আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

কখনো প্রত্যাশা করে কোনো কাজ করি না: জয়া আহসান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ অক্টোবর ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ অক্টোবর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

জয়া আহসান অভিনীত নতুন সিনেমা 'দশম অবতার'  কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির আগেই সিনেমাটি আলোচনায় এসেছে। ৫ বছর পর সৃজিত মুখার্জির পরিচালনায় অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান।

টানা ১০ বছর ধরে ভারতীয় বাংলা সিনেমায় সাফল্যের সঙ্গে অভিনয় করছেন তিনি। নিজ দেশের পাশাপাশি ভারতে পেয়েছেন পুরস্কার, সম্মান ও দর্শকদের ভালোবাসা।

কলকাতা থেকে গতরাতে জয়া আহসান কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সাথে।

'দশম অবতার' সিনেমাটি গতকাল কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে এবং মুক্তির আগেই রেকর্ড পরিমাণ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে?

জয়া আহসান: হ্যাঁ, গতকালই মুক্তি পেল 'দশম অবতার'। সিনেমাটির খুব ভালো অবস্থা এখানে। প্রচুর দর্শক এটি দেখছেন। প্রচুর টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। অনেকেই টিকিট পাচ্ছেন না। এটা অনেক খুশির খবর। এই সিনেমার শিল্পী হিসেবে আমার জন্যও খবরটি বেশ আনন্দের। একটি সিনেমা নির্মিত হয় দর্শকদের জন্য। তাদের ভালোবাসা ও আগ্রহ যদি বেশি থাকে, সিনেমাটির নির্মাতা ও কলাকুশলীরা তত বেশি খুশি হয়। সেই দিক থেকে ভালো খবর 'দশম অবতার' সাড়া ফেলেছে।

এই সিনেমার প্রচারের জন্য আপনারা বেশ সময় দিচ্ছেন?

জয়া আহসান: তা দিচ্ছি। প্রচারের সময়ই সবার আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি।  প্রথমত এটি সৃজিত মুখার্জির মতো নামকরা একজন পরিচালকের সিনেমা। তার আলাদা একটা দর্শক আছে। অন্যদিকে প্রসেনজিত, অনির্বাণসহ অনেক বড় বড় শিল্পী আছেন। আমিও অভিনয় করেছি। সবাই মিলেই প্রচারণায় অশং নেওয়া। প্রচারণার সময় সব দিক থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।

প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমাটি দেখেছেন?

জয়া আহসান: প্রিমিয়ারেই দেখেছি। কয়েকদিন ধরে কলকাতায় আছি। দশম অবতারের জন্যই আসা। প্রিমিয়ারে যারা এসেছিলেন সবাই খুব প্রশংসা করেছেন। আমার নিজেরও ভীষণ ভালো লেগেছে। ভালো একটি সিনেমা হয়েছে। দশম অবতার সব দর্শকদের মন জয় করবে, এটা আমার বিশ্বাস।

পরিচালক সৃজিত মুখার্জি এবং নায়ক প্রসেনজিত সম্পর্কে আপনার মন্তব্য?

জয়া আহসান: দুজনেই খুব বড় মাপের মানুষ। তাদের সম্পর্কে নতুন করে কি আর বলব। সৃজিত অনেক বড় মাপের পরিচালক। অসম্ভব মেধাবী পরিচালক নিঃসন্দেহে। ৫ বছর পর তার পরিচালনায় অভিনয় করলাম। খুব যত্ন করে প্রতিটি সিনেমা নির্মাণ করেন তিনি। তার কাজের আলাদা একটা বৈশিষ্ট্য আছে। অন্যদিকে প্রসেনজিত বড় একজন শিল্পী। তার প্রতি দর্শকদের অন্যরকম ভালোবাসা আছে। দর্শকরা জানেন তিনি কতটা ভালো কাজ করেন। দশম অবতারেও সেটা তিনি করেছেন।

টানা এক দশক ধরে ভারতীয় বাংলা সিনেমায় সাফল্যর সঙ্গে অভিনয় করছেন, দেশের বাইরের মানুষের ভালোবাসা ও সম্মান-দুটোই পাচ্ছেন, এটাকে কীভাবে দেখেন?

জয়া আহসান: দেখুন, আমি অভিনয় ভালোবাসি। অভিনয় করি। অভিনয় করতে ভালো লাগে। কখনো প্রত্যাশা করে কোনো কাজ করি না। না নিজ  দেশে, না ভারতে। আমি সব সময় অভিনয় করতে চাই এবং ভালো কাজটিই  করতে চাই। সেভাবেই অভিনয় করে যাচ্ছি। তারপরও মানুষ যখন দুই জায়গাতেই ভালোবাসেন, আমার অভিনয় পছন্দ করেন, তখন ভালো তো লাগেই।

শিল্পী জীবনের সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা নিয়ে ভাবেন?

জয়া আহসান: না। কাজটিই আমার কাছে প্রধান। সব সময় নতুন নতুন গল্প, নতুন চরিত্র আমাকে টানে। অভিনয় নিয়েই ভাবি।

কলকাতার পূজায় নিমন্ত্রণ কতটা পাচ্ছেন?

জয়া আহসান: অনেক। প্রচুর নিমন্ত্রণ পেয়েছি পূজায়। আরও পাচ্ছি। পূজায় কলকাতা অন্যরকম উৎসবে মেতে উঠে। দারুণ লাগে। তা ছাড়া এখানকার সবাই এতটা আপন ভাবেন এটাও ভালো লাগে।

চলতি বছর আপনার অভিনীত 'অর্ধাঙ্গিনী' মুক্তি পেয়েছে কলকাতায় এবং বেশ সাড়া ফেলেছে?

জয়া আহসান: ঠিকই বলেছেন। 'অর্ধাঙ্গিনী' সিনেমাটি এ বছর মুক্তি পেয়েছে। দর্শকদের কাছ থেকে এই সিনেমার জন্য বেশ সাড়া পাওয়া গেছে। দর্শকরা দারুণভাবে গ্রহণ করেছেন।


আরও খবর



এডিপির সঙ্গে ৭১ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মধ্যে ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি সই হয়েছে।

Loan 4440- BAN: Climate-Resilient Integrated Southwest Project for Water Resources Management'  শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ চুক্তি সই হয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ঋণচুক্তি ও প্রকল্পচুক্তিটি ঢাকায় স্বাক্ষরিত হয় বলে জানা গেছে।

এ সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবির পক্ষে বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং উভয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির আবাসিক মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঋণটি এডিবির Ordinary Operations (Concessional) বা নমনীয় শর্তে পাওয়া গিয়েছে যার সুদের হার ২ শতাংশ এবং ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। এছাড়া অন্য কোনো চার্জ নেই।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, প্রকল্পটি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। আলোচ্যে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আনুষঙ্গিক উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আনয়ন, সমন্বিত পানি সম্পদ ও অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং উন্নত অবকাঠামো নির্মাণ ও সমন্বিত সহায়তার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অর্জন সম্ভব হবে।

এছাড়া প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত সুবিধাদির দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব বজায় রাখার নিমিত্ত পানি ব্যবস্থাপনা সংঘ গঠন করা হবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল জানুয়ারি ২০২৪ হতে ডিসেম্বর ২০২৮ পর্যন্ত।

এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে সদস্যলাভের পর থেকে এডিবি থেকে এর অর্থনীতির অগ্রাধিকারভুক্ত বিভিন্ন খাতসমূহে ধারাবাহিকভাবে আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছে। এডিবি এ যাবত বাংলাদেশ সরকারকে ৩১ হাজার ৫৪৭.৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা ও ৫৭১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান সহায়তা প্রদান করেছে। বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি সাধারণত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানিসম্পদ ও সুশাসনকে প্রাধান্য দেয়।

নিউজ ট্যাগ: এডিবি বাপাউবো

আরও খবর



রমনার বটমূলে মানুষের ঢল, সুরের মূর্ছনায় বর্ষবরণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা বর্ষপঞ্জিতে আজ রোববার শুরু হলো ১৪৩১ সনের দিন গণনা। আর নতুন বছরের নতুন দিনটি উদযাপনে সবচেয়ে বড় উৎসব বসেছে রাজধানীর রমনা বটমূলে। সকাল সোয়া ছয়টায় শুরু হওয়া এ উৎসবে নিয়েছেন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, ধনী, নির্ধন নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। ফলে পহেলা বৈশাখের এই আয়োজন রূপ নিয়েছে এক বিপুল বর্ণাঢ্য মহোৎসবে।

উৎসবে যোগ দেওয়া অনেকে জানিয়েছেন, নতুন বছর মানেই একটি নতুন সম্ভাবনা। নতুন বছরের নতুন দিনের এ আয়োজন দেশ, জাতি, সমাজ ও ব্যক্তিজীবনের সমৃদ্ধি অর্জনের প্রেরণা জোগাবে। প্রত্যয় থাকবে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে প্রগতির পথে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়ার।

রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরের আলো ফোটার আগে থেকে রমনার বটমূলে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের আসা শুরু হয়। সকাল সোয়া ছয়টায় আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে শুরু হয় বর্ষবরণের এবারের অনুষ্ঠান। নতুন বছরকে এক কণ্ঠে বরণ করে নিচ্ছেন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের শতাধিক শিল্পী। সেখানে জীর্ণতা ঘুচিয়ে নতুনের আহ্বানে নববর্ষকে স্বাগত জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।

রমনা উদ্যানে সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ মানুষের ঢল নামে। বছরের প্রথম দিনে অনেকের পোশাকেই স্থান পেয়েছে লাল-সাদার প্রাধান্য। নারীরা লাল-সাদা শাড়ি, কাচের চুড়ি, দুল-মালায় বাঙালিয়ানা সাজে সেজেছেন। পুরুষের গায়ে শোভা পেয়েছে একই রং-নকশার পাঞ্জাবি। এছাড়া অনেকের মাথায় শোভা পেয়েছে লাল-সবুজ জাতীয় পতাকার ছাপ দেওয়া ব্যান্ড। তারা রমনা বটমূল ছায়ানটের প্রভাতী অনুষ্ঠানের গান, কবিতা আসরে যোগ দিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, রমনার বটমূলে দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে এবার ছায়ানটের নতুন বছর আবাহনের শুরু হয়। এবারের অনুষ্ঠানের মূলভাব মানুষ ও মানবতার জয়গান। সুরে সুরে দেওয়া হচ্ছে মানুষকে ভালোবেসে নিজেকে সার্থক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রেরণা। আর নতুন বছরের প্রভাতে বাঙালিকে বরাভয় দিতে বলা হচ্ছে, নাই নাই ভয় হবে হবে জয়...।

ছায়ানটের পুরো অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নতুন স্নিগ্ধ আলোয় স্নাত প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম-দেশপ্রেম আর আত্মবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। এবারের আয়োজনে ১১টি সম্মেলক গান, ১৫টি একক গান, পাশাপাশি পাঠ ও আবৃত্তি রয়েছে।

বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠানমালা সরাসরি সম্প্রচার করছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, বাংলাদেশ বেতার ও ইউটিউব চ্যানেলগুলো।

বর্ষবরণের আয়োজন ঘিরে পুরো রমনা পার্ক এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বসানো হয়েছে ডিএমপি, র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম। প্রবেশপথ ও বাহির পথ করা হয়ে আলাদা।


আরও খবর



সকালে ৩৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ‘ফিলস লাইক’ ৪২

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে সোমবার (২৯ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছিল, আজ মঙ্গলবার গরমের তীব্রতা বেশি থাকবে। বাতাসে জ্বলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে অস্বস্তিও বেশি বিরাজ করবে বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র গরম অনুভূত হতে দেখা গেছে। সকাল ১০টায় গুগল সার্চ ইঞ্জিনে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস দেখালেও ফিলস লাইক’-এ দেখাচ্ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি হলেও গরম অনুভূত হচ্ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৫৫ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ১৩ কিলোমিটার।

বেশিরভাগ মানুষ গুগল সার্চ ইঞ্জিনের সহায়তায় তাপমাত্রা দেখেন। তবে গুগলে তাপমাত্রা দেখার সময় দুই রকম তথ্য সামনে আসে। নির্দিষ্ট এলাকার তাপমাত্রা জানতে সার্চ করলেই বিরাজমান তাপমাত্রা বড় করে দেখানো হচ্ছে। বড় অক্ষরে লেখা ওই তাপমাত্রার নিচে ছোট করে লেখা থাকে ফিলস লাইক’...। যেটি মূলত অনুভূত হওয়া তাপমাত্রা নির্দেশ করে। কোনো এলাকায় তাপমাত্রা যদি ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তবে ফিলস লাইক’-এ তার চেয়ে তিন থেকে চার ডিগ্রি বেশি দেখানো হয়।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা যেভাবে তাপমাত্রা রেকর্ড করি তাতে ফিলস লাইক’ বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ, আমরা সরাসরি রোদের মধ্যে তাপ মাপি না। আমরা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত পদ্ধতিতে তাপমাত্রা রেকর্ড করি। স্বীকৃত পদ্ধতি হলো স্টিভেনসন স্ক্রিনের মাধ্যমে তাপমাত্রা রেকর্ড করা। সে পদ্ধতিতে থার্মোমিটার থেকে বাতাসের তাপমাত্রা নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, যদি আমরা সরাসরি রোদের তাপমাত্রা রেকর্ড করতাম, তাহলে প্রকৃত তাপমাত্রা আরও বেশি হতো। রোদে গেলে যেটা ফিল’ হচ্ছে সেটাকেই গুগল ফিলস লাইক’ বলছে। এছাড়া বর্তমানে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি। এজন্য গরমে বেশি অস্বস্তি অনুভূত হচ্ছে।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্রতাপে পুড়ছে মানুষ, টিউবওয়েলে মিলছে না পানি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বৈশাখের বিদায় ঘন্টার সুর উঠেছে। তবুও বৃষ্টির দেখা নেই। ভয়ানক গরমে পুড়ছে ঠাকুরগাঁওয়ের প্রতিটি মানুষ। অতিমাত্রার দাবদাহে গ্রাম থেকে শহর সবখানেই নাভিশ্বাস অবস্থা। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আবাদি জমি। হাসপাতালেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।

শুধু ঠাকুরগাঁও নন, অন্যান্য জেলাগুলোতেও একই চিত্র। দিনে-রাতে সমান গরম। এ পরিস্থিতিতে ঘরের ভেতরেও টিকে থাকা বড়ই দায়। ফ্যানের বাতাসেও যেন প্রাণ জুড়ায় না। সব মিলে বলা যায় অতিষ্ঠ প্রাণ। অনেকেই রোদের আগুনে পুড়ে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ।

ইতোমধ্যে তাপের প্রকোপ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। এমনকি তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির আশায় জমকালোভাবে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেছেন এলাকাবাসী।

গত সোমবার শহরের মথুরাপুর এলাকায় স্থানীয়দের আয়োজনে ব্যাঙের বিয়েতে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুরা অংশগ্রহণ করেন। বিয়ের গীত আর নাচ-গানের মধ্যে দিয়ে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া শেষে বরণ ডালায় ব্যাঙ দুটিকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারা। এ সময় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাল-ডাল সংগ্রহ করে ব্যাঙের বিয়েতে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।

অন্যদিকে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের দক্ষিণ ঠাকুরগাঁও গ্রাম ও হরিপুর উপজেলার শাহানাবাদ, হাটপুকুর, খালেকপাড়া গ্রামের টিউবওয়েল গুলোতে পানি উঠছে না। নেমে গেছে পানির স্তর। এতে করে অনেক নলকূপে মিলছে না পর্যাপ্ত পানি। তাতে খাবার পানিসহ দৈনন্দিন পানির সংকট দেখা দিয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র তাপপ্রবাহে নেমে গেছে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্থর৷  টিউবওয়েলের পানি ঠিকমতো উঠছে না। পাম্প বসিয়েও পানি মিলছে না। বাড়িতে ব্যবহৃত কাপড়, থালাবাসন ধোয়া ও রান্নাবান্না করতে যে পানি দরকার তা মিলছে না। এতে নানান ধরনের ভোগান্তিতে রয়েছেন গ্রামবাসী।

ভুক্তোভুগীরা জানান, এমনি গরমে জীবন অতিষ্ঠ। তারপর আবার টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছেনা। অনেক ক্ষণ ধরে পানি দিয়ে পানি উঠানোর চেষ্টা করলেও পাওয়া যায় না। হঠাৎ করে অল্প পানি উঠলে আবার নাই হয়ে যায়। এতে করে বাড়ির যে কাজ গুলো এসব করা কঠিন হয়ে যায়। যাদের গভীর নলকূপ আছে তাদের বাড়িতে যেতে হয়।

অপদিকে, তীব্র গরমে ও খরা-অনাবৃষ্টিতে ফল-ফসল হিটশকের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ অবস্থায় ফসলি জমিতে সেচ দিয়ে দুয়েক ইঞ্চি পরিমাণ পানি রাখার এবং আম, লিচু, জামসহ ফল গাছে পানি ছিটানোর পরামর্শ দিয়েছেন জেলার কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

আজিজ নামে এক এনজিও কর্মী বলেন, আমি অফিসের কাজে তেঁতুলিয়া যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা দিয়েছি। আজকে প্রচণ্ড গরমে গাড়ি চালাতে হাত-পা জ্বলছে। তাই গাছের নিচে একটু থেমেছি। এই রোদে এখন গাড়ি গন্তব্যে যাবো কিনা তা নিয়ে চিন্তায় আছি। আসলে এমন তাপদাহ চলতে থাকলে জনজীবন থেমে যেতে পারে।

বাবু নামে এক অটোচালক বলেন, তাপের কারণে অটোর কন্ট্রোলার তাড়াতাড়ি কেটে যাচ্ছে ও চাকা ঘন ঘন পাংচার হচ্ছে। রোদের জন্য প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বেড় হচ্ছে না তাই যাত্রীও কম। এতে আমাদের খুব কষ্ট হয়ে গেছে চলাচল করতে।

এদিকে গরমের কারণে ২৫০ শয্যা ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে দেখা যায় তাপমাত্রাজনিত কারণে ছোট-বড় সব বয়সের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রকিবুল আলম চয়ন বলেন, তাপমাত্রাও বৃদ্ধির ফলে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত গরমের ফলে ডিহাইড্রেশন রোগ, যেটা পানি শূন্যতা বলে জানান তিনি।


আরও খবর



তীব্র গরমে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখতে পারেন যেসব উপায়ে

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। হিট অ্যালার্ট জারি হচ্ছে। এ অবস্থায় ঘরে ফিরেও স্বস্তি মিলছে না। একটু শীতলতার খোঁজে মানুষ। যাদের ঘরে এসি আছে, তারা না হয় কিছুটা আরাম পাচ্ছেন। কিন্তু যাদের ঘরে এসি নেই তারা কী করবেন? উপায় আছে। এসি ছাড়াও ঠান্ডা করা যায় ঘর।

১. খোলা জানালার সামনে ভেজা চাদর মেলে রাখতে পারেন। ঘরের ভেতর একটি ভেজা কাঁথা মেলে রাখার ব্যবস্থা করতে পারেন।

২. রাতে টিউবলাইটের পরিবর্তে ভালো মানের এলইডি লাইট ব্যবহার করুন। ঘরের আলো যতটা সম্ভব কমিয়ে রাখুন। ঘুমানোর আগে সম্ভব হলে সব আলো নিভিয়ে দিন। ঘরে আলোর পরিমাণ যত কম থাকবে, ঘর তত বেশি ঠান্ডা থাকবে।

৩. ঘরের পরিবেশ শীতল করার জন্য টেবিল ফ্যানের সামনে বাটি ভর্তি বরফ রাখুন। এছাড়া সিলিং ফ্যানের নিচে বালতি ভর্তি পানি রেখে দিতে পারেন।

৪. রাতে ঘুমানোর আগে ঘরের মেঝে ভেজা-ভেজা করে মুছে নিন। তবে ঘরের মেঝেতে গদি ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিছানায় হালকা রঙের সুতির চাদর ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে শীতলপাটিও ব্যবহার করতে পারেন।

৫. ঘরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করুন। ভেন্টিলেটর নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

৬. ঘরের ভেতর ইনডোর প্লান্ট রাখুন। গাছ কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়। এতে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কমে। ঘরে মানি প্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ রাখতে পারেন। এগুলো একদিকে ঘরের শোভা যেমন বাড়ায়, অন্যদিকে তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।

৭. এসময় তাপ উৎপাদনকারী যন্ত্রের ব্যবহার কমিয়ে আনুন। যেসব যন্ত্র এরকম তাপ উৎপন্ন করে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে হেয়ার ড্রায়ার, ওয়াটার হিটার, ডিশ ওয়াশার এবং আয়রন।


আরও খবর