আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

খেরসন থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা রাশিয়ার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১০ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর খেরসন থেকে রুশ সৈন্যদের পিছু হটতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার দখল করা ইউক্রেনের আঞ্চলিক রাজধানীগুলোর মধ্যে এটি একটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু স্থানীয় সময় আজ বুধবার খেরসন থেকে রুশ সৈন্য প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বৈঠকে সের্গেই শোইগু জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিনের সঙ্গে বৈঠকে এই নির্দেশ দেন। সুরোভিকিনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করুন।

বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য নিযুক্ত রুশ জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন বলেছেন, শহরটি রসদ সরবরাহ বজায় রাখা আর সম্ভব নয়। সমরবিদেরা বলছেন, খেরসন থেকে রুশ সৈন্যদের প্রত্যাহারের অর্থ হলো—নিপার নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড রাশিয়ার সৈন্য মুক্ত হওয়া। সুরোভিকিন এই সিদ্ধান্তকে একটি কঠিন সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন।

এদিকে, রাশিয়ার সৈন্যরা পিছিয়ে যাওয়ার ভান করে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের সম্মুখ সমরে প্রলুব্ধ করছে। এমনটাই দাবি করেছেন ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নাতালিয়া হুমেনিউক।

নাতালিয়া হুমেনিউক ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যমগুলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রুশ সৈন্যরা সবাইকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে যে—তাঁরা পশ্চাদপসরণ করছে। কিন্তু একই সময়ে আমরা যেটা দেখতে পাচ্ছি সেটা হলো—তাঁরা আগের জায়গাতেই অবস্থান করছে।

নাতালিয়া হুমেনিউক আরও বলেছেন, যেসব এলাকা থেকে তাঁরা সরে গেলে বলে জানিয়েছে, সেসব এলাকায় এখনো তাদের ঘাঁটি রয়েছ এবং সেখানে বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র মজুত রয়েছে। একই সঙ্গে তাদের যুদ্ধ করার সকল প্রস্তুতিও সেখানে নেওয়া রয়েছে। তাদের যুদ্ধ কৌশল এবং সমরাস্ত্র এমনভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে যাতে তাঁরা নদীর (নিপার নদী) বাম তীর থেকে ডান তীরের যুদ্ধেও সহায়তা দিতে পারে।

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর এই মুখপাত্র আরও বলেন, আমরা বুঝতে পারছি যে, রুশরা একটি ভ্রম তৈরি করে আমাদের বোঝানোর চেষ্টা করছে যে—তাঁরা সেখানে নেই। যাতে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা ওই সব অবস্থানের কাছাকাছি যায়। এবং সেখানে যাওয়া মাত্রই তীব্র যুদ্ধ শুরু হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই কারণেই তাঁরা আমাদের যে বয়ান বোঝানোর চেষ্টা করছে, তার বিপরীতে গিয়ে নিজেদের কৌশল দাঁড় করানোর চেষ্টা করছি। 


আরও খবর



নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আরও ৫০ বিজিপি সদস্যের অনুপ্রবেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) প্রায় ৫০ জন সদস্য। বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়া জানায়, গত কয়েক দিন ধরে দুই-একজন করে মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা সদস্য প্রবেশ করছিল। তবে আজ সকাল থেকে বিভিন্ন সময় ১৮ জন অনুপ্রবেশ করে। আর রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরকান আর্মির সঙ্গে ওই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে বেশ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলির একপর্যায়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) প্রায় ৫০ সদস্য বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে।

এ নিয়ে গত কয়েকদিনে মিয়ারমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিজিপি) ও সেনা সদস্য মিলে প্রায় ৮০ জনের মত বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সেনা-বিজিপির ১৮ সদস্য পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। মঙ্গলবার সকালে রেজু আমতলীপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২ জন এবং জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ জন বাংলাদেশে ঢুকেছেন। এরপর দুপুরে বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে আসেন আরও ১ জন প্রবেশ করে।

সর্বশেষ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জমছড়ি সীমান্ত দিয়ে আরও ৫ জন ঢোকেন। এ ১৮ জনের মধ্যে বিজিপির ছাড়াও সেনা সদস্য রয়েছেন। আজ রাতে আরও প্রায় ৫০ জনের মত সদস্য নতুন করে অনুপ্রবেশ করে।

তবে কোনো বাহিনীর কত জন সদস্য তা এখন বলা যাচ্ছে না। এদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে। এখন নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবির হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


আরও খবর



গরমে তালের শাঁসের যত উপকারিতা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তালের শাঁস বাজারে এখন বেশ সহজলভ্য। গরমেই ফলটির দেখা পাওয়া যায়। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। গরমে শরীর ও পেট ঠাণ্ডা রাখে তালের শাঁস। এছাড়া বিভিন্ন শারীরিক সমস্যারও সমাধান করে এই ফল।

জানেন কি, তালের শাঁসে থাকে আয়োডিন, মিনারেলস, পটাশিয়াম, জিংক ও ফসফরাস। বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর তালের শাঁস নানা রোগের দাওয়াই হিসেবে কাজ করে। জেনে নিন এই ফল কোন কোন রোগ সারায়-

১. এই ফল শরীরে শক্তি জোগায় ও দৈহিক তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলেই শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা থাকে।

২. শরীরকে আর্দ্র রাখতেও তালের শাঁস বিশেষ উপকারী। তবে গরমে এই ফল বেশি খেলে আবার পেট গরম হতে পারে। তাই অল্প পরিমাণে খাওয়াই ভালো।

৩. পাকস্থলীর বিভিন্ন সমস্যা, পেট গরমভাব ও জ্বালাপোড়া কমায় এই ফল। এই ফল খেলে হজমের সমস্যাও দূর করে।

৪. বর্তমানে অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে অনেকেই ভুগছেন লিভারের সমস্যায়। জানেন কি তালের শাঁস লিভারের সুরক্ষায় কাজ করে। লিভারের উপর এটি পাতলা আস্তরণের মতো কাজ করে।

৫. গরমে হাত পায়ে চুলকানি কিংবা অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। শরীরে পানিশূন্যতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে এমনটি ঘটে। এ সমস্যারও সমাধান করে তালের শাঁস। তাই গরমে দৈনিক খাদ্যতালিকায় রাখুন তালের শাঁস।

নিউজ ট্যাগ: তালের শাঁস

আরও খবর



রাজা চার্লসের আনুষ্ঠানিক রাজকীয় ছবি উন্মোচন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের লাল রঙের এক অদ্ভুত আনুষ্ঠানিক রাজকীয় ছবি উন্মোচন করা হয়েছে। লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে বুধবার (১৫ মে) রাজা তৃতীয় চার্লস নিজেই ছবিটি উন্মোচন করেন।

রাজ্যাভিষেকের পর এটাই তার প্রথম আনুষ্ঠানিক রাজকীয় ছবি। গত বছরের মে মাসে লন্ডন ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে এক জাঁকজমকপূর্ণ অভিষেক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজমুকুট পরেন রাজা চার্লস।

তেলরঙে আঁকা ছবিটির উন্মোচন অনুষ্ঠানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়। প্রকাশের পরপরই তা ছড়িয়ে পড়ে।

ছবিতে ওয়েলশ গার্ডের ইউনিফর্ম পরা ব্রিটিশ রাজাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে লাল রঙের ব্যাপক ব্যবহার করা হয়েছে যা সাধারণ রাজকীয় প্রতিকৃতির থেকে অনেকটাই আলাদা। যে কারণে এই ছবি এখন বেশ আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২৩০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য ও ১৬৫.৫ সেন্টিমিটার (৭.৫ ফুট বাই ৫.৪ ফুট) ক্যানভাসে তৈলচিত্রটি এঁকেছেন জোনাথন ইয়েও নামে এক চিত্রশিল্পী। তিনি এর আগে ২০১৪ সালে চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলা এবং ২০০৮ সালে তার বাবা প্রিন্স ফিলিপের ছবিও এঁকেছিলেন।

ছবিটিটে বর্তমানে ক্যান্সারের চিকিৎসাধীন রাজাকে লাল পটভূমিতে ওয়েলশ গার্ডের লাল ইউনিফর্মে দেখানো হয়েছে। প্রতিকৃতিতে আরও দেখা যায়, তার কাধ বরাবর উড়ছে এক লাল প্রজাপতি। শিল্পীর মতে, ক্ষুদ্র এই জীবটি রাজা তৃতীয় চার্লসের পরিবেশ রক্ষার উদ্যোগের প্রতীক।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চার্লসের ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর থেকেই জনসমক্ষে সব ধরনের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত ছিলেন তিনি। তবে চলতি মাসের শুরুতেই আবারও তিনি দায়িত্বে ফিরেছেন।


আরও খবর



মঙ্গলবার পঞ্চমবারের মতো শপথ নেবেন পুতিন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় মঙ্গলবার পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ভ্লাদিমির পুতিন। এদিন ক্রেমলিনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পুতিনের ছয় বছরের মেয়াদ শুরু হবে। গত মার্চে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭.২৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এই নেতা। খবর আনাদোলু এজেন্সির

অভিষেক অনুষ্ঠানের পর রাশিয়ার বর্তমান সরকার পদত্যাগ করবে এবং পার্লামেন্টের অনুমোদন সাপেক্ষে নতুন সরকার দায়িত্ব নেবে।

শপথের পর সরকার গঠনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একজনকে বাছাই করে অনুমোদনের জন্য রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ স্টেট ডুমায় উপস্থাপন করবেন পুতিন।

যদিও পার্লামেন্টের প্রার্থীকে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করার ক্ষমতা রয়েছে, তবে আইনপ্রণেতারা তিনবার প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যান করলে পুতিন সংসদীয় অনুমোদনের প্রয়োজন ছাড়াই সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে পুতিনের পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের অধিকারও থাকবে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পরবর্তী সময়ে পশ্চিমাদের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটির ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির ওপর ভিত্তি করে একজন সফল সরকারপ্রধান হিসেবে ব্যাপকভাবে বিবেচিত হওয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিনকে আবারও নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।


আরও খবর



‘কেএনএফের কার্যক্রম যতদিন থাকবে, যৌথবাহিনীর অভিযান ততদিন চলবে’

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, কেএনএফের কার্যক্রম যতদিন থাকবে যৌথ অভিযান ততদিন চলবে। সরকারের আদেশে কুকি-চিন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে বিভিন্ন বাহিনী মিলে যৌথ বাহিনী হিসেবে অভিযান এখনো চলমান রয়েছে। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে বান্দরবানের থানচি ও রুমা উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে সেনাবাহিনীর আওতাধীন বিভিন্ন বাহিনী মিলে যৌথ বাহিনী হিসেবে সরকারের আদেশে কুকি-চিন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, তা সরেজমিনে দেখতে এসেছেন। থানচি বলিপাড়া ৩৮ বিজিবি ও রুমা ৯ ব্যাটালিয়ান বিজিবি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। তাদের উৎসাহ, পরামর্শ প্রদান করার জন্য তিনি এসেছেন বলে জানান।

তিনি আরও বলেন, বলিপাড়ায় একটি নতুন বেইস ক্যাম্প করা হয়েছে। বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অপারেশন এবং সীমান্তের ওপারে যাতে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য বিজিবির সব সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানান তিনি।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যাংক ডাকাতির মতো দুঃসাহসিক সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দেখিয়ে কেউ পার পাবে না। এ এলাকার সাধারণ বম জনগোষ্ঠীরাও কেএনএফের সন্ত্রাসী ঘটনা সমর্থন করে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিরীহ বম সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচারের অপপ্রচারের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানান তিনি।

মতবিনিময়কালে বিজিবি মহাপরিচালক সবাইকে অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পরে তিনি বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ স্পটহাইট টিওবি, থানচি বিওপি এবং থানচি বাজার পোস্ট পরিদর্শন করেন।

এ ছাড়া বিজিবির মহাপরিচালক রুমা ব্যাটালিয়নের (৯ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সদর এবং অধীনস্থ দোপানিছড়া বিওপি পরিদর্শন করেন এবং সব পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় বান্দরবান বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সোহেল আহমেদ, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম, বান্দরবান ব্রিগেড কমান্ডার মেহেদি হাসান, ররুমা ৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেনান্ট কর্নেল হাসিবুল হকসহ বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপক অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার হলেও লুট হওয়া অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার করা যায়নি। সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারের অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।


আরও খবর