আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

কক্সবাজারে ৫০০ বেডের হাসপাতাল করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন, কক্সবাজারে দেশ বিদেশ থেকে প্রতি বছরই লাখ লাখ পর্যটক আসেন। এর সাথে কক্সবাজারে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাস করছে। এখানে প্রায় ২৮ লাখ স্থানীয় বাসিন্দা আছেন। প্রতিদিনই এখানকার সরকারি হাসপাতালের ধারন ক্ষমতার বাইরে গিয়ে অনেক রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এসব কারনে, কক্সবাজারে চিকিৎসা সেবা আরো বৃদ্ধি করা জরুরি। কক্সবাজারের বর্তমানে আড়াইশ বেডের জেলা সদর সরকারি হাসপাতাল থাকলেও সেখানে ছয় থেকে সাতশ রোগী প্রতিদিনই চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। এত রোগীর চাপে হাসপাতালের ফ্লোরেও রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এজন্য এই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা জরুরি। তাই, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কক্সবাজারের হাসপাতালে অচিরেই আড়াইশ বেড থেকে বাড়িয়ে পাঁচশ বেডের হাসপাতাল করা হবে। এর পাশাপাশি এই হাস্পাতালে ডায়ালাইসিস সেবা দেবারও ব্যাবস্থা করা হবে।

আজ ১২ জানুয়ারি, সকালে কক্সবাজার জেলা সদর হাস্পাতালে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনএইচসিআর-এর যৌথ উদ্যোগে কক্সবাজার জেলা সদর ২৫০ বেড হাসপাতালে নবনির্মিত ডা. আব্দুর নুর বুলবুল ভবন এর শুভ উদবোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

কক্সবাজারের বর্তমানের আড়াইশ বেড হাসপাতালটি এখন ৩ তলা বিল্ডিং হিসেবে এখানকার প্রায় ২৮ লাখ স্থানীয় বাসিন্দাসহ অন্যদেরও সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কক্সবাজারে নতুন করে পরিত্যক্ত জায়গা পাওয়া অনেক কঠিন। তাই এই তিন তলা বিশিষ্ট হাসপাতালটিকে ১০ তলা বিশিষ্ট হাসপাতালে পরিণত করতে পারলে এখানকার পর্যটক সহ স্থানীয় ২৮ লাখ মানুষের সেবার মান বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে সভায় জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এক্ষেত্রে বিদেশী সাহায্য না পাওয়া গেলে সরকারিভাবেই এই উন্নয়ন কাজটি করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

মায়ানমার থেকে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের কারনে স্থানীয় বাসিন্দাদের নানারকম সমস্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ১০ লাখ, এখন সেটি আরো কয়েক লাখ বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের কারনে এদেশের মুল্যবান বন বিভাগের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা আরো বেড়ে গেলে তা দেশের জন্য স্বস্তির হবেনা বলে জানান মন্ত্রী। স্বাস্থ্যমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে হবেই বলে সভায় উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলা সদর ২৫০ বেড সরকারি হাসপাতালের ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও কক্সবাজারের উখিয়া, রামু অঞ্চলের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল এমপির সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, ইউএনএইচসিআর কক্সবাজারের হেড অব অপারেশন ইউকো আকাসাকা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হাসান, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা সদর ২৫০ বেড সরকারি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোমিনুর রহমান, কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ড. মাহাবুবুর রহমান সহ অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দ।


আরও খবর



ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর ট্রি অব পিস পুরস্কার পেয়েছেন বলে যে তথ্য প্রচারিত হয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ইসরায়েলি একজন ভাস্করের দেওয়া পুরস্কার ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতারণামূলকভাবে ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে প্রচার চালিয়েছেন।

বুধবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

গত ২১ মার্চ ইউনূস সেন্টারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আজারবাইজানের বাকুতে ১৪-১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত একাদশ বিশ্ব বাকু ফোরামের শেষ দিনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দ্য ট্রি অব পিস পুরস্কারে ভূষিত করে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।

এদিকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।

রায়ে তাদের শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় সর্বোচ্চ ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত।


আরও খবর



চিনির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বাড়ালো টিসিবি

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রতিকেজি চিনির দাম একলাফে ৩০ টাকা বাড়িয়ে ১০০ টাকা নির্ধারণ করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এর আগে ফ্যামিলি কার্ডধারীদের ৭০ টাকা কেজি দরে চিনি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর গত রমজানে প্রতিকেজি চিনির দাম ছিল আরও ১০ টাকা কম, প্রতি কেজি ৬০ টাকা।

বুধবার (৬ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) থেকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রির তথ্য জানিয়েছে টিসিবি। এখানে চিনির এ নতুন দাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, বাজারে দাম সমন্বয় করার জন্য চিনির দাম বাড়ানো হয়েছে। আগে তুলনামূলক কমদামে চিনি বিক্রি করেছে টিসিবি। সর্বশেষ দুই-তিন মাস আগে ডিলারদের চিনি দেওয়া হতো, তখন দাম কমছিল। এখন বাজারে চিনির দাম অনেক বেড়েছে।

একজন ফ্যামিলি কার্ডধারী ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল এক কেজি চিনি ও এক কেজি খেজুর কিনতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা, প্রতিকেজি চিনি ১০০ টাকা ও মসুর ডাল ৬০ টাকা, খেজুর ১৫০ টাকা ও চাল ৩০ টাকায় বিক্রি করবে টিসিবি।

টিসিবি বলছে, সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিবেশকেরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এসময়ে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত জায়গা থেকে পণ্য নিতে পারবেন পরিবার কার্ডধারীরা।

জানা গেছে, রমজান উপলক্ষে দ্বিতীয় পর্বের বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তিব্বত মোড়ের পূর্ব কলোনী বাজার সংলগ্ন পলিটেকনিক মাঠে এ উদ্বোধন অনুষ্ঠান হবে।


আরও খবর



মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে ঝালকাঠিতে র‌্যালি

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সর্বশ্রেণির মানুষের উপস্থিতিতে আজ রবিবার (১০ই মার্চ) ঝালকাঠিতে অনুষ্ঠিত হল পবিত্র মাহে রমযান উপলক্ষে আলোচন সভা ও বর্ণাঢ্য র‌্যালী।

প্রথমে বিকাল সাড়ে ৩টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে রমজান কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা আদর্শ সমাজ বাস্তবায়ন পরিষদ সভাপতি আলহাজ সরদার মো: শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমীরুল মুছলিহীন হযরত মাওলানা মুহম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুর।

উদ্বোধনী বক্তব্য পেশ করেন বাংলাদেশ আদর্শ সমাজ বাস্তবায়ন পরিষদ মহাসচিব ডা. মুহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন খান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সভা ও র‌্যালীর আহ্বায়ক পৌর মেয়র আলহাজ্ব মো. লিয়াকত আলী তালুকদার, এ্যাড. মো. সিদ্দিকুর রহমান, অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতী গাজী মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান কাজী, এ্যাড. মুন্সী আবুল কালাম আজাদ, ডা. অসীম কুমার সাহা, মাওলানা মো: মোক্তার আহমদ, জনাব মো: আল আমীন বাকলাই প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীরুল মুছলিহীন হযরত নেছারাবাদী হুজুর মাহে রমজানকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানবজাতির কল্যাণের মাস উল্লেখ করে বলেন, রমজান শুধু মুসলমানদের নয় বরং গোটা মানবজাতির জন্য মানবতা, মননশীলতা ও বিবেকবোধ চর্চার মাস; তামাম পৃথিবীর মানুষের জন্য কল্যাণ ও অনুগ্রহের মাস।

সভা শেষে র‌্যালীকে কেন্দ্র করে ঝালকাঠি শহর উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়। হযরত নেছারাবাদী হুজুরের নেতৃত্বে ঝালকাঠির সর্বস্তরের মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেন। রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় বিভিন্ন শ্লোগান ও ব্যানার-ফেস্টুনে আকীর্ণ র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন অলিগলি প্রদক্ষিণ শেষে দোয়া ও মুনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়।


আরও খবর



উত্তর আমেরিকার ‘কিনোয়া’ মিরসরাইয়ে

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

উত্তর আমেরিকার ফসল কিনোয়া এবারই প্রথম চাষ হয়েছে চট্টগ্রামে। মিরসরাই উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ২৪ শতক জমিতে প্রথমবারের মতো সম্ভাবনার এ ফসল চাষ করেছেন কৃষক দীলিপ নাথ। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ঘরে উঠবে তাঁর স্বপ্নের ফসল। অন্যান্য ফসলের তুলনায় স্বল্প সময়, খরচ আর পরিশ্রমের হওয়ায় আবারো চাষের লক্ষ্যে এগুচ্ছেন তিনি। তাঁর দেখাদেখি আরো অনেক কৃষক আগ্রহী হয়েছেন শস্যদানা কিনোয়া চাষে।

মঘাদিয়া ইউনিয়নের তিনঘড়িয়াটোলা এলাকার কৃষক দীলিপ নাথ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায়ের সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রথম জানতে পারেন বিদেশি এই ফসল সম্পর্কে। শুনে মনে কিছুটা সংশয় কাজ করলেও শেষমেশ নেমে পড়েন ফসল ফলাতে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সহযোগিতায় বীজ সংগ্রহ করা হয় বাংলাদেশে কিনোয়ার নতুন বীজ উদ্ভাবক শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক পরিমল কান্তি বিশ্বাসের কাছ থেকে। ১৭ ডিসেম্বর তিনি বীজ আবাদ করেন। ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে চারা গজিয়ে এখন ফসল ঘরে উঠার অপেক্ষায়।

গতকাল সরেজমিন দেখতে আসেন কিনোয়ার নতুন বীজ উদ্ভাবক শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক পরিমল কান্তি বিশ্বাস।

কৃষক দিলীপ নাথ বলেন, কিনোয়া সম্পর্কে জানতাম না। তাই ফলনের ব্যাপারে শুরুতে কিছুটা ভয় কাজ করেছে। তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কিনোয়া নিয়ে যে সম্ভাবনার পথ দেখিয়েছেন তাতে আমি পুরোপুরি আশ্বস্ত হয়ে ২৪ শতক জমিতে কিনোয়া চাষ করি। এখন পুরো ক্ষেতে ফসলে ভরপুর। আনন্দ লাগছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ফসল ঘরে তুলতে পারবো। আশা করছি ভালো দাম পাবো।

২৪ শতকে ১৪ হাজার টাকা খরচ পড়েছে। দুই থেকে তিন মণ ফসল উঠার সম্ভাবনা’— বলেন কৃষক দীলিপ নাথ।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চট্টগ্রামে এই প্রথম হলেও দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে কিনোয়ার চাষ শুরু হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো ২৪ শতক জমিতে চাষ করা হয়েছে। বাংলাদেশে এখনো পরিচিতি না পেলেও এই সফলের বেশ চাহিদা রয়েছে ইউরোপ আমেরিকায়। বাংলাদেশের সুপারশপগুলোতেও বাজার গড়ে উঠছে বিদেশি এই ফসলের। কেজি প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রান্না করলে এই কিনোয়াবীজ প্রায় চারগুণ ফুলেফেঁপে ওঠে এবং কিছুটা স্বচ্ছ দানাদার আকৃতি ধারণ করে। মৃদু স্বাদের কিনোয়া একেবারে গলে যায় না এবং কিছুটা চিবিয়ে খেতে হয়।

সুপারফুড নামে পরিচিত পাওয়া কিনোয়ায় রয়েছে হাইপ্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। তাই বৈশ্বিক বাজারে এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, কিনোয়া উত্তর আমেরিকার ফসল। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক পরিমল কান্তি বিশ্বাস স্যার বাংলাদেশে সর্ব প্রথম কিনোয়া নিয়ে কাজ করছেন। স্যারের কাছ থেকে বীজগুলো সংগ্রহ করেছি। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো চাষ করে আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে। ধীরে ধীরে চাষের পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, অপরিচিত ফসল হওয়ায় এখনো স্থানীয় বাজার গড়ে উঠেনি তবে ডা. জাহাঙ্গীর কবিরসহ বেশ কয়েকটি সুপারশপ বিদেশ থেকে আমদানি করে বিক্রি করছে। দিলীপ নাথের ফসল অগ্রিম বুকিং দিয়ে রেখেছেন ঢাকার বেশ কয়েকজন। হারবেস্ট/হারভেস্ট করলেই তা ক্রেতার কাছে পৌঁছে যাবে।


আরও খবর



জামিন পেলেন সাংবাদিক রানা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

দেশ রূপান্তর পত্রিকার শেরপুরের নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম‍্যাজিস্ট্রেট জেবুন নাহার এ জামিনের আদেশ দেন।

এর আগে শেরপুরের নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিনের কাছে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা আবেদন করেন। তিনি ওই আবেদনের রিসিভড কপি চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হন ওই ইউএনও। এ সময় তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাংবাদিক রানাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।


আরও খবর