বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় বড় নির্বাচনী আবহ তৈরি হয়েছে শহরজুড়ে। এরইমধ্যে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় তথ্যের কাগজপত্র জমা দিয়েছেন নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৬ মেয়র প্রার্থী। তাদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এখন প্রতীকের অপেক্ষা করছেন তারা।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত হলফনামার তথ্যানুযায়ী, বৈধ ৬ প্রার্থীর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হোসেন হাওলাদার নিজেদেরকে স্বশিক্ষিত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মো. ফয়জুল করীমের শিক্ষাগত যোগ্যতা কামিল পাশ (স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সমমান)। সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা প্রয়াত আহসান হাবিব কামালের ছেলে সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুল আহসান রূপণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাশ। জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তপন জাপান থেকে বিএসসি ডিগ্রিধারী। জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু বাণিজ্য বিভাগে এইচএসসি পাশ।
এছাড়া মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া ৪ প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান বিএ; নেছার উদ্দীন ডিগ্রি; সৈয়দ এছহাক মো. আবুল খায়ের দাওরায়ে হাদিস ও মো. লুৎফুল কবির এসএসসি পাশ করেছেন।
সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিক প্রচারণা চালাবে প্রার্থীরা। আর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ইভিএম নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা চালানো হবে।