুর

আরও খবর



পাথরঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে বসতঘর পুড়ে ছাই

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটায় বসতঘরে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পাথরঘাটা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনুস হাওলাদারের বসতঘরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

পরে পাথরঘাটা ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় একঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা এমপির পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়ালিদ মক্কি ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ সুজন। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে অর্থ প্রদান করা হয় এবং বসত ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে টিনসহ যাবতীয় কিছু যা দরকার তা দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, চা বানাতে ইউনুস হাওলাদার ঘরে গ্যাস সিলিন্ডারের চুলা জ্বালাতে গেলে হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়, এতে ইউনুস আগুনে দগ্ধ হয়। ওই আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে তারা নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে পাথরঘাটা ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা এসে এক ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে মালামালসহ বসতঘরটি সম্পূর্ণ পড়ে ছাই হয়ে যায়। এই ঘটনায় ঘরে থাকা স্বর্ণ অলঙ্কার নগদ ৫০ হাজার টাকা পুড়ে হয়ে গেছে বলে জানায় ওই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। এতে অন্তত ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন পরিবার।


আরও খবর