বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের শিক্ষার্থীদের খাওয়া নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অপরিষ্কার ও নোংরা পরিবেশ এবং খুবই নিম্নমানের খাবার বিক্রি করায় শিক্ষার্থীদের বাহিরে বা পাশের হলে খেতে হচ্ছে। এতে করে সময় অপচয় ও বাড়তি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
এ প্রতিবেদনে করতে গিয়ে শেরে বাংলা হলের প্রায় ১০/১২ জন আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হয়। শিক্ষার্থীরা জানান, কখনো মাংস থেকে আবার কখনো ডাল থেকে মাছের গন্ধ আসে। যে তেল দিয়ে মাছ ভাজা হয় ঐ তেল দিয়েই আবার এসব তরকারি রান্না করা হয় বলে এসব খাবার খাওয়া যায় নাহ। একবার খাবার মুখে দিয়েই ফেলে দিতে হয়। ডাইনিংকে নর্দমা করে রাখে, যার কারণে ডাইনিং এ বসে খাবার খাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এছাড়াও জানা যায়, শেরে বাংলা হলের অধিকাংশ আবাসিক শিক্ষার্থী পাশের বঙ্গবন্ধু হলে খাবার খায়। ঐ সব শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শেরে বাংলা হলের রান্না মুখে দেওয়া যায় নাহ। রাঁধুনির রান্না খুবই বাজে। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই বঙ্গবন্ধুতে খেতে হয়। তবে বঙ্গবন্ধুর রান্নার মান নিয়ে প্রশ্ন আছে শিক্ষার্থীদের। তুলনামূলক ভালো বলছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন>> ‘উন্নয়ন ও অগ্রগতির সঙ্গে বিজ্ঞান ও গবেষণায় সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে’
শেরে বাংলা হলের ৪০১৪ নং কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো যে এ হলে খবারের মান ও পরিবেশনের ব্যবস্থা খুবই নিম্নমানের। বাঁশি খাবার পরবর্তী খাবারের সাথে মিক্স করে পরিবেশন করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এ হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ভোলা রোডের বিভিন্ন হোটেলে খাবার খেতে হয়৷ আমরা অধিকাংশ শিক্ষার্থী শেরে বাংলা হলের খাবার বয়কট করেছি। কিন্তু রাতে টিউশনি করে এসে পাশের হলে খাবার নাহ পেয়ে বাধ্য হয়ে আমাদের এই নিম্নমানের খাবার খেতে হয়। এসব বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় নি। এখন দায়সারা বক্তব্য শুনতে শুনতে আমরাও অভ্যস্ত হয়ে গেছি।
এ বিষয়ে শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া বলেন, বর্তমান বাজার দরে ক্যান্টিনে যে দামে খাবার সরবরাহ করা হয় তা খুবই কঠিন। তারপরও খাবারের মান নিয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই সন্তুষ্ট বলে আমি মনে করি। আমি ডায়নিং পরিচালকদের ভালোভাবে বলে দিয়েছি তারা যেন পরিষ্কার পরিছন্নতা বজার রাখে। আমি নিজেও হলের রান্নার ঘর, খাবার রাখার জায়গা এগুলো পরিদর্শন করি। কোন রকম অসংগতি দেখলে সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করি। তাছাড়া হলে সপ্তাহের ৩-৪দিন দুপরের খাবার খাওয়া পড়ে আমার। আমাদের নানা রকম সীমাবদ্ধতা আছে তারপরও আমরা সর্বোচ্চটা দিয়ে সার্বিক বিষয়গুলো দেখার চেষ্টা করছি। তবে বেসিং অপরিষ্কার নিয়ে প্রশ্ন করলে তার কোনো সদুত্তর পাওয়া যায় নি।