বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুত আত্মহত্যা
করেননি, তাকে খুন করা হয়েছিল। তার মৃত্যুর
দুই বছর পর এমন চাঞ্চল্যকর দাবিই করেছেন কুপার হাসপাতালের মর্গের এক কর্মী।
ওই হাসপাতালেই
ময়নাতদন্ত হয়েছিল অভিনেতার। রূপকুমার শাহ নামে মর্গের ওই কর্মীর দাবি, সুশান্তের দেহে
এবং গলায় একাধিক ক্ষতের দাগ ছিল। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে
সে কথা তিনি জানিয়েছিলেন বলেও দাবি রূপকুমারের। তখন কর্তৃপক্ষ তাঁকে ‘নীতি’ মেনে কাজের নির্দেশ দেন।
একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রূপকুমার শাহ বলেন, সুশান্ত সিংহ রাজপুত যখন মারা গিয়েছিলেন, তখন আমাদের কুপার হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মোট পাঁচটি দেহ এসেছিল। পাঁচটির মধ্যে একটি দেহ ছিল ভিআইপির। ময়নাতদন্তের কাজের সময় জানতে পারি তিনি সুশান্ত সিংহ রাজপুত। তার শরীরে একাধিক এবং গলায় দু’ থেকে তিনটি দাগ ছিল। ময়নাতদন্তের ভিডিও রেকর্ড করা দরকার ছিল। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র দেহের ছবি তুলতে বলেন। তাদের নির্দেশ মেনেই কাজটা করেছিলাম।
সুশান্ত খুন হয়েছেন বলে শাহ জানিয়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। শাহ বলেছেন, যখন সুশান্তের দেহ প্রথম বার দেখি, তখনই সিনিয়রদের বলি যে, আমার মনে হয় এটা আত্মহত্যার ঘটনা নয়। খুন হয়েছেন তিনি। আমি এও বলি যে, নিয়ম মেনেই আমাদের কাজ করা উচিত। যদিও সিনিয়রেরা আমায় যত দ্রুত সম্ভব দেহের ছবি তুলে পুলিশের হাতে দেহ দিয়ে দিতে বলেন। রাতেই আমরা সুশান্তের দেহের ময়নাতদন্ত করেছিলাম।
২০২০ সালের জুনে
মুম্বাইয়ের আবাসন থেকে সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছিল,
আত্মহত্যাই করেছেন সুশান্ত। যদিও তার পরিবার দাবি করেছিল, সুশান্তকে খুন করা হয়েছিল।
মু্ম্বই পুলিশের
পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) এবং সিবিআই
সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত করেছিল। সুশান্তের জন্য মাদক জোগাড়ের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন
তার বান্ধবী তথা অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী।