আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

খুলনা সিটি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে: সিইসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে। সবার সমান সুযোগ থাকবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। কোনো পক্ষপাতমূলক নির্বাচন হবে না।

মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে খুলনা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সম্পর্কে প্রার্থীদের নানা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ইভিএমে ভোট করছি। ইভিএমের ফলাফল পরিবর্তনের ন্যূনতম কোনো সুযোগ নেই। এমন হলে গাজীপুর ও কুমিল্লায় আমাদের কাছে অভিযোগ আসত, প্রার্থীরা আদালতে যেতেন। কেউ তো আদালতে যায়নি। গাজীপুরে একজন ভোটারও ভোট না দিয়ে ফিরে যাননি। একটি ইভিএমে হালকা সমস্যা দেখা দিয়েছিল, সেটিও তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা হয়েছে। এছাড়া ওই নির্বাচনে প্রশাসনের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা পেয়েছি।

নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়ে তিনি বলেন, কোনো ভোটারকে ভোট দিতে বাধা দেওয়া যাবে না। কোনোভাবে ভোটারদের অধিকার খর্ব করা যাবে না। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে ভোটগ্রহণ মনিটরিং করা হবে। আমাদের দেশে প্রত্যাশিত মাত্রায় নির্বাচনী সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। তবে নির্বাচন সংস্কৃতির উন্নয়ন হয়েছে। গাজীপুরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পরাজয় মেনে নিয়েছেন, অভিনন্দন জানিয়েছেন। এটা ভালো সংস্কৃতি।

প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নির্বাচনে সকলে নির্বাচিত হন না। কেউ নির্বাচিত হবেন, কেউ পরাজিত হবেন। পরাজয় মেনে নিতে হবে। গাজীপুরে সুন্দর, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আচরণবিধি মেনে চলুন। আচরণবিধি প্রতিপালনের দায়িত্ব আপনাদের। আচরণবিধি ভঙ্গ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভোটাররা কাকে ভোট দেবেন এটা তাদের ব্যাপার। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সুষ্ঠুভাবে ভোটারদের ভোট প্রয়োগের সুযোগ করে দেওয়া। ভোটের দিন সক্রিয় হবেন। প্রতিটি বুথে এজেন্ট নিয়োগ দেবেন।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) ও নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম ও ১০ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।

সভায় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঁঞা, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মো. মইনুল হক, খুলনার পুলিশ সুপার মো. মাহবুব হাসান। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক, জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু, ইসলামী আন্দোলনের মো. আব্দুল আউয়াল, জাকের পার্টির এসএম সাব্বির আহম্মেদ ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান। সভায় নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ১৩৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৩৯ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীর অধিকাংশই উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ব্যাংকে ঢুকে ২০ লাখ টাকা ছিনতাই, দুই পুলিশ কনস্টেবলসহ গ্রেপ্তার ৫

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর পল্টনে একটি বেসরকারি ব্যাংকে ঢুকে গ্রাহকের ২০ লাখ টাকা ছিনতাই করে দুই পুলিশসহ পাঁচজন। পরে তাদের আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে আইএফআইসি ব্যাংকের পল্টন শাখার ওই ঘটনায় মামলা করেছেন ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আলম মামুন। এই মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনায় আর কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মামুনের কর্মচারী আজিম উদ্দিন দুপুরে ওই ব্যাংকে ২০ লাখ টাকা জমা দিতে যান। তিনি এসে টাকা জমা দেওয়ার লাইনে দাঁড়ান। এ সময় পুলিশের পোশাক পরা দুজন ব্যক্তি তাকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যান। পরে ২০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান তারা।

ঘটনাস্থলে যায় পল্টন থানা পুলিশ ও ডিবির মতিঝিল জোনাল টিম। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ব্যাংকের সামনের ফুটপাথের হকার হৃদয় ও তার সহযোগী মঞ্জুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ডেমরা পুলিশ লাইনে ক্লোজ পুলিশের দুই সদস্য কনস্টেবল মাহাবুব ও কনস্টেবল আসিফকে ১০ লাখ টাকাসহ আটক করে ডিবি। তাদের দেওয়া তথ্য অনুসারে, বাসাবো থেকে ছিনতাইয়ের আরও ১০ লাখ টাকা ও মোটরসাইকেলসহ সোহেলকে আটক করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ‘ ছিনতাইয়ের ঘটনায় ব্যবসায়ী মামুন পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে মামলা পল্টন থানায় মামলা করেছেন। সিভিলে থাকা তিন ব্যক্তি টাকার বিষয়ে ওই দুই পুলিশকে তথ্য দেয়। এরপর ইউনিফর্ম পরা দুই পুলিশ কনস্টেবল ব্যাংকে ঢুকে ওই ব্যক্তিকে বাইরে নিয়ে আসেন। তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান। ওই দুই পুলিশ কনস্টেবল বরখাস্ত ছিলেন। এ ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা হয়েছে।’

নিউজ ট্যাগ: আইএফআইসি ব্যাংক

আরও খবর



খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে হলে আবার জেলে যেতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে হলে আবার জেলে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যে তাকে বাসায় থাকার পারমিশন দিয়েছি, সেটি থেকে ফিরে এসে তাকে জেলে যেতে হবে, আদালতে যেতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী এমন সময় এ কথা বললেন, যখন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে তার ছোটভাই শামীম ইস্কান্দার সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবারও আবেদন করেন। এ বিষয়ে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গণমাধ্যমকে বলেছিলেন কয়েক দিন আগে আবেদন করা হয়েছে। যেটা পরে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে সোমবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে আইনের বিদ্যমান অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১)-এর ধারার ক্ষমতাবলে শর্ত যুক্তভাবে তার সাজা স্থগিত রেখে শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন>> দেশের ভাবমূর্তি আরও জোরদারে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী

সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতায়। এখন আইনের যদি কোনো পরিবর্তন আনতে হয় তা হলে খালেদা জিয়াকে দেওয়া শর্তযুক্ত মুক্তি আগে বাতিল করতে হবে। বাতিল করে আগের অবস্থায় যাওয়ার পর আবার অন্য বিবেচনা করা যাবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আবেদন সরাসরি আইন মন্ত্রণালয়ে করা যায় না। সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করতে হবে। আইন মোতাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনি মতামতের জন্য সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।

বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে আবেদন করা হয়েছে। নতুন করে আবেদন করার কথা বলে সরকার সময়ক্ষেপণ করে খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে আদালতের আদেশের প্রয়োজন নেই। সরকার নির্বাহী আদেশে তাকে অস্থায়ীভাবে মুক্তি দিয়েছেন। নির্বাহী আদেশেই তাকে বিদেশ পাঠাতে পারেন।


আরও খবর



আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল-সমাবেশ বন্ধে আপিল বিভাগের লিখিত আদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সব আদালত প্রাঙ্গণে কোনো ধরনের মিছিল-মিটিং বা সমাবেশ না করার বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশনা দিয়ে লিখিত আদেশ প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ চার বিচারপতির সই করার পর এ আদেশ প্রকাশ করা হয়েছে। আদেশে বিএনপির সাত আইনজীবী নেতাসহ সব আইনজীবীকে মিছিল-মিটিং না করার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় কঠোরভাবে মেনে চলতে বলা হয়েছে।

গত ৩০ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণসহ দেশের সব আদালতে কোনো ধরনের মিছিল-সমাবেশ না করার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

একই সঙ্গে জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীসহ বিএনপির সাত আইনজীবীনেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি ১৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে গত বুধবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

২০০৫ সালে বিচারপতি আব্দুল মতিন ও বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের মিছিল-সমাবেশ না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই রায় কঠোরভাবে আপিল বিভাগ আইনজীবীদের মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি।

গত ২৯ আগস্ট আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় বিএনপির সাত আইনজীবীনেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন দায়ের করা হয়। আইনজীবী নাজমুল হুদার পক্ষে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি এ আবেদন করেন।

বিএনপিপন্থি ওই সাত আইনজীবী নেতা হলেন- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।

গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়ায় আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এছাড়া ওই দুই বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে মিছিল-সমাবেশও করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবী নেতারা।


আরও খবর



সরকারের কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট ফ্রান্স: শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফ্রান্স সরকার বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার সুরক্ষায় সরকারের দায়িত্বশীল ও প্রতিশ্রুতিমূলক কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। সোমবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফররত ফ্রান্স প্রতিনিধি দলের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার পাঁচ দশকের অধিক সময় চলমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি ঐতিহাসিক দিন। আমার বাবা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সূচনা করেছিলেন, আজ তা একটি নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে। অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আমার সার্বিক বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। চলমান ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে ফ্রান্স বাংলাদেশের নীতি প্রণয়নের স্বার্বভৌমত্বকে সম্মান ও সমর্থন জানিয়েছে। বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার এ নতুন কৌশলগত অগ্রযাত্রা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমরা উভয়েই আশাবাদী। 

আরও পড়ুন>> স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহযোগিতা করবে ফ্রান্স : ম্যাক্রোঁ

শেখ হাসিনা বলেন, বিগত দেড় দশক ধরে বাংলাদেশে চলমান সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা, উন্নয়ন এবং সুশাসন এ নতুন সম্পর্কের মূলভিত্তি। ফ্রান্স সরকার বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার সুরক্ষায় সরকারের দায়িত্বশীল ও প্রতিশ্রুতিমূলক কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অভাবনীয় ও ধারাবাহিক অগ্রযাত্রায় ফ্রান্স সরকারের আস্থার কথা দৃঢ়তার সঙ্গে উদ্ধৃত হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সুবিধা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতির কথা পূনর্ব্যক্ত করেছে। এজন্য আমি রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বে ফ্রান্স সরকার ও ফ্রান্সের জনগণের প্রতি বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

সরকারপ্রধান বলেন, রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোঁর এ সফরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কিছু সমঝোতায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে ফ্রান্স আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়নে তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আমাদের নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের কৌশলগত সুরক্ষা অবকাঠামো বিনির্মাণে উন্নত ও বিশেষায়িত কারিগরি সহায়তা প্রদানে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স নেতৃস্থানীয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে। 

আরও পড়ুন>> স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৪ -এর মনোনয়ন প্রস্তাব আহ্বান

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় ফ্রান্সের অগ্রণী ভূমিকাকে আমরা স্বাগত জানাই এবং এ লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বে একটি টেকসই তহবিল গঠনে ফ্রান্সের আহ্বানকে আমরা সাধুবাদ জানিয়েছি। এছাড়াও, ফ্রান্সের সঙ্গে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ভাষা বিনিময়ের বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।


আরও খবর



চট্টগ্রামে বিশ্ব হার্ট দিবসে সচেতনতামূলক স্বাস্থ্য র‌্যালি

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

ভালবাসা দিয়ে প্রতিটি হৃদয়ের যত্ন নিন প্রতিপাদ্য নিয়ে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বিশ্ব হার্ট দিবস উদযাপনের জন্য আজ শনিবার সচেতনতামূলক স্বাস্থ্য আলোচনা এবং র‌্যালির আয়োজন করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এবারের প্রতিপাদ্য নিয়ে আলোচনা করেন এবং মতামত ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। তারা হৃদরোগের প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে। হৃদরোগ ও কার্ডিওভাসকুলার রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট প্রফেসর ডাঃ শেখ মোঃ হাসান মামুন বলেন, হৃদরোগ একটি নীরব ঘাতক, এবং এটির ঝুঁকির কারণ এবং লক্ষণগুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর জীবনধারা পছন্দ করার মাধ্যমে, আমরা আমাদের ঝুঁকি কমাতে পারি।

হৃদরোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ জহির উদ্দিন মাহমুদ ইলিয়াছ বলেন, আমাদের হার্টের স্বাস্থ্য জানা এবং নিয়মিত চেকআপ করা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি কোনো সমস্যা তাড়াতাড়ি শনাক্ত করি, তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেতে পারি এবং গুরুতর জটিলতা প্রতিরোধ করতে পারি।

হৃদরোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ তারিক বিন আব্দুর রশিদ বলেন, হৃদরোগ একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং ধূমপান ত্যাগ করার মতো জীবনধারা পরিবর্তন করে, আমরা হৃদরোগের  ঝুঁকি কমাতে পারি।

কার্ডিওথোরাসিক এবং ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং কোঅর্ডিনেটর  ডাঃ আসিফ আহমেদ বিন মইন বলেন, যদি আপনার হৃদরোগের ঝুঁকির কারণ থাকে, যেমন উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, বা ডায়াবেটিস, তাহলে আপনার ঝুঁকি কমাতে হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায়গুলি সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর