রাশিয়ার সামরিক
বাহিনী কিয়েভের টেলিভিশন টাওয়ারে হামলা করেছে। হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। দিনের
আলোতেই সম্প্রচার টাওয়ারের পাশে এই বোমা হামলা চালায় রুশ সেনারা। নিহতরা সামরিক নাকি
বেসামরিক তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে হামলার
পর থেকে টেলিভিশনটির সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।এই হামলায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। তবে
৩৮০ মিটার (১২৫০ ফুট) উচ্চতার টিভি টাওয়ারটি এখনও দাঁড়িয়ে আছে।
এদিকে ইউক্রেনকে
‘বেসামরিকীকরণ’ ও ‘নাৎসিদের হাত
থেকে মুক্ত’ করার যে লক্ষ্য রাশিয়া নিয়েছে
তা পূরণ হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশটিতে সামরিক অভিযান জারি রাখার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী
সের্গেই শোইগু।
মস্কোতে প্রতিরক্ষা
মন্ত্রণালয়ের দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শোইগু বলেন, ‘ইউক্রেনে রুশ
অভিযানের উদ্দেশ্য দেশটিকে দখল করা নয়, বরং পশ্চিমা দেশগুলোর কারণে ইউক্রেনের ওপর যে
সামরিক হুমকির সৃষ্টি হয়েছে, তা থেকে সেখানকার জনগণকে মুক্ত করা এবং দেশটির ক্ষমতাসীন
নাৎসিপন্থী শাসকগোষ্ঠীকে অপসারণ করা। এই লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।
সংবাদ সম্মেলনে
রুশ বাহিনীর প্রশংসা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি
সেনা সদস্য যুদ্ধক্ষেত্রে যে বীরত্ব, সাহসিকতা, বিবেক ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিচ্ছে,
সেজন্য আমরা তাদের আন্তরিক অভিনন্দন ও প্রশংসা জানাচ্ছি।
দীর্ঘ দুই মাস ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ২ লাখ সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে দেশটির পূর্বাঞ্চলে সেনা অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন ভ্লাদিমির পুতিন। তার ভাষণ সম্প্রচারের পরপরই রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায় এবং তড়িৎগতিতে ইউক্রেনের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পাশাপাশি চতুর্দিক থেকে দেশটির ভেতরে প্রবেশ করতে শুরু করে রুশ সেনাবাহিনী।