খুলনায় অবৈধ ৭টি
ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ও সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৮ মে) বিকেলে
ফুলতলা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ
ঘোষণা করে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা
ডা. জেসমিন আরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বন্ধ ঘোষণা করা
ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো হচ্ছে- ফুলতলা বাজারের জামিরা সড়কের কাজী নুর হোসেনের
মালিকাধীন আল-শেফা ডায়াগনস্টিক, ইমরানুল ইসলাম রুমনের সেবা ডায়াগনস্টিক, ডা. শফিউদ্দিন
মোল্যার করিমুনেচ্ছা প্যাথলজি, শিকিরহাট সড়কের মো. ইরসাফিল হোসেনের স্কয়ার ডায়াগনস্টিক,
বেজেরডাঙ্গা বাজারের হাসানুজ্জামান মোড়লের মেডি ল্যাব প্যাথলজি, শিরোমনির ডা. কামাল
হোসেনের দি গ্রেট হাসপাতালের প্যাথলজি বন্ধ এবং তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া নতুনহাট
এলাকার নিপুন চন্দ্রের মডার্ণ ডায়াগনস্টিক সেন্টার সীল করে দেওয়া হয়েছে।
ফুলতলা উপজেলা
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জেসমিন আরা বলেন, উপজেলায় পূর্বের ১৩টি এবং নতুন করে ৫টিসহ
মোট ১৮টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী
শনিবার বিকেল ৩টায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে
অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ অভিযান চলে
বিকেল ৬টা পর্যন্ত। এ সময় লাইসেন্স ও যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় ৭টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক
সেন্টার বন্ধ করে তালা লাগানো হয়েছে। পুরাতনগুলোর যাদের লাইসেন্স নবায়ন বাকি রয়েছে
তাদের দ্রুত নবায়ন করার জন্য বলা হয়েছে। বন্ধ করা এসব ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের
বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযানে উপজেলা
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জেসমিন আরার নেতৃত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের
আরএমও ডা. হাসিবুর রহমান, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর দেলোয়ার হোসেন, থানার এসআই নিরঞ্জন
কুমার প্রমুখ।
গত বৃহস্পতিবার
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৭২ ঘণ্টার (তিন দিন) মধ্যে সারাদেশের অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক
সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশনা খুলনা সিভিল সার্জন দপ্তরে পাওয়ার পর উপজেলা
স্বাস্থ্য বিভাগ বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করে।
নির্দেশনায় বলা
হয়েছে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার
বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন নবায়ন করেনি তাদের নিবন্ধন নবায়ন করার
জন্য সময়সীমা বেঁধে দিতে হবে। সময়সীমার মধ্যে নবায়ন না করলে ওই সব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম
বন্ধ করতে হবে।
অপরদিকে যে সব
প্রতিষ্ঠান নতুন নিবন্ধনের আবেদন করেছেন, তাদের নিবন্ধন দেওয়ার কার্যক্রম দ্রুত শেষ
করতে হবে। নিবন্ধন পাওয়ার আগে এসব প্রতিষ্ঠান কোনোভাবে কার্যক্রম চালাতে পারবে না।