ফরচুন বরিশালের ১৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই মুজিব
উর রহমানের ঘূর্ণিতে বিপর্যয়ে পড়ে খুলনা টাইগার্স। সেই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠলেও শেষ পর্যন্ত
জয় পাওয়া হলো না খুলনার। মুশফিকের দুর্দান্ত ইনিংসের পরেও ১৭ রানে বরিশালের কাছে হারল
খুলনা।
ফরচুন বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন ইউনিভার্স বস খ্যাত
ক্রিস গেইল। খুলনার হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেন ফরহাদ রেজা ও থিসারা পেরেরা।
খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সাগরিকায়
রীতিমতো ঝড় তোলেন ক্রিস গেইল। পাওয়ার প্লের ফায়দা তুলতে পিছিয়ে ছিলেন না ফরচুন বরিশালের
আরেক ওপেনার জ্যাক লিন্টট। তবে তাকে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে দেননি শরিফুল্লাহ। এই অফ
স্পিনার দলে সুযোগ পেয়েই উইকেট তুলে নেন। দুই বাউন্ডারিতে ৬ বলে ১১ রান করে ফিরে যান
লিন্টট। দ্বিতীয় উইকেটে আসা জিয়াউর রহমান সঙ্গ দিতে পারেননি গেইলকে। ফিরে গেছেন ১৩
বলে ১২ রানের ইনিংস খেলে।
ক্রিজের অন্যপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আপন মনে ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছিলেন গেইল।
৬ চার ও ২ ছক্কার মারে ৩৪ বলে ৪৫ রান করা ক্যারিবীয় দানবকে ফেরান লঙ্কান স্পিনার সেকুগে
প্রসন্ন। দলীয় ৮৭ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বরিশাল। নুরুল হাসান ১১ বলে ৮ রান করে সাজঘরে
ফেরেন। এরপর উইকেট পড়ার স্রোতে বাধা হয়ে দাঁড়ান নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়।
দুজনের ৩৫ রানের জুটি ভাঙেন ফরহাদ রেজা। হৃদয় ২ চারে ২০ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলেন। মারমুখো ভঙ্গিতে ২ চারে ৬ বলে ৯ রানের ইনিংস খেলে
ফ্লেচারের হাতে ক্যাচবন্দি হন সাকিব। একই ওভারে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। তার ব্যাট থেকে
১৫ বলে ১৯ রান আসে। তার বিদায়ের পরে রান খরায় ভোগে বরিশাল। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০
ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রানে থামে বরিশালের ইনিংস।
খুলনা টাইগার্সের পক্ষে ১৮ রানের বিনিমেয়ে
২ উইকেট শিকার করেন থিসারা পেরেরা। সমান খরচায় ২ উইকেট তুলে নেন ফরহাদ রেজা।