আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

খাগড়াছড়িতে নদী থেকে লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

খাগড়াছড়ির রামগড়ের সীমান্তবর্তী ফেনী নদীতে মিললো এক ব্যক্তির লাশ। রবিবার বিকেলে রামগড় পৌর এলাকার মন্দির ঘাট এলাকায় নদী থেকে লগডুং কুমার ত্রিপুরার (২২) মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনরা। নিহত লগডুং কুমার ত্রিপুরা মাটিরাঙ্গার তেকুম্বা পাড়ার নবীন কুমার ত্রিপুরার ছেলে।

নিহতের বড় ভাই রশ্মি কুমার ত্রিপুরা জানান, লগডুং কুমার ত্রিপুরা মানসিক ভারসাম্যহীন। গত শুক্রবার বিকেল থেকে ভাইকে খুঁজে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হয়। রবিবার সকাল তাকে খুঁজতে স্বজনরা ফেনী নদীর পার ধরে রামগড়ের দিকে আসে। বিকেল ৫টার দিকে রামগড়ের মন্দির ঘাট এলাকায় নদীতে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে মরদেহটি তোলার পর লগডুংকে শনাক্ত করা হয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে পানিতে ডুবে ভিকটিমের মৃত্যু হতে পারে। তথ্য যাচাইবাছাই চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।  


আরও খবর



অন্যকে বাঁচাতে জীবন দেওয়া নাজিউল ছিলেন মায়ের একমাত্র সন্তান

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

অপরিচিত এক নারীকে বাঁচাতে গিয়ে জীবন দেওয়া সেই কলেজছাত্র তার মায়ের একমাত্র ভরসা ছিলেন। অন্যের জীবন বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মারা যাওয়া যুবকের নাম জোবায়ের রহমান নাজিউল (১৮)।

সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাইবান্ধা শহরর মাঝিপাড়া এলাকার রেললাইনে সন্তানসহ দাঁড়িয়ে থাকা গৃহবধূ রাজিয়া বেগমেকে বাঁচাতে গিয়ে নাজিউলের মৃত্যু হয়।

জোবায়ের রহমান নাজিউল গাইবান্ধা সাঘাটা উপজেলার ভরখালী গ্রামের জাহিদুল ইসলাম ও জেবা বেগম দম্পতির একমাত্র সন্তান ছিলেন। ছেলেকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন তার বাবা-মা। জোবায়ের রহমান নাজিউলের এমন ত্যাগে তার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ এলাকাবাসী শোকে কাতর হয়ে পড়ছেন।

নাজিউলের মা জেবা বেগম অচেনা মানুষ দেখেই চিৎকার করে আহজারী করছেন। আর বলছেন, আমার কলিজার টুকরাকে এনে দাও। আমার ধনকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখতাম। আমার একমাত্র ভরসা ছিল আমার ছেলে। ভালো করে লেখাপড়া করবে, সেজন্য শহরে ভালো স্কুলে ভর্তি করালাম। মাসে মাসে এখন আমি কার কাছে টাকা পাঠাব। এখন আমি কাকে নিয়ে বেঁচে থাকব।

নাজিউলের এই ত্যাগে মৃত রাজিয়া বেগমের কোলে থাকা শিশুটি বেঁচে গেছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে অনেকেই এই তাকে মানবিক কিশোর হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, নিহত গৃহবধূ রাজিয়া বেগমের স্বামী আনোয়ার হোসেন মাদকাসক্ত ও কর্মহীন। মোবাইল ফোনে প্রেম করে সুনামগঞ্জের রাজিয়াকে বিয়ে করে আনোয়ার। পেশা হিসেবে আনোয়ার হোসেন অন্যের রিকশা ভাড়া নিয়ে চালাতেন। আবার কিছু সময় দিনমজুরের কাজ করেন। তবে বেশিরভাগ সময়ে কাজ না করে আনোয়ার হোসেন প্রায়ই বাড়িতে বসে থাকতেন। সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকতো। শিশু সন্তানের খাবার ঠিকমতো দিতে পারত না। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো। 

ঘটনার আগের রাতে স্বামীকে কাজ করতে বলায় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। সোমবার রাজিয়া বেগম সকালে তার শিশুকে কোলে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। এ সময় প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে কলেজছাত্র জোবায়ের মিয়া ওই গৃহবধূকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মারা যান। ওই গৃহবধূর কোলে থাকা ওই শিশু আবির হোসেনসহ তিনজনকে প্রথমে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত গৃহবধূ ও কলেজছাত্র জোবায়েরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওযার পথে তারা মারা যান। তবে মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে আহত দেড় বছরের শিশু আবির হোসেন বর্তমানে শঙ্কা মুক্ত রয়েছে। পরিবারের লোকজন তার দেখভাল করছেন।

স্বামী আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিনিয়ত রাজিয়া শিশু সন্তানের গায়ে হাত তুলত। এ নিয়ে ঘটনার আগের রাতে তাকে গালিগালাজ করি। এরপর রাতেই আমার স্ত্রী ঘর থেকে বের হয়ে যায়। সকালে আমি কাজে যাই। পরে সাড়ে ১১টার দিকে শুনতে পাই আমার স্ত্রী ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা গেছে। আমি এই ছোট শিশুকে নিয়ে তার মা ছাড়া কিভাবে বেঁচে থাকব।

নাজিউলের সহপাঠী জিয়াম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, জোবায়ের রহমান নাজিউল নিজের জীবন দিয়ে যে কাজটি করেছে তা ভোলার মতো না। অন্যের জীবন বাঁচাতে গিয়ে তার স্বপ্ন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিলেন। কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই তবুও তরতাজা জীবন দুটো বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন দিতে হলো।

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এ এস এম রুহুল আমিন জানান, দেড় বছরে শিশু আবির হোসেন মাথায় ও পেটে কিছুটা আঘাত পেয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসায় শিশু আবির হোসেন শঙ্কামুক্ত রয়েছে।

এসব বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, এ ঘটনায় সদর খানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর গৃহবধূর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



ভাড়া নিয়ে বিতণ্ডা, যাত্রীদের পিটুনিতে চালক-হেলপারের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভারের আশুলিয়ায় ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে যাত্রীদের পিটুনিতে ইতিহাস পরিবহনের একটি বাসের চালক ও হেলপারের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে গাজীপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকায় (ডিইপিজেড) এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন ইতিহাস পরিবহনের বাস চালক সোহেল রানা বাবু (২৬) ও হেলপার হৃদয় (৩০)। বাস চালক সোহেল মিরপুরের ফুরকান হোসেনের ছেলে। অপরদিকে হেলপার হৃদয় ময়মনসিংহ ফুলপুর এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, দুপুরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের চন্দ্রাগামী ইতিহাস পরিবহনের বাসের চালক ও হেলপারের সাথে যাত্রীদের ভাড়া নিয়ে বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত যাত্রীরা বাসের চালক ও হেলপারকে মারধর করে। পরে পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে আহত অবস্থায় গাজীপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মাসুদুর রহমান ঢাকা ঘটনার সত্যতা ও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ভাড়া নিয়ে বিতণ্ডার জের ধরে যাত্রীদের সাথে মারধরের ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনায় তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



ইরানে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এবার ইরানের ভূখণ্ডে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুটি মার্কিন সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

এই ঘটনার পর বেশ কয়েকটি শহরে বিমান চলাচল বাতিল করার কথা জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

এর আগে, গত শনিবার ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকেই উচ্চ সতর্কতায় ছিলো ইরান।

ইরানের ইসফাহান শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে এই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

ফার্স নিউজ স্থানীয় বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণের খবর দিলেও কোনো বিস্তারিত তথ্য দেয়নি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ইরানি প্রদেশে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করার খবর দিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা।


আরও খবর



বাউফলে তিন শিশুকে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে ব্যবসায়ী আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দূর্জয় দাস, বাউফল (পটুয়াখালী)

Image

পটুয়াখালীর বাউফলে অনুমতি ছাড়া একটি দোকানের ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম নিয়ে খাওয়ার অপরাধে তিন শিশুকে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আনোয়ার হাওলাদারকে আটক করেছে পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোমবার (২৪ মার্চ) বিকালে উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের মৃধার বাজারে ব্যবসায়ী আনোয়ার হাওলাদারের দোকান থেকে স্থানীয় তিন শিশু ইমাম হোসেন (৭), আবদুল্লাহ (৯) ও ফাহিম (১০) আইসক্রিম খায়। এ সময় ব্যবসায়ী আনোয়ার দোকানে ছিলেন না। কিছুক্ষণ পর দোকানে এসে শিশুদের আইসক্রিম খেতে দেখে রেগে যান আনোয়ার হাওলাদার। পরে দোকান থেকে শিকল এনে ওই তিন শিশুকে বেঁধে রাখেন। সন্ধ্যার পর তিনি শিশুদের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। অভিভাবকরা খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে ৩ শিশুকে উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। মুহুর্তেই এমন হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে ওই ব্যবসায়ী গা ঢাকা দেন। ভোররাতে বাউফল থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ী আনোয়ার হাওলাদারকে আটক করে।

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মো. সাইদুর রহমান বলেন, শিশুদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শিশুদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



হিটস্ট্রোকে যে ফল ভুলেও খাওয়া যাবে না

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

হিটস্ট্রোক মানে হলো অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০৪ -১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে ওঠা, যা সাধারণত প্রচণ্ড জ্বরে হয়। হিটস্ট্রোকের ফলে অস্বাভাবিক মানসিক আচরণ দেখা দিতে পারে। যেমন কনফিউশান, বিড় বিড় করা, অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা, হ্যালুসিনেশন, মাথাব্যথা হওয়া, ঝিম ঝিম করা, হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেরা।

হিটস্ট্রোকে মূলত শরীরের কুলিং সিস্টেম ফেইল করে। এতে ঘাম কমে গিয়ে শরীর শুষ্ক হয়ে যায়, বমি বমি ভাব হয়, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়, হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, ডিহাইড্রেশনের ফলে ইলেকট্রোলাইটস ইম ব্যালেন্স হয়, মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায়। এমনকি শুরু হতে পারে খিচুনি। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

ফল কি হিটস্ট্রোকের জন্য উপকারী : ফল খাওয়া হিট স্ট্রোকের জন্য উপকারী হলেও কিছু ফল হিটস্ট্রোকে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই হিট স্ট্রোকে কোন ফল উপকারী এবং কোন ফল অপকারী এটা না জেনে ফল খেলে হতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোকে এড়াতে উপকারী ফল : কম ক্যালরি যুক্ত এবং কম চিনিযুক্ত রসাল ফল হিটস্ট্রোকের জন্য উপকারী। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে শসা, জাম্বুরা, আনারস, তরমুজ। এ ছাড়া নাশপাতি, কাঁচাআম (সবুজ আম), কাঁচা পেঁপে (সবুজ পেঁপে) , আপেল, স্ট্রবেরি, গোলাপ, জাম্বুরা, লেবুও কম ক্যালরি যুক্ত ফল। এসব ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা শরীরের জন্য খুবই  উপকারী।

হিটস্ট্রোকের জন্য অপকারী বা ক্ষতিকর ফল : সাধারণত প্রচুর চিনিযুক্ত ফল এবং উচ্চ ক্যালরি উৎপন্নকারী ফল যেমন পাকা কাঁঠাল, পেয়ারা, পাকা আম, আঙুর, লংগান, লিচু, পাকা কলা, পাকা পেঁপে (হলুদ পেঁপে), প্যাশন ফল, লাল ডালিম, মিষ্টি তেঁতুল, পেয়ারা। মনে রাখবেন পাকা পেঁপে ও পাঁকা কাঁঠাল হিট স্ট্রোকের বিপত্তি বাড়িয়ে দেবে এবং গরম পানীয় যেমন চা ও কফি পান করা যাবে না।

হিটস্ট্রোকে করণীয় : শরীরকে ঠান্ডা করা অর্থাৎ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুছে দেওয়া বারবার, ছায়া ও বাতাসযুক্ত স্থানে বসা, ঠান্ডা পানি দিয়ে তোয়ালে বা গামছা ভিজিয়ে ঘাড় মাথা, উরু স্পঞ্জিং করা। ঘাড়ে ঠান্ডা পানিতে ভিজানো রুমাল রাখা যেতে পারে। ডিহাইড্রেশন ও পিপাসা কমাতে নরমাল ঠান্ডা পানি, লেবুর শরবত এবং খাবার স্যালাইন খুবই উপকারী। তবে খাবার স্যালাইন নিয়মমতো বানাতে হবে।


আরও খবর