আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

কিশোরগঞ্জে মোটরসাইকেল চোর সন্দেহে তরুণকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় মোটরসাইকেল চোর সন্দেহে এক তরুণকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুলিয়ারচর পৌর শহরের বাজার এলাকার জামে মসজিদ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের দাবি, তাঁকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত তরুণের নাম রাব্বি মিয়া (১৮)। তিনি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দীঘিরপাড় এলাকার মিরজালি মিয়ার ছেলে।

নিহত রাব্বির বড় ভাই আল আমিন বলেন, অন্তত পাঁচ বছর ধরে রাব্বি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে আসছিলেন। এর আগে রাব্বির বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ ছিল না। শুক্রবার সন্ধ্যায় অটোরিকশা নিয়ে রাব্বি বের হয়েছিলেন। রাব্বি গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা যাননি। তাঁকে ধরে উপজেলা ভূমি অফিসের পেছনে নিয়ে দীর্ঘসময় শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের গাইলকাটা এলাকার সারোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল রাখা ছিল জামে মসজিদ সড়কে। এ সময় রাব্বি মিয়া মোটরসাইকেলের কাছে আসেন এবং কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। তখন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী চোর সন্দেহে রাব্বিকে আটক করেন। পরে তাঁকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে রাব্বি অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখন তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে জানানো হয়, হাসপাতালে আনার আগেই রাব্বির মৃত্যু হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে তরুণের মাথা ও সারা শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

বক্তব্য জানার জন্য সারোয়ার হোসেনের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ধরেননি। তবে সারোয়ারের ঘনিষ্ঠজনদের দাবি, রাব্বিকে ধরে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়নি। মোটরসাইকেল চুরির সময় পথচারীরা তা দেখে ফেলে এবং তখন রাব্বি গণপিটুনির শিকার হন।

কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম মুস্তফা বলেন, রাব্বির মৃত্যু হয়েছে শারীরিক নির্যাতনে। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




৭০ হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আগামী মাসে ৭০ হাজার সরকারি কর্মীকে বরখাস্ত করার পরিকল্পনা করছে আর্জেন্টিনা। মূলত রাষ্ট্রীয় ব্যয় কমানোর লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই।

গত মঙ্গলবার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে আমেরিকার দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরাম অব আমেরিকাসের ল্যাটাম ফোরামে দেওয়া এক ভাষণে এ ঘোষণা দেন জাভিয়ের মিলেই।

চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের বাইরেও জনসাধারণের বিভিন্ন কাজ জব্দ করণসহ প্রাদেশিক সরকারের কিছু তহবিল বন্ধ করে দেওয়া এবং দুর্নীতিগ্রস্ত ২ লাখেরও বেশি সামাজিক কল্যাণ পরিকল্পনা বাতিল করেছেন বলে জানান তিনি। মিলেই তার বক্তৃতায় দেশে ২৭৬ শতাংশ বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির কারণে মজুরি এবং পেনশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান।

বর্তমানে আর্জেন্টিনায় প্রায় ৩৫ লাখ সরকারি কর্মচারী আছে। এর মধ্যে ৭০ হাজার ছাঁটাই করা হলে তা হবে খুবই সামান্য। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এরই মধ্যে কর্মচারীদের সংগঠন ধর্মঘটে গিয়েছিল। ফলে মিলেই সরকার যদি আরও কর্মচারী ছাঁটাই করতে চান, তাহলে ধারণা করা হচ্ছে শ্রমিক সংগঠনগুলো থেকে আরও বাধার মুখোমুখি হবেন।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আর্জেন্টিনার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন ডানপন্থী উদারবাদী রাজনীতিবিদ মিলেই। নির্বাচিত হওয়ার পরপরই মিলেই আর্জেন্টিনায় নতুন রাজনৈতিক যুগের সূচনার ঘোষণা দেন তিনি।

নির্বাচনের আগে মিলেই দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নতিকল্পে বেশ কিছু পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি অর্থনৈতিক শক থেরাপির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে-কেন্দ্রীয় ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়া, মুদ্রা হিসেবে পেসোকে বাতিল বা সংস্কার করা এবং সরকারি ব্যয় কমানো। তার এসব প্রতিশ্রুতি অর্থনৈতিক কারণে সংক্ষুব্ধ থাকা ভোটারদের অনুরণিত করেছিল, যা তার জয়ের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।


আরও খবর



ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে আগামী সপ্তাহে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে আসবে আগামী সপ্তাহে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সাপ্লাই চেইন মজবুত ও শক্তিশালী করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলেও জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সাপ্লাই চেইনের কোথাও যেন কোনো ঘাটতি না থাকে, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহেই ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে আসবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাজার পরিচালনা কমিটির সহোযোগিতা না থাকলে সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়। শিগগিরই বাজারের সকল ব্যবসায়ীকে নিয়ে স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা তৈরি করা হবে।

এসময় তিনি জানান, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দামে তেল বিক্রি হচ্ছে। বাজারে যথেষ্ট পরিমাণে ছোলা ও চিনির সরবরাহ আছে। কৃষিপণ্য বাজারে আসার আগে হাতবদলসহ সর্বক্ষেত্রে তদারকি বাড়িয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় শুধুমাত্র রমজান মাসে নয়, সারা বছরই অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম।


আরও খবর



কুসিক নির্বাচনভোটকেন্দ্রের বাইরে দুজন গুলিবিদ্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন উপনির্বাচনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ডের মুন্সি এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। দুজন ইনজুরড। তবে কার সমর্থক, কীভাবে ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত করে জানি না।

এদিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার দাবি করেছেন গুলিবিদ্ধ দুজন তাঁর কর্মী। তিনি বলেন, আমার কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বাস প্রতীকের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাঁরা সর্বত্র আতঙ্ক ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন, যাতে আমাদের ভোটারেরা কেন্দ্রে যেতে না পারেন।

তিনি আরও বলেন, ভোটাররা কেন্দ্রে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং অনেকে পথে আছেন। বাস প্রতীকের ক্যাডার ও কুমিল্লার চিহ্নিত ক্যাডাররা পাড়ামহল্লায় ভোটারদের বাধা দিচ্ছে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জাভেদ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে আমার এজেন্টদের ওপর হামলা হয়েছে। সেখানে আহত হয়ে আমার একজন এজেন্ট হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অশোকতলা, কুচাইপট্টিসহ বিভিন্ন স্থানে আমারদের এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দিয়েছে। আমি গিয়ে এজেন্টদের কেন্দ্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করেছি।

উপনির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন। নারী ভোটার ১ লাখ ২৪ হাজার ২৭৮, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ১৮২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুজন।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে লড়ছেন চার প্রার্থী। এর মধ্যে ঘড়ি প্রতীকে সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, ঘোড়া প্রতীকে স্বেচ্ছাসেবক দলের কুমিল্লা মহানগরের সাবেক আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন কায়সার, বাস প্রতীকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার ও হাতি প্রতীকে মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনকালে নিরাপত্তার জন্য ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আচরণবিধি প্রতিপালনে ২৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন। ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৭ টিমে ৯৩৯ জন র‍্যাব সদস্য, পুলিশের ২৭টি মোবাইল টিমে ১ হাজার ৩৩৯ জন ও ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে আছে। এর বাইরে দুই থানার দুটি টিম রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে আছে।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




যে যুগে ওজন কমাতে ফিতা কৃমি খেতেন নারীরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

যুগে যুগে ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন অদ্ভুত ডায়েট অনুসরণ করেন নারীরা। তেমনি একটি হলো টেপওয়ার্ম ডায়েট বা ফিতা কৃমির ডায়েট! উনিশ শতকের শুরুতে এই ডায়েট নিয়ে বিজ্ঞাপনও প্রচার করা হতো।

এই ডায়েটে ফিতা কৃমির ডিম ভর্তি একটি বড়ি খাওয়া হতো। এই ডায়েটের তত্ত্ব ছিল, পেটে গিয়ে ডিমগুলো ফুটে কৃমি জন্মাবে। অন্ত্রের ভেতর থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিয়ে ধীরে ধীরে বড় হবে কৃমিগুলো, একপর্যায়ে বংশ বিস্তারও করবে। আর যারা এই ডায়েটে রয়েছেন তাঁরা যত খুশি খেতে পারবেন, কিন্তু মোটা হবেন না। এই ডায়েট করলে ওজন কমতো, কিন্তু ডায়রিয়া ও প্রচুর বমি হতো।

তখনকার নারীরা কাঙ্ক্ষিত ওজনে পৌঁছে গেলে কৃমিনাশক ওষুধ খেতেন। কিন্তু তার আগেই পেট ও মলদ্বারের ক্ষতি হয়ে যেত, ফলে পরবর্তীতে নানা জটিলতা দেখা দিত।

এই ডায়েট অনেক দিক দিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ। একটি ফিতা কৃমি দৈর্ঘ্যে ৩০ ফুট (৯ মিটার) পর্যন্ত বাড়তে পারে। এই ডায়েট মাথাব্যথা, চোখের সমস্যা, মেনিনজাইটিস, মৃগীরোগ এবং ডিমেনশিয়া (স্মৃতিভ্রষ্ট)সহ অনেক অসুস্থতার কারণ হতে পারে।

এই কৃমি মস্তিষ্কে পৌঁছে গেলে স্মৃতি ও দৃষ্টিশক্তির ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি মৃত্যুও। কৃমির কারণে মস্তিষ্কে পানিও জমতে পারে ও সিস্ট (জলকোষ) হতে পারে। সিস্ট হলে অপারেশনও করতে হতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে শুধু কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে কাজ হয় না। প্রদাহ বা খিঁচুনি কমানোর ওষুধও দিতে হয়।

এ ছাড়া কৃমি হলে কিছু মানুষের কার্বোহাইড্রেট (শর্করা) আসক্তি অনেক বেড়ে যায়। অন্ত্রের কৃমিগুলোর জন্য পুষ্টি সরবরাহ করার পরও প্রচুর শর্করা উদ্বৃত্ত থাকে। ফলে ওজন বাড়ে।

খাদ্য ইতিহাসবিদ অ্যানি গ্রে বলেন, উনিশ শতকের সময় ডায়েটিং একটি বড় বাণিজ্যে পরিণত হয়েছিল। ব্যাপক বিজ্ঞাপন ডায়েট পণ্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলছিল। প্রচুর ডায়েট পণ্য বিক্রি হচ্ছিল। সেলিব্রিটি ও গণমাধ্যমের প্রসার সেসময় ডায়েট শিল্পের উন্নতিতে ভূমিকা রাখে।

অনেক বছর পর বিশ শতকের জনপ্রিয় মার্কিন অপেরা গায়িকা মারিয়া ক্যালাস ওজন কমানোর জন্য এ ধরনের পরজীবী খেয়েছিলেন। যদিও পরবর্তীতে অনেকে বলেছেন, এটি শুধুই গুজব!

মেঝে থেকে ভাঙা কাচের টুকরো পরিষ্কারের সহজ উপায়

কাচের কোনো জিনিস মেঝেতে পড়ে গেলে টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে যায়। এসব ছোট ছোট টুকরো খালি চোখে দেখতে পাওয়া কঠিন। এগুলো পুরোপুরি সরিয়ে না ফেললে পায়ের তালুতে বিঁধে যেতে পারে। শিশুদের গায়েও বিঁধতে পারে। টর্চ জ্বালিয়ে খুব সহজেই এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাচের টুকরাগুলো শনাক্ত করে সরিয়ে ফেলা যায়।

কাচের টুকরো শনাক্তে টর্চ

কাচের জিনিস মেঝেতে পড়ে ভেঙে গেলে সাবধানে নড়াচড়া করতে হবে। ঘরে অন্য কাউকে প্রবেশ করতে না দেওয়াই ভালো। এরপর প্রথমে ঘরটিকে অন্ধকার করতে হবে। অন্ধকার করার পর মেঝের দিকে টর্চ তাক করলে কাচের টুকরাগুলো জ্বলজ্বল করবে। সেই সঙ্গে মেঝেতে টুকরোগুলোর বিপরীতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছায়া পড়বে। কাচের টুকরাগুলো ভালোমতো দেখতে সাবধানতার সঙ্গে মেঝের দিকে যতটা সম্ভব ঝুঁকতে হবে।

ভাঙা কাচের টুকরো নিরাপদে পরিষ্কার করতে

হাতে রাবার অথবা মোটা চামড়ার গ্লাভস পরে নিতে হবে। টর্চ ব্যবহার করে ছোট ছোট কাচের টুকরো শনাক্ত করার আগে সাবধানে বড় টুকরোগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। ঝাড়ু ব্যবহার না করাই ভালো। এতে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম টুকরোগুলো ঝাড়ুতে লেগে যাবে এবং পরে ঝাড়ুটি ব্যবহারের সময় মেঝেতে আবার কাচের টুকরা ছড়িয়ে যাবে।

তাই সাবধানতার সঙ্গে বড় টুকরোগুলো হাত দিয়ে সরিয়ে ফেলাই ভালো। এরপর বাকি ক্ষুদ্র টুকরোগুলো শনাক্ত করে সরিয়ে ফেলতে হবে।

পাউরুটি ব্যবহার করে

পাউরুটির একটি স্লাইস ব্যবহার করে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম কাচগুলো পরিষ্কার করা যায়। এ জন্য টর্চ জ্বালায়ে রাখা অবস্থায় হাতে গ্লাভস পরে কাচের টুকরোগুলোর ওপরে পাউরুটির টুকরো চেপে ধরতে হবে। এতে পাউরুটিতে কাচের টুকরোগুলো লেগে যাবে।

আলু ব্যবহার করে

ঘরে পাউরুটি না থাকলে বড় আকারের আলু ব্যবহার করেও কাচের টুকরো পরিষ্কার করা যায়। এ জন্য একটি আলু অর্ধেক করে কাটতে হবে। সেই আলুর অর্ধেক কাটা অংশ কাচের ওপরে চেপে ধরতে হবে। এতে কাচগুলো আলুর সঙ্গে উঠে যাবে।

ভেজা টিস্যু

টাওয়েল বা টয়লেট টিস্যু ভিজিয়ে কাচের টুকরোগুলোর ওপর রাখলে সেগুলো টিস্যুতে লেগে যাবে। আর এভাবে কাচের টুকরোগুলো সহজেই পরিষ্কার করা যাবে।

টেপ ও লিন্ট রোলার

টেপ (স্কচ টেপও হতে পারে) ও লিন্ট রোলার ব্যবহার করেও মেঝে থেকে কাচের টুকরো পরিষ্কার করা যায়। লিন্ট রোলার হলো একধরনের আঠালো টুল যা বিভিন্ন স্থানে ঝরে পড়া পোষা প্রাণীর লোম পরিষ্কারে ব্যবহার করা হয়।

এসব পদ্ধতি ব্যবহার করার পরেও দ্বিতীয়বার টর্চ জ্বালিয়ে নিশ্চিত হতে হবে, যেন কোনো কাচের টুকরো বাদ না পড়ে।

সতর্কতা: এসব পদ্ধতি ব্যবহার করার সময় অবশ্যই পায়ে জুতা বা স্যান্ডেল ও হাতে গ্লাভস পরতে হবে। আর কাচসহ পাউরুটি বা আলুর টুকরাগুলো এমন স্থানে ফেলতে হবে যেন শিশু ও পোষা প্রাণীর নাগালের বাইরে থাকে।


নিউজ ট্যাগ: ফিতা কৃমি

আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বর্তমানে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করাই আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এখন গুরুত্ব দিয়ে এই কাজটিই করছি।

আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনের কার্যঅধিবেশনে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকরা কিছু বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেছেন। ভার্চুয়াল কোর্টের ব্যবস্থা করা যায় কি না, এ বিষয়টিও পর্যালোচনা করে দেখার কথা বলেছেন। বিপজ্জনক আসামিদের আদালতে আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোনো সমস্যা না হয় এ বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা সারা দেশে ভার্চুয়াল কোর্টের বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করবো।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে জেলা প্রশাসকদের কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী জেলা প্রশাসকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশে থাকবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।


আরও খবর