আজঃ মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

খেলার জন্য প্লেয়ার খুঁজছেন দীঘি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ নভেম্বর 20২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ নভেম্বর 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শুরু হয়ে গেছে ফুটবল উন্মাদনা। অনেক তারকা নিজের পছন্দের দল নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। আবার কেউ কেউ অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিশেষ ক্যাম্পেইনে। সেরকম একটি প্রচারণামূলক ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়েছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। এর অংশ হিসেবে সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তিনি।

ভিডিওর ক্যাপশনে দীঘি লিখেছেন, এই ওয়ার্ল্ডকাপে শুরু হচ্ছে বিকাশ বিশ্বকাপ গেমারু! আর আমি আসছি আমার প্রিয় দলের হয়ে মাঠে নামতে, খুঁজছি সেইসব সেরা ফিফা প্লেয়ারদের, যারা আমাকে হেল্প করবে টুর্নামেটজয়ী হতে। তাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে এগিয়ে যেতে, এখনই তোমরা তোমাদের ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে ফিফা-২০২৩ লাইভ স্ট্রিম শুরু করো। তোমাদের মধ্য থেকে আমি বেছে নেব একজনকে।

ভিডিওবার্তায় দীঘি বলেন, হ্যালো সবাই, আমি প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। বিকাশ বিশ্বকাপ গেমারুর জন্য আমি আমার নেইমারকে খুঁজছি। তুমি যদি ভালো ফিফা প্লেয়ার হও, তোমার গেম স্ট্রিম করো। আর আমার নেইমার হয়ে খেলতে চলে আসো আমার সাথে।

এদিকে দীঘিকে সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজে খুব একটা দেখা যায় না। নায়িকা হিসেবে তুমি আছো তুমি নেই শিরোনামের একটি সিনেমায় অভিনয় করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। যদিও পরে শেষ চিঠি নামে একটি ওয়েব কনটেন্টে অভিনয় করে সেই সমালোচনা কাটিয়ে ওঠেন। অভিনয়ের চেয়ে দীঘি এখন বিভিন্ন প্রচারণামূলক ক্যাম্পেইনে অংশ নিচ্ছেন।


আরও খবর
চেহারা বদলের বিষয়ে মুখ খুললেন এমি জ্যাকসন

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




রেড কার্পেটে মুগ্ধতা ছড়ালেন বিদ্যা সিনহা মিম

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার ২০২২-এ তারকা জরিপে সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্যা সিনহা মিম। পরাণ সিনেমার জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে জাঁকজমকপূর্ণ এই আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিন চোখ ধাঁধানো পোশাকে অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হন বিদ্যা সিনহা মিম। ভারী ডিজাইনে তৈরি নীল ও ধূসর রঙের পোশাকে নায়িকার উপর থেকে নজর সরানোই যেন দায় ছিল। রেড কার্পেটে এই পোশাক পরে হেটেই মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন মিম। এসময় অভিনেত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার মা। মোবাইল হাতে মায়ের ছবি তুলতেও দেখা গেছে এই লাক্স তারকাকে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রেড কার্পেটে অংশ নেওয়ার মুহূর্তগুলো প্রকাশ করতেই নায়িকার রূপে মুগ্ধ হয়েছেন ভক্তরা। প্রিয় তারকার প্রশংসায় নানা রকমের ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন তারা।

শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে বিদ্যা সিনহা মিমের নতুন সিনেমা  অন্তর্জাল। সাইবার-ক্রাইম ও অ্যাকশন ঘরানার এই ছবিতে মিম বাদেও আরও অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ, সুনেরাহ বিনতে কামাল, এবিএম সুমন, মাশরুর ইনান, অমিত সিনহা প্রমুখ। সরকারের আইসিটি ডিভিশনের উৎসাহে নির্মিত এই ছবির প্রযোজনায় রয়েছে মোশন পিপল স্টুডিওস লিমিটেড ও স্পেলবাউন্ড লিও বার্নেট।


আরও খবর
চেহারা বদলের বিষয়ে মুখ খুললেন এমি জ্যাকসন

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ইলন মাস্ককে তুরস্কে টেসলার কারখানা নির্মাণের অনুরোধ এরদোগানের

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোগান ইলন মাস্ককে তুরস্কে টেসলার কারখানা নির্মাণের অনুরোধ জানিয়েছেন। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) তার সঙ্গে বৈঠকে এরদোগান এই অনুরোধ জানান। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদলু এজেন্সির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের কাছে তুর্কি হাউস নামে একটি আকাশচুম্বী ভবনে ইলন মাস্কের সঙ্গে বৈঠক করেন এরদোগান। ওই বৈঠকে তিনি টেসলা কারখানা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন এরদোগান। তবে রোববারের এই বৈঠক সম্পর্কে টেসলা এবং ওয়াশিংটনে নিযুক্ত তুর্কি দূতাবাস কোনো মন্তব্য করেনি। 

আরও পড়ুন>> ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন

অবশ্য টেসলা গত আগস্টে ভারতে একটি কারখানা তৈরি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে যা কম খরচে বৈদ্যুতিক যান (EV) তৈরি করবে। টেসলার বর্তমানে ছয়টি কারখানা রয়েছে এবং মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় নুয়েভো লিওন প্রদেশে সপ্তম কারখানাটি নির্মাণ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

মূলত বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারক এই প্রতিষ্ঠানটির পদচিহ্ন বিশ্বজুড়ে সম্প্রসারণের একটি অংশ হিসেবে কারাখানা বাড়ানো হচ্ছে।


আরও খবর
গুয়াতেমালায় ভূমিধসে নিহত ৬, নিখোঁজ ১২

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




লোহাগড়ায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহককে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
এস এম সালাউদ্দিন, নড়াইল প্রতিনিধি

Image

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের লাইনম্যান ও কর্মকর্তারা কর্তৃক গ্রাহক হয়রানি এবং ঝিকিরা গ্রামের প্রতিবন্ধী খাইরুজ্জামানকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবারের আয়োজনে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার ঝিকিরা বাজার এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন-বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার সেকেন্দার আলী, ব্যবসায়ী তহিদুর রহমান, ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান, প্রতিবন্ধী খায়রুজ্জামান, জাহানারা বেগম, আলেয়া বেগমসহ অনেকে।

বক্তারা বলেন, যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অধীন লক্ষীপাশা জোনাল অফিসের লাইনম্যান ও কর্মকর্তারা কোনো কারণ ছাড়াই গ্রাহকদের সীমাহীন হয়রানি করছেন। নতুন মিটার সংযোগ দিতে গেলে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন তারা। মিটার ও লাইনে কোনো সমস্যা হলে ৫০০ টাকা না দিলে সেই সমস্যার সমাধান করা হয় না। অফিসে বসে ইচ্ছেমত মাসের বিল করেন। অতিরিক্ত বিল লেখেন। এছাড়া গ্রাহকরা লাইনম্যান ও কর্মকর্তাদের কাছে কোনো সমস্যার কথা বলতে গেলে উল্টোপাল্টা কথা বলেন। হঠাৎ করে গ্রাহকদের ওপর ক্ষেপে যান।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩১ আগস্ট দুপুরে ঝিকিরা গ্রামের ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী খাইরুজ্জামানের বাড়ির বিদ্যুৎ লাইন ঠিক করতে এসে ৫০০ টাকা দাবি করেন দুজন লাইনম্যান। এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে খাইরুজ্জামানের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন ওই লাইনম্যানরা। বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিয়ে লক্ষীপাশা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) এটিএম তারিকুল ইসলামসহ আরো লোকজন জড়ো করেন তারা। এক পর্যায়ে বিদ্যুত অফিসের লোকজন খাইরুজ্জামানের বিদ্যুতের মিটার খুলে নিয়ে যায়। এছাড়া তাকে মিথ্যা মামলার ফাঁসানোর হুমকি দেয়। এছাড়া তার বড় ভাই রবিউল ইসলামের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার পর ওইদিন রাত সাড়ে ১০টায় আবার সংযোগ দেয়া হয়েছে।

প্রতিবন্ধী খাইরুজ্জামান বলেন, ৫০০ টাকা পরিশোধ না করায় আমার বাড়ির বিদ্যুৎ লাইনের সমস্যার সমাধান না করে উল্টো মিটার খুলে নিয়ে গেছে। বিদ্যুৎ লাইনের লুস সংযোগ ঠিক করতে বলাই আমার কাছে ৫০০ টাকা দাবি করা হয়। গত দুদিন ধরে বাড়িতে বিদ্যুত না থাকায় আমার ১০৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ বাবাসহ পরিবারের লোকজন অনেক কষ্টে দিনযাপন করছেন। ফ্রিজের মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। 

এসব অভিযোগের বিষয়ে পল্লী বিদ্যুত লক্ষীপাশা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) এটিএম তারিকুল ইসলাম বলেন, গ্রাহক খাইরুজ্জামান বিদ্যুত অফিসের লোকজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। লাইনম্যানদের গায়ে হাত তুলেছেন। আর লাইনম্যানরা টাকা চাইলে অফিসে অভিযোগ করতে পারতেন। তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে হবে কেন?

যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) আব্দুল লতিফ বলেন, গ্রাহকের সমস্যা হলে টাকা দাবি করার কোনো সুযোগ নেই। গ্রাহক খাইরুজ্জামানসহ ভুক্তভোগীদের এসব অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।


আরও খবর
জয়পুরহাটে খাল থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বায়ুদূষণের শীর্ষে রিয়াদ, ঢাকা ষষ্ঠ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বায়ুদূষণের শীর্ষে উঠে এসেছে সৌদি আরবের রিয়াদ। তবে দূষণ মাত্রার দিক থেকে রাজধানী ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা রিয়াদের বায়ুর মানের স্কোর হচ্ছে ১৭১ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। শহরটির স্কোর হচ্ছে ১৫৯ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর।

সূচকের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর এবং শহরটির স্কোর হচ্ছে ১৫৪। এর অর্থ দাঁড়ায় সেখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর।

দূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ। রাজধানী ঢাকার দূষণমাত্রার স্কোর হচ্ছে ১৩৬ অর্থাৎ এখানকার বায়ুর মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর। বিশেষ করে যাদের অ্যাজমা, ফুসফুসজনিত কোনো রোগ আছে তাদের জন্য।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর
গাজীপুরের বায়ু সবচেয়ে দূষিত

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




চড়া বাজারে জনপ্রিয় সবজি শাপলা এখন গরীবের ভরসা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো: আফসার খাঁন, কালিয়াকৈর (গাজীপুর)

Image

চড়া সবজির বাজারে দিশেহারা মানুষ। দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে থাকায় স্বস্তার মধ্যে ফেলনা শাপলার দিকে ঝুঁকছে মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো। শুধু গ্রামেই নয়, পুষ্টিকর সবজি খাবার হিসেবে শাপলার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে শহর-উপশহরেও। আর বর্ষা মৌসুমে শাপলা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন দরিদ্র অসহায় পরিবারের মানুষ।

সরেজমিনে ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা মেদীআশুলাই এলাকায় ঐতিহ্যবাহী আলোয়া বিল। এ বিলের পাড়ে বসে শাপলা বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন পঞ্চাশোর্ধ নারী মালতি রানী। আড়াই বছর আগে মারা গেছেন তার স্বামী। দুই ছেলে ও এক মেয়ে থাকলেও সবাই আলাদা থাকায় তার সংসারে তিনি এখন একা। পাশেই মেদীআশুলাই বাজারে বসে শাপলা বিক্রি করছেন ষাটোর্ধ অপর নারী গোলাপি রানী। তারও স্বামী ১০বছর আগে মারা যান। তার সংসারেও আর কেউ নেই। তাদের দুজনের স্বামীই ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সরকারী ১০টাকা কেজি চাল পেলেও তারা এখনো বয়স্ক বা বিধবা ভাতা পাননি। শুষ্ক মৌসুমে অন্যের বাড়িতে টুকটাক কাজ করে কোন রকমে তাদের সংসার চলে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে বিলে ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন এই দুই অসহায় নারী। শুধু গোলাপি রানী ও মালতি রানীই নন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আরমা বেগম, তমিজ উদ্দিন, আলেয়া, সাবিনা, আসলাম মিয়া, আব্দুল ইব্রাহিম হোসেন, সাত্তারসহ শত শত অসহায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন এখন শাপলা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র পাওয়া যাচ্ছে জাতীয় ফুল শাপলা। তবে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খাল, বিল, পুকুরে শাপলা পাওয়া যায়।

মেদীআশুলাই, কালিয়াকৈর, চাবাগান, ফুলবাড়িয়া, জালশুকা, দেওয়াইর, গোসাত্রা, ঢালজোড়া, সফিপুর, বড়ইবাড়ী, লতিফপুরসহ বিভিন্ন ছোট-বড় বাজারে শাপলা বিক্রি করা হচ্ছে। এ উপজেলা ছাড়াও অন্য জেলা উপজেলায়ও যাচ্ছে এ শাপলা। প্রতি আটিতে ১০টি শাপলা। যার পাইকারী বাজার মূল্য ৩-৬ টাকা এবং খুচরা মূল্য ৬ থেকে ১০ টাকা। সুযোগ বুঝে অসহায় শাপলা ক্রেতা-বিক্রেতাদের ঠকাচ্ছেন সুবিধাবাদী পাইকাররা। তবে শাপলা বাজারেও মূল্য তালিকা টানানোর দাবী জানিয়েছেন দারিদ্র অসহায় পরিবারের লোকজন।

স্থানীয় কহিনুর ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, সোহেল রানা, নুরু মিয়াসহ অনেকই বলেন, শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল। কিন্তু এক সময় যে শাপলা বিলে ফুটে বিলেই পঁচে যেতো। সেই শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে শতশত অসহায় পরিবার সংসার চালাচ্ছেন। আর ফেলনা শাপলাকে জনপ্রিয় সবজি হিসেবে এগিয়ে নিতে রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বিল পাড়ের অসহায় মানুষ। এর মাধ্যমে তারাই দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখছেন। এছাড়াও শাপলার ফল দিয়ে তৈরি হয় চমৎকার সুস্বাদু মোয়া ও খৈই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল। এর পাশাপাশি এক অংশ আমরা খেয়ে থাকি। এটা পুষ্টিকর একটা খাবার। আর এ শাপলা বিক্রি করে অসহায় পরিবারগুলো তাদের সংসার চালাচ্ছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ। তারা দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখছেন। তবে যারা এখনো বয়স্ক, বিধবাসহ বিভিন্ন সরকারী ভাতা পাননি। এমন ব্যক্তিদের লিখিত পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: শাপলা

আরও খবর
জয়পুরহাটে খাল থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩