
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যর বাজার কালীগঞ্জ নামক স্থানে খোয়াই নদীর বেড়িবাধঁ কেটে নিয়ে গেছে স্থানীয় মাটিখোকোরা।এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর স্থানীয় বাসিন্দারা।
তারা মনে করেন হঠাৎ করে এভাবে অপরিকল্পিতভাবে নদীর বেড়িবাঁধ কেটে নেওয়ার ফলে অতিবৃষ্টির সময় ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা বন্যার পানিতে আশেপাশের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়ে যাবে। এতে দুর্ভোগে পড়বেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কেটে নিয়ে যাওয়া নদীর বেড়িবাঁধটি মেরামত করে এর সাথে সংশ্লিষ্ট চক্রটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে, একসময় হয়তো পুরো বেড়িবাঁধই কেটে নিয়ে যাবে মাটিখোকোরা বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কোন ধরণের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে খোয়াই নদীর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন চরের মাটি এক্সাভেটর দিয়ে কেটে ড্রাম ট্রাক ও ট্রাক্টর যোগে পাচার করছে মাটিখেকোরা।
এছাড়াও ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে শ্যালো মেশিন দিয়ে দিনরাত বালু উত্তোলন করছে একটি বড় ধরনের চক্র। এতে করে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের পাশাপাশি পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম তান্ত্রিকভাবে মাটি-বালু উত্তোলনকারী চক্রটি এবার সবকিছুর সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এতদিন নদীর চরের মাটি এবং নদীর বালু তুললেও এবার কেটে নিয়ে গেছে নদীর বেড়িবাঁধ।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৈদ্যর বাজার কালীগঞ্জ নামক স্থানের খোয়াই নদীর বেড়িবাধেঁর প্রায় ২০ ফুট জায়গার মাটি কেটে নিয়ে গেছে মাটিখেকো চক্রটি। এসময় স্থানীয় বাসিন্দা রমজান আলী নামের এক ব্যক্তি বলেন, এতদিন ধরে নদীর চরের মাটি-বালু কাটতে দেখলেও কোন সময় বেড়িবাঁধ কাটতে দেখেননি, হঠাৎ করে বেড়িবাধেঁর এত জায়গার মাটি কেটে নেওয়ায় আমরা খুবই আতঙ্কে আছি। বৃষ্টির সময় আমাদের গ্রামগুলো বন্যার পানিতে ভেসে যাবে।
এ বিষয়ে ইজারাদার ফারুক মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি বলেন, বেড়িবাঁধ কেটে নেওয়ার বিষয়টি আমি অবগত নয় খোঁজ নিয়ে আপনার সাথে যোগাযোগ করব।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, আমি কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।